![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমাদের দেশে প্রায় শোনা যায় ওয়াহ্যাবি(ওয়াহাবি) মুসলমানের কথা।আমাদের দেশের বিশেষ এক শ্রেণীর কওমী আলেমদেরকে এক শ্রেণীর আলেম ও তাদের অনুসারী সাধারন মুসলমানরা ওয়াহাবী বলে।আর এক শ্রেনীর আলেম নিজেদেরকে সুন্নি বলে পরিচয় দেয়।প্রথমে আমরা জানার চেষটা করি সুন্নি কথাটার অর্থ কি।সাধারন ভাবে বলতে গেলে যারা রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পরিপূর্ণ সুন্নত মেনে চলেন তারাই সুন্নি।
আসল ওয়াহাবি কে এবং কারা?
মুহাম্মদ বিন আব্দুল ওয়াহ্যাব নজদী তেরশ শতাব্দিতে আরবের নজদ নামক প্রদেশে আত্তপ্রকাশ করে।সে ভ্রান্ত আকিদায় বিশ্বাসী ছিল ।সে আহলুসসুন্নাত ওয়াল জামাতের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত থাকত এবং তার নিজ আকিদা ছাড়া অন্য আকিদার মুসলমানদের কাফের হিসাবে আখ্যায়িত করত। ভিন্ন আকিদার মুসলমানদের মাল ধন সম্পদ জোর করে ছিনিয়ে নেওয়াকে হালাল ও তাদের হত্যা করাকে পূণ্যের কাজ বলে ফতো্যা দিত।এই ওয়াহাবীরা তৎকালীন আমলে দলে এত ভারী ছিল যে তাদের হাতে হাজার হাজার খাটি মুসলমান শহিদ হয়েছিল।তাদের অত্যাচারে তৎকালীন সময়ে মক্কা মদিনার অনেক মুসলমান পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছিল।ওহাবের আবির্ভাবের সময়ে ব্রিটিশরা হিজাজে সরাসরি নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে পারছিল না, কারন ফ্রেন্চ ও জার্মান দুই জনেরই নজর ছিল হিজাজের দিকে. ফ্রেন্চরা দখলে ব্যার্থ হলে ব্রিটিশরাও আর সরাসরি আগায়নি. আগালেই ফ্রেন্চ ও জার্মানদের সাথে কনফ্লিক্টে যেতে হত ফলে রাজনীতি আরো জটিল আকার ধারন করত. সেজন্য ওই এলাকা দখলের জন্য তাদের দরকার ছিল এমন একজন লোকের যে মুসলমান নামধারী ও সরাসরি খিলাফাতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে. এতে ব্রিটিশরা স্রেফ অস্ত্র ও রসদ সাহায্য দিয়েই হিজাজ দখল করতে পারবে।
ব্রিটিশ কমনওয়েলথ মন্ত্রনালয় থেকে তখন মুসলিম খিলাফাতের বিরুদ্ধে প্রায় শতবর্ষব্যাপী প্লান অনুযায়ী প্রচুর এজেন্ট মুসলমানদের মধ্যে প্রেরন করা হয়েছিল. তাদেরই একজন ছিল ব্রিটিশ এজেন্ট হ্যামফার, তার কর্মক্ষেত্র ছিল হিজাজ এবং উদ্দেশ্য ছিল মুসলমানদের মধ্যেকার ফাটলগুলি বের করে তা ব্রিটিশদের জন্য কাজে লাগানো।
এই ব্রিটিশ এজেন্ট হ্যামফারেরেই আবিষ্কার এবং ফিনিশড প্রডাক্ট হল নজদের ওয়াহাব. এবং সেই ওহাবী মতাবলম্বীরাই আজকে সৌদ বংশ প্রতিষ্ঠা করে রাসূল সাঃ এর পবিত্র জন্মস্হান ও খিলাফাতের জন্মস্হানকে কব্জা করে সৌদি আরব প্রতিষ্ঠা করেছে ... এবং এই বর্বর গুলির কাজের জন্যই ইসলামকে আজ গালি ও কথা শুনতে হয়
সেই থেকে আরব দেশসহ অন্যান্য মুসলিম দেশে ওয়াহাবী ও তার অনুসারীদের কঠোর সমালোচনা করা হয় ও ঘৃনা চোখে দেখা হয়।
ওয়াহাবীদের আকিদা বা মুলনীতি।
১/ওয়াহাবীরা এই আকিদা পোষন করে যে নবী রসুল গনের জীবন শুধু মাত্র ইহকাল পর্যন্ত সীমিত মৃত্যুর পর ওনারা অন্যান্য সাধারন মুসলমানদের মত কবরে বিলীন হয়ে যায়।(নাউযুবিল্লাহ)
তারা নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সম্পর্কে আজেবাজে কথা বলে যা ভাষায় প্রকাশ করা অসম্ভব।
২/ওরা নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে নিজেদের সমকক্ষ মনে করে।নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে শুধু মাত্র তাবলীগের কাজে পাঠানো হয়েছে।(নাউযুবিল্লাহ)
৩/নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের রওজা মোবারক জিয়ারত করাকে বিদাআত ও হারাম বলে মনে করে।
৪/ এরা রাসুল করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে গায়েবী সালাম আস্সালাতু আস্সালামু আলাইকা বলা কে শিরক ও হারাম মনে করে।
৫/এরা মনে করে নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কেবল শরিয়তী ইলম জানা ছিল বাতেনী ইলম জানতেন না।নাউযুবিল্লাহ।
৬/আত্তসুদ্ধি, সুফিয়াকেরামদের নিয়ম নীতি ,মুরাকাবা, পীর মুরিদিকে নাজায়েজ ও হারাম বলে।
৭/এরা নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি দুরুদ সালাম দালায়েলুল, কাছিদাবুরদা পাঠানো অপছন্দনীয় কাজ বলে মনে করে।
৮/এরা নবীগন ও আউলিয়াগনের জীবন বৃত্তান্ত আলোচনাকে খারাপ মনে করে।
৯/ওয়াহাবীরা নিজেদের আকিদা ছাড়া অন্য আকিদার লোকদের কাফের বলে সম্বোধন করে।
১০/তারা অন্য আকিদার মুসলমানদের মাল সম্পদকে গনিমতের মাল মনে করে এবং তাদের ধন সম্পদ কেড়ে নেওয়াকে হালাল মনে করে।
আমাদের দেশে মাদ্রাসা শিক্ষার দুটি ধারা আছে একটি আলিয়া আরেকটি কওমী।আলিয়া মাদ্রাসা সম্পূর্ণ সরকারি অনুদানে পরিচালিত হয়।ওখানে সরকার নির্দেশিত সিলেবাস অনুযায়ি পড়ানো হয়।আর কওমি মাদ্রাসা সম্পূর্ণ জনগনের সহযোগিতায় পরিচালিত তাই এই মাদ্রাসাগুলি নিজস্ব সিলাবাসে পাঠদান করে।( মাদ্রাসা শিক্ষা দুই ধারা বিভক্ত হওয়ার ইতিহাস আছে তা ইনশাআল্লাহ অন্য সময় আলোচনা করব)।আমাদের দেশের এক শ্রেণীর আলেম এই কওমী আলেমদেরকে ওয়াহাবী বলে সম্বোধন করে।কিন্ত বাস্তবে দেখা যায় এই কওমী আলেমরা বর্তমানে সবচেয়ে বেশি সুন্নত পালন করেন।ওয়াহাবী আকিদার একটি আকিদাও কওমী আলেমদের মাঝে নাই।রাসুল করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে ভালবাসার ব্যাপারে এবং উনার সুন্নত পরিপূর্ণ ভাবে পালনের ব্যাপারে কওমী আলেমগন সবচেয়ে বেশি অগ্রগামী।উনারা শুধু বাহ্যিক গত (পোষাক ,দাড়ি, কথা-বার্তা ইত্যাদি) সুন্নত নয় আভ্যন্তরীন (খাওয়া দাওয়া, ঘর-সংসার, তাহাজ্জুদের নামায ইত্যাদি) সুন্নতের ব্যাপারেও খুবই যত্নবান।কওমী আলেমগন বেশির ভাগই খুব সাধারন জীবন যাপন করেন।তারা রাসুলে করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কোন ব্যাপার নিয়ে বাড়াবাড়ি করেন না।ঠিক যতটুকু হাদিসে পাকে আছে ততটুকুই পালন করেন।নিজ হতে কোন কিছু বাড়ানোকে বিদাআত ও কোন কিছু কমানোকে হারাম মনে করেন।
{সুত্রঃ প্রসংগঃওয়াহ্যাবী কারা/ লেখকঃহযরত আল্লামা শাঃ আহমদ শফী (দাঃ বাঃ)/ মাসিক মইনুল ইসলাম/ নভেম্বর- ২০০৮ }
২| ১৪ ই আগস্ট, ২০১০ বিকাল ৪:১৬
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: জামাতের সাথে ওহাবীদের মিল আছে।
আপনার মূল্যায়ন কি?
৩| ১৪ ই আগস্ট, ২০১০ বিকাল ৪:৩৭
এক্স বলেছেন: ওহাবের আবির্ভাবের সময়ে ব্রিটিশরা হিজাজে সরাসরি নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে পারছিল না, কারন ফ্রেন্চ ও জার্মান দুই জনেরই নজর ছিল হিজাজের দিকে. ফ্রেন্চরা দখলে ব্যার্থ হলে ব্রিটিশরাও আর সরাসরি আগায়নি. আগালেই ফ্রেন্চ ও জার্মানদের সাথে কনফ্লিক্টে যেতে হত ফলে রাজনীতি আরো জটিল আকার ধারন করত. সেজন্য ওই এলাকা দখলের জন্য তাদের দরকার ছিল এমন একজন লোকের যে মুসলমান নামধারী ও সরাসরি খিলাফাতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে. এতে ব্রিটিশরা স্রেফ অস্ত্র ও রসদ সাহায্য দিয়েই হিজাজ দখল করতে পারবে.
ব্রিটিশ কমনওয়েলথ মন্ত্রনালয় থেকে তখন মুসলিম খিলাফাতের বিরুদ্ধে প্রায় শতবর্ষব্যাপী প্লান অনুযায়ী প্রচুর এজেন্ট মুসলমানদের মধ্যে প্রেরন করা হয়েছিল. তাদেরই একজন ছিল ব্রিটিশ এজেন্ট হ্যামফার, তার কর্মক্ষেত্র ছিল হিজাজ এবং উদ্দেশ্য ছিল মুসলমানদের মধ্যেকার ফাটলগুলি বের করে তা ব্রিটিশদের জন্য কাজে লাগানো.
এই ব্রিটিশ এজেন্ট হ্যামফারেরেই আবিষ্কার এবং ফিনিশড প্রডাক্ট হল নাজদের ওয়াহাব. এবং সেই ওহাবী মতাবলম্বীরাই আজকে সৌউদ বংশ প্রতিষ্ঠা করে রাসূল সাঃ এর পবিত্র জন্মস্হান ও খিলাফাতের জন্মস্হানকে কব্জা করে সৌদি আরব প্রতিষ্ঠা করেছে ... এবং এই বর্বর গুলির কাজের জন্যই ইসলামকে আজ গালি ও কথা শুনতে হয়
৪| ১৪ ই আগস্ট, ২০১০ বিকাল ৪:৪১
এক্স বলেছেন: @বিদ্রোহী - ওহাবীদের বৈশিষ্ঠগুলি আগে বলেন তারপর বলেন যে জামাতীদের সাথে ওদের কি কি মিল আছে...
৫| ১৪ ই আগস্ট, ২০১০ বিকাল ৪:৪৮
পারভেজ আলম বলেছেন: বনের বাঘ মইরা গেলে শিয়ালেও রাজা হইতে পারে। আবার হাতি মরলে চামচিকায়ও লাত্থি মারে।
ইসলামের স্বর্ণযুগে এইসব ওয়াহাবিরা আইলে ভাত পাইত না।
৬| ১৪ ই আগস্ট, ২০১০ রাত ১১:৪৯
শাহ জাহান বলেছেন: কোন মতবাদ সঠিক তাহা কেবল আল্লাহই জানেন
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই আগস্ট, ২০১০ বিকাল ৪:১০
এস বাসার বলেছেন: জানলাম।