নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

টাইম অফ হালালাইজেশন

এই জায়গাটা ফাঁকা

স্তব্ধতা'

ভালবাসায় মুখোমুখি নিরবতা শ্রেষ্ঠ সময় আড়াল জানালায় কবিতা ছড়িয়ে শূণ্যতার ফিরতি ট্রামে রোমন্থন হবে কোলাহলময় ------ ব্লগিয় প্রিয় কবি স্বদেশ হাসনাইন। ...যে শাড়িটা তুমি পরো আনন্দে, মেঘের দিনে, আমি তা টানতে থাকি ঝড় আর বৃষ্টির দিকে, কিংবা যে শাড়ীটা তুমি পরো রোদের ভিতর, আমি তা লন্ড-ভন্ড করে দিই উত্তাল করে দিই বাতাসে বাতাসে, আর আজকাল আমার ভালোবাসাটা এরকমই দুরন্ত ... আরেক প্রিয় দূর্দান্ত কবি বীণা।

স্তব্ধতা' › বিস্তারিত পোস্টঃ

তসলিমা নাসরিনে’র ‘লজ্জা’ আর সাম্প্রদায়ীকতার নিষিদ্ধ ইশতেহার ।

২৬ শে আগস্ট, ২০১০ রাত ১:৩১

অবতরণিকা:



১. এই লেখার পর আমার অনেক ব্লগীয় সুহৃদ ব্লগে হয়তো আমার ছায়াও মাড়াতে চাইবেননা।তাদের কাছে দু:খ প্রকাশ করছি, চিন্তার মেরুকরনে দুই প্রান্তের বাসিন্দা হয়েও বোধ হয় বন্ধু হয়ে থাকা যায়।তর্ক-বিতর্কের প্রেক্ষাপটে চলতে চলতে কোনদিন যদি মুখোমুখি হই, সেদিন ভাবা যাবে কি করতে পারি আমরা।



২. ব্লগে আমার আ-লীগ, বিএনপি ও জামাত বিরোধী পদচারনা থাকলেও এই লেখার পর আমাকে অনেকে ভাদা ট্যাগিং দেবেন, আমি আগে থেকেই তা অস্বীকার করছি।



৩. আমাকে অনেকে নাস্তিক ট্যাগিং দেবেন সেটা আমি মাথা পেতে নেব।



------------------------------------------------------------



তসলিমা নাসরিনের ‘লজ্জা’, বিতর্ক দিয়ে যার শুরু এবং সে বিতর্ক অশরীরী এক সত্ত্বা হয়ে কালি-কাগজের বই-পুস্তক থেকে স্বামী-স্ত্রীর শোবার ঘর, হোটেল-রেস্তরাঁয় বন্ধুদের আড্ডা, চায়ের দোকান, মসজিদ-মাদ্রাসা সবখানেই জায়গা করে নিয়েছে আজ প্রায় দেড় যুগ হলো।আমার মনে আছে, সময়টা ১৯৯৩ সাল। সে সময় এক একটা মিছিল শুরু হতো বায়তুল মোকাররম উত্তর গেট হতে, পল্টন মোড়, কাকরাইল মোড় হয়ে সেগুলো গন্তব্য করতো শান্তিনগর মোড়ের দিকে; উদ্দেশ্য তসলিমার বাসভবনের সামনে গিয়ে একটা কিছু করা।মিছিলের প্ল্যাকার্ডে লিখা থাকতো, ‘মুরতাদ তাসলিমার ফাঁসি চাই’, নারায়ে তাকবীর-আল্লাহু আকবর…..ইত্যাদি, তারপর তসলিমার বই এর কপির সাথে তার কুশপত্তলিকার সহমরণ যোগে নিদারুন সেই আস্ফালন গুলো স্তিমিত হতো।১৯৯৩ সালেরই মাঝামাঝি কোন এক সময়ে সরকারী এক তথ্যবিবরনীর মাধ্যমে ‘লজ্জা’ নিষিদ্ধ হয়।সেই তথ্য বিবরণী অনুযায়ী, জনমনে বিভ্রান্তি ও বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি সৃষ্টি, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অঙ্গনে বিঘ্ন ঘটানো এবং রাষ্ট্র বিরোধী উসকানিমূলক বক্তব্য প্রকাশিত হওয়ার জন্য ‘লজ্জা’ নামক বইটির সকল সংস্করণ সরকার বাজেয়াপ্ত ঘোষণা করে।



এটাকে কি বলবো? সরকারের নিলজ্জতা না নির্বুদ্ধিতা? যারা বইটি পড়েছেন তারা চিন্তার দুয়ারে হুড়কো না লাগিয়ে চিন্তা করে দেখুনতো এটা আসলেই সাম্প্রদায়ীক উসকানী মূলক বই কি না? একই ভূ-খন্ডে বসবাসকারী এক সম্প্রদায়ের উপর আরেক সম্প্রদায়ের এথনিক ক্লিন্জিং এর খড়গ এর বিরোধীতা করা কি করে সাম্প্রদায়ীক উসকানী হয় তা আমার জানা নেই।উপন্যাসটির আলোকে সরকারী তথ্য বিবরনীতে প্রকাশিত একটি শব্দের মধ্যেও কোন সত্যতা আমি খুজেঁ পাইনা।শৈল্পিক বিচারে লজ্জা’ যতনা উপন্যাস তার থেকে বেশী একটি তথ্যসহায়ীকা।বাবরী মসজিদ ধবংস হওয়ার আফটার ম্যাথ হিসেবে বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় হিন্দু নির্যাতনের চিত্র নিয়ে বিভিন্ন তথ্যে ঠাসা বইটি তাই শেষ পর্যন্ত একটি গল্প আঁকড়ে ধরলেও ওর আর নান্দনিক একটি উপন্যাস হয়ে ওঠা হয়নি।বরং গল্পের ফরমেটে তথ্য উপাত্ত ব্যবহার করে সাম্প্রদায়ীকতার বিরুদ্ধে লেখিকার নিজের অবস্থানটাকে বোঝানোরই একটা প্রয়াস বলে মনেহয়।সাম্প্রদায়ীকতার দোষে দুষ্ট (!!) বইটির একখানে লেখিকা বলেছেন,



“করসেবকরা সাড়ে চারশ’ বছরের পুরোনো একটি মসজিদ ভেঙে ফেলেছে।বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ঘোষিত করসেবা শুরুর পঁচিশ মিনিট আগে ঘটনাটি ঘটে।করসেবকরা প্রায় পাঁচ ঘন্টার চেষ্টায় তিনটি গম্বুজ সহ সম্পূর্ণ সৌধটিকে ধুলোয় মিশিয়ে দেয়।পুরো ঘটনাই ঘটে বিজেপি, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ, আরএসএস, বজরং দলের সর্বচ্চ নেতৃত্বের উপস্থিতিতে।কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী, পিএসি ও উত্তর প্রদেশ পুলিশ নিষ্ক্রিয় দাঁড়িয়ে করসেবকদের অবিশ্বাস্য অপকান্ড দেখে।দুপুর দুইটা পঁয়তাল্লিশ মিনিটে প্রথম গম্বুজ ভাঙা হয়, সাড়ে চারটায় দ্বিতীয় গম্বুজ, চারটা পঁয়তাল্লিশে তৃতীয় গম্বুজটিও ভেঙে ফেলে উন্মত্ত করসেবকরা।”





এখানে মসজিদ ভাঙার বিরুদ্ধে লেখিকার অবস্থানটা টের পাওয়া যায় খুব সুস্পষ্টভাবে।ঠিক তেমনি সমগ্র বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর যে নির্যাতনটা ঐ সময় চলেছিলো, সে বিষয়েও তার অবস্থান খুব পরিষ্কার ভাবে টের পাওয়া যায় তার বিভিন্ন তথ্য উপাত্তের ব্যবহার এর মাধ্যমে, যেটিকে সরকারী তথ্য বিবরণীতে ‘সাম্প্রদায়ীক উসকানী’ আখ্যা দেয়া হয়েছে।আবার আরেক জায়গায় দেখুন তার বক্তব্য,



“বাবরি মসজিদ দেখেনি সুরঞ্জন।দেখবে কি সুরঞ্জন অযোধ্যায় যায়নি কোনদিন, দেশের বাইরে কোথাও যাওয়া হয়নি তার।সুরঞ্জন এটা মানে, ষোড়শ শতাব্দীর এই স্থাপত্য কাজে আঘাত করা মানে এ কেবল ভারতীয় মুসলমানকে আঘাত করা নয়, সমগ্র হিন্দুর ওপরও আঘাত, আসলে এ পুরো ভারতের উপরেই আঘাত, সমগ্র কল্যাণবোধ উপর, সমবেত বিবেকের ওপর আঘাত।”



এখানে হিন্দু-মুসলিম নির্বিশেষে সব কিছুর বাইরে দাঁড়িয়ে লেখিকা মানুষ হয়ে মানবতার অপমানকারীদের বিবেকের যে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে দিলেন, ক’জন ধর্ম ব্যবসায়ীর চোখে এটা পড়েছে?না কি ধর্মে বিবেকের কথা বলেনা?



‘আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম…’ (শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করছি বাউল সম্রাটকে)।এই ভূ-খন্ডে সাম্প্রদায়ীক সম্প্রীতিরতো কখনও অভাব ছিলোনা, বাঙালী শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতিতেই এর প্রমান বিদ্যমান।মাইনরিটি, মেজিরটি, সবাইকে নিয়েই আমাদের এই ছোট্ট ভূ-খন্ড।রাষ্ট্রের মাধ্যমে সবার স্বীকৃতির মাঝেই আমাদের নিরবিচ্ছিন্ন অস্তিত্ব।কিন্তু রাষ্ট্রযন্ত্র নিজেই যখন জঙ ধরা যন্ত্র হয়ে ধর্মান্ধতার ঠুলি পড়িয়ে আমাদের অন্ধ করে দেয়, তার পরবর্তী ফল আমাদের জন্য কখনোই শুভ হতে পারেনা।লজ্জা’র অশৈল্পিক পট বিন্যাসে এই গুরুত্বপূর্ণ মেসেজটিই আমরা অতি নিরুপণ ভাবে পাই।আর তাই লজ্জা’ বাংলাদেশী হিন্দুর ঘরে জন্ম নেয়া সুরঞ্জনের ধীরে ধীরে অবাংলাদেশী হয়ে যাওয়া আর মুসলমান ঘরে জন্ম নেয়া অসাম্প্রদায়ীক হায়দারের ধীরে ধীরে সাম্প্রদায়ীক হয়ে যাওয়ার গল্প বলে।সাম্প্রদায়ীক উসকানী দেয়না।



লজ্জা’র এক অংশে ধর্মকে তসলিমা কতটা উপরে তুলেছেন (হয়তো তার অজান্তেই), আমাদের ধার্মিক সরকারের বিধর্মী কলাকুশলীদের চোখে সেটা পড়েছে কি না আমার জানা নেই,



“জল খাবার ভেঙেছে।মরণচাঁদও নাকি ভেঙে চুরমার করেছে।সব মিষ্টির দোকান ভাঙা হচ্ছে।কারণ কি ধর্মীয় দ্বন্দ্ব?নাকি মিষ্টি খাওয়া, লুটপাট?সুরঞ্জনের মনে হয় ধর্মের চেয়ে হাতের থাবাটিই এখানে বড়।ধার্মিকেরা কখনও পারে বিধর্মীর সম্পদ লুট করে নিজের ধর্ম রক্ষা করতে?এতে আসলে ধার্মিকের কাজ নয়, এ হচ্ছে গুন্ডা বদমাশের কাজ।গুন্ডাবদমাশেরা সুযোগ পেলেই থাবা দেয়।”



লেখিকার এখানে ধর্মের নামে অধর্মকারীদের আলাদা করে চিহ্নিত করে ধর্মকে নিজের একটা নিষ্কলঙ্ক জায়গা করে দেয়াটা বোধ হয় আমাদের রাষ্ট্র যন্ত্রের চোখে পড়েনি।অথচ অত্যাচারে জর্জরিত, দেয়ালে পিঠ ঠেকা একজন সুরঞ্জন যখন ধীরে ধীরে কমুন্যাল হয়ে উঠলো, সেদিকে নজর পড়তে রাষ্ট্রের বিন্দুমাত্র দেরী হয়না।সত্যিই বিচিত্র দেশের বিচিত্র সরকার।



তসলিমা শ্লীল না অশ্লীল, আস্তিক না নাস্তিক, তিনি কতটুকু নারীবাদী আর কতটুকু পুরুষ বিদ্বেষী এই বিষয় গুলি এই লেখার মূল উদ্দেশ্য নয়।অথবা তসলিমার পক্ষে কলম ধরতেও আমি বসিনি।আমি রাষ্ট্রের অসারতার দিকে দিক আঙুল ওঠাতে চাই।রাষ্ট্রের এই ধরনের অসারতা যেমন লজ্জা’র অসাম্প্রদায়ীক হায়দারকে কম্যুনাল করে তোলে, বা সুরঞ্জনের মনে তার স্ব-দেশ নিয়ে ঘৃণার জন্ম দেয়, তেমনি সমাজের অনেক স্তরে ঘৃণার বীজ বুনে দেয়।আজকের তসলিমার ‘তসলিমা’ হয়ে ওঠার পেছনে রাষ্ট্র যন্ত্রের অসাড়তার প্রভাব কতটুকু, পাঠক ভেবে দেখবেন।তসলিমার ঘাড়ে লজ্জা’র সাম্প্রদায়ীকতার জোয়াল চাপিয়ে রাষ্ট্র নিজেই সাম্প্রদায়ীকতার যে নিষিদ্ধ ইশতেহার আমাদের হাতে ধরিয়ে দিয়েছে তার পরিণতি কি হতে পারে ভেবে দেখবেন।ধন্যবাদ।

মন্তব্য ৬১ টি রেটিং +১৯/-১

মন্তব্য (৬১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে আগস্ট, ২০১০ রাত ১:৪৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: লজ্জা বইটা হাতে পেয়েছিলাম ক্লাশ সিক্সে থাকতে। পুরোটা পড়া হয়নি। তবে যেটুকু পড়েছি আপত্তিকর কিছু মনে হয়নি। তবে বইটি লেখার পেছনে তসলিমার ইনটেনশনটা কি ছিলো সেটাও ভাবতে হয়েছে। সে যদি তৎকালীন পরিস্থিতিতে তার করণীয় মনে করে ঐ প্রেক্ষাপটে উপন্যাসটি লিখে থাকে, স্যালুট তাকে। কিন্তু যদি তার উদ্দেশ্য থাকে এই ইস্যুকে পুঁজি করে আনন্দবাজার পত্রিকার সাথে ভালো সম্পর্ক স্থাপিত করে পুরস্কার বাগিয়ে নেয়া... যা হোক সেটা অবশ্য আমাদের বোঝার উপায় নেই!

তসলিমার চিন্তা বাদ দিই, "লজ্জা"কে নিরপেক্ষভাবে দেখলে বলতেই হয় এমন একটি উপন্যাস নিষিদ্ধ করাটা সরকারের চরম নির্বোধ এবং ফ্যাসিস্ট আচরণ। অবশ্য যুগে যুগে সবখানেই এরকমই হয়ে এসেছে...

পোস্টের সথে একমত।

২| ২৬ শে আগস্ট, ২০১০ রাত ১:৪৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: এ্যাঁ! প্রথম কমেন্ট আমার! আমি তো কমেন্টটা লেখার পর ভাবছিলাম এতক্ষণে ধুন্ধুমার লেগে গেছে হাহা! কেমন আছেন?

২৬ শে আগস্ট, ২০১০ রাত ২:০৩

স্তব্ধতা' বলেছেন: হাহাহাহা...ভালো লাগছে প্রথমেই আপনার মন্তব্য পেয়ে।যাচ্ছে চলে।আপনার লেখা পাইনা অনেকদিন হলো।রাইটার্স ব্লক!!না স্বেচ্ছা নির্বাসন??

তসলিমার সাথে আনন্দবাজারের যোগাযোগ বা তার ভারত প্রীতি (ভারতও তার উপর প্রীত নয় বর্তমানে) সেসবের চেয়ে আমি ধর্মান্ধতার নামে আমাদের ফ্যাসিজমের দিকেই মূল বক্তব্যটা আড়ষ্ট রাখতে চেয়েছি।তবে তার লেখায় আমার কাছে তাকে সৎ মনে হয়েছে।অনেকে বলে তার হিন্দুপ্রীতিই আনন্দবাজারের পুরুষ্কার এনে দিয়েছে, অথচ দেখুন এক জায়গায় তার বক্তব্য ..

“কিরণময়ী চিৎকার করে কেঁদে ওঠেন, ভগবান ভগবান বলে।কিরণময়ী ভগবান ভগবান বলে ডাকছে, এমন দৃশ্য সুধাময় কখনও তাদের বাড়িতে দেখেনি।এসব কপাল ঠুকাঠুকি দেখলে সুরঞ্জনের গা ঘিন ঘিন করে।”

তবে তার অনেক লেখাতেই তার ব্যক্তি সীমাবদ্ধতার প্রকাশ আছে যেগুলি পোষ্টের সাথে সামঞ্জস্য না হওয়ায় আনিনি। এটা বলতে পারেন তসলিমার ঘাড়ে ভর করে আমাদের চোখের ঠুলিটা সরানোর একটা অপপ্রয়াস !!।

৩| ২৬ শে আগস্ট, ২০১০ রাত ১:৫৩

ডিস্কো ঘোড়া বলেছেন: :)

২৬ শে আগস্ট, ২০১০ রাত ২:০৪

স্তব্ধতা' বলেছেন: তবু ভালো গোমড়া মুখ দেখতে হলোনা :) :) :)

৪| ২৬ শে আগস্ট, ২০১০ রাত ২:১৯

বিড়াল বলেছেন: উনারা কি " পাক সার জমিন সাদ বাদ " পড়েন নাই... আর সব দোষ
তসলিমার... কারন ও মেয়ে বলে.... তাই দেশ ছাড়তে হল... আর রাজাকাররা ঠিকই দেশে আছে...

২৬ শে আগস্ট, ২০১০ রাত ৩:০২

স্তব্ধতা' বলেছেন: সহমত।তাকে দেশ ছাড়া করে সরকারেরই বা কতটুকু প্রাপ্তি ঘটেছে? প্রাপ্তি যতটুকু সেতো ঐ শস্যের গোড়ার 'আগাছা'দের।

৫| ২৬ শে আগস্ট, ২০১০ রাত ৩:০৪

স্বদেশ হাসনাইন বলেছেন:

বিষয়টি বিড়াল অথবা কদুর পার্থক্য। পরিচিত। যখন ধর্মগুরুর পত্রিকায় লজ্জার লেখিকা পয়গম্বরকে লাউ বলতে থাকবে। এখন বিড়াল যদি নিষ্পাপ কার্টুনও হয়, তার জন্য দেশের সবচেয়ে বড় পত্রিকার সাংবাদিককে ব্যবসা চালানোর জন্য খতিবের পা ধরে বসে থাকতে হবে। এখন যারা লাউয়ের পত্রিকার পাঠক তারা পত্রিকার পাঠক তো নয়। জীবন আছে কি নাই, লেখক পুরুষ না নারী, আর সেই লেখকের সম্মন্ধে কে কবে মুরতাদ বলেছি না বলেছে এটাই বিষয়। লেখা পড়তে হলে যে বুদ্ধি দরকার তা একপুস্তকের পাঠকের থাকার কথা না।

তারা প্রথমেই তসলিমাকে ধরে। কারণ তসলিমার পা থাকার কথা না। সেই পা তসলিমা পরের বইগুলোতে নারীদের সামনে এগিয়ে চলার জন্য নিয়েছেন, না নিছক হাইজাম্প দিয়ে বিতর্কের পোলভল্টে জাম্প দিতে চেয়েছে - সেটা বিতর্কের। ভুল করে আপনার শিশু যদি কার্টুন এঁকে পয়গম্বরের নামটা নিচে বসিয়ে দেয়, তাহলে চাপাতিতে তার গাল আগত হতে পারে, আর ডাস্টবীনে তার হাতের টুকরো পড়ে থাকতে দেখা অস্বাভাবিক নয়।

সেখানে লজ্জায় যা আছে তাতে তসলিমার বিপদ তো স্বাভাবিক

২৬ শে আগস্ট, ২০১০ রাত ৩:১৮

স্তব্ধতা' বলেছেন: ''ভুল করে আপনার শিশু যদি কার্টুন এঁকে পয়গম্বরের নামটা নিচে বসিয়ে দেয়, তাহলে চাপাতিতে তার গাল আগত হতে পারে, আর ডাস্টবীনে তার হাতের টুকরো পড়ে থাকতে দেখা অস্বাভাবিক নয়।''........ধন্যবাদ হাসনাইন, ভালো বলেছেন, এই অন্ধত্ব থেকে বের হয়ে আসি আমরা সবাই।

অ:ট: হঠ্যাৎ মনে হলো আরে আপনার লেখায় রাষ্ট্র যন্ত্রে অসাড়তাটা উঠে আসেনা কেন? তারপর মনে হলো, ভুল..আসে ভিন্নভাবে।ভালো থাকুন।

৬| ২৬ শে আগস্ট, ২০১০ রাত ৩:৪৪

স্বদেশ হাসনাইন বলেছেন: অট: লাল সালু কি একসময় ব্যান ছিল?
--
বিষয়টি মনে হয় বিড়াল অথবা কদুর পার্থক্য।

বিড়াল নিয়ে আঁকা কার্টুনে বিড়ালের নামের শুরুতে মু শব্দ, পয়গম্বরকে রক্ষার জন্য তলোয়ার বের হয়ে আসে।দেশের সবচেয়ে বড় পত্রিকা, যার মালিক একতা পত্রিকার ঐতিহ্যে লালিত, সে খতিবের পা ধরে কাঁদতে থাকে। অথচ যদি লাউ হিসাবে প্রকাশিত হয়, মৌলবাদীদের পত্রিকায়, তাহলে তাদের কে রক্ষার জন্য একটি শ্রেণী বেশ সক্রিয়।

এখন যারা লাউবাদী , তার কি পাঠক? যারা রুহানী কদুর তৈলে মাথা ঠিক রাখে, তারা বেসিক্যালি কোন পত্রিকা পড়ে? মনে হয় না। পড়লেও সেই আফিমের অক্ষরটাই পড়ে।

কাফের বিড়াল নিয়ে টুটা ফাটা সমস্য তাদের ভাবায়। দু চারটা বিড়াল আর কত দুর যায়। মুরতাদের কাঁটা বিছায়ে সমাধান হয়। কিন্তু পুস্তাকানুসারে জেনানার পা থাকা নাজায়েজ। জেনানা হবে ১০০% কদু -সুস্বাদু এবং আচ্ছাদিত।

তসলিমার যে পা ছিল, তা তার লেখায় টের পেয়েছি। লজ্জা তেমনই। অবশ্য সন্দেহ আছে সেই পা নারীদের সামনে এগিয়ে চলার জন্য কতটুকু কাজে লেগেছে।

বরং বিতর্কের পোলভল্টে জাম্প দেয়ার মতো মনে হয়েছে - অবিবেচক অথবা দ্রুত ব্যক্তি তসলিমার প্রতিষ্ঠিত করাই তার উদ্দেশ্য।

বিষয়টি ধর্মের ম্যাকানিকাল ইস্য(খুব ভদ্র আলোচনায় শেষ হবে না)

তসলিমার লজ্জায় সেই বিড়ালের কার্টুনের চেয়ে বেশী কিছু ছিল। সুতরাং তার লজ্জার বিশ্লেষণ খুব প্রয়োজনীয়না যারা সেই লাউবাদীদের পা ধরে থাকে।

(আগের মন্তব্যটি অসম্পুর্ণ থাকায় মুছে দিতে পারেন)

২৬ শে আগস্ট, ২০১০ ভোর ৪:৪৫

স্তব্ধতা' বলেছেন: লেখক বলেছেন: নাহ মন্তব্যটি থাক।ওখানেও কিছু আছে।তবে এ মন্তব্যটি বোঝায় সহায়ক বেশী, বিড়াল আর লাউ এর ব্যাপারটা সবাই বুঝতে পারবে।সত্যি বলতে কি এই বিড়াল, লাউ নিয়ে যাদের মাথা ব্যথা তারাই তাদের প্রয়োজনে বিড়াল, লাউ এর আগে মু বসাতে দ্বিধা করেনা।ডেনিশ যে কার্টুন নিয়ে এতো হৈ চৈ, মূলত জিলিয়ান-পোষ্টের সেই সংখ্যায় কার্টুন ছিলো ১২ টি।দু'জন ইমাম সেই কার্টুন গুলোকে ১২ থেকে ১৫ তে উন্নীত করে মিশরে গিয়ে তার প্রোপাগান্ডা চালায়।এই যে অতিরিক্ত তিনটির সংযোজন হলো, এই তিনটি ছিলো ভয়াবহ রকমের অফেন্সিভ, অন্যগুলোর তুলনায়।ফলে কি হলো সবাইতো জানে।শুধু মাত্র খ্রিষ্টান হবার দায়ে সুদানে একজনকে রাবারের ড্রামের ভিতর ঢুকিয়ে চারিদিকে পেট্রল দিয়ে তাতে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়।লোকটি অতি সাধারন একজন মানুষ ছিলো, দারিদ্রতার কারনে পৃথিবীর কোন খবরই তার কানে গিয়ে তেমন একটা পৌঁছতোনা।

আর তসলিমার লজ্জা'য় কোন ধর্মকে আক্রমণ করা হয়নি।ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে বলা হয়েছে।ধর্মের নামে অধর্মকারীদের কথা বলা হয়েছে।সেই কথা বলাতে যদি তার বইটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়, তাহলে আর আমাদের দাঁড়ানোর জায়গা থাকলো কই? এরপর শায়খুল হাদীস বা সাঈদীর বিরুদ্ধে কথা বললে জেল খাটতে হবে।আর উনি নারীবাদী লেখিকা কি না বা নারীবাদীত্বের আড়ালে কতটুকু তার পুরুষ হতে চাওয়া বা উনি কতটুকু পুরুষ বিদ্বেষী সে বিষয়গুলি আমি এড়িয়ে গিয়েছি পোষ্টের সাথে সামঞ্জস্য না হওয়ায়।অনেক ধন্যবাদ স্বদেশ হাসনাইন।

অ:ট: হ্যাঁ লালসালু উপন্যাসটি এক সময় ব্যান ছিলো, এবং সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহকে দেশ ছেড়ে দীর্ঘদিন প্যারিসে বসবাস করতে হয়েছে জীবন বাঁচাতে।

৭| ২৬ শে আগস্ট, ২০১০ ভোর ৪:৫৭

নৈশচারী বলেছেন: স্তব্ধতা,মানুষ হিসেবে আমাদের কিছু মারাত্মক সীমাবদ্ধতা আছে। তার মধ্যে একটা বড় রকমের সীমাবদ্ধতা হলো, নিরপেক্ষ দৃষ্টিকোণ থেকে কোনকিছুকে বিচার করতে পারার অক্ষমতা। আমরা যতই চেষ্টা করি না কেন, কোনো না কোনো জায়গায় গিয়ে শেষ পর্যন্ত পক্ষপাতমূলক আচরণ করেই ফেলি। এইসব সমস্যার সূত্রপাতও মূলতঃ সেখান থেকেই। লজ্জা উপন্যাসে সুরঞ্জন বা হায়দারের ক্ষেত্রে যা ঘটেছে শেষ পর্যন্ত অসাম্প্রদায়িক মানুষগুলির জীবনে এমনই ঘটে বহু ক্ষেত্রেই। এই সাম্প্রদায়িকতার বীজ,খুব ধীরে ধীরে স্লো পয়জনিং এর মত মানুষের ভেতরে ঢোকানো হয়। কত তুচ্ছ কারণে,তুচ্ছ বিষয় নিয়ে যে সমাজ ও পরিবার ধীরে ধীরে একজন মানুষের ভেতর বিভেদ রেখাটা টেনে দেয় এটা সে নিজেও বুঝতে পারে না। আর কিছু মানুষ তো সবসময়ই থাকে ধর্মকে বেচে ব্যবসা করার জন্যে। তাদের উল্লম্ফন ও উদ্দাম নৃত্য দ্বারা তারা বাকি সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করে এবং যেহেতু ধর্ম আমাদের এখানে খুব সংবেদনশীল একটা বিষয়, তাই সিংহভাগ মানুষ ওই নৃত্যকারীদের আসল উদ্দেশ্যকে ধরতে না পেরে চলমান হুজুগে গা ভাষায়।
এখানে রাষ্ট্রযন্ত্রের দোষ যতটুকু, রাষ্ট্রের বাসিন্দাদের মনোভাবের দোষ তার চেয়ে কম কিছু বলে আমি মনে করি না। সেটা হিন্দু মুসলিম সব সম্প্রদায়ের জন্যই প্রযোজ্য। রাষ্ট্রযন্ত্রে সাধারণত সেসব মনোভাবেরই প্রতিফলন ঘটে যা তার সিংহভাগ নাগরিক পোষণ করেন।
এতকিছুর মধ্যে ক্ষীণ আশার বিষয় শুধু এটুকুই যে, সম্প্রতি হাইকোর্টের ঐতিহাসিক সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা অন্তত কাগজে কলমে নিজেদেরকে একটি সেক্যুলার রাষ্ট্রের নাগরিক বলার অধিকার পাচ্ছি। তবে সাম্প্রদায়িকতার যে বিষ মূলতঃ দেশ ভাগের সমসাময়িক সময়টা থেকে বছরের পর বছর ধরে এখানের মানুষের ভেতর মগজ ও মননে ঢুকে গেছে তা শুধু এই সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে এত সহজে দূর হবে বলে মনে করিনা।

২৬ শে আগস্ট, ২০১০ ভোর ৫:৫৫

স্তব্ধতা' বলেছেন: ৪৭ এ দ্বিজাতি তত্ত্বের বিভাজনের ভিত্তিটাই ভুল ছিলো।আগে আমরা বাঙালী, তারপরে হিন্দু বা মুসলমান।বাঙালী অনেক সংস্কৃতিই হিন্দু মুসলিম উভয়ের সংস্কৃতি।৭১ এক জ্বলন্ত প্রমান, যেখানে ধর্মের ভিত্তিতে এক থাকাটাই যে সব থাকা নয় তা প্রমানিত।অস্তিত্বের প্রশ্ন সবার আগে।সে অস্তিত্ব জাতিগত অধিকারের কথা বলে, ভাষার কথা বলে, ধর্ম সেখানে অনেক পরের বিষয়।তাই এই একটা গৌণ বিষয় যখন রাষ্ট্র যন্ত্র পরিচালনায় মূখ্য স্থান অধিকার করে বসে, তার দ্বায়িত্ব যতনা রাষ্ট্রে নাগরিকের, তার চেয়ে বেশী যন্ত্রচালকদের উপরে বর্তায় বলে আমি মনে করি।আজকে আপনি ঘোষনা দিন, রাষ্ট্রের কোন ধর্ম থাকতে পারেনা, থাকলে তা অন্যান্য ধর্মের মানুষের প্রতি এক ধরনের অবমাননা, জনগণকে তা বোঝান, পাঁচ বছর পর জনগণ তাই বলবে।কিন্তু সেখানেও ঐ ঐতিহাসিক ধর্মব্যবসায়ীদের অবস্থানটা থেকেই যায়, যাদের শক্ত হাতে দমন ছাড়া কোন উপায় দেখিনা।

আর সেক্যুলার রাষ্ট্র নিয়ে আপনি যতটা আশাবাদী, আমি ততটা নই।এটা আমেরিকার টেরর ওয়ারে এলাইয়েন্স শক্ত করার জন্য এই ভূখন্ডে একটা আই ওয়াশ।এই উপমহাদেশে পাকিস্তান তাদের হাতে (আবার নয়ও, দ্যোদুল্যমান), ভারত এর সাথে পূর্বের সকল শত্রুতা শেষ এক বিশাল নৈশভোজনের মাধ্যমে, বাকী ছোট-খাট যে দু'একটা আমরা আছি, আমাদেরকে হাতে আনলে আমেরিকার খুঁটিটা শক্ত হয়।মাত্রতো কোর্টের সিদ্ধান্ত হলো, এটা কি ভাবে বাস্তবায়ন হয় সে সম্পর্কেতো কারও মুখে রা' ফুটছেনা। এখনও বিবাহ আইন, সম্পত্তি আইন ধর্মীয় অনুশাসনের আওতায়।শুধু মুখে সেক্যুলার বললেইতো হবেনা, কোর্ট ম্যারেজের বৈধতা দিতে হবে, সম্পত্তি ডিস্ট্রিবিউশন নিয়ে সরকারের কথা বলার সাহস আছে কিনা আমার সন্দেহ।পরেরবার আর নির্বাচনের টিকিট কাটা লাগবেনা তাহলে।তাই বলছি, সেক্যুলারিজম এখনও তত্ত্বেই আছে আর বড়জোড় ঐ কোর্টের রায়ের কপিতে।
ধন্যবাদ নৈশচারী (আপনার নিকটা আমার খুব পছন্দ।আমার নৈশচারী দিনগুলির কথা মনে করিয়ে দেয়)।

৮| ২৬ শে আগস্ট, ২০১০ ভোর ৫:০৬

হা...হা...হা... বলেছেন: Kichudin age lojja nie amio ekta blog likhechi, pore dekhte paren.

Lojja pore mone holo boiti nishiddo koratai lojja.

৯| ২৬ শে আগস্ট, ২০১০ ভোর ৫:০৬

হা...হা...হা... বলেছেন: Kichudin age lojja nie amio ekta blog likhechi, pore dekhte paren.

Lojja pore mone holo boiti nishiddo koratai lojja.

২৬ শে আগস্ট, ২০১০ ভোর ৫:২২

স্তব্ধতা' বলেছেন: পড়ে দেখব।ধন্যবাদ।

১০| ২৬ শে আগস্ট, ২০১০ ভোর ৫:০৬

স্বদেশ হাসনাইন বলেছেন: লেখার শুরুতে আপনার অবতরনিকাটি আমাকে মিশ্র অনুভুতির ভাবনা দিয়েছে।

যেমন
৩. আমাকে অনেকে নাস্তিক ট্যাগিং দেবেন সেটা আমি মাথা পেতে নেব।....ভাদা ট্যাগিং

তবে কি শুরুতেই একধরণের হতাশা খুঁজে পেলাম? যারা ট্যাগিং করছে তাদের কাছে কি আগেই কিছুটা সহানুভুতি চাইলেন?

এই লেখার পর আমার অনেক ব্লগীয় সুহৃদ ব্লগে হয়তো আমার ছায়াও মাড়াতে চাইবেননা


যে মানুষ আপনার সৎ চিন্তার প্রকাশকে সম্মান দেখায় না। মন্তব্য প্রকাশের সুযোগ গ্রহণ করে না, দ্বিমত না করে উল্টো "ছায়া না মাড়ানোর মতো" সিদ্ধান্ত নেয়, তার সঙ্গে সেই মু শব্দ দেখে তলোয়ার নিয়ে বায়তুল মোকারমে ভীড় জমানোদের পার্থক্য কোথায়? তার স্বীকৃতি পাওয়া কি একান্ত জরুরী?



চিন্তার মেরুকরনে দুই প্রান্তের বাসিন্দা হয়েও বোধ হয় বন্ধু হয়ে থাকা যায়।


একদম সঠিক। এটা স্বত: সিদ্ধ যার কারণেই আমি আপনি অন্যরা কথা বলি। যারা ট্যাগিং করতে ব্যস্ত বা আগ্রহী তারা কিন্তু এই উদার বানীটিরও এক উল্টো অর্থ বের করতে পারে।

২৬ শে আগস্ট, ২০১০ ভোর ৫:৩৪

স্তব্ধতা' বলেছেন: ভালো হয়েছে আপনি বিষয়টি তোলাতে।আমারও একটু বলার সুযোগ হলো।ব্যাপারটি একটু ব্যখ্যার দাবী রাখে আমার দিক থেকে।আপনি যদি আমার আর হানিফ রাশেদীন এর সামুতে ব্লগিং এর বয়স দেখেন, দেখবেন প্রায় একই সময় থেকে আমরা লিখছি।ওনার পোষ্ট সংখ্যা দেখুন, আমার কয়েক গুন, এটা আমি তার পোষ্টের অবমূল্যায়ন করছিনা, বরং বলতে চাইছি যে আমি যতটুকু সময় পাই পড়ে ও মন্তব্য করে সবার সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যমে আমার ব্লগিং এর সময়টা পার করি।এটাকে ব্লগিং বলা যায় কি না জানিনা।তাই আমার ব্লগের মাথায় 'পাঠক' শব্দটি টাঙিয়ে রেখেছি।এখন এই পাঠক হয়ে সবার সঙ্গে আমার যে সম্পর্কটা গড়ে উঠেছে সেটা একতরফা ভাবে আমি তাদেরকে জেনে, তাদের মতামতকে জেনে।অপর পক্ষে আমাকে তারা জানেননা বললেই চলে, আমার কোন পোষ্টে (এটির আগে) আমার রাজনীতি, ধর্ম সংক্রান্ত দর্শন/মতামতের শক্ত কোন প্রতিফলন ঘটেনি, যেটা এই পোষ্টে বিদ্যমান।তাই নিজে সহানুভূতি আদায়ের চেয়ে তাদেরকে মানষিক একটা প্রস্তুতি দেবার জন্যই এই অবতরনিকা। অনেকেই এর মধ্যে পোষ্টটি পড়েছেন, মন্তব্য করেননি।তারা কেউ যদি আমার সাথে দ্বিমত পোষণ করেন, তাহলেই আমি যে তাদের বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে বসিয়ে দেব সেরকম নয় ব্যাপারটা।যুক্তি সহকারে আলাপের অনেক জায়গা আছে।হয়তো এমন কোন দিক একজন আমায় দেখাতে পারে যা আমি দেখছিনা বা দেখতে পারছিনা।আমি চিন্তার দূয়ারে হুড়কো দিয়ে চিন্তা করতে পারিনা।আশা করি বোঝাতে পেরেছি।

১১| ২৬ শে আগস্ট, ২০১০ সকাল ১০:৩৯

মনপবন বলেছেন: ভাল লেখা।প্রিয়তে।সহমত।

২৬ শে আগস্ট, ২০১০ বিকাল ৫:৫৬

স্তব্ধতা' বলেছেন: ধন্যবাদ মনপবন।শুভেচ্ছা।

১২| ২৬ শে আগস্ট, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:১৬

রাজসোহান বলেছেন: যাক এখনো আপনাকে কেউ কোন ট্যাগিং দেয় নি !

আর আমি এখনো তসলিমার কোন বই পরিনি তবে আপনার লেখার সাথে সহমত জানালাম ।

২৬ শে আগস্ট, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:২৬

স্তব্ধতা' বলেছেন: ট্যাগিং নিয়ে চিন্তিত নই। অবতরণিকাটার উদ্দেশ্যটা ১০ নম্বর মন্তব্যে বলা আছে।অবশ্য এখন মনে হচ্ছে অবতরণিকাটা না দিলেই ভালো হতো, কারন অনেকেই এসে মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকছেন।

পড়ে ফেলুন।রাষ্ট্র, ধর্ম, ভাষা, সাহিত্য, সর্বপরি বর্তমান জীবনের সব কিছু আষ্টে-পৃষ্টে বাঁধা।একটাতে টান দেবেনতো আর একটা এসে হাজির হবে।তাই সবাইকেই জানতে হবে নানান দৃষ্টিভঙ্গী থেকে।

১৩| ২৬ শে আগস্ট, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:২৬

দুরন্ত স্বপ্নচারী বলেছেন: পড়েছিলাম ১৯৯৪ সালে।
নিষিদ্ধ করার মত কিছু ছিল না। তবুও নির্বোধ সরকার ওটা নিষিদ্ধ করেছিল।

২৬ শে আগস্ট, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:২৮

স্তব্ধতা' বলেছেন: সেই নির্বুদ্ধিতায় জয় হলো কাদের? নির্বুদ্ধিতারই।হেরে যাই শুধু আমরা।ধন্যবাদ দুরন্ত স্বপ্নচারী।

১৪| ২৬ শে আগস্ট, ২০১০ রাত ৮:৩০

দুরন্ত স্বপ্নচারী বলেছেন: পৃথিবীতে অধিকাংশ মানুষের জন্ম হয় শুধু হেরে যাবার জন্যে, সর্বত্র জয়ী হয় কেবল দানবকুল।

১৫| ২৬ শে আগস্ট, ২০১০ রাত ১০:২৯

বিড়াল বলেছেন: দুরন্ত স্বপ্নচারী বলেছেন: পৃথিবীতে অধিকাংশ মানুষের জন্ম হয় শুধু হেরে যাবার জন্যে, সর্বত্র জয়ী হয় কেবল দানবকুল।



আর দানবকুল জয়ী হয়ে, হয়ে যায় দেবতা....

১৬| ২৬ শে আগস্ট, ২০১০ রাত ১০:৩৮

দুরন্ত স্বপ্নচারী বলেছেন: @ বিড়াল
ধন্যবাদ, উপসংহার টেনে দেবার জন্যে।

২৬ শে আগস্ট, ২০১০ রাত ১১:৪১

স্তব্ধতা' বলেছেন: @দুরন্ত স্বপ্নচারী, বিড়াল: তবুও আমি দানবের পরাজয়ে বিশ্বাসী।সেটা কিভাবে হবে জানিনা, শুধু জানি হবে।শুভাগমনে ধন্যবাদ বর্ষিত হৈলো :) :) :)

১৭| ২৭ শে আগস্ট, ২০১০ সকাল ৮:২০

স্বদেশ হাসনাইন বলেছেন: বিড়ালের কথা সত্য হতে পারে না, বিড়াল পিটায়ে মেরে ফেলতে হবে। কারণ আমরা দেবতা হয়ে যেতে চাই।

২৮ শে আগস্ট, ২০১০ রাত ১২:২৭

স্তব্ধতা' বলেছেন: ভালো স্যাটায়ার করেছেন।

১৮| ২৮ শে আগস্ট, ২০১০ রাত ২:৫২

বিড়াল বলেছেন: ভাই, স্বদেশ হাসনাইন : দোয়া করি আপনি আর ভাবী দুজন-ই যেন দেবতা ও দেবী হয়ে উঠেন.....

২৮ শে আগস্ট, ২০১০ ভোর ৪:৪৯

স্তব্ধতা' বলেছেন: উনি স্যাটায়ার করেছেন :) :) :)

১৯| ২৮ শে আগস্ট, ২০১০ রাত ৩:২৩

স্বদেশ হাসনাইন বলেছেন: ভাই, স্বদেশ হাসনাইন : দোয়া করি আপনি আর ভাবী দুজন-ই যেন দেবতা ও দেবী হয়ে উঠেন.....

হায় হায়, আপনি দেখি এখনো কথা বলছেন, তার মানে মরেন নাই!! আপনি না মরলে, অমরত্বের ভিসা পাবো কি করে? আর সুত্রটা জেনে গেলে যে কোন মুহুর্তে আমাকে মেরে আমার বস দেবতা হয়ে যাবে।

২৮ শে আগস্ট, ২০১০ ভোর ৪:৫০

স্তব্ধতা' বলেছেন: :) :) :)

২০| ২৮ শে আগস্ট, ২০১০ সকাল ৮:০৬

বিড়াল বলেছেন: ল বলেছেন: দুরন্ত স্বপ্নচারী বলেছেন: পৃথিবীতে অধিকাংশ মানুষের জন্ম হয় শুধু হেরে যাবার জন্যে, সর্বত্র জয়ী হয় কেবল দানবকুল।



আর দানবকুল জয়ী হয়ে, হয়ে যায় দেবতা....

ভাই, দেবতা হইতে ,কাওরে মারতেই হবে তা তো না.......... জয়ী হইলেই হয়...

২১| ২৮ শে আগস্ট, ২০১০ বিকাল ৩:৩৪

পরিবেশবাদী ঈগলপাখি বলেছেন: লজ্জা পড়ে উপন্যাস নয় বরং এক গুচ্ছ কথা আর তথ্য এর ক্লাস্টার বলা যায়। আমার কাছে সেটাকে নিষিদ্ধ হবার মতো কিছু মনে হয়নি

২৮ শে আগস্ট, ২০১০ রাত ১১:১০

স্তব্ধতা' বলেছেন: সহমত, গণতন্ত্রের ফ্রিডম অব স্পীচ এর ধারণাটা কোন চুলায় বসে আছে কে জানে !!!! ধন্যবাদ পরিবেশবাদী ঈগলপাখি।

২২| ২৯ শে আগস্ট, ২০১০ রাত ১২:২১

অ্যামাটার বলেছেন: আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহে ওয়া বারাকাতুহু।
জনাব স্তব্ধতা, আপনার সহিত +আ+ স্থাপনের কৌশিশ করিয়াছিলাম। ইলেক্ট্রনিক-চিঠি মাধ্যমে খোঁচা দেবার পরও আপনি সাড়া না দিয়ে স্তব্ধ থাকিয়াছেন:(

২৯ শে আগস্ট, ২০১০ রাত ১২:২৬

স্তব্ধতা' বলেছেন: অ্যামাটার, আমার আমার ব্লগের মাথায় আমার ইমেইল এড্রেস দেয়া আছে।সবিনয়ে জানাতে চাই যে, আমি সত্যিই আপনার কোন ইমেইল পাইনি।আমি পেলে অবশ্যই আপনি জবাব পেতেন, নতুবা আমার ইমেইল ঠিকানা দেয়ার কোন মানেই থাকেনা।ঠিকানাটা ঠিক লিখেছেনতো?

২৩| ২৯ শে আগস্ট, ২০১০ রাত ১২:৩০

অ্যামাটার বলেছেন: check...got it?

২৯ শে আগস্ট, ২০১০ সকাল ১০:১৭

স্তব্ধতা' বলেছেন: yap...but didn't realize it was you..why you didn't write anything? i was confused....

২৪| ৩১ শে আগস্ট, ২০১০ ভোর ৬:৪৬

শেখ আমিনুল ইসলাম বলেছেন: শুভেচ্ছা

৩১ শে আগস্ট, ২০১০ রাত ৯:৩০

স্তব্ধতা' বলেছেন: আপনাকেও অনেক শুভেচ্ছা শেখ আমিনুল ইসলাম।

২৫| ৩১ শে আগস্ট, ২০১০ রাত ১০:২৭

আবদুল্লাহ আল জাফর মালেক বলেছেন: +

৩১ শে আগস্ট, ২০১০ রাত ১০:৪১

স্তব্ধতা' বলেছেন: অনেক শুভেচ্ছা।

২৬| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১০ সকাল ৯:০৮

রাতমজুর বলেছেন: ভালো ভাবনা, ধন্যবাদ।

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১০ সকাল ৯:২৮

স্তব্ধতা' বলেছেন: 'ভালো'?......পুরুষ যখন মানবী' কে বাদ দিয়ে শুধু 'মানব' কে 'মানবতা'র সাথে একচেটিয়া ভাবে জড়িয়ে নিলো, ইতিহাসে যখন 'হার' (her) কে বাদ দিয়ে 'হিজ' (his) কে দিয়ে 'history' টাকে পুরুষ নিজের সম্পত্তি বানিয়ে নিলো, মানুষ বলতে যখন 'উ' কে বাদ দিয়ে 'হিউ' এর সঙ্গে শুধু 'ম্যান' বসানো হলো, তখনও সেগুলো 'ভালো' ছিলো, অদ্যাবধি 'ভালো্'ই আছে।ভালো' ভাবনাগুলো্ও অনন্তকাল চিক্যহীন ভালো'র পোষাকেই রয়ে যাবে, কেউ ফিরে তাকাবেনা।

ধন্যবাদ রাতমজুর।ভালো থাকবেন।

২৭| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১০ সকাল ৯:৩৫

রাতমজুর বলেছেন: স্তব্ধতা', আমি নারীবাদের বর্তমান কর্পরেট রূপের বিপক্ষে কথা বলি, তাই গায়ে কেউ কেউ নারীবিদ্বেষী ট্যাগটা এঁটে দেয় মাঝে মাঝে। সমাধিকারে বিশ্বাসী এবং সবাইকেই সম্মান ও শ্রদ্ধা দেই।

আর আপনার জবাবটা আমি আপনার ক্ষোভ প্রকাশ এবং তা বর্তমান সিসটেমের উপরে করা ধরে নিয়ে গায়ে মাখিছ না।

আপনার লেখার সাথে আমি একমত, এটাই বলতে চেয়েছি।

আর আপনার জবাবটাও পছন্দ হয়েছে, আমিও এভাবেই ভাবতে চেষ্টা করি, তবে খুব একটা গুছিয়ে বলতে পারিনা বলেই সংক্ষেপে থাকি। :)

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১০ সকাল ১১:০৭

স্তব্ধতা' বলেছেন: আমি কিন্তু আপনার গায়ে লাগবে এরকম কিছু বলিনি, বুঝাইওনি।যদি কোন ভাবে আপনি ভুল বুঝে থাকেন আর তার জন্য যদি আমার কোন দায় থাকে, সে জন্য আন্তরিকভাবে দু:খিত, সেটা মোটেও ইচ্ছেকৃত নয়।আমি মূলত আপনার বলা 'ভালো-ভাবনা'-র ভালো-টা যে আসলে হাজারো খারাপের মধ্যে কোন রকমে অস্তিত্ত্ব টিকিয়ে রেখে নিরবধি চলছে তাই বোঝাতে চেয়েছি।যেমন ধরুন, মার্কেটিং এর স্ট্রাটেজী হচ্ছে জনমতের চাহিদা অনুযায়ী পণ্যের সংস্করণ।এখন আমাদের 'ভালো-ভাবনা'কে মার্কেট করতে হলে, হাজারো দৈন্যতার মাঝখান থেকে জায়গা করে নিতে হবে।কিন্তু সমস্যা হলো দৈন্যতা'র গায়ে চাকচিক্যের পোষাক, আর আমার-আপনার ভালো'র গায়ে চিক্যহীন পোষাক, এটাকে মার্কেট করাটা তাই দূরুহ।আপনার ছোট্ট করে বলা কিন্তু ভীষণ প্রয়োজনীয় 'ভালো ভাবনা' গুলো ধুঁকে ধুঁকে চলছে।

আর কর্পোরেটেড নারীবাদ বলে আসলে যা আছে তা হলো নারীকে কর্পোরেটেড করা।নারীবাদকে সে বোধহয় ছুঁতে পারেনা।নারীকে কর্পোরেটেড করা হচ্ছে যেমন করা হচ্ছে পুরুষকেও।নারীবাদ মূল অর্থে নারীর তথা একজন মানুষ হিসেবে তার অধিকার আদায়ের কথা বলে, সেখানে পুরুষ বিরোধীতা নেই।যাই হোক মূল প্রসঙ্গ ছেড়ে দূরে চলে যাচ্ছি।আমার পোষ্টটি ছিলো মূলত: গণতন্ত্রের কথা বলে গলা ফাটিয়ে গণতন্ত্রের আরেক ধারণা ফ্রিডম অব স্পীচ এর ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের অসাড়তা নিয়ে।ভালো থাকবেন।

২৮| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১০ সকাল ১১:১১

রাতমজুর বলেছেন: ঠিক তাই।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ৩:০৮

স্তব্ধতা' বলেছেন: বুঝতে পারার জন্যে ধন্যবাদ রাতমজুর।

২৯| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১১:৪৮

হানিফ রাশেদীন বলেছেন: অনেক ভালো লাগলো যে, আপনার ফোকাশ তসলিমাকেন্দ্রিক নয়। আমরা কোথায় আছি, আমাদের চিন্তার স্তর এর জায়গা থেকে, আর এখানে যে বিষয়টির অবতরণা হয়েছে, তার মুল সঙ্কট, আমাদের রাষ্ট্রের অসারতার দিকটি চিহ্নিত করা, আবার সবকিছূর মূলেই যে রাষ্ট্রের অসারতার, তা উঠে এসেছে। চেতনার জায়গা থেকে অসাধারণতম একটি লেখা।

তাসলিমার কোনো বই আমি পড়ি নি। বিচ্ছিন্নভাবে কিছু লেখা পড়েছি, ভালো লেগেছে। আবুল কাশেম ফজলুল হক স্যার একবার বলেছিলেন, হুমায়ুন আজাদ আর তাসলিমার নাসরিন এদের বই অনেকে না পড়েই, এদের সম্পর্কে অন্যদের বই / লেখা ও পত্রিকায় এদের সম্পর্কে নেতিবাচক ফিচার পড়ে এদের সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা পোষন করে। আমি একজনকে জানি, যে তসলিমার ল্জ্জা না পড়ে লজ্জ্বা'র উপর আরেকজনের বই পড়ে সে তষলিমার সমালোচনা করে। এই যে বিষয়টি, এটি অবশ্য আমাদের এখানে সার্বিকভাবেই দেখা যায়।

আর রাষ্ট্রের যে অসারতা, তা তো আমরা সর্বত্রই দেখি, কতগুলো নির্বোধ এর সমন্বয়ে রাষ্ট্র চালিত হয় এটি ঠিক, তবে আমি বলবো এটিও ঠিক যে, অতো নির্বোধ ওরা না, 'লজ্জা' নিশিদ্ধ না করার মত যে দিক তা হয়তো ওরা বোঝে, বা এতোকিছু বোঝার ওদের দরকার নেই, ওরা তসলিমার ফিলোসফি জানে। আর ধর্ম তো ওদের স্বার্থেই ওদেরকে টিকিয়ে রাখতে হবে, তো দাও নিশিদ্ধ করে, হুমায়ু আজাদের বেলায এইসব, যেমন দেশ থেকে বিতাড়িত সম্ভব হয় নি, তাঁর শক্তির সাথে জামাত আর অন্যরা পেরে উঠে নি। এখনো যে তসলিমা ফিরতে পারছে না, সরকার চাইছৈ না, কারণ, এখানে তার তো কোনো ইন্টেরেষ্ট নেই, (দেখবেন সরকার যাই করে নিজেদের ইন্টেরেষ্টে, এর বাইরে কিছুই করে না) বরং ফেরালে উল্টো ঝামেলা, একটা আন্দোলন হওয়ার সম্ভবনা।

আরেকটা কথা, আমার সবসময় মনে হয় যে, এইসব ওরা বোঝে না, ''.........সুরঞ্জনের মনে হয় ধর্মের চেয়ে হাতের থাবাটিই এখানে বড়।......'' এই যে নির্মম কিন্তু স্বাভাবিক বাস্তবতা, এছাড়া এখানে যে মানবিক বা সবকিছুর উদ্র্ধে মানুষ হয়ে ওঠার বিষয় এসেছে তা ওরা বোঝে না। বুঝতে পারার যে মানসিকতা, যে প্রেক্ষাপট, যে যাপিত জীবন, যে চর্চা দরকার তা ওদের নেই।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ৩:৫৪

স্তব্ধতা' বলেছেন: লেখাটির মূল ধরে আলোচনা করায় অনেক ধন্যবাদ হানিফ রাশেদীন।যদিও তসলিমা আমার লেখার মূল উদ্দেশ্য নয়, তাকে দিয়ে রাষ্ট্রের অসাড়তার দিকে আমি আঙ্গুল উঠিয়েছি, তবুও তার অবস্থানটাকেও বিচার করার একটা প্রয়াস থাকে।গণতন্ত্র গণতন্ত্র বলে গলা ফাটিয়ে গণতন্ত্রের আরেক ধারণা ফ্রীডম অব স্পীচ থেকে আমরা ক্রমাগতই দূরে সরে যাচ্ছি।গণতনতন্ত্র যেন শুধু নির্বাচন কমিশনারের পকেটে থাকা দেশালাই, যখন ইচ্ছে জ্বালাবেন।অন্য কেউ জ্বালাতে গেলেই রাষ্ট্র কর্তৃক নিষিদ্ধতার ইশতেহার জারি করা হয়।রাষ্ট্রের এই অসাড়তায় আমি আপনার সাথে এ ব্যাপারে একেবারে একমত যে এই অসাড়তা সবখানে। আবারও ধন্যবাদ।

৩০| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ বিকাল ৪:৩৯

সুবিদ্ বলেছেন: লজ্জা পড়েছি আমি, মোটামোটি মাঝারি মানের একটা বই, এটা নিয়ে যা করা হয়েছে, এককথায় হাস্যকর আর বিরক্তিকর তো বটেই...

এই বইটা নিয়ে লেখার প্রতিক্রিয়া যদি অমন যুদ্ধংদেহি না হতো, তাহলে কোন সমস্যাই হতোনা...

একটা মজার কথা বলি, ভারতের বিখ্যাত কয়েকটা বুক শপে আমি বাংলাদেশের কোন বই না দেখলেও লজ্জার ইংরেজি অনুবাদ পেয়েছি...

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ৯:৩০

স্তব্ধতা' বলেছেন: আরে সুবিদ্ যে, কেমন আছেন? অনেকদিন পর.....



এই বইটা নিয়ে লেখার প্রতিক্রিয়া যদি অমন যুদ্ধংদেহি না হতো, তাহলে কোন সমস্যাই হতোনা...
.........সত্যিই তাই।তবে প্রতিবাদের সমগ্র বিষয়টাই খুব সুপরিকল্পিতভাবে ধর্মীয় প্রনোদনায় সাজানো।

লজ্জার ইংরেজী অনুবাদ শুধু না, এর ফরাসী অনুবাদও পাওয়া যায়।আশ্চর্য যে সাহিত্য কর্ম হিসেবে বইটির সেরকম কোন মেরিট নেই যে এটির বহু ভাষায় অনুদিত হতে হবে।অনেক ভালো মানের সাহিত্য আছে বাংলায় যেগুলি অনুদিত হবার যোগ্যতা রাখে।ধর্ম ব্যবসা করতে গিয়ে বইটির এক বিশাল মার্কেটিং করেছে শায়খুল হাদীস গং।এতে প্রকারান্তে ক্ষতিটা কাদের হয়েছে?

আর ভারতের বুকশপে বাংলাদেশের আর কোন বই পাওয়া যায়না, এ বিষয়টি আমার জানা ছিলোনা, যেখানে আমরা ছোট কাল থেকেই তাদের সাহিত্যিকদের কর্মের সাথে পরিচিত, আমাদের লেখকদের বইয়েরও সেখানে প্রবেশাধিকার থাকা উচিত। আমাদের অনেক সাহিত্যিক আছেন যাদের মান নিয়ে কোন প্রশ্ন নেই।সুতরাং মানের বিচারে তাদের প্রবেশাধিকার নেই এটা বোধ হয় মানা যায়না।আর যদি বিষয়টি রাজনৈতিক হয়, সেক্ষেত্রে বলতে হয়, শিল্প-সাহিত্য কর্মকে এভাবে আটকে রাখা যায়না।যোগ্যতার মেরিটে সে স্থান-কাল ভেদে নিজের জায়গাটা একটা সমাজে ঠিকই করে নেবে আমার বিশ্বাস।

ভালো থাকবেন।মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৩১| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ৯:৩৯

মাথা খারাপ বলেছেন: দেখুন পৃথিবীর যেখানেই ধর্মকে নিয়ে স্বার্থ হাসিল করার চেষ্টা চলছে সেখানে কখনো উন্নতি করতে পারছেনা। আমি আমেরিকা কিংবা ইউরোপের সাপোর্টার না। কিন্তু তাদের উন্নতির পিছনে কিন্তু সহনশীলতা অনেকাংশে দায়ী।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ৯:৪৯

স্তব্ধতা' বলেছেন: সহমত আপনার সাথে। ধর্ম কে নিয়ে ব্যবসা বন্ধ হোক।তবে আমেরিকা ইউরোপেও বিষয়টা অত সহজ নয়।বরং একটু জটিল।পাদ্রী জোন্স কে ওবামা এক ধমক দিলেন খবরদার ও কাজ টি করোনা!!!! গ্রাউন্ড জিরোতে মসজিদও হওয়া চাই, এটা সেক্যুলার আমেরিকার অধিকার। ঠিক অন্য পটে ওবামা খুব সন্তপর্ণে সৌদি আরবের সাথে রেকর্ড পরিমান ৬০ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রি চুক্তি নিশ্চিত করলো।এখানে বিশ্ব অর্থনীতিতে ডলারের মন্দা-আমেরিকার রিকভারীর প্রয়োজনীয়তা-ইরান দমন-ইসরায়েলের ইতিমধ্যেই সৌদিআরবের মাটি যুদ্ধের জন্য ব্যবহার করার অনুমতি লাভ, সব বিষয়গুলিতে আমেরিকার স্বার্থই সংরক্ষিত হলো, ধর্মের ঘাড়ে চড়ে।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ৯:৫০

স্তব্ধতা' বলেছেন: পাঠ ও মতামতের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

৩২| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ বিকাল ৫:১৯

সুবিদ্ বলেছেন: আসলেই অনেকদিন পরে আপনার ব্লগে আসা হয়েছে... চলে যাচ্ছে দিন, আপনার কি অবস্থা??

না, ভারতে ঠিক বাংলাদেশের কোন বই পাওয়া যায়না, ঠিক তা না আমি বিখ্যাত বুকশপ/পাবলিশার্স হাউসের কথা বলেছি (যাদের শাখা ভারতে আছে-- আমি দেখেছি দার্জিলিং আর গৌহাটিতে), যেখানে লজ্জার ইংরেজি অনুবাদ পাওয়া যাচ্ছিল অনেক অসাধারন বইয়ের সাথে পাশাপাশি অথচ বাংলাদেশের আর কোন বই দেখিনি...

এটাকে আমার তসলিমা নাসরিন-ইস্যুর আন্তর্জাতিক গুরুত্ত্ব কতটা, তা নিয়েও ভাবিত করেছিল:(

আমার উপস্থাপনার দুর্বলতার জন্য স্যরি

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১২:৪৮

স্তব্ধতা' বলেছেন: ধন্যবাদ সুবিদ, আমারও আপনার মতোই.......যাচ্ছে চলে ...... কঠিন এক উত্তর, কেমন যাচ্ছে বোঝার উপায় নেই :) :) :)।ধীর স্থীর, ঢিমে তাল, উথ্থান-পতন, সবই বোঝায়।বাংলা খু্ব আনন্দদায়ক একটা ভাষা।

আরে নাহ, আপনার উপস্থাপনায় কোন সমস্যা নেই, আমিই বোকার মতো বিষয়টিকে ইস্যু করলাম মনে হচ্ছে, এটা আমারই বোঝার কথা ছিলো।ক্ষমা বোধ হয় আমারই চাওয়া উচিত।চাইলাম :) :)।ভালো থাকবেন।আপনার ব্লগে যাওয়া হয়না অনেক দিন, যাবো খুব শিঘ্রই, ইদানীং ব্যস্ততার হ-য-ব-র-ল এর পরে অবার -শ- যোগ করে নেন, আমার সেই রকম অবস্থা।

৩৩| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৪

মুদ্‌দাকির বলেছেন: বইটা পড়েছি, আপত্তিকর কিছু পাইনি !! হুদাই............।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.