![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভালবাসায় মুখোমুখি নিরবতা শ্রেষ্ঠ সময় আড়াল জানালায় কবিতা ছড়িয়ে শূণ্যতার ফিরতি ট্রামে রোমন্থন হবে কোলাহলময় ------ ব্লগিয় প্রিয় কবি স্বদেশ হাসনাইন। ...যে শাড়িটা তুমি পরো আনন্দে, মেঘের দিনে, আমি তা টানতে থাকি ঝড় আর বৃষ্টির দিকে, কিংবা যে শাড়ীটা তুমি পরো রোদের ভিতর, আমি তা লন্ড-ভন্ড করে দিই উত্তাল করে দিই বাতাসে বাতাসে, আর আজকাল আমার ভালোবাসাটা এরকমই দুরন্ত ... আরেক প্রিয় দূর্দান্ত কবি বীণা।
অনিগিরির একটা পোষ্টে এই লিঙ্কে রাগইমন আরিফুর রহমান কে দুটো প্রশ্ন করেছেন।সেই সুবাদেই এই পোষ্ট।পোষ্টটি দুই পর্বে বিভক্ত।
প্রশ্ন-১: মিন্স্ট্রুয়েশনের সময় মহিলাদের নামাজ, রোযা না করার কথা কোথায় বলা আছে, কেন?
প্রশ্ন-২: ইসলাম এজ 'মোহাম্মেদানিজম' রাষ্ট্রনীতিতে কতটুকু কম্পেটিবল?
@রাগ ইমন: বহুদিন পর কঠিন ফর্মে…..
ঐ লিঙ্কে পারভেজের করা মন্তব্যটার সাথে আম্ওি একমত।জ্ঞানের উৎস কি সেটার থেকে জ্ঞানটা কি সেটাই বিচার্য হওয়া উচিত।সেই আলোকে আরিফুরকে করা আপনার প্রশ্নগুলোর ভিত্তিতে কিছু বলার চেষ্টা করছি।
প্রথমতো: মিনষ্ট্রুয়েশন নিয়ে আপনার প্রশ্নটা:
মিন্সট্রুয়েশনের সময় মহিলাদের নামাজ, রোযা করা বারন, কোথায় বলা, কেন বলা হইলো?
সুরা আল বাকারাহ এর ২২১ নম্বর আয়াতে আছে: “And they ask you about menstruation. Say, “It is harm, so keep away from wives during menstruation. And do not approach them until they are pure. And when they have purified themselves, then come to them from where Allah has ordained for you. Indeed, Allah loves those who are constantly repentant and loves those who constantly purify themselves”(2.221). এটা সহী ইংরেজী অনুবাদ।এখানে বলা হচ্ছে ‘এটা ক্ষতিকর’ সুতরাং এই সময়ে তাদের থেকে দূরে থাকো।মেডিক্যাল সাইন্সেও দ্বিমতের ভিত্তিতে পিরিওডের সময় সঙ্গমের কিছু ক্ষতিকর দিকের কথা ইদানীং কালে শোনা যাচ্ছে।এখানে কিন্তু নাপাক বা এরকম কিছু বলা হয়নি।কিন্তু তার পরবর্তীতেই বলা হচ্ছে পিউরিফিকেশনের কথা, অর্থ্যাৎ এই সময়টাতে তারা এমন একটা অবস্থানে থাকে যেটা ‘পিওর’ নয়।অত:পর বলা হচ্ছে আল্লাহ তাদের ভালোবাসেন যারা ক্রমাগত অনুতপ্ত এবং ক্রমাগতভাবে নিজেদের ‘পিউরিফাই’ করে।এখন এই ‘ইমপিউরিটি’ টাকে বুঝতে হলে পরবর্তী আয়াতটা বোঝা জরুরী।২২২ নম্বর আয়াতে বলা হচ্ছে, “Your wives are a place of sowing of seed for you, so come to your place of cultivation however you wish” (2.222). (লাইনটা যখনই পড়ি আমার কেন জানি কোদাল, জমি, কোপাকুপি, শস্য ইত্যাদির চিত্র চোখে ভাইসা উঠে, বিষম যন্ত্রণা)
।এই আয়াতে বোধ হয় ইমপিউরিটির কন্সেপ্টটা ধরা যায়।পিরিওডের সময়কার সঙ্গমে সন্তান হয়না, এই ধারণা থেকেও তাদেরকে ইমপিউর’ বলা হয়ে থাকতে পারে।মূল কথা সময়টাতে স্ত্রী জাতিকে পিউরিটি দেয়া হয়নাই।
এখন এই আয়াত কেন নাযিল হলো (আপনার পরবর্ত প্রশ্ন) সেই শানে নুযুল আমি অনেক খুজেঁও পাই নাই।আপনার যদি জানা থাকে আমি জানতে আগ্রহী।তবে শানে নুযুল হিসেবে আমার একটা এপিষ্টেমোলজিক্যাল পজিশন আছে, দেখেন পছন্দ হয় কি না।আমার ব্যখ্যায় যাবার আগে আমার এজাম্পশন ধরে নিতে হবে যে কোরআন নিতান্তই ‘মোহামেদানিজম’।তার আগে একটু কোরানের সুরার প্রেক্ষাপট বাতলে মূল প্রসঙ্গে আসবো।
কোরআন এর দুই অংশ মাদানী এবং মাক্কী সূরা গুলো আপনি যদি দেখেন, দুটো ভাগকে পরিষ্কার ভাবে আলাদা করা যায়।মাদানী সূরা গুলোতে মূলত: রাষ্ট্র পরিচালনা, নেতৃত্ব, বিজয়, জীবন বিধান, বিবাহ, বিগ্রহ ইত্যাদি বিষয়ে জোর দেয়া হয়েছে।মাথায় রাখতে হবে মোহাম্মদ তখন মদীনার সিটিজেনশীপ পেয়েছেন এবং মদীনার বিভন্ন (১২টি) গোত্রের মধ্যে সমন্বয়কারী হিসেবে তাকে বিভিন্ন নিয়ম নীতি তৈরী করতে হয় যেগুলোই সূরা।অপরদিকে মাক্কী সূরাগুলো সেই পুরোনো মদ নতুন বোতলে।বাইবেল বা ওল্ড টেষ্টামেন্টে যে গল্পগুলো ছিলো, সেগুলোই ঘুরে ফিরে একটু ভিন্নভাবে বলা।মুহাম্মদ যখন বিভিন্ন কাফেলার সঙ্গে ভ্রমন করতেন তার সফর সঙ্গী ছিলো মূলত ইহুদী ও খ্রীস্টিয়ান মঙ্ক (Ali Dashti, 23 Years)।তাদের কাছ থেকেই ওল্ড টেষ্টামেন্ট আর বাইবেলের গল্পগুলো তার জানা হয়ে যায়।যেমন করে ইসলামের অনেক গল্প না পড়েও আমরা জেনে যাই পরিবার পরিজনদের থেকে।মিন্সট্রুয়েশনের নাপাকত্বের এই ব্যাপারটাতে স্ত্রী জাতি কে ওল্ড টেষ্টামেন্ট এবং বাইবেল দুই জায়গাতেই রীতিমতো অচ্ছুৎ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।শুধু তাইনা ওল্ড টেষ্টামেন্টে হ্যান্ডিক্যাপড চাইল্ড এর জন্মের কারন হিসেবে মিন্সট্রুয়েশেনের সময় এর সঙ্গমকে চিহ্নিত করা হয়েছে, যেটা রিফিউটেড সাইন্টিফিক্যালী অনেক আগেই।আব্রাহামীক গ্রন্থগুলোর সেই অচ্ছুৎ’ এর সূত্র ধরেই কোরআনে মোহম্মদের এরকম বানীর আগমন ঘটে থাকতে পারে।
এবার আসি আপনার দ্বিতীয় প্রশ্ন, কম্পেরাটিভলী রাষ্ট্র নীতি হিসেবে কোরআন কতটুকু গ্রহণযোগ্য সেই প্রসঙ্গে।
ডেমক্রেসী, হিউম্যানরাইটস বনাম শরীয়াহ (মোহাম্মেদানিজম)
রাষ্ট্রনীতি হিসেবে কোরআনকে আনতে হলে প্রথমেই আনতে হবে শরীয়াহ।শরীয়াহ এর মূল ভিত্তি কোরআন, হাদিস/সুন্নাহ।কোরআন যেখানে দূর্বোধ্য সেখানে ইজমা এবং কিয়াস।এই ইজমা এবং কিয়াস এর অথরিটি কারা? মুসলিম স্কলাররা।এখানে আমি আপনার সাথে একমত।মোহাম্মেদানিজম অবসোলেট না, এটা আপগ্রেড হচ্ছে, যুগের চাহিদার সাথে সাথে।পুরোনো কুরআনের অনুবাদ আর নতুন কোরআনের অনুবাদে অনেক পার্থক্য, কেন বুঝতেই পারছেন, যুগের চাহিদা মেটাতে হয় স্কলারদের। এই ব্যখ্যায়ও আবার ভাগ আছে।শিয়ারা ইজমা এবং কিয়াস মানেনা।শিয়াদের জন্য ফিক্হ (চারটি ফিক্হ স্কুল এর দুটি)।সেই ফিক্হ প্রদানকারী হচ্ছেন মোহাম্মদের পরবর্তী নেতৃত্ব যেটা সুন্নীরা মানেনা কারন মুহাম্মদের পর কোন নেতৃত্ব সুন্নীরা মানেনা। মোহম্মেদ এর ‘ইজম’ এর নিরঙ্কুশ একত্ববাদীতা খারিজ হয়ে গেলো মুসলমানদের মধ্যে দুই ভাগে।দুটি ভিন্ন পক্ষ ভিন্ন ব্যখ্যায় কুরআনকে হাজির করছে।তো সেটা যাক, মার্ক্সবাদেরও নানান ব্যখ্যায় নানান রূপ দেখা যায়।এখন রাষ্ট্রতন্ত্রে যে মোহাম্মোদানিজম সে মোহাম্মদানিজম হলো এই শরীয়াহ।Democracy is the rule of people while Sharia is the rule of Islam. এই শরীয়াহকে স্বীকার করতে হলে প্রথমেই গণতন্ত্রকে অস্বীকার করতে হয়।আমি নিশ্চিত আওয়ামীলীগের এর গণতন্ত্র আর সমাজতন্ত্রের চিরতার শরবতের চেয়েও শরীয়াহ আর গণতন্ত্রের মিশেলটা বেশী তিতা হবে।শরীয়াতে রাইটস বলতে শুধু পুরুষের।মহিলাদের রাইট হারিকেন দিয়ে খুঁজতে হয়, নতুবা যুগোপযোগী করার জন্য স্কলারের প্রয়োজন হয়।রাইটের ক্ষেত্রে আমি তাই গণতন্ত্রকে মোহাম্মদবাদ এর অনেক উপরে রাখবো।উপরে বলা কোরআনের আয়াত দু’টোতেই স্পষ্ট, কোরআনে মহিলাদের কিভাবে দেখা হচ্ছে, এরকম বহুত আছে চালুনীর ফুটার মতো।আর পুরুষদের জন্য চাইলে মহিলাদের প্রহার করাও জায়েজ আছে, ''Men are in charge of women by [right of] what Allah has given one over the other and what they spend [for maintenance] from their wealth. So righteous women are devoutly obedient, guarding in [the husband's] absence what Allah would have them guard. But those [wives] from whom you fear arrogance - [first] advise them; [then if they persist], forsake them in bed; and [finally], strike them.''
(সুরা:৪:৩৪)। আর এডাল্টারী করলে পাথর নিক্ষেপে, মস্তকছেদের আদেশ দেয়া আছে।এই শরীয়াহ এর আবার ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় ভিন্ন রুপ।পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট জেনারেল জিয়াউল হক ১৯৯৭৯ সালে হুদুদ অর্ডিন্যান্স নামে শরীয়াহ ভিত্তিক এক অর্ডিন্যান্স জারী করেন, যার ভিত্তিতে একজন রেপ ভিক্টিমকে চারজন পুরুষ সাক্ষী হাজীর করতে বলা হয়েছে, নতুবা প্রসিকিউটেড ফর এডাল্টারী!!!।এখন এই শরীয়াহ কোন ইজমা আর কিয়াস দ্বারা কোন স্কলার বাহির করেছে সে তথ্য আমার জানা নাই।প্রেসিডেন্ট পারভেজ মোশাররফ এই ২০০৬ সালে ইসলামিক শরীয়াহ ভিত্তিক দলগুলোর প্রবল প্রতিবাদের মুখে এই নিয়মে এমেন্ডমেন্ড আনে।আর ইরানের অবস্থাতো দেখছেনই। এই যখন শরীয়াহর অবস্থা, এখন বলেন এই রীতিতে জাইনা শুইনা আমি কেমনে ভোট দেই? ভোটের ব্যাপারটা আসাতে আবার গণতন্ত্রের আলাপে ফিরে যাই। মুহাম্মদের মৃত্যুর পর খলিফা হলো আবু বকর, কিসের ভিত্তিতে?গণতন্ত্রে যেখানে প্রতিটা নাগরিকের ভোটে একজন নেতার নির্বাচিত হওয়ার কথা, কোরআনে কিন্তু কোথাও সেরকম করে নেতা নির্বাচনের কথা বলা নাই।‘শূরা’র কথা বলা আছে, সেই ‘শূরা’ সদস্য নির্বাচনের পদ্ধতির কথা কোথাও বলা নাই।আপনার ইসলামিক নেতা কিভাবে নির্বাচিত হবে বলবেন কি? সেই আল্লাহ প্রদত্ত শাসনে অধিকার যাদের দেয়া হয়েছে তাদের গভনেন্সে?এইখানে নারী নেতৃত্বের কোন অবকাশ নাই।ইসলাম এন্ড ডেমক্র্যাসী? ইউ মাস্ট বী কিডিং!!!!।আর এক নায়কতন্ত্রের কথা বললে সমস্যা নাই, কারন ইসলাম ইজ এনাদার নেইম অফ দ্যা টোটালিটারিয়ান গড।
চলবে..দ্বিতীয় পর্ব পর্যন্ত।(এইখানে দ্বিতীয় পর্ব)
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১০ দুপুর ২:৪২
স্তব্ধতা' বলেছেন: এমনিতেই দুই পর্বে দিছি...হাদিস দিতে গেলে অনেক বড় হয়ে যাবে।আর সহী হাদিস নিয়ে বিতর্ক আছে, ঐ বিতর্কে যেতে চাইনা।
২| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১০ দুপুর ২:৩৫
বক্ররেখা বলেছেন: চমৎকার। পরের পর্বের অপেক্ষায় ...........
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১০ দুপুর ২:৪৩
স্তব্ধতা' বলেছেন: এসে গেছে।
৩| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১০ দুপুর ২:৩৬
বেদ্দপ বলেছেন: রাগইমনের পোস্টে কি লিঙ্কটা দিয়ে এসেছেন ? না হলে পোস্টের উদ্দেশ্য বৃথা যাবে ।
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১০ দুপুর ২:৪৩
স্তব্ধতা' বলেছেন: না দেইনি।অনিগিরির পোষ্টটাতে দিয়েছি।
৪| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১০ দুপুর ২:৩৬
রুদ্রপ্রতাপ বলেছেন: ডাইরেক্ট পর্যবেক্ষণে।
কি ফায়দা হয় তা দেখি...
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১০ দুপুর ২:৪৫
স্তব্ধতা' বলেছেন: ফায়দা একটাই হৈছে, আঙ্গুলে ব্যথা করতেছে।
৫| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১০ বিকাল ৩:১২
নিষ্কর্মা বলেছেন: মুহাম্মদের মৃত্যুর পর খলিফা হলো আবু বকর, কিসের ভিত্তিতে?গণতন্ত্রে যেখানে প্রতিটা নাগরিকের ভোটে একজন নেতার নির্বাচিত হওয়ার কথা, কোরআনে কিন্তু কোথাও সেরকম করে নেতা নির্বাচনের কথা বলা নাই।‘শূরা’র কথা বলা আছে, সেই ‘শূরা’ সদস্য নির্বাচনের পদ্ধতির কথা কোথাও বলা নাই[/sb
ঊনি ছিলেন মুহাম্মদের শ্বশুর, পরের খলিফাও ছিলেন মুহাম্মদের শ্বশুর, এর পরের দুইজন ছিলেন মুহাম্মদের জামাই।
পরিবারতন্ত্রের জন্ম কি ওখান থেকেই?
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১০ বিকাল ৩:১৭
স্তব্ধতা' বলেছেন: না ফিকহ তে বলা আছে, কুরানে বলা আছে: only that we are to obey God, the Prophet, and those from among us who have been given the authority to govern. আর পরিবার তন্ত্র ইসলামের অনেক আগে থেকেই প্যাগান গোত্রগুলিতে ছিলো।হাসিনা খালেদা নতুন কিছুনা।
৬| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১০ বিকাল ৩:১৮
মাহমুদ রহমান বলেছেন: পড়লাম, ভাল লিখেছেন তবে একপেশে। আমারও খুব লিখতে ইচ্ছা করছে যদিও সেই ফুরসত নেই। তবে রাষ্ট্রব্যবস্থা হিসাবে মোহামেডানিজম (আপনার ভাষায়) কিন্তু কেবলই তত্ত্ব এবং কল্পীয় কিছু আদর্শ নয়, এটার বাস্তব প্রয়োগ বিশ্ববাসী দেখেছিলো। আপনার লেখায় আশা করব চারখলিফার শাসনব্যবস্থার কিছু চিত্র তুলে ধরবেন যেখানে নারী নির্যাতন, মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং আরও প্রয়োজনীয় ব্যাপারগুলিকে জলাঞ্জলি দেয়া হয়েছে! (তবে খিলাফত পতনের কারণ এর মধ্যে টাইনেন না)
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১০ বিকাল ৩:৩০
স্তব্ধতা' বলেছেন: ভয়ংকর অভিযোগ, 'একপেশে'।কিভাবে একপেশে হলো একটু দিকনির্দেশনা দিলে ভালো হতো।আর লেখার মূল ধারণাটা ছিলো শরীয়াহ আজকের যুগে কতটুকু গ্রহনযোগ্য হতে পারে সে ব্যাপারে।বিষয় বস্তুর দিক থেকে এটা সিরিজ লেখার একটা বিষয়। চার খলিফার শাসন ব্যবস্থা সহ আরও অনেক কিছুই আসতে পারতো কিন্তু সময় নেই অত।অল্প কথায় তবু ব্যাপক হয়েছে।আপনিই লিখুননা একটা।আমরা পড়ি।
৭| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১০ বিকাল ৩:৪৯
মিরাশদার১০ বলেছেন: ভালো লাগলো পোস্ট।
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১০ বিকাল ৩:৫১
স্তব্ধতা' বলেছেন: ধন্যবাদ মিরাশদার১০।শুভেচ্ছা।
৮| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১০ বিকাল ৩:৫৩
মাহমুদ রহমান বলেছেন: একপেশে হলো এইজন্য যে, প্র্যকটিক্যালি সেই আদর্শ কিভাবে চলেছে সেব্যাপারে আপনার আগ্রহ কম... সেই সময়ের কিছু ঘটনার এনাটমি করলে বুঝতে সুবিধা হতো।
ইসলাম দাবী করে মানুষের সহজাত একটি আদর্শ। মানুষের সাথে সহজেই মিলবে এমন ব্যাপারই ইসলাম দেখিয়েছে। মৌলনীতি পরির্বতন না করে ইসলাম ইজতেহাদের সুযোগ রেখেছে। এটা একটা হরিজন্টাল লাইন নয় যে, সবকিছু সেই লাইনের সাথে মিলাতে হবে। ইসলাম মানবজাতির জন্য একটা ইন্টিগ্রটেড সমাজব্যবস্থার ধারণা দিয়েছে, আর কোন আদর্শই এরকম নয়।
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১০ বিকাল ৪:১৬
স্তব্ধতা' বলেছেন: ইসলাম কে যদি তিনটা ভাগে বিভক্ত করি:
ইসলাম-১: কোরআন ও মুহাম্মদের বানী
ইসলাম-২: ইসলামের প্রসার, হাদীস, শরীয়াহ কানুন।
ইসলাম-৩ কোরআনের আলোকে ইসলামের ব্যবহার।অর্থ্যাৎ কোরআন ইন থিওড়ী এন্ড প্র্যাকটিস ইন রিয়েলিটি।
আমি স্বল্প পরিসরে তিনটিই কভার করার চেষ্টা করেছি।আরও করা যেত, ইসলামিক স্টেট আর মুসলিম স্টেট এর অবস্থান দিয়ে তিন নম্বরটা ব্যখ্যা করা যেতো, কিন্তু না হওয়াতে পোষ্টের বক্তব্যে তেমন কোন ব্যঘাত ঘটেনি।কোন ঘটনার এনাটমি যাই হোক, শরীয়াহ বর্তমানে যেটা আছে, সেটা আমাদের হাতে, এটা কতটুকু গ্রহনযেগ্য সে বিষয়টাই মূখ্য ছিলো পোষ্টে।আশা করি বোঝাতে পেরেছি।
ইসলাম ইজতেহাদের সুযোগ রেখেছে বলে আসলে কি বোঝালেন বুঝলামনা, কারন ইজতেহাদ এর মূল যে ফিক্হ, সেটা নিয়ে আমি বলেছি।বলা ভালো ইজতিহাদ শুধু শিয়াদের জন্য প্রযোজ্য, সুন্নীদের জন্য নয়।আমার উপরে বলা কথা গুলি খন্ডন না করে আপনি যদি বলেন ইসলাম মানবজাতির জন্য একটা 'ইন্টেগ্রেটেড' ব্যবস্থা, তাহলে তাল গাছটা আপনারই থাক।শেষে বলেছেন ''আর কোন আদর্শই এরকম নয়''...........বোধ হয় বলতে চেয়েছেন ''আর কোন ধর্মই এরকম নয়"......তাই কি?
৯| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৩৩
অন্ধ আগন্তুক বলেছেন: প্লাস ।
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১০:২৪
স্তব্ধতা' বলেছেন: ধন্যবাদ অন্ধ আগন্তুক।
১০| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ৯:২৩
নিবির মজুমদার বলেছেন: তারমানে আপনার কাছে নারীর কাছে যাওয়ার ব্যাপারটিকে দা,খুন্তি কোপাকুপির মত লেগেছে? আপনি তো পুরা ই আওয়া...
২টা পোষ্টেই আপনার সমমনা লোকদের গদগদ মতামত পেয়েছেন।চালিয়ে যান......আপনার ধারাই বিপ্লব ঘটানো সম্ভব।
লাইফে ৩২বছরে নাস্তিকের দেখা পাইলাম একজন(যার কাছে কলেজ লাইফে প্রাইভেট পড়তাম) আর ব্লগে দেহি নাস্তিক আর নাস্তিক।
ভাইজান,আপ্নারা এক্টা পলিটিক্যাল পার্টি বানান।অন্তত বাংলাদেশে মানবতাবাদ প্রতিষ্ঠা কইরা দেহাইয়া দেন। এই হাসিনা খালেদা,গোয়ার মোহাম্মাদিনিজম আর সহ্য হইতাছেনা।
অঃটঃ তাল্গাছ না শুধু কলাগাছ লাউগাছ সব আপনাদের ই থাক। যেই কিতাবের মধ্যে বিশ্বাসিদের কথা বলা হইছে। যারা কিতাব কে বিশ্বাস ই করেনা তাদের অই কিতাবের ব্যাপারে নাক গলানো কি ঠিক?
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১০:৪৩
স্তব্ধতা' বলেছেন: দেখেন ঐ লাইনটা পড়লে আমার তাই মনে হয়।নারীর শরীর একটা জমি, সেখানে গিয়া চাষাবাদ করো।কিন্তু পোষ্টে সেইটা কোন মূখ্য বিষয়না, মজার ইমো ছিলো, ঐটাকে ইস্যু না করলেও পারতেন।
দ্বিতীয়ত, দ্বিমত পোষণকারীদের বক্তব্য দিতেতো বাধা নাই, যেমন আপনি দিলেন। কিন্তু দিলেন এমনই বক্তব্য যার সাথে পোষ্টের কোন বক্তব্য নিয়ে আলোচনা গড়ে উঠেনা।এই দোষ কি আমার?
তৃতীয়ত: আপনারই সমবয়সী একজন আমাকে গত বছর জিজ্ঞাসা করেছিলেন, 'আপনি কখনও নাস্তিক দেখেছেন'? খুব অবাক হয়েছিলাম শুনে যে এরা কোন জঙ্গলে বসবাস করে।আপনার কথা শুনেও তাই মনে হলো।
হাসিনা, খালেদা, গোআর মোহাম্মেদানিজম সহ্য হৈতেছেনা কথাটা স্যাটায়ার করে না বললে, সহমত।আর নাস্তিকের কোন পলিটিক্যাল এজেন্ডা নাই।এরা ধর্মের সাম্রাজ্যবাদীর বিরোধীতা করে।সেকুলারিজম এর পলিটিক্যাল এজেন্ডা নাস্তিকতা প্রেস্ক্রাইব করেনা।
তালগাছ, লাউগাছের কোন দাবীতো করি নাই।শরিয়াহ আজকের যুগে কতটুকু কম্পেটিবল সেই বিষয়ে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি।আপনার ভালো না লাগলে কেন ভালো লাগে নাই সেটা বলার চেষ্টা করেতে পারতেন।শোনার ধৈর্য আমার আছে।আমিতো আপনার বিশ্বাসেও কোন আঘাত হানি নাই।ঈশ্বরের অস্তিত্ব নিয়েতো কোন আলোচনা করি নাই।আমি শুধু বলতে চেয়েছি শরীয়া বনাম রাষ্ট্রতন্ত্রের আজকের যুগের কম্প্যাটিবিলিটি, সেটা করতে গিয়ে কিতাবের ব্যাপারে নাক না গলায়তো উপায় নাই।
পোষ্টের বিষয় বস্তু নিয়ে আলোচনা করলে ভালো লাগতো।আলোচনা হতে পারতো।আলোচনার জায়গাতো শেষ হয়ে যায় নাই।যুক্তি দিয়ে আমার ভুল ধরায় দেন, আমি দ্বিমত পোষণ করবোনা। ধন্যবাদ কষ্ট করে পড়ার জন্য।
১১| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১০:২৯
মাহমুদ রহমান বলেছেন: ইসলাম ইন্টিগ্রেটেড জীবন ব্যবস্থা এজন্যই বলেছি যে,
ডোমিনেটেড আদর্শগুলোর মধ্যে সমাজতন্ত্রের মুল কথা অর্থব্যবস্থা কেন্দ্রিক, গণতন্ত্র রাষ্ট্রকাঠামো কেন্দ্রিক, আর নিত্যনতুন অনেকতত্ত্ব আছে (ব্র্যান্ডিং তত্ত্ব, সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধতত্ত্ব, সার্টিফিকেশন তত্ত্ব, পুঁজিবাদ, ইত্যাদি... এই লিস্ট অনেক বড় করা যায়)। এসব তত্ত্বগুলি মূলত মানুষের উপরে নিজেদের প্রভুত্ব কায়েমের স্বার্থে, এর বিরাট অংশ জুড়ে আছে অর্থকেন্দ্রিক চিন্তাধারা।
পক্ষান্তরে ইসলামে আছে....
- আধ্যাত্নিকতা, যা মানুষকে আত্নিক এবং নৈতিক জীব হতে উৎসাহিত করে।
- মানুষে মানুষে পার্থক্য করা হয়নি। কেবল ইসলামের দেখানো নৈতিকতার ভিত্তিতে তাক্বওয়াবানের মর্যাদাকে নিশ্চিত করা হয়েছে। ইসলাম পুরুষের উপরে বাড়িয়েছে দায়িত্ব আর নারীর বাড়িয়েছে স্বাধীনতা।
- উন্নত এবং জীবনঘনিষ্ট অর্থ ব্যবস্থা যেখানে সম্পদ পুঝঞ্জিভূত করাকে অপরাধ হিসাবে গণ্য করা হয়। যেখানে বলা হয় যার প্রতিবেশি (প্রতিবেশির জাত বিচার করা হয়নি) না খেয়ে মারা যায় সে মুসলিম নয়। অর্থব্যবস্থার ভিত্তি ধরা হয়েছে ব্যবসা, সুদ নয়; ফলে অবাস্তব অর্থের ট্রানজেকশন বন্ধ হয়েছে এবং পণ্যের বেসিসে অর্থের চলাচল নিশ্চিত হয়েছে। এখানে খাদ্যসামগ্রী গুদামজাত করে কৃত্রিম সম্পদ সৃষ্টি করাকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।.... যাকাত বাধ্যতামূলক করা হয়েছে
- রাষ্ট্রব্যবস্থার উৎকৃষ্ট সব ব্যবস্থাপনা। রাসূল (সা এর বিদায় হজ্বের ভাষণ একটা ভাল দিক নির্দেশনা।
- আছে বিচারব্যবস্থারও সঠিক ধারণা ও প্রয়োগ। অপরাধী যে শাস্তি করে, তার উপরও সে শাস্তি বর্তায়। কাযী বাদশাহরও বিচার করেছেন এমন অনেক নজীর আছে।
-শিক্ষার গুরুত্ব এখানে ব্যাপকতা পেয়েছে। নফল ইবাদতের চেয়ে এটাকে অনেক বেশি উৎসাহিত করা হয়েছে। শিক্ষার ক্ষেত্রে নারী-পুরুষ পার্থক্য করা হয়নি।
-তাক্বদীরের উপর বিশ্বাস মানুষকে শক্তি দিয়েছে ব্যাপক
অনেক অনেক বিস্তারিত ব্যাখ্যার বিষয়। আমার যথেষ্ট সময় নেই, থাকলে প্রতিটা পয়েন্ট ধরে লিখা যেত। তবে একটা বিষয় স্মরণে রাখতে হবে, ইসলাম হালাল কাজগুলির তালিকা না করে হারামগুলির তালিকা করেছে এবং সেইসাথে সেইসব হারামের উৎকৃষ্ট বিকল্প রেখেছে। ফলে যেকোন কাজ মানবতার কল্যাণে সেটা যদি ইসলাম নিষিদ্ধ না করে এবং তার উল্লেখও যদি না থাকে তবুও তা ইসলামের কাজ। কারণ কুরআনে অসংখ্য জায়গায় ভাল কাজের (আ'মর বিল মা'রুফ) কথা বলা হয়েছে। এতে মানুষের জীবন চলা অনেক বেশি প্রসারিত হয়েছে।
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১২:১৭
স্তব্ধতা' বলেছেন: মাহমদ, আইডোলজি যে একই সঙ্গে আইডোলজি এবং ধর্ম হতে পারে, ইসলাম সেটা দেখিয়েছে, সে বিষয়েতো আমার কোন দ্বিমত নেই।কিন্তু আজকের যুগে যখন আমরা সকল মানুষের মত প্রদর্শনের অধিকারকে শ্রদ্ধা করি, সেই সময় এই আইডোলজি কতটুকু রাষ্ট্রের চালিকা শক্তি হিসেবে ফিট করে সেই বিষয়েই পোষ্টের আলোচনার অবতারনা।আপনি সেই মূল বিষয়টিকে এড়িয়ে গেছেন।
অন্য ইজমগুলিকে আপনি অথনৈতিক চিন্তাধারা সহ অন্য যে সব কারনে বাতিল করে দিলেও একই কন্টেক্সেটে ইসলামের গুনগান গাইলেন, এটা আশ্চর্যের এবং যুক্তির ধাপ গুলোকে অবহেলা করা। অর্থনৈতিক চিন্তাধারা ছাড়া কোন তন্ত্র রাষ্ট্রের চালিকা শক্তি হওয়ার দাবী করতে পারেনা।এই অর্থনৈতিক চিন্তার মূলেও আসলে মানুষ, মানুষের জীবন-যাপন, সর্বপরি মানুষের অস্তিত্বের মধ্য দিয়ে টিকে থাকা রাষ্ট্র নামক যন্ত্রটির কল্যাণ। স্বপ্ন দেখতেও পয়সা লাগে জানেনতো। তাই এই ধোপে অন্য ইজম গুলোকে রদ করাটা যুক্তিতে পরিসরে পরেনা।
আপনার গুরুত্বপূণ পযেন্ট যেটা মনে হলো, আত্মিক মুক্তি।এখন ব্যাক্তির আত্মিক মুক্তির বিষয়টা কি রাষ্ট্রের হাতে নির্ভর করে না কি ব্যক্তির স্বাধীনতার উপর।আমি গাছের উপাসনায় আত্মিক মুক্তি পেলে আপনার তাতে বাধা দেয়ার কিছু আছে কি? যে বিষয়টি পুরোটাই ব্যাক্তির মন ও মানষিকতায় বিরাজ করে, সে বিষয়টিকে রাষ্ট্র নামক যন্ত্রের চালিকা শক্তি বানিয়ে তা দিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনা কতটুকু যুক্তিযুক্ত বা প্রয়োজনীয়? আবার সেই আদর্শকে তন্ত্র বানিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনার ভার দিয়ে তার অসাড়তাগুলো কি কি সেই বিষয়ে পোষ্টে বিভিন্ন দিক থেকে সংক্ষিপ্ত কিন্তু বিষদ আলোচনা করেছি।
এরপর ইসলামের যে গুনগান গুলি গাইলেন, সেগুলিকে রিফিউট করতে আমার পোষ্টে অনেক ফ্যাক্টস আছে।সেগুলিকে ভিত্তি করে কথা বললে দিক নির্দেশনা সহ আলোচনা করা যেত।আমরা কোন ইজম কে মেজার করি ফ্যাক্টস দিয়ে, ফ্যাক্টস অস্বীকার করার কোন উপায় নেই।ফ্যাক্টস এর আন্ডার লাইং মেকানিজমকেও আওতার মধ্যে ধরতে হয় এই মেজারমেন্টে, যেটা কন্টেক্সেচুয়াল মেজারমেন্ট।এই ধরনের একটা মেজারমেন্ট এর মধ্য দিয়ে শরীয়াহ এর ইনকম্পিটেবিলিটিটা আমি বোঝানোর চেষ্টা করেছি।আপনি সেই মূল বিষয় নিয়ে আলোচনা করলে প্রাণ পেতে পারে।শুধু একতরফা গুনগান গাইতে শুনতে চাইলেতো সাঈদীর একটা ওয়াজ ছেড়ে রাখলেই শুনতে পারতাম।
ধন্যবাদ।
১২| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১১:৫৯
রাগ ইমন বলেছেন: আরে, কি খবর? আশা করিনি কিন্তু খুব চাইছিলাম আলোচনায় আপনি, পি মুন্সী , বা নাজনীনের মত কেউ আসুক। অন্তত তাতে এইটুকু ভরসা পাওয়া যায় যে মতের মিল যদি নাও হয় , অন্তত অহেতুক , অশোভন ট্যাগিং, কটুক্তি, ঘুরিয়ে পেচিয়ে অপমান ও খেপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা থাকবে না ।
আপনার সাথে তর্ক করে আরাম আছে । আপনি অন্তত সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিদ্যা না থাকলেই ( কোন কোন ব্লগারের মত) কি বোর্ডের মুখ থেকে মল ত্যাগ শুরু করেন না ।
তার চেয়েও অনেক অনেক বেশি আনন্দের বিষয় হলো, আপনার আসলেই বিদ্যা আছে। মোহাম্মদীতন্ত্র বা ইজম নিয়ে কোন পড়ালেখা না করে স্রেফ বিবমিষা বর্ষনের সবচেয়ে ভয়ংকর দিকটা কি জানেন ?
ধর্মের আফিম যারা খেতে ও খাওয়াতে ভালোবাসে তাদের হাতে এই বলে অস্ত্র তুলে দেওয়া যে, নাস্তিকেরা না জেনে, না বুঝে, না পড়ে স্রেফ হিংসা থেকে কুৎসা রটায়। আরিফুর রহমান এর বিরোধীতা সেই কাজটা করে বলেই কয়েকটা সহজ প্রশ্ন তুলে ধরেছিলাম,
যথা রীতি, কোন উত্তর আমি পাইনি। কিন্তু কি পেয়েছি? হিযবুত তাহরীর এর ট্যাগিং।
এই ধরনের ফ্যানাটিক আচরণ ( ফ্যানাটিক শুধু আস্তিক মহলেই আছে তা তো নয়, নাস্তিক মহলেও আছে) জর্জ বুশ এর কথা মনে করিয়ে দেয়, যেখানে " তুমি আমাদের সাথে নও মানে তুমি আমাদের শত্রু" ।
নিজেকে মুক্তমনা হিসেবে দাবী যে করে, সে মতের মিল না হলেই কাউকে শত্রু বলে আক্রমণ করে বসলে নাস্তিকতা যে সুন্দর যুক্তি , বিশ্লেষণ , সেন্স এবং সেন্সিবিলিটির দাবী করে, সেইটা সম্পূর্ণই ধুলায় লুটায়,
তাই না?
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১২:২৬
স্তব্ধতা' বলেছেন: সহমত।আপনার নাগরিক গানের পোষ্ট দেখেই বুঝেছিলাম ভীষন ব্যস্ত আছেন। অনেকদিন পর বাত চিত হলো আপনার সাথে।অনিগিরির ঐ পোষ্টেতো আপনাকে পেয়েতো আমি যারপর নাই আনন্দিত... কে কোন পক্ষ বা কোন মতাদর্শ সেটার থেকে বড় কথা চিন্তার দুয়ারে হুড়কো না লাগিয়ে আলোচনার একটা প্ল্যাটফর্ম তৈরী করতে পারাটাই আসল।এতে সবারই উপকার।আপনিতো অনেক সিনিয়র ব্লগার, এখনও ট্যাগিং আপনাকে পোড়ায় ভাবতেই কেমন লাগছে।আমার এই স্বল্প ব্লগিং বয়সেই আপনাকে অনেকবার ট্যাগড হতে দেখেছি।সয়ে যাওয়ার কথাতো এতোদিনে।
১৩| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১২:১১
রাগ ইমন বলেছেন: ঐ পোস্টে বহু প্রশ্নই করেছিলাম, তাও আপনি যে দুটোকে বেছে নিয়েছেন, তাতেই সীমাবদ্ধ থাকার চেষ্টা করবো।
১ম প্রশ্নটা সহজ। তথ্য যোগাড়, সে তথ্যের বিশ্লেষণ এবং গ্রহনযোগ্য ব্যাখ্যা কি হইতে পারে, এই সীমাবদ্ধ পরিসরে আলোচনা করলেই চলবে।
২য়টা বেশ কঠিন। অনেক দীর্ঘ আলোচনার দরকার হতে পারে। কিন্তু মুশকিল হইলো সময়ের অভাব। গতকালের পর কাজের চাপ বেড়েছে বহুগুণে। তাই হঠাৎ ডুব দিলে নিজ গুণে ক্ষমা করবেন। গতকাল যে খুব ফ্রি ছিলাম না না। কিন্তু কাজ করতে করতে হাপিয়ে যাওয়াতে ব্লগে আশ্রয় নিয়েছিলাম। এত ব্যাখ্যা দেওয়ার কারণ হলো ,
১। আলোচনায় কিছু ফাজিল নিক এসে সমর্থন , প্রতিবাদ জানিয়ে যাবে। এর ভিতর কিছু জামাত শিবিরীয় বরাহ সন্তান আমার পক্ষে মন্তব্য দিলে আমাকে জামাতী ট্যাগিং করা সহজ হবে।
২। কোন পরিচিত নাস্তিক এসে সমর্থন দিলে আমাকে এন্টি ইসলামী তাস্লিমা নাসরীন ওয়ানা বি- বলে ট্যাগিং করা সুবিধাজনক হবে।
৩। যেহেতু ব্লগে কোন মুক্তিযুদ্ধের সমর্থক , প্রো বাংলাদেশ ব্লগার মনের সুখে গালাগালি, ব্লগার ট্যাগিং , টিজিং , নোংরামি করলে তাহার দেশপ্রেমের নজির দেখলেও মাফ করিনা , বিরোধিতা করি - সুতরাং , " ময়দান ছেড়ে পালিয়েছি" বলে উল্লাস করার লোকের এই ব্লগে অভাব নাই। পাশাপাশি, আমি কেন জামাতের শত্রু, সেইটা তো বলার দরকার নাই, তাই না?
তো, বটম লাইন হলো, চেষ্টা করবো। যতটা পারি সময় দেওয়ার। ঃ)
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১২:৩৭
স্তব্ধতা' বলেছেন: প্রথম প্রশ্নটা আসলেই সহজ, এবং এই সহজ প্রশ্নটা আপনি যে সহজ করে করেননি সেটা আমার মনে হয়েছে, তাই নিজের একটা এপিষ্টেমোলজিক্যাল পজিশন ব্যখ্যা করেছি।আপনার কোন ব্যখ্যা থাকলেও শুনতে চাই, জানা হবে।আমি কোন শানে নুযুল পাইনি।দ্বিতীয় প্রশ্নটার ক্ষেত্রে আমার সীমাবদ্ধটাটুকু আমিও স্বীকার করেছি, ব্যাপক, তবে আমরা একটা কাজ করতে পারি।এই পোষ্টটাকে উত্তর দেবার দায় মুক্তি হিসেবে না নিয়ে যার যখন সুযোগ হলো এসে আপডেট করে গেলাম।পেটের ধান্ধা, আত্মিক ধান্ধা (পঠন, গান ইত্যাদি), এগুলি করে ব্লগে সময় দেয়াটা খুব কঠিন।গতকাল না ঘুমিয়ে পোষ্ট লিখে, কর্ম সেরে ক্লান্ত ও বিধ্বস্ত, তবু এখন আবার বসেছি ব্লগে, ।আপনি যখন ইচ্ছে আপডেট করবেন, কোন তাড়া নেই।আমিও সময় মতো রেসপন্স করবো।
নিক সংক্রান্ত আমার অবস্থানটা পরিষ্কার করার দরকার আছে কি? বক্তব্যটাই মূল ধর্তব্যের বিষয়, সেটা প্রথম পোষ্টের প্রথম দ্বিতীয় প্যারাটিতেই বোধ হয় স্পষ্ট। সুতরাং সবকিছু নিয়ে আপনি নিশ্চিন্ত থাকতে পারেন।আমরা যেকোন ট্যাগিং ইগনোর করে যাবো।
১৪| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ২:২৭
রাগ ইমন বলেছেন: প্রশ্ন-১: মিন্স্ট্রুয়েশনের সময় মহিলাদের নামাজ, রোযা না করার কথা কোথায় বলা আছে, কেন?
আমার চিন্তা ভাবনা শেয়ার করার আগে বরং এই প্রশ্ন কেন করলাম তার একটা শানে নুযুল দেই। ইসলাম আমার কাছে যেই রুপে এসেছে, আমার পিতামাতাকে অসংখ্য ধন্যবাদ, তাতে কোন কিছু বিশ্বাস করার কোন তাগিদ ছিলো না। আমি আরো দশটা সাবজেক্টের মতই ধর্ম নিয়ে বই পড়েছি, সব কয়টা ধর্মের বই পড়েছি এবং একেবারেই ক্রিটিকাল মন নিয়ে যা পড়েছি সেইটা বুঝার জন্য বিশ্লেষণ , প্রশ্ন, বিরোধীতা , দ্বিধা -দ্বন্দ্ব ইত্যাদি অভিজ্ঞতা লাভ করেছি। হয়ত সেই জন্যই, আমার কাছে কোন কিছুই ঠিক " আল্লাহ বলছে তাই মানতে হবে, আল্লাহই জানে, আমার জানা সম্ভব না জাতীয় " বেকুবি লেভেল এর যুক্তিবিহীন বিশ্বাস গ্রহনযোগ্য কখনোই হয় নাই। ধর্মকে বা ধর্মের আজ পর্যন্ত ব্যাখ্যা যে সব পেয়েছি , সেই সব ব্যাখ্যাকে চ্যালেঞ্জ করতে পারাটা তাই আমার কাছে সহজাত । অনিগিরির বইটা আমার পছন্দ হয়েছে সেই কারণেই । একটা সাদা স্লেট নিয়ে কেউ ধর্মকে জানাটা জরুরী , কোন রকম প্রি কন্ডিশন থাকলে ব্যাপারটা আন ফেয়ার লাগে।
কিন্তু সবাই তো এই রকম নয়। বরং ইসলামের কাছে নিজেকে উৎসর্গ করে দেওয়া মানুষই বেশি। প্রচুর নারীকে দেখেছি , মাসিকের ঐ ৭ টা দিন নিজেকে অপবিত্র , নাপাক, অচ্ছুত ইত্যাদি ভেবে কেঁদে আকুল হতে। দেখেছি নারীদের নিজেদের প্রতি বিবমিষা আর পুরুষের রজ্বঃসিলা নারীদের প্রতি ঘৃণা । ব্যাপারটা আর যাই হোক আমার কাছে মোটেই সেন্সিবল মনে হয় নাই। নারীদের সম্মানিত করা, অধিকার দেওয়া - ইত্যাদি ক্ষেত্রে এত হ্যান - ত্যান - অমুক - তমুক বাগাড়ম্বর এর পরে সেই একই ধর্মে নারীকে এতটা নীচু করাটা কি আল্লাহ নামক একই এন্টিটির চরিত্রের সাথে যায়?
নেহায়েত স্কিৎজোফ্রনিয়া না থাকলে আল্লাহর কিংবা কুরানের রচয়িতার এই রকম করার কথা না , বিশেষ করে যেখানে মাসিক নামক স্বাভাবিক একটি প্রক্রিয়ার উপর নারী কেন, কোন মানুষেরই নিয়ন্ত্রন বা ক্ষমতা নাই। ( বর্তমানের পিল্টিল বাদ দিলে) ।
মূলত এই খটকা থেকেই অনুসন্ধান শুরু এবং যা পেলাম, তা ঐ সুরা বাকারাতেই। কুরানের কোথাও মাসিকের সময় নারী নামায, রোযা, হজ্জ কিংবা মসজিদে গমন করতে পারবে না , তা লেখা নেই। ( আমি পাইনি)
আরো মজার ব্যাপার হইলো, কুরানে বার বার নামায পড়ার উপর প্রচন্ড গুরুত্ব দিয়ে বলা আছে। অনেক বার বলা আছে । নামাযের নিয়ম কানুন ও বলা আছে । কিন্তু সেই সব নিয়ম কানুনের একটা জায়গাতেও বলা নাই, " নারীরা চেক করে নিবে তারা রজ্বঃসিলা কিনা।" অথচ, এত সব নিয়ম কানুন বর্ননা করার সময় নামায " বন্ধ" রাখার মত একখান মহাগুরুত্বপূর্ণ ঘটনার মহাগুরুত্বপূর্ণ শর্ত উল্লেখই নাই!!!
যেই সূরার লাইনে লাইনে খুঁটিনাটি সহ ডিভোর্সের মত একটা কম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের বর্ননা আছে, সেই একই সূরাতে " নামায, রোযা, হজ্জ" এর মত মূল তিনটা "স্তম্ভ" নিষিদ্ধের শর্ত উল্লেখ করতে আল্লাহ ভুলে গেলো? "
ডালমে কুচ কালা তো দূর , ডাল কে সাথ চাউল ভি কালা নিকলা!
এইখানেই আমাদের " হিউমেন " তন্ত্রের কারসাজি। মুল্লাকি জান কুরান কি অন্দর ঘুসা দিয়া !
আপনার এসাম্পশন এ আপনি কি ধরেই নিলেন যে নারীকে ইম্পিউর ( নোংরা , ময়লা অর্থে) বলা হয়েছে ? আমি কিন্তু এর আগের পরের আয়াত গুলো ঘেটে তেমন কোন ইঙ্গিত বের করতে পারিনি। মুহম্মদ যদি সেটাই ঈংগিত করতো তাহলে পরের আয়াতেই উল্লেখ করে দিত , এই ইম্পিউর অবস্থায় নারী কি কি করতে পারবে না ( নামায, রোযা, হজ্জ কিংবা অন্য কিছু) । সুতরাং, এই জায়গাটায় আমি আগে থেকেই মুহম্মদের নারী বিদ্বেষ জাতীয় ট্যাগিং করতে চাই না ।
এখন ইম্পিউর বলতে যদি সঙ্গমের অনুপযুক্ত বুঝিয়ে থাকে, এইটা বরং মেক সাম সেন্স। পরের আয়াতে সঙ্গম ও সন্তানের উল্লেখ আছে বলেই বক্তব্যটাকে পুরাপুরি সেক্স সংক্রান্ত ধরে নেওয়া যায়। ধর্ম বাদ দেন, মাসিকের সময় সঙ্গম সত্যি সত্যি বিপদজনক। সেইটা ঈশ্বর থেকে না জানতে পারলেও কিংবা ডাক্তার না হয়েও মুহম্মদ এর স্রেফ পর্যবেক্ষণ থেকেও জানতে পারার কথা।
তাহলে , মূল কুরানের সাথে সাংঘর্ষিক এই সব বিধি নিষেধ আসলো কেমন করে, আনলো কারা?
তৎকালীন আরব কালচারে মাসিক চলাকালীন নারীকে ময়লা ভাবা হত। বাকি দুই ধর্মে মাসিককে খুব খারাপ বা অপয়া কিছু বলা হয়েছিলো যা তখনকার কালচারের অংশ হয়ে থাকতে পারে। সেই কালচারাল ধ্যান ধারণা কয়েক শত বছর পরে ইসলামে পরিণত হয়েছে । যারা কুরান এর ব্যবসাকারীদের প্রশ্ন করতে ভয় পায়, নিজেরা কুরান পড়ে না , তাদের হাতে এবং পরবর্তী পিতৃতান্ত্রিক সমাজ, জেন্ডার ভায়োলেন্ট রাজনীতি ও অর্থনীতির হাতে এই সব আজগুবি ও ভিত্তিহীন সো কল্ড "শরীয়াহ" এর জন্ম দিয়েছে ।
গল্পটা সেই চিরাচরিত " হি হু হ্যাজ দা গোল্ড, মেক দা গোল্ডেন রুলস" এর ।
গল্পটা " এবসলুট পাওয়ার এন্ড পাওয়ার করাপ্টস এবসলুটলি" এর।
এর সাথে সাথে পরের প্রশ্নটা সম্পর্কিত হয়ে পড়ে । ইসলাম- ডাজ ইট ওয়ার্ক?
ক্যান ইট ওয়ার্ক টূ ডে?
এর সাথে সাথে আসতে পারে , ইসলাম ডেমোক্রেটিক কিনা, মানবতাবাদী কিনা, জেন্ডার ফেয়ার কিনা , এথিকাল কিনা ইত্যাদি ইত্যাদি ।
এই জায়গায় এসে আমি আপনাকে দুটো প্রশ্ন বা অপশনের মুখোমুখি করাতে চাই।
আমরা ২০১০ সালে এসে যেই কুরান, হাদীস , শরীয়াহ কিংবা সো কল্ড মুসলিম রাষ্ট্র দেখছি ( আমি মানি না যে বিশ্বে আদৌ কোন মুসলিম রাষ্ট্র কখনো ছিলো , এখন তো নাইই) , সেইটা আদি ইসলামের কিংবা প্রকৃত মোহাম্মদীবাদ / তন্ত্র কিনা তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে । কুরানকে বিশ্বাস বাদ দিয়ে বিচার করলে, এত বছর পরে মানুষের মুখে মুখে প্রচলিত আয়াত কিংবা হাদীস সঠিক থাকবে তাতে কোন ভেজাল ঢুকবে না , এইটা কোন যুক্তি দিয়েই মানা সম্ভব না । কেবল বিশ্বাস দিয়েই মানা সম্ভব।
সেক্ষেত্রে, আমরা কোন ইসলামের বা মোহাম্মদী মতবাদের কম্প্যাটিবিলিটি বিচার করবো?
১। বর্তমান কুরান, হাদীসকে স্ট্যান্ডার্ড ধরে ? ( অথবা হাদীস বাদ দিয়ে) শুধু কুরানকে স্টান্ডার্ড ধরে আজকের আলোকে তার ব্যাখ্যা করে?
নাকি,
২। নিশ্চিত ভাবেই আজকের ভেজাল ও ভেস্টেড ইন্টারেস্ট এর শিকার ব্যাখ্যা ট্যাখ্যা কেটে বাদ দিয়ে যেই টুকু সেন্সিবল বলে মনে হয় সেইটাকে স্টান্ডার্ড ধরে?
-----------------------------
আমার জানামতে কুরান আজকের আধুনিক ফ্যাকাল্টি অফ নলেজের বেশ কয়টা বিভাগেই কথা বলেছে । মানে কুরানে সোশাল সাইন্স, ইকোনমি , পলিটিক্স , বিজনেস , উত্তরাধিকার আইন ( এইটা কি জুডিশিয়ারির আন্ডারে পড়বে?) ইত্যাদি অনেক ব্যাপারেই নির্দেশনা আছে । আপনি দেখলাম, মানুষ হিসেবে অধিকার এবং রাষ্ট্রনীতিকে বেছে নিয়েছেন।
উদাহরণ দিয়েছেন এডাল্টারীর । সেইটা হিউমেন রাইটস এর আন্ডারে মনে হইলো। ফাইন । এডাল্টারীর শাস্তি বেশ কঠিন তাতে দ্বিমত নাই কিন্তু এর প্রয়োগ ঘটানোর সময় মানুষ যে তার নিজের ইচ্ছামত মাতব্বরি ফলিয়েছে , সেইটাও কিন্তু ভীষণ ভাবে প্রমাণিত । এর ব্যাখায় দেওয়ার দরকার হবে না আশা করি, আপনি জানেন।
কিন্তু সেই প্রয়োগের তরিকা মুহম্মদ সমর্থন করতো কিনা সেইটা যাচাই এর উপায় আছে? ম্যান্ডেলাকে ভালোবেসে এবং তাকে মুক্ত করতে , আফ্রিকার কালোদের অধিকার আদায় করতে গিয়ে ম্যান্ডেলার স্ত্রী উইনি ( নামটা সিওর না) হত্যায় সমর্থন দেন। যুগ যুগ ধরে পতি ও পতির আন্দোলনের জন্য নিজেকে নিঃশেষ করে দেওয়া উইনিকে ম্যান্ডেলা ত্যাগ করেন । কেন? ঐ সব হত্যা বা এক্সট্রিম পদ্ধতিতে ম্যান্ডেলার সমর্থন ছিলো না ।
সুতরাং, কুরানের ব্যাখ্যা যে নিজের মত একটা কিছু করে স্রেফ গায়ের জোরে , ক্ষমতার জোরে চাপিয়ে দিলো , তার দোষে কুরানকে দোষ দেওয়া কি ঠিক হবে?
হিউমেন রাইটস এর নামে যারা গরীবকে গরীব রাখার আন্দোলন করে কিংবা মাল্টি কর্পোরেটের স্বার্থ সিদ্ধি করে , তাদের জন্য হিউমেন রাইট কন্সেপ্টটাকে বাতিল করে দেবেন?
নাজমুল হুদার বউ সিগমা হুদা বাংলাদেশে হিউমেন রাইটস , নারী অধিকার আন্দোলনের হোল সেলার । সেই জন্য নারী অধিকার আন্দোলন জিনিসটাই বাতিল?
জামাত শিবিরের মত বরাহ, হায়েনার দল বিজয় মিছিল করা শুরু করেছে বলে আমরা ১৬ই ডিসেম্বর পালন করা বন্ধ করে দেব?
ডেমোক্রেসির মূল মন্ত্র যদি বাই দা পিপল, ফর দা পিপল, অফ দা পিপল হয়- বিশ্বের কোন দেশে সেই ডেমোক্রেসি সত্যি সত্যি পালন হচ্ছে বলতে পারেন? আমি তো একটাও দেখি না । আর সব তন্ত্রের মত এইটাও এখন করাপ্টেড । নামেই ডেমোক্রেসি কিন্তু বাস্তবে অন্যকিছু। যেমন মধ্যপ্রাচ্যে নামেই ইসলাম, আসলে রাজতন্ত্র ।
এদিকে , উলটা চিত্র হচ্ছে , ইউরোপে মুসলিম খেদাও আন্দোলন হচ্ছে ঠিকই কিন্তু ইসলামের আদলে ওয়েলফেয়ার রাষ্ট্র চালু আছে । এরা বহুত চাল্লু, মুহম্মদের বই থেকে গাইডেন্স নিলেও নাম দেয় অন্য কিছু। কিন্তু যেহেতু সব ধর্মেই ভালো ভালো কথা বলা আছে আর মানবতাবাদ , গণতন্ত্র - এই সবও ঘুরায় ফিরায় একই ভালো ভালো কথা বলে, সুতরাং কোন একটা পলিসির জেনেটিক পরীক্ষা করে বলা সম্ভব না যে প্রাথমিক আইডিয়াটা ইসলাম কিংবা অন্য কোন ধর্ম থেকে নেওয়া কি না। সুতরাং, কোন একটা মতবাদের ভালো মন্দ তার প্রয়োগকারীর কনটেক্স থেকে না দেখলে ভুল বুঝার সমূহ সম্ভাবনা। সৌদির ইসলাম আর মালয়শিয়ার ইসলাম এর আইন কি এক?
আবার রাশিয়ার কমুইনিজম আর কিউবার কমিউনিজম/ সোসালিজম কি এক?
আমেরিকা , ইউরোপ সোসালিজম শুনলেই নারায়ে তকবীর বলে লৌড় পাড়ে , কিন্তু তাদের হেলথ সেক্টর ফাইন্যান্স চলে পুরাই সোসালিস্ট ভিউতে , এইটা কি মজা না?
-----------------------------------------
আপনি যেমন বললেন কুরান বললেই আগে শরীয়াহ আসবে । এবং শরীয়াহ নিয়ে ভয়ংকর অভিজ্ঞতা -- আবারো দোষটা সংশ্লিষ্ট মানুষের । ইউরোপের মুসলমানেরা সমালোচকের মাথার দাম ঘোষণা করে না । বরং কফির দাওয়াত দেয় আর বলে চলো আরেকটু আলোচনা করি। তবে অশিক্ষিত মুসলমান , সেইটা যেই দেশেই হোক, অল্পবিদ্যা ভয়ংকরী প্রমাণ করে ছাড়ে ।
কিন্তু মূল কুরানে কি বলা আছে কিংবা মুহম্মদের জবানীতে? সুস্পষ্ট নির্দেশনা কিংবা উদাহরণ না পাওয়া গেলে সেই সব ব্যক্তির কাছে পরামর্শ / সমাধান চাওয়া হবে যাদের জ্ঞান অন্যদের চেয়ে বেশি , যাদেরকে বেশির ভাগ মানুষ সমর্থন দেয়, মানে ।
এক্সেক্ট সূত্রটা মনে করতে পারছি না কারণ স্কুলের ইসলামিয়াত পড়ার সময় এইটা পেয়েছিলাম। ইসলামে নেতৃত্ব কে দিবে বা ইমাম কে হবে - এই রকম কিছু একটা । তবে এইটা মনে আছে , বেশির ভাগ মানুষ যাকে ইমাম বলে মানবে - ডেমোক্রেসির সাথে বহুত মিল পাওয়া যাচ্ছে ।
মুহম্মদের জীবদ্দশায় তার নেতৃত্বের গল্পে একটা গল্প ছিলো , সকলের উপর কাপড় ন্যায্য হলো সমান আর তাতে পুরুষেরা হাটু পর্যন্ত কাপড় পেলো । একদিন মুহম্মদকে লম্বা কাপড় পরিধান করতে দেখে একজন সাহাবী জিজ্ঞেস করলেন , মুহম্মদ একলা বেশি পেল কি করে? মুহম্মদ জবাব দিলেন তার পুত্র নিজের অংশ থেকে তাকে কিছুটা দিয়েছেন। এরপর সাহাবী বলে, মুহম্মদ , আজকে যদি তুমি এর উত্তর দিতে না পারতে তো আমি তোমার গর্দান নিতাম। মুহম্মদ তার বক্তৃতার পাথর থেকে নেমে সাহাবীকে বুকে জড়িয়ে ধরে। ক্ষমতাশালী শাসকের সাথে সাধারণের সমান অধিকার ও জবাব্দিহিতার উদাহরণ হিসেবে গল্পটা পড়েছিলাম। তো ডেমোক্রেসিও তো একই কথা বলে তাই না?
কিন্তু ঠিক কি ভাবে এই সমান অধিকার ও জবাবদিহিতা নিশিচত করা যাবে সেইটা কি ডেমোক্রেসি ব্যাখ্যা করে গেছে ?
নাকি আমরাই মাথা খাটিয়ে বের করার চেষ্টা করছি ?
কোন দেশ পেরেছি । বাংলাদেশ পারেনি।
উল্লেখ্য , নেতৃত্ব কেবলই পুরুষের অধিকার , এইটাও কুরানে স্পষ্ট করা আছে কিনা জানি না । বরং পুরুষের বুজরুকি হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি ( আমার মতে) ।
সুতরাং, ইসলাম এন্ড ডেমোক্রেসি - আই এম নট কিডিং । আই এম ট্রাইং টু ফাইন্ড আউট ফর মাই সেলফ।
সত্যি কথা বলতে কি, আমাদের পুরুষ অনুবাদক আর ব্যাখ্যা প্রদান কারীদের উপর আমার বিশেষ ভরসা নাই বললেই চলে।
আপনার পড়ে দেখার জন্য একটা লিংক । বেশ কিছু ইসলামিক মিথ এর বিরুদ্ধে ঃ
Click This Link
Click This Link
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ ভোর ৬:৫৮
স্তব্ধতা' বলেছেন: মিন্স্ট্রুয়েশন নিয়ে আমি কিন্তু আপনার কথাটাই বলেছি, কালচারাল ফ্যাক্ট, যেটা বহু আগে থেকেই আরবে ছিলো।ওল্ড টেষ্টামেন্টের বয়স মুহম্মদের জন্মের কয়েক হাজার বছর আগে, যেখানে মাসিক এর সময়টাকে অচ্ছুৎ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, নিউটেষ্টামেন্টও তাই।আমি সেটাই বলেছি যে এর প্রভাবটাই মুহম্মদের মধ্য দিয়ে কোরআনে পড়েছে।আমার এজাম্পশনে আমি কিন্তু নারীকে নাপাক ধরে নেই নাই।বরং বলেছি পরের আয়াতটা বেশী জরুরী এটা বোঝার জন্য।ওইটা দিয়ে নাপাকের সেন্সটাকে রিফিউট করা যায়।এখন কোরআনের অসংলগ্নতার কারনে ব্যখ্যা ভিন্ন ভিন্ন ভাবে হয়েছে।এই যে বললাম অসংলগ্নতা, এইটা নিয়ে আপনি যাতে এক পাতা বলার সুযোগ না পান, সে জন্য একটু ব্যখ্যা দিব শব্দটার।তার আগে বলে নেই যে আমেরিকান ইসলামিক স্কলারদের অনেকেই এই নাপাকত্ব মানেনা, আবার আরব বিশ্বে এটা বহুল প্রচলিত ও বিশ্বাসিত।এই প্রসঙ্গটা এখানেই শেষ করবো, কারন পরের প্রসঙ্গটা ব্যাপক।
অসংলগ্নতার কথা বলছিলাম।মনে রাখতে হবে যে কোরআন মুহম্মদের জীবদ্দশায় সাহাবীদের মুখে মুখে ছিলো।সাহাবীদের কেউ কেউ তাদের অংশ গুলি লিখেও রাখতেন। সাহাবীদের একেকজন এক এক অ্যারাবীক ডায়লেক্ট বলতেন।আবুবকর এর পর উমর এবং তারপর উসমান এর সময় ইসলামের সাম্রাজ্যবাদ যখ মধ্যপ্রাচ্য থেকে ইউরোপ ও আফ্রিকার দিকে ছড়াতে লাগলো, উসমান দেখলেন কোরআনের বিভিন্ন ভাবে ব্যখ্য হচ্ছে।তখন তিনি চার দিক থেকে সমস্ত লিখিত কপি গুলো এক করে স্ট্যান্ডার্ড একটা লিখিত ফর্মে নিয়ে আসেন, যেটির ডায়লেক্ট হিসেবে কোরাইশ ডায়ালেক্ট কে বেছে নেয়া হয়।বাকী যত লিখিত অংশ ছিলো তা পুড়ে ফেলা হয়।আলী পুরোনো সংস্করনের একটি কপি রেখে দিয়েছিলেন যাতে দুটো সুরা বেশী আছে।পরবর্তীতে এই সংস্করণটি শিয়াদের কিতাব হয়, এবং ব্যখ্যায় সুন্নিদের থেকে পার্থক্য করে।এই বিভিন্ন ডায়লেক্টকে কালেক্শন তার পরিমার্জন এবং তারও পূর্বে মূহম্মদের উপর জুডাইজম এর খুবই স্ট্রং প্রভাবে জুডাইজমের গল্পগুলিকে কিভাবে তার ভাষায় (কুরাইশ ডায়ালেক্ট) প্রকাশ করবেন, সেই সংক্রান্ত জটিলতা গুলো কুরআনে এক অসংলগ্নতার সৃষ্টি করে।যার ব্যখ্যা অপব্যাখ্যা চলছেই মাসিকের ব্যখ্যার মতো, আরও অনেক।
দ্বিতীয় প্রসংগের সাথে লিংক করে দিচ্ছি আপনার বলা নিম্নোক্ত বক্তব্যটি দিয়ে......
''সেক্ষেত্রে, আমরা কোন ইসলামের বা মোহাম্মদী মতবাদের কম্প্যাটিবিলিটি বিচার করবো?''.....
এই যে ব্যখ্যা অপব্যখ্যা এর থেকে বাঁচতেই ইসলাম এ ইজমা আর কিয়াস।আমি সুন্নী বেইজ কথা বলছি, শিয়াদের ক্ষেত্রেও বক্তব্যগুলি এপ্লিক্যাবল, টার্মগুলির ভিন্নতা ছাড়া।এই ইজমা কিয়াসের ভিত্তি ইসলামী স্কলাররা।স্কলারদের একক আধিপত্যর এই বিষয়েও প্রচুর বিতর্ক করা যায় সে বিতর্কে না গিয়ে আমরা বরং দেখি বর্তমানে আমাদের হাতে কি আছে।
১. আমাদের হাতে আছে কোরআন নামের এক কিতাব, যে কিতাবে ব্যক্তি জীবন বিধান ও রাস্ট্র পরিচালনা (কনস্টিটিউশন) ব্যখ্যা করা হয়েছে, যার ভাষা আমরা বুঝিনা।
২. হাদীস, ভাষাগত অসুবিধাটা এখানেও প্রযোজ্য।
৩. রাষ্ট্রযন্ত্র (নাগরিক সহ)
তিন নম্বরের এই রাষ্ট্রযন্ত্রে এক ও দুই নম্বরকে স্থাপন করতে হবে।এই স্থাপন করার ধাপ গুলি দেখি:
১. একটা সরকার লাগবে।
২. কোরআনের কোন রকম পরিমার্জন ছাড়াই একে নিজ বোধগম্য ভাষায় ব্যখ্যা করতে হবে।
এক নম্বরের ব্যাপারে আগেই বলেছি, ইসলামে নেতা নির্বাচনের ব্যাপারটা কোথাও বলা নাই।আবু বকরের পর, উমর সিলেক্টেড, উমরের পর উসমান ইলেক্টেড কিন্তু ছয় সদস্যের এক কমিটির দ্বারা (তখনই কিন্তু নেতৃত্বের দ্বন্দ্ব শুরু হয়ে গেছে, উসমানের সাথে সাথে আলীও প্রার্থী ছিলো), যে কমিটি নির্বাচিত করে যান উমর।ধরে নিলাম বর্তমানে পাবলিকলি ভোটের মাধ্যমে আমরা একটা নির্বাচন করবো, এটা কোরআনের সাথে কোথাও কন্ট্রাডিক্ট করবেনা।তার পরে একটা সরকার গঠিত হলো, শূরা সদস্যরাও নির্বাচিত হলো আমাদের সংসদ সদস্যদের মতো করে।তারপর কোরআনের বিধান দিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনা।
এখানেই দ্বন্দ্ব:
১. রাষ্ট্রযন্ত্রে যে বিধান আপনি দিচ্ছেন সেই বিধানের এপ্লিকেশনের জন্য আপনাকে শরীয়াহ মানতে হবে।শরীয়াহ হলো এই কোরআন হাদিসে বর্ণিত বিধান।এটা আল্লাহর আইন।তাই শরীয়াকে ইগনোর আপনি চাইলেই করতে পারবেননা, এটা হবে কোরআনকে ইগনোর করা। কোরআনিক রাষ্ট্রর আপনি সেই ক্ষমতা কোরআনের বলেই পাচ্ছেননা।আমাদের হাতে বর্তমান এই শরীয়াহ ইজ এ টুল।শুধু কোরআন দিয়ে আমরা কিছু করতে পারবোনা।শরীয়া ছাড়া শুধু কোরআন রাষ্ট্রযন্ত্রের কন্সটিটিউশন হিসেবে পূর্ণঙ্গ হবেনা।
২. গণতন্ত্রে যেখানে গণমতের ভিত্তিতে আইন তৈরী হয়, ক্ষমতা থাকে, সেই ক্ষমতা এই খানে নাই।এখানে আইন পূর্ব নির্ধারিত, কোরআনে, (গণতন্ত্রের সাথে ইনকম্প্যাটিবিলিটিটা দেখুন)।, তাই কোন আইনের সাথে আপনার সহমত না থাকলেও সেটা আপনার জানানোর বা প্রতিবাদ, পরিমার্জনা করার কোন উপায় আপনার নাই।কোরআন আপনাকে সেই রাইট দেয়নাই।অর্থ্যাৎ গণতান্ত্রিক কোন মত এর এখানে কোন স্কোপ নাই।এখানে কোরআনের অনেক মেলশোভনিষ্টিক, রুলিং, সাম্রাজ্যবাদী, অন্যধর্মের প্রতি অসহনশীলতা ইত্যাদি বক্তব্যগুলি যেগুলি সত্যিই কোরআনের আয়াত, আপনি মানেন আর না মানেন সেগুলিকে ইগনোর করা মানে কোরআন অবমাননা।
৩. এখন এই কোরআনে বর্ণিত যে আয়াতগুলি এর অনেকগুলিই যে কোন সুস্থ মস্তিষ্ক সম্পন্ন মানুষের পক্ষে মানাটা কষ্টকর।আমার মূল পোষ্টেই দু'টো আয়াত বলেছি।আরও অনেক আছে।আপনার শরীয়াহ ব্যখ্যায় যাবার দরকার নেই।আপনি মূল কোরআনকে ধরলেই এর অকার্যকরীতা বর্তমান জীবনে ধরতে পারবেন।
পরিশেষে, আপনিতো কবিতা লেখেন, সুরা ২৬ এর ২২১ থেকে ২২৬ নম্বর আয়াতগুলো পরে আসুন, দেখুন কবিদের সম্পর্কে কি বলা হয়েছে।বলা হয়েছে, তাদের উপর শয়তান এর আছর আছে (সুরা আস শুয়ারা, আয়াত ২২১-২২৬)।আপনার থেকে সাবধান থাকতে হবে।
ইসলাম কম্প্যাটিবল, ইসলাম গুড ট উইমেন, রাইটেয়াস, এগুলি মডারেট মুসলিমদের এ্যাপ্রোচ, এই ধারায় গেলে আপনাকে কোরআন থেকে দূরে সরে আসতে হবে।ইসলাম সেটা সমর্থন করবে কি? খোমেনীর ইসলামই কোরআন সমর্থিত ইসলাম।রিজিড, মিসজিনিষ্টিক, ব্রুটাল, মেলশোভনিষ্টিক এন্ড টোটালেটারিয়ান।
১৫| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ২:৩২
রাগ ইমন বলেছেন: আপনিতো অনেক সিনিয়র ব্লগার, এখনও ট্যাগিং আপনাকে পোড়ায় ভাবতেই কেমন লাগছে।আমার এই স্বল্প ব্লগিং বয়সেই আপনাকে অনেকবার ট্যাগড হতে দেখেছি।সয়ে যাওয়ার কথাতো এতোদিনে।
হা হা হা হা হা , আপনার আন্দাজ কি ভুল হতে পারে?
ট্যাগিং আমাকে পোড়ায় না , বন্ধু , ট্যাগিং আমাকে যারা পড়ছে , নতুন পাঠক, তাদের বিভ্রান্ত করে।
আমার নিজেকে নিয়ে কোন প্রতিক্রিয়া নেই, কিন্তু অবুঝ পাঠকের পথভ্রষ্ঠ হওয়ার আশংকা আছে যেহেতু আমি আজকাল ব্লগে সময় দিতে পারছি না ।
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ৯:৫৫
স্তব্ধতা' বলেছেন: ভয় নাই, চেনা বামনের পৈতা লাগেনা।আপনে চেনা বামন।
১৬| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ২:৩৬
রাগ ইমন বলেছেন: এই পোষ্টটাকে উত্তর দেবার দায় মুক্তি হিসেবে না নিয়ে যার যখন সুযোগ হলো এসে আপডেট করে গেলাম।পেটের ধান্ধা, আত্মিক ধান্ধা (পঠন, গান ইত্যাদি), এগুলি করে ব্লগে সময় দেয়াটা খুব কঠিন।গতকাল না ঘুমিয়ে পোষ্ট লিখে, কর্ম সেরে ক্লান্ত ও বিধ্বস্ত, তবু এখন আবার বসেছি ব্লগে, ।আপনি যখন ইচ্ছে আপডেট করবেন, কোন তাড়া নেই।আমিও সময় মতো রেসপন্স করবো।
জো হুকুম , জাঁহাপনা!
ভাই, আপনার মত মানুষের সাথে তর্ক তো তর্ক, মারামারি করেও আনন্দ পাওয়া যাবে।
আপনার জীবন্সঙ্গীটিকে ভয়ানক হিংসা হচ্ছে । উনি কি জানেন উনি কত্ত লাকি?
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১০:৩৯
স্তব্ধতা' বলেছেন: ''আপনার জীবন্সঙ্গীটিকে ভয়ানক হিংসা হচ্ছে । উনি কি জানেন উনি কত্ত লাকি? ''
হাহাহাহা......রবিঠাকুর বলিয়াছেন, অপরে যদি না বাজায় তো নিজের বাদ্য নিজেকেই বাজাইতে হয়.......আমি নিশ্চিত সে তা জানে....
,
১৭| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ২:৫১
পদ্মাচরের লাঠিয়াল বলেছেন: মুহম্মদের জীবদ্দশায় তার নেতৃত্বের গল্পে একটা গল্প ছিলো , সকলের উপর কাপড় ন্যায্য হলো সমান আর তাতে পুরুষেরা হাটু পর্যন্ত কাপড় পেলো । একদিন মুহম্মদকে লম্বা কাপড় পরিধান করতে দেখে একজন সাহাবী জিজ্ঞেস করলেন , মুহম্মদ একলা বেশি পেল কি করে? মুহম্মদ জবাব দিলেন তার পুত্র নিজের অংশ থেকে তাকে কিছুটা দিয়েছেন। এরপর সাহাবী বলে, মুহম্মদ , আজকে যদি তুমি এর উত্তর দিতে না পারতে তো আমি তোমার গর্দান নিতাম। মুহম্মদ তার বক্তৃতার পাথর থেকে নেমে সাহাবীকে বুকে জড়িয়ে ধরে। ক্ষমতাশালী শাসকের সাথে সাধারণের সমান অধিকার ও জবাব্দিহিতার উদাহরণ হিসেবে গল্পটা পড়েছিলাম। তো ডেমোক্রেসিও তো একই কথা বলে তাই না?
আপা এইটা বিশাআআল ভুল হয়ে গেল। মুহাম্মদের একটাই ছেলে ছিলো ইব্রাহিম, মারা গেছে ছয় মাস বয়সে। এইটা উমরের কাহিনী।
কিন্তু সেই প্রয়োগের তরিকা মুহম্মদ সমর্থন করতো কিনা সেইটা যাচাই এর উপায় আছে? ম্যান্ডেলাকে ভালোবেসে এবং তাকে মুক্ত করতে , আফ্রিকার কালোদের অধিকার আদায় করতে গিয়ে ম্যান্ডেলার স্ত্রী উইনি ( নামটা সিওর না) হত্যায় সমর্থন দেন। যুগ যুগ ধরে পতি ও পতির আন্দোলনের জন্য নিজেকে নিঃশেষ করে দেওয়া উইনিকে ম্যান্ডেলা ত্যাগ করেন । কেন? ঐ সব হত্যা বা এক্সট্রিম পদ্ধতিতে ম্যান্ডেলার সমর্থন ছিলো না ।
আমি যতদুর জানি সহিংস আন্দোলনে প্রথম সমর্থন দেন ম্যান্ডেলাই, একেবারে ভাষণ দিয়ে, অকুপেশন ১০১ ডকুমেন্টারীতে পাবেন এটা। আর উইনীকে বাদ দেওয়ার প্রধান কারণ রাজনৈতিক ইমেজ ও ডমিনেন্স(হ্যাঁ এখানেও পুরুষতান্ত্রিকতা কাজ করেছে!) তার বিরুদ্ধে ঘুষ, হত্যা এমনকি নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছিলো। আপনার কারণটি কোথাও পাইনি।
আপনার রিপ্লাইটা ইন্টারেস্টিং লাগলো। সময় নিয়ে আলোচনা করার ইচ্ছা রাখি(অবশ্য যদি আপনি চান তো!)।
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১১:৪৯
স্তব্ধতা' বলেছেন: সানন্দে, ম্যান্ডেলাকে রাগইমন আর আপনার আলোচনা দেখার অপেক্ষায় রইলাম।
১৮| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ৩:০৭
পদ্মাচরের লাঠিয়াল বলেছেন: প্রথমেই আপনার বিষয়বস্তুকে কয়েকটা পয়েন্টে ভাগ করি। এতে ভুলবোঝাবুঝি দুর হবে-
১. কুরআনে মাসিক সঙ্ক্রান্ত বিবরণ আছে কি না? তা হাদীসের সাথে সাংঘর্ষিক কি না?
২. ইসলামিক বিধান, শরীয়াহ এগুলো কুরআনের সাথে মেলে কি না? এখানে পুরুষতান্ত্রিকতা, রাজনীতি, আর অর্থনীতির কবলে পড়ে বিকৃত কীনা? ইসলামের নামে যা করা হয়(রজম) তা পুরোপুরি কুরআন সমর্থিত কীনা?
৩. কুরআন অবিকৃত থাকার সম্ভাবনা কতটুকু। কোন কোন প্রেক্ষাপটে তা সমসাময়িক জীবনযাপনে ডকট্রিন হিসেবে ব্যবহার করা যাবে?
৪. ইউরোপে মুসলিম ইসলামের আদলে ওয়েলফেয়ার রাষ্ট্র চালু আছে কীনা?
৫. মূল দোষ ইসলামের? নাকি অতি উৎসাহী বা ফান্ডামেন্টালিস্ট কিছু মুসলিমের?
**************************************************
আপনার বক্তব্য থেকে এটুকু পয়েন্ট আউট করলাম। আরো যদি থাকে বা এখানে কোনো ভুল-ভ্রান্তি থাকে তো জানাবেন?
শেষে আমার একটা প্রশ্ন-
কোরআন ও হাদীস যে অবিকৃত সে বিষয়ে আপনি কি করে নিঃসন্দেহ? যদি অবিকৃত না হয় তবে সেক্ষেত্রে আপনি কি কোনো সংশোধন চান? কীভাবে? কোন মানদণ্ডে? কেন? কুরআন সংকলনের ইতিহাস কিন্তু বিকৃত কথাই বলে।
ধন্যবাদ।
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১১:৫৮
স্তব্ধতা' বলেছেন: আপনাকে আমার পোষ্টে দেখে সত্যিই ভালো লাগছে।আপনার করা বেশীরভাগ প্রশ্নগুলোকে উপরে রাগইমনকে দেয়া উপরের বড় উত্তরটাতে কভার করেছি।মুসলিম এষ্টেট আর ইসলামি স্টেট দুটি ভিন্ন জিনিস।বাংলাদেশ একটা মুসলিম এষ্টেট (নামে সেক্যুলার, কামে....) কিন্তু ইসলামিক স্টেট নয়।এখন ইসলামিক স্টেট বলতে শরীয়াহ ভিত্তিক শাসন ব্যবস্থা।এরকম ইউরোপে নাই।পাকিস্তান, ইরান, এই শাসন ব্যবস্থায় চলে।রাগইমনকে বলা আমার বক্তব্যে মূলত আমি বলতে চাচ্ছি, শরীয়াহ/ইসলাম বনাম গণতন্ত্র একসাথে চলতে পারেনা।ইসলামিক ডেমক্রেসী ইজ এ ফ্যালাসী বাই দ্যা মডারেট মুসলিমস, ইট ডিরেক্টলী কন্ট্রাডিক্টস উইথ ইসলাম।
১৯| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১০ সকাল ৮:৪২
অবয়ব বলেছেন: মেডিকেল সাইন্সে মেন্সট্রুয়শনের সময় যৌনতায় কোন বাধা নাই। বরং এ সময় সহবাসে মাংসপেশী শিথিল হওয়ার মাধ্যমে মেন্সট্রুয়েশনের ব্যাথা লাঘব হয়। আর নারীর সন্তান ধারণের সম্ভাবনা একটি গড় ২৮ দিনের সাইকেলের ১০ থেকে ১৬তম দিনের মধ্যে। কাজেই শুধু মেন্সট্রুয়েশনের সময় বাচ্চা হবে না তা নয়।
সেদিন এক মাওলানার বেহেস্তের হুর নিয়া একটা বর্ণনা দেখলাম। তিনি বলতেছিলে্ন, হুরদের কোন মাসিক হবে না, কোন পায়খানা পেসাব করবে না, দুষিত বায়ু ত্যাগ করবে না, পৃথিবীতে কত মেয়েলী রোগ হয় সেগুলো হবে না...আল্লাহ তাদেরকে সমস্ত বাজে এবং অপবিত্র জিনিস থেকে মুক্ত রেখেছেন।
২০| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১০ সকাল ৮:৪৫
অবয়ব বলেছেন: কাহিনী কি? লিঙ্কে কাম করে না ক্যা? আবার দিলাম। হুর পরীর বর্ণনা।
http://www.youtube.com/watch?v=68gRPEyjzOE
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১১:৫৯
স্তব্ধতা' বলেছেন: এই বিষয়ে রিসেন্ট কিছু মেডিক্যাল রিসার্চ পেপার বেরিয়েছে, সেগুলিতে ভিন্ন মত প্রকাশ করা হয়েছে।আপনি একটু সার্চ করে দেখতে পারেন।ধন্যবাদ এবং স্বাগতম।
২১| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১০ সকাল ৯:১৮
মাহমুদ রহমান বলেছেন: রাগইমন আপু যেইটার লিংক দিলেন সেইটা আরও বেশি কনফিউশন তৈরি করবে। হাদীসকে বাদ দিয়ে মনগড়া কোরআনের ব্যাখ্যা করা হয়েছে বেশ কয়েক জায়গাতে। আপনার ঐদুটি লিংক ছাড়াও সাইটটা ওলোটপালট করে দেখেছি অনেক ব্যাপারেই ওদের বক্তব্য বেশিরভাগ ইসলামী স্কলারদের বিপক্ষে যাবে। ওরা যদিও দাবী করেছে মুসলিমদের কোন সেক্টকেই রিপ্রেজেন্ট করে না, কিন্তু আমার মনে হয়েছে ওরা "কুরআন ওনলি"দের মুখপত্র। অথচ, আল্লাহ পরিস্কার বলেছেন.. আল্লাহ এবং তাঁর রাসুলের (সা.) আনুগত্যের কথা।
আর লেখককে বলছি, স্বপ্ন দেখতে পয়সা লাগে না। সবকিছু অর্থই নির্ধারণ করে দেয় না। এর সাথে জাস্টিস, ইক্যুইটি, ডিসট্রিবিউশন এবং প্রোডাকশন জড়িত। দুর্ভিক্ষ এজন্য হয় না যে ফুড ক্রাইসিস থাকে, বরং দুর্ভিক্ষ এজন্যই হয় যে যথোপযুক্ত ডিস্ট্রিবিউশনের অভাবে। ৭৪ সালের দুর্ভিক্ষের কথা মানুষের স্মরণে আছে, সেই সময়ের সমাজতন্ত্র কিছুই উদ্ধার করতে পারেনি। সাম্প্রতিককালের অর্থনীতিবিদদের কাজ-কর্মের দিকে খেয়াল করলে ব্যাপারটা বুঝতে পারবেন, বিশেষ করে অমর্ত্য সেন।
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ ভোর ৪:৩৭
স্তব্ধতা' বলেছেন: লেখক বলেছেন: মাহমুদ দূর থেকে মন্তব্য করছেন।কাছে এসে মন্তব্য করুন শুনতে পাচ্ছিনা।সমাজতন্ত্র, পুঁজি, প্রোডাক্শন, ডিষ্ট্রিবিউশন, এগুলো অনেক পরের এবং দূরের আলাপ। মূল কন্টেন্ট: ''ইজ ইসলাম আ সাফিসিয়েন্ট 'ইজম' টু রান এ ষ্টেট?''.......এই প্রসঙ্গে কথা বলুন।উপরে ১৬ নম্বর মন্তব্যটার উত্তরে কিছু বলেছি।ধন্যবাদ।
২২| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১২:১৪
পদ্মাচরের লাঠিয়াল বলেছেন: @ লেখক- উত্তরের জন্য ধন্যবাদ। আমি আসলে রাগইমন আপাকেও চাচ্ছিলাম আলোচনায়, আমার ২০ নম্বর কমেন্ট মূলত তার ১৬ নম্বর কমেন্টের বক্তব্যের সারসংক্ষেপ। তার বক্তব্য জানলে আলোচনায় সুবিধা হতো।
আর আপনার মতো আমিও মনে করি যে ইসলামী শাসন তথা শরীয়া একটা ফ্যালাসী। প্রচুর ফাঁকফোকড় আছে এতে।
অনেক ধন্যবাদ।
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ সকাল ৭:০১
স্তব্ধতা' বলেছেন: আমরা বরং অপেক্ষায় থাকি। আপনাকেও ধন্যবাদ।
২৩| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১২:৫৮
অবয়ব বলেছেন: লেখক বলেছেন: এই বিষয়ে রিসেন্ট কিছু মেডিক্যাল রিসার্চ পেপার বেরিয়েছে, সেগুলিতে ভিন্ন মত প্রকাশ করা হয়েছে।আপনি একটু সার্চ করে দেখতে পারেন।ধন্যবাদ এবং স্বাগতম।
গুগলে সার্চ করে খালি আগের তথ্যই পেলাম। কোথাও মানা করা হয় নি। কয়েক জায়গায় সাবধানতা অবলম্বন করতে বলে হয়েছে, যদি আগে থেকেই ইনফেকশন থাকলে তাহলে এই সময় তা ছড়ানোর চান্স একটু বেশি। তবে সেটা অন্য সময়ও ছড়ায়।
নতুন রিসার্চের দুই একটা লিঙ্ক দেন। নতুন ব্যখ্যাটা দেখি।
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৫০
স্তব্ধতা' বলেছেন: ভাইরে, সত্যি কথা যেটা, এইটা খুবই রিসেন্ট, তাও দ্বিমতের ভিত্তিতে, পোষ্টেই বলা আছে।কোথায় পড়েছি মনেও পড়ছেনা, লিংক খুঁজেও পেলামনা, যদি তাই অবশ্যই শেয়ার করবো।
২৪| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ ভোর ৫:৫০
মাহমুদ রহমান বলেছেন: ২৩ নং কমেন্টে আমি তো নতুন কোন মন্তব্য করিনি। কেবল ১৩ নং কমেন্টে আমার করা মন্তব্যের জবাবে আপনি যা বলেছেন তার জবাব দিয়েছি মাত্র।
আপনার কথাবার্তা শুনে বুঝছি, কাছে এসে মন্তব্য করে লাভ নাই। শুধু এটুকু বলে যাই, ইসলাম শুধু কম্প্যাটিবলই নয়- পৃথিবীতে নানান কায়দায় মানুষের প্রতি যত অন্যায় হচ্ছে সেখান থেকে বেরিয়ে আসতে ইসলাম হচ্ছে একটা আলোকবর্তিকা এবং তা সমাজের দাবী।
ইসলাম কিভাবে ইনজাস্টিস প্রতিহত করে?
- যে ইসলাম পরস্পরকে দেখা হলেই সে যেন শান্তিতে থাকে এমন আশীর্বাদ করতে উদ্ধুদ্ধ করে সে ইসলাম এটলিস্ট এতটুকু নিশ্চিত করে যে সালাম দানকারী ব্যক্তির কাছে অপর ব্যক্তিটি নিরাপদ।
- যাকাতভিত্তিক সুষম অর্থব্যবস্থা প্রবর্তন করে যেখানে গরীবকে তার প্রাপ্য (কোন রকমের ধানাইপানাই ছাড়াই) একেবারে দিয়ে দেয়া হয়। সুদ-ঘুষ ইসলাম নিষিদ্ধ করেছে, এর হিসাব লেখকের উপরও লা'নত। ঋণের বোঝা নিয়ে চলাকে দারুণভাবে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে।
- অশ্লীলতা-অবাধ যৌনাচারমুক্ত, গীবতমুক্ত একটা সমাজ ব্যবস্থা দান করে থাকে।
- মতের ভিন্নতাকে এখানে সম্মান দেখানো হয়। রাসূলের হাদীস দ্বারা প্রমাণিত যে তিনি ইবাদতের ক্ষেত্রেও বিভিন্ন সময় বিভিন্ন দু'আ পড়েছেন, বৈচিত্রতা এনেছেন। পরধর্মসহিষ্ণুতার পক্ষে সাহাবীদের জীবনী থেকেও অনেক উদাহরণ দেয়া যাবে।
- সামাজিক সুবিচারপূর্ণ বিচার ব্যবস্থা কায়েম করে। শ্রমিকের ঘাম শুকানোর আগেই তার পাওনা পরিশোধ করতে বলে।
কুরআনকে সংবিধান মনে করলে ভুল করবেন। কুরআনের বাচনভঙ্গী কোন গ্রন্থের মত নয়, বরং বক্তৃতার মত। এটা মূলত মানুষের হেদায়াতের গ্রন্থ। ব্যক্তি এবং সামষ্টিক জীবন এখান থেকে হেদায়াত নিবে। কুরআনে এমনও কিছু বক্তব্য আছে যেগুলি পরবর্তী কথা দ্বারা রহিত হয়েছে। অর্থাৎ, কোরআন একবারেই হার্ডলাইনে না গিয়ে গ্র্যাজুয়ালই সংশোধন এনেছে। এ এপ্রোচ কুরআন বাস্তবায়নকারীরাও নিতে পারে।
{ইসলামের নিজস্ব নৈতিকতার পরিমন্ডল আছে। তর্কের খাতিরেই এটা অন্যটার সাথে এডাপ্ট করতে হবে এমন কোন মানে নেই (এতে ইসলামের স্বকীয়তা বিনষ্ট হবে, কোন কোন উদার ইসলামিস্টরা হয়ত এটা করার চেষ্টা করেন যা গ্রহণযোগ্য নয়), বরং এই নৈতিকতা যুক্তিযুক্ত কিনা এবং সেটা অন্য বিকল্পের থেকে কার্যকরী কিনা সেই বিতর্ক হতে পারে}
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ সকাল ৭:১০
স্তব্ধতা' বলেছেন: ''আপনার কথাবার্তা শুনে বুঝছি, কাছে এসে মন্তব্য করে লাভ নাই।''.....এই যদি হয় আপনার পারসেপশন, আমার আর আপনার ব্যাপারে কোন আগ্রহ নেই।বাকী যা বলেছেন, সেগুলিও যতনা যুক্তি, তার চেয়েও বেশী দাবী যা চলমান ইসলামীক দাবীগুলি থেকে আলাদা কিছুনা। আলোচনায় অংশগ্রহন করার জন্য ধন্যবাদ।
২৫| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ সকাল ৭:১৭
মাহমুদ রহমান বলেছেন: আপনে তো আমার কোন কথাকেই (ও স্যরি, দাবী) রিফ্যুট করলেন না। এক জায়গায় করলেন ইট্টুখানি, তার জবাব দিলাম; বললেন কাছে এসে মন্তব্য করেন। কিছুই বুঝলাম না।
আমি যেসব দাবী করেছি সবগুলোই ক্বুরআন হাদীস সমর্থিত। এগুলোর অযৌক্তিকতা প্রমাণ করা আপনার দায়িত্ব আর কম্প্যাটিবিলিটি তুলে ধরা আমার।
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ৮:১৫
স্তব্ধতা' বলেছেন: আপনি ১৬ নম্বর উত্তরটি পড়ে আসুন।সেখানে ইনকম্প্যাটিবিলিটিটা ব্যখ্যা করেছি, পোষ্টের পাশাপাশি।মাথায় রাখতে হবে, আমাদের একটা বিধান আছে, সেই বিধান কতটুকু কম্প্যাটিবল সেইটা নিয়ে কথা হচ্ছে।তার অসঙগতি গুলো নিয়ে কথা হচ্ছে, সেই বিধানকে পরিবর্তন করার কোন অধিকার নাই (নো ডেমক্রেসী), সেগুলি নিয়ে কথা হচ্ছে।আপনার দাবী করা মতের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনের কথাও ব্যখ্যা করেছি, পোস্টে, এবং মন্তব্যে।আপনার এই বিধান মানা সম্ভব যখন একটা রাষ্ট্রে সবাই সালাম দেবে (আপনি উপরে সালাম ও শান্তির কথা বলেছেন), অন্য রীতি এই বিধান সমর্থন দেবেনা।তবু অর্থ ব্যবস্থা শ্রমিকের ঘাম টাম এগুলো বিধানে বলা আছে, শ্রমিকতো শুধু শ্রমিকনা, শ্রমিক মানে মজুর, মজুরি, মজুরি নিধারন, উৎপাদন, উৎপাদনের তড়িকা।উৎপাদনের বন্টনের কথা কোরআনে বলা আছে, কিন্তু রাষ্ট্রের উৎপাদন পদ্ধতি কি হবে কোথাও আছে? কোথাও নাই, ধরেই নেয়া হয় ব্যাক্তি পর্যায়ের উৎপাদন।তাই এই পদ্ধতির ক্ষেত্রে কোরআনকে হয় সমাজ তান্ত্রিক বা পুঁজিবাদের আশ্রয়ে যেতে হবে।কিন্তু সেগুলি অনেক পরের কথা।আগে শাসন তন্ত্র হিসেবে কতটুকু কম্পেটিবল সেইটা কনসেপচুয়ালী ভাবতে হবে।সেইটাই এই পোষ্টে করা হচ্ছে।যেটা আপনি করছেননা।তাই আপনাকে বলেছি দূর দিয়ে বলছেন, যেটা পোষ্ট অনুযায়ী আমার শোনার কথা না, তবু শুনলাম।দু:খিত আপনার দূর দিয়ে বলা কথার অযৌক্তিকতা প্রমানের দায়িত্ব আমারনা।যাই হোক, আপনি টু দ্যা পয়েন্টে কথা বললে এরপর উত্তর পাবেন, নতুবা পাবেননা।ধন্যবাদ।
২৬| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ দুপুর ১২:২৩
অনিগিরি বলেছেন: (লাইনটা যখনই পড়ি আমার কেন জানি কোদাল, জমি, কোপাকুপি, শস্য ইত্যাদির চিত্র চোখে ভাইসা উঠে, বিষম যন্ত্রণা) .............এই আয়াতটার মর্মার্থ কি? ইসলামি চিন্তাবিদরা কি বলে?
এইখানে নারী নেতৃত্বের কোন অবকাশ নাই।ইসলাম এন্ড ডেমক্র্যাসী? ইউ মাস্ট বী কিডিং!!!!।আর এক নায়কতন্ত্রের কথা বললে সমস্যা নাই, কারন ইসলাম ইজ এনাদার নেইম অফ দ্যা টোটালিটারিয়ান গড।
মনে প্রানে ১০০% ইসলামী আস্তিক হইয়াও বাস্তবের ইসলামী আসল শরীয়ার নমুনা দেখাইলে পালায়, অথবা গাইগুই করে, এমন লোকের অভাব নাই!! তারপরও তারা বাস্তবতাকে অস্বীকার করেই চলে..........স্বর্গের লোভ আর আগুনের ভয়!
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ৮:২১
স্তব্ধতা' বলেছেন:
মনে প্রানে ১০০% ইসলামী আস্তিক হইয়াও বাস্তবের ইসলামী আসল শরীয়ার নমুনা দেখাইলে পালায়, অথবা গাইগুই করে, এমন লোকের অভাব নাই!!.......সহমত।শরীয়াহর ভয়ংকর রুপ আস্তিকদেরও অন্তরাত্মা কাঁপায় দেয়।তখন তারা মডারেট মুসলিম।
২৭| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ দুপুর ১:৫৪
সাদাচোখ বলেছেন:
আপনার লেখাগুলো নিয়মিতই পড়ি।
আজ উপস্থিতি জানিয়ে গেলাম।
+
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ৮:২২
স্তব্ধতা' বলেছেন: আপনার উপস্থিতিতে অনুপ্রাণিত হলাম সাদাচোখ।ধন্যবাদ।
২৮| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ দুপুর ২:৪৬
সাদাচোখ বলেছেন:
দুঃখিত, ভূলবসত অনেকগুলো কমেন্ট চলে এসেছে।
৩০, ৩১ এবং বর্তমান কমেন্ট মুছে দিন।
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ৮:২৩
স্তব্ধতা' বলেছেন: মুছে দিলাম।
২৯| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ বিকাল ৩:৫১
মাহমুদ রহমান বলেছেন: মাথায় রাখতে হবে, আমাদের একটা বিধান আছে, সেই বিধান কতটুকু কম্প্যাটিবল সেইটা নিয়ে কথা হচ্ছে।........ এই বিধান কে দিলো? কেন সেটা মাথায় রাখতে হবে? আমরা বিজ্ঞান পড়তে গিয়ে দেখেছি কিছু স্বতঃসিদ্ধ ব্যাপার থাকে, যেইটা মেনে নিতে হয়। বোঝা যাচ্ছে, আপনারও একটা স্বতঃসিদ্ধ বিধান আছে। আপনি তার আলোকে কোরআনের কম্প্যাটিবিলিটি যাচাই করছেন। অথচ একই কারণে কুরআনকে বলছেন রিজিড।
কুরআন সম্পর্কে আপনার ধারণা অস্পষ্ট , ফলে কুরআন বাস্তবায়নের ত্বরিকা নিয়েও আপনি অন্ধকারে আছেন। কুরআনকে সাধারণের গ্রন্থের মত দেখলে আপনি অনেক গরমিল পাবেন। দৃষ্টিভঙ্গি দুই রকম। একটা হচ্ছে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ব্যাপারগুলোকে আলাদাভাবে পর্যবেক্ষণ করা, আরেকটি হচ্ছে পুরো ব্যাপারটি মাথায় রেখে ক্ষুদ্র ব্যাপারের বিশ্লেষণ করা। কনটেক্সট ছাড়া একটা কথার অনেক রকম ভুল অর্থ করা যেতে পারে। আপনি কবিদের নিয়ে শুয়ারার আয়াতগুলি উল্লেখ করলেন কিন্তু ২২৭ নম্বরটা বাদ রাখলেন কেন যেখানে এক্সেপশনটা বর্ণিত আছে। শুনুন ভালো করে..
হে লোকেরা! আমি তোমাদের জানাবো শয়তানরা কার উপর অবতীর্ণ হয়? তারা তো প্রত্যেক জালিয়াত পাপিষ্ঠের উপর অবতীর্ণ হয়৷ শোনা কথা কানে ঢুকিয়ে দেয় এবং এর বেশির ভাগই হয় মিথ্যা। আর কবিরা! তাদের পেছনে চলে পথভ্রান্ত যারা। তুমি কি দেখ না তারা উপতক্যায় উপত্যকায় উদভ্রান্তের মতো ঘুরে বেড়ায়। এবং এমনসব কথা বলে যা তারা করে না? তারা ছাড়া যারা ঈমান আনে ও সৎ কাজ করে এবং আল্লাহকে বেশি বেশি স্মরন করে তারা তাদের প্রতি জুলুম করা হলে শুধুমাত্র প্রতিশোধ নেয়৷ আর জুলুমকারীরা শীঘ্রই জানবে তাদের পরিণাম কি! (সুরা আশ-শুয়ারাঃ ২২১-২২৭)
আপনি পরিষ্কারভাবেই বর্তমানের আলোকে প্রচলিত ব্যাপার স্যাপারের সাথে কুরআনকে মিলাচ্ছেন। এইজন্য ইলেকশন এটা সেটা টানছেন। সেই সময়ে নিশ্চয়ই আজকের মত ইলেকশন উপযোগী ছিল না। আবু বকর, উমর সিলেক্টেড হলেও সাধারণ মুসলিমরা উনাদের হাতে বায়আত নিয়েছেন। জোরাজুরির কোন ব্যাপার ছিল না সেখানে। উমর এসে ইলেকশন প্যানেল সিলেক্ট করে গেছেন। প্রথমটা বেজ ধরলে পরেরটা ভুল, আর পরেরটা বেজ ধরলে প্রথমটা ভুল। কোরআনকে বেজ ধরলে দুইটাই ঠিক আছে। যেকোন কল্যাণকর ব্যবস্থা সেটা কুরআন বাতিল না করলে তা গ্রহণে কোন সমস্যা নাই। ..... কোন কোন কথার যে অনেকগুলি ব্যাখ্যা কুরআন রেখেছে সেটা কুরআনের ডাইনামিসিজমই প্রমাণ করে।
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১২:২৯
স্তব্ধতা' বলেছেন: মাথায় রাখতে হবে, আমাদের একটা বিধান আছে, সেই বিধান কতটুকু কম্প্যাটিবল সেইটা নিয়ে কথা হচ্ছে।........ এই বিধান কে দিলো? ....এখানে আমি বিধান বলতে কোরআনের কথা বলেছি, যা ডেমক্রেসী সাপোর্ট করেনা।ব্র্যাকেটে (ডেমক্রেসী) শব্দটা ছিলো, যেটা দেখেই বোঝার কথা আমি কি বলতে চাচ্ছি।আপনি বোঝেননি সে দায় ভার আমার নয়।মন্তব্য পূর্বক মন:যোগ সহকারে পাঠ বাঞ্চনীয়।আমারতো কোন বিধান নেই।আমি বর্তমান বিধান রিফিউট করে আপগ্রেড করে বর্তমান সমাজ এর সাথে কম্প্যাট্যাবল করার পক্ষে, যেটা কোরআন সমর্থন করেনা।
কুরআন সম্পর্কে আপনার ধারণা অস্পষ্ট , ফলে কুরআন বাস্তবায়নের ত্বরিকা নিয়েও আপনি অন্ধকারে আছেন।......সহমত।এটাই কোরআন পন্থীদের শেষ আশ্রয়।
২২৭ নম্বরেও কবিদের কোন ছাড় দেয়া হয়নি।
আপনি পরিষ্কারভাবেই বর্তমানের আলোকে প্রচলিত ব্যাপার স্যাপারের সাথে কুরআনকে মিলাচ্ছেন।.....এটাইতো হবার কথা এই পোষ্টে।আমিতো ১৪০০ বছর আগে বসবাস করিনা।
৩০| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ৩:১৩
মাহমুদ রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ এবং দুঃখিত বুঝতে ভুল হওয়ার জন্য।
আপনি পরিষ্কারভাবেই বর্তমানের আলোকে প্রচলিত ব্যাপার স্যাপারের সাথে কুরআনকে মিলাচ্ছেন।.....এটাইতো হবার কথা এই পোষ্টে।আমিতো ১৪০০ বছর আগে বসবাস করিনা।.......... এইখানেই আপনার সাথে কোরানের মিলবে না। মূলত আমি প্রচলিত বলতে ডমিনেন্সকেই বুঝিয়েছি (আজ দেশের সবগুলা সংবাদ মাধ্যম ক্রসফায়ারকে জায়েজ বানিয়ে দিলেই কি আপনি তা মেনে নিবেন?)। এটাও একটা অত্যাচার, যার গায়ের জোর আছে সে বিধান ঠিক করতেছে, নীতি নৈতিকতার সংজ্ঞা বানাচ্ছে। সেজন্যই জিহাদ খুব খারাপ, আর সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধ খুব ভাল।
কুরআন সম্পর্কে আপনার ধারণা অস্পষ্ট , ফলে কুরআন বাস্তবায়নের ত্বরিকা নিয়েও আপনি অন্ধকারে আছেন।......সহমত।এটাই কোরআন পন্থীদের শেষ আশ্রয়।
....... কি অদ্ভূত কথা! আপনি কুরআনের কথাকে রিফ্যুট করবেন, সেটা ঠিক আছে। কিন্তু তার কথাকে টুইস্ট করা কেন ভাই? কুরআন যা বলছে, কুরআনের বাহক সেটা যেভাবে বুঝেছেন এবং বুঝিয়েছেন আপনাকে সেভাবেই সেটা গ্রহণ করতে হবে।
২২৭ নম্বরে আপনি কি বুঝলেন, আমি তো বুঝলাম না। পুরা প্যারাটাকেই একসাথে আপনাকে বুঝতে হবে। আল্লাহর রাসূল (সা.) নিজে কবিতা শুনেছেন এমন হাদীসও আছে, সেগুলি এখানে বর্ণিত কবিদের মত ছিলো না বরং এক্সেপশনে বর্ণিত গুণাবলীর মতই ছিলো।
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১:২৩
স্তব্ধতা' বলেছেন: আপনার সাথে আলোচনা এগিয়ে নেয়াটা কঠিন।আমি পোষ্টের বিভিন্ন জায়গায় বলেছি মূল উদ্দেশ্য হলো কোরআন হাদীসের বিধানকে রাষ্ট্রের শাসনতন্ত্রে স্থাপন করা যায় কি না সে বিষয়ে।আমি ইনকম্প্যাটিবিলিটি গুলো ব্যখ্যা করেছি, অর্থনীতি, হিউম্যান রাইটস, ডেমক্র্যাসী, ইত্যাদির আলোকে।আপনি পরিষ্কার করে কিছুই বলছেননা এই তন্ত্র আপনি কি ভাবে রাষ্ট্রের মাথায় বসাবেন।আপনি যদি বলতে চান ডেমক্রেসী থাকবেনা, অটক্রেসী থাকবে, বা ডেমক্রেসী থাকলেও কি ফর্মে থাকবে, বর্তমান হিউম্যান রাইটস এক্ট কি ভাবে বাস্তবায়ন হবে বা নতুন করে কোরআনের আলোকে এক্ট হলে সেগুলির রুপ কি রকম হবে, পাথর ছুড়ে মারা হবে না কি বেত্রঘাত করা হবে, মূদ্রবাজার, অর্থনীতি যেগুলিতে কোরআনের কোন আধুনিক দিক নির্দেশনা নেই এবং যেগুলিতে শুধুই মডার্ণ থিওরী গুলোর উপর ইসলামী প্রলেপ, এই বিষয় গুলি নতুন শাসনতন্ত্রে কি ভাবে দেখা হবে, এসব আলোচনা করলে আলোচনাটা চলতে পারতো।তা না করে আপনি কোরআনের মহিমা ঘোষনা করছেন।যাই হোক টু দ্যা পয়েন্টে আলোচনা করলে আলোচনাটা চলতে পারে।
৩১| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ সকাল ৯:০৯
স্বদেশ হাসনাইন বলেছেন: ধর্ম বিষয়ক বিতর্কগুলো শেষ হওয়ার মতো নয়। এখানে নিয়মগুলো ব্যাখ্যাসাপেক্ষ আর সেই ব্যাখ্যা কখনো আক্ষরিক, কখনো রূপক, কখনো অভিজ্ঞতা ও সংস্কৃতি নির্ভর।
এরকম একটি বিষয়কে সুস্থ আলোচনার স্বার্থে আলাদা পোস্ট দেয়ার জন্য ধন্যবাদ
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১:০৬
স্তব্ধতা' বলেছেন: আপনাকে পেয়ে ভালো লাগলো।আসলে আস্তিক-নাস্তিক বিষয়টি নিয়ে তর্ক শেষ হবার নয়।এবং এই পোষ্টের মূল উদ্দেশ্যও তা নয়।মানুষের অনুসিন্ধুৎসু মন এর কারনে ধর্ম হাজার বছর চেষ্টা করলেও যেমন এথিজম এর মূলউৎপাটন করতে পারবেনা, তেমনি এথিজমও হাজার চেস্টা করলেও ধর্মের মূলউৎপাটন করতে পারবেনা মানুষের আত্মিক মুক্তির যে মানষিক চাহিদা আছে সে কারনে।তাই সেরকম কোন প্রচেষ্টাতেও আমি যাইনি।বা ধর্মের বিপক্ষেও বলতে বসিনি।এখন এই ধর্ম যখন আত্মিক মুক্তির অবস্থান থেকে সরে এসে ১৪০০ বছরের পুরোনো, অনেপনীয় বানী নিয়ে রাষ্ট্রীয় শাসন ব্যবস্থায় বসে সকলের জীবন তড়িকা নির্ধারন করে দেয়ার প্রচেষ্টা চালায় তখন সেটাকে মানতে পারাটা কষ্টকর। এখানে সেই ইনকম্প্যাটাবিলিটিটাই বলার চেষ্ট করেছি।ধন্যবাদ হাসনাইন।
৩২| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ সকাল ৭:০২
পি মুন্সী বলেছেন: আপনার এই পোষ্ট টা আগে দেখেছিলাম, পড়িনি। পরে আর ফিরে আসতে পারিনি। উপরে সর্বশেষ কথাবার্তা হতে দেখা যাচ্ছে এক সপ্তাহ আগে। তবু সাহস করে দেরিতে লিখছি।
১।
"মানুষের আত্মিক মুক্তির যে মানষিক চাহিদা" বলতে আপনি ঠিক কী বুঝেন বা এখানে বুঝিয়েছেন? পপুলার ধারণার জায়গা থেকে একটা ভাব নিশ্চয় বুঝতে পারি। কিন্তু আপনার সুনির্দিষ্ট ভাবনা টা জানতে পারলে ভাল হত।
২।এধরণের আলোচনায় অন্তত একটা পুর্বশর্ত সবাই মেনে চলতে পারলে কাজের কথা খামোখা ডালপালায় না ছড়িয়ে দ্রুত আগাতে পারে।
ধর্ম, ধর্মপুস্তক, গল্প বা এককথায় ধর্ম বিষয়াদি নিয়ে দুভাবে আলোচনা হতে পারে। এক, বিশ্বাসের ভিত্তিতে, ভক্তিতে, বিশেষ কোন ভঙ্গিমায় শক্ত হয়ে বসে। দুই, জ্ঞানপিপাসায় পুস্তকাদিকে জ্ঞানের বই গণ্য করে, যেখানে বসার ভঙ্গিমায় কোন বিশেষত্ত্ব নাই, বসলেই চলে, আর পুস্তকাদি sacred কিনা সে বিবেচনা এখানে একেবারেই গৌণ। যদিও জ্ঞানের বই মাত্রই sacred - এই বিবেচনাটা আমাদের করা উচিত আমার মনে হয় । সে যাই হোক, প্রথমটাকে যদি বিশ্বাসী-কর্ম বলি তবে দ্বিতীয়টা বিচার কর্ম। এখানে উপযুক্ত শব্দটা হবে 'বিচার', 'যুক্তি' না। রাগইমনকে দেখলাম একদম সঠিকভাবেই 'বিচার' শব্দটা ব্যবহার করে কথা বলেছেন; যদিও পরে ফলো করতে হবে কেন তিনি যুক্তি না বলে বিচার বললেন বা বলেন কেন?
৩।
এতে সুবিধা হলো, কারও কথা বিশ্বাসের দাবিতে বলা/লেখা নাকি বিচার করতে চেয়ে বলা/লেখা কথা সে ফারাক আলাদা করার জানার জন্য পাঠককে বিশেষ কান খাড়া করতে হবে না। কারণ কথা হবে হয় বিশ্বাসে নয়ত বিচারে - যেটা আলোচ্য কথা শুরুর আগে সবার কাছে সাব্যস্ত করা থাকবে। যারা বিশ্বাসের বাইরে কথাবার্তা শুনতে আগ্রহী না তারা আগেই বিরত থাকার সুযোগ নিতে পারে। আমার মনে হয়েছে এই আলোচনার শুরুতে এসব নিয়ে কোন বুঝাবুঝি ছিল না বলে কথার অভিমুখ সময়ে সময়ে ট্র্যাক ছেড়ে বাইরে চলে গিয়েছে।
৪।
স্তব্ধতার "গণতন্ত্র" খুবই বেশি করে আস্হা রেখে "মানবাধিকারের" উপর ঠেস দিয়ে দাড়িয়ে আছে। খোদ 'মানবাধিকার" নিজে স্তব্ধতার প্রশ্ন, বিচার পর্যালোচনার বাইরে থেকে আছে - এমন মনে করার কারণ আছে। এটাই এই পোষ্টের বড় দুর্বলতার দিক।
৫।
"অধিকার" কথাটা অভ্যস্ত কানে শুনতে ভাল লাগে। এর বিপদজনক দিকটা আমাদের বেশির ভাগেরই জানা হয় নাই। বিশেষত ইসলামের সাথে সামজ্ঞস্য বা কমপ্যাটিব্যালিটি যখন প্রসঙ্গ তখন এদিকটা খেয়াল রাখা দরকার। সে বিপদজনক দিকটা এখানে এখনই বিষদে বলার পরিসর নাই। কেবল একটা বাক্যে বলব। "অধিকার" একটা বর্ম বা জ্যাকেট; এমন এক জ্যাকেট যা গায়ে দিয়ে থাকলে "অ-পর" এর সাথে কোন সম্পর্কের সম্ভবনা নাই। "সম্পর্ক" কথার বিপরীত শব্দ হিসাবে একা দাড়িয়ে থাকে "অধিকার"। এমনকি নিদেন পক্ষে কারও সাথেই প্রেম করা, প্রেমমূলক সম্পর্কে জড়ানোও অসম্ভব।
আপাতত এতটুকুই।
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ সকাল ৯:১৯
স্তব্ধতা' বলেছেন: ধন্যবাদ পি মুন্সী।আপনার নাম লিষ্টে দেখে লগ ইন করলাম।সময় নেই হাতে।একটু সময় নিয়ে উত্তর দেব।এর মধ্যে আপনার আরও কিছু বলার থাকলে বলে যাবেন অবশ্যই।সহমত 'বিশ্বাস' ও 'বিচার' বা 'যুক্তি'র ক্ষেত্রে।আমার পোষ্টটাও বোধ হয় তাই বলে।পুস্তকটাই আমি গন্য করেছি, বিশ্বাসটা নয়।বিশ্বাসের ত্যানা প্যাঁচানোদের এখন থেকে ইগনোর করা হবে।আর মূল বিষয়টা খেয়াল রাখতে হবে, ইসলাম-কোরআনতন্ত্র কো আমরা একটা রাষ্ট্র যন্ত্রের শাসনতন্ত্র হিসেবে দেখতে চাই, এটা কতটুকু সম্ভব।এখানে 'কতটুকু' শব্দটাতে আবার ফ্যাকরা আছে, হলে পুরোটাই, আংশিক প্রতিস্থাপনের কোন সুযোগ নেই।উত্তর পরে এসে দেব।
আবারো ধন্যবাদ।
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১২:৪২
স্তব্ধতা' বলেছেন: মুন্সী ভাই, দৌড়ের উপর থেকেও আলোচনাটা চালিয়ে নিতে চাই।একটা একটা করে আসি।
প্রসঙ্গ-১: 'মানুষের আত্মিক মুক্তি' র ধারণাটি সম্ভবত কোন একটা মন্তব্যে বলেছিলাম প্রসঙ্গক্রমে।বিষয়টি এসেছিলো এই কারনে যাতে পোষ্টের আলোচনা বেশী ডাল-পালা না মেলে মূল একটা কন্টেক্সেটে সীমাবদ্ধ থাকে।
মানুষ আর কিছু না বুঝুক, প্রকৃতির কাছে নিজের অসহায়ত্বের অবস্থানটা সম্পর্কে অনেক আগেই নিশ্চিত হতে পেরেছিল।সূর্য যখন উঠে চারদিক আলোকিত হয়, আর যখন অস্ত যায় তখন অন্ধকার, যে অন্ধকার মানুষের মনে ভয়ের সৃষ্টি করে, দৃষ্টিতে প্রতিবন্ধকতা তৈরী করে, বিপদের আবহ তৈরী করে। সূর্যের এই আলো করার আশীর্বাদ স্বরূপ অসীম ক্ষমতার কাছে মানুষ আত্মসমর্পন করলো তার উপাসনা শুরু করে।সূর্য দেবতা বা সান গড হোরাস আকাশে বিচরণ করলেও গড হিসেবে তার অবস্থানটা মানুষের মনে। তার কাছে মানুষ আশ্রয় খুঁজলো, বিপদ থেকে পরিত্রাণের। প্রকৃতির কাছে অসহায় মানুষের এই আশ্রয় খোঁজাটা বা তার কাছে এই আত্ম সমপর্নের বিষয়টাকেই আমি আত্মিক মুক্তি বা আশ্রয় বলেছি, যাকে আপনি বিপদ হতে রক্ষা করার নিবেদেন/আর্তি ও বলতে পারেন।এই আর্তিটা খুব সাধারন, পিঁপড়েও খড়কুটো খোজেঁ বাচার জন্য।এই আত্মিক মুক্তির বা আশ্রয়ের বিষয়টিকে আমি আমার আলোচনার কন্টেক্সেটে আনতে চাইনা, কারন, সেটা অপ্রয়োজনীয়।অপ্রয়োজনীয় এই কারনে যে, পোষ্টেই বলা আছে, মূল আলোচনার বিষয় হলো, একটা বিধান আছে, সেই বিধানটি অনেপনীয়, এবং তাকে রাষ্ট্র যন্ত্রের শাসন চালিকা শক্তি হিসেবে বসানো যায় কি না সে বিষয়ে আলোকপাত।সেটি করতে গিয়ে, বিধানটি আমাদের যে জ্ঞান দেয়, তার আলোকে এবং তার যে ব্যবহার ইতিমধ্যে হয়েছে বা হচ্ছে, সেগুলোকে বিচার করে আমরা আলোচনাটাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি।কোরআন ঐশী কি না, বা জীবরাঈল কি ভাবে মর্তে আসতো, বা মানুষের প্রকৃতির কাছে বিশ্বাস এর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ কতটুকু যুক্তিযুক্ত, সে বিষয়গুলো এই আলোচনায় আসার কোন কারন দেখিনা।
প্রসঙ্গ:২: এ প্রসঙ্গে আগেই উল্লেখ করেছি।আমার কাছে জ্ঞানটাই মূখ্য।গ্রন্থটাই আলোচ্য।বিচার করতে হলে, তার মধ্যে যা আছে, তাকেই করতে হবে।আপনি এখানে আবার ‘স্যাকরেড’ শব্দটাকে জ্ঞানের পিলারে ঠ্যাস দিয়ে দাঁড়া করিয়ে কোরআনকে আর সব জ্ঞানতত্ত্বের সাথে যেভাবে এককাতারে নিয়ে আসলেন, কোরআন পন্থীরা নাখোশ হতে পারে।আবার আপনার বলা ‘স্যাকরেড’-এ হলিষ্টিক ক্যারেক্টারিস্টিক্সটা আমি খুজেঁ পাইতেছিনা, যেটা কোরআন বহন করে।যাই হোক, সে বিষয়ে বিতর্কে যাবোনা, ‘স্যাকরেড’ শব্দটা জেনারাইলজ করার পিছনে আপনার চিন্তাটা আমি ধরতে পারছি।
প্রসঙ্গ:৩: সহমত।আমি নিজে্ও কিছুটা ব্যাখা করছি।
প্রসঙ্গ:৪: গণতন্ত্রটারে এমন ভাবে একান্তই ‘আমার’ বানায় দিলেন মুন্সী ভা্ই? আপনি নিজেও গণতন্ত্র্রের ডকট্রিন প্রচার করতেছেনে আপনার বহু পোষ্টে, ঐ মতবাদের প্ল্যাকর্ড কিন্তু আপনেরও হাতে।যে কারনে ‘আমার গণতন্ত্র’ বলছেন, সেই কারনে যাই। কোন তন্ত্রই একক ও স্বতন্ত্র না।এর দাঁড়ায় থাকার জন্য পিলার লাগে, গণতন্ত্রেরও আছে, মানবাধিকারও সেরকম কোন একটা পিলারের অন্তর্ভুক্ত, সেই খানে সমস্যাটা কোথায়? হ্যাঁ পিলারের কাঠামো নিয়া আলোচনা করা যাইতে পারে, পিলারে খুঁত থাকতে পারে, সেইটা পরিবর্তন যোগ্য, পরিবর্তনের এই স্বাধীনতাটা ‘ইজম’ গণতন্ত্রই দিছে, কোরআন কিন্তু দেয় নাই।গণতন্ত্র ভর দিয়া আছে কোনো পিলারে, সেইটার সমস্যা নিয়া সেইটার দিকে প্রশ্ন ছোঁড়ার সুবিধা আপনার আছে, কিন্তু কোরআন তন্ত্রের কোন পিলার আপনার পছন্দ না হইলেও সেইটারে প্রশ্নবোধক চিহ্ন দিয়া চিহ্নিত করার উপায় কি?
প্রসঙ্গ:৫: অধিকার’ এর প্রসঙ্গটা বোধ হয়, মানবাধিকার বিষয়েই আপনি আনছেন।কিন্তু আপনি বোধ হয়, একেবারেই শাব্দিক ব্যাখ্যা খোঁজ করতেছেন যেইটা করতে গেলে, জীবনের অনেক কিছুই আর অর্থবহ থাকেনা।যেমন, ধরেন আত্মিয়’ শব্দটা।এখন বলেন, শুধুই আত্মার সাথে সম্পর্কিত কতজন আমাদের আছে, আর কতজনকে আমরা আত্মীয় বলি।মূলত, আলোচনাগুলো শুধুই শাব্দিক বিচারে না করে, কন্টেক্সেটচুয়াল আলোচনা করলে শব্দের সামাজিক উপাদান গুলোও দৃষ্টি গোচর হবে।
মূল আলোচনার টপিক্সটা মাথায় রেখে আলোচনাটা আমরা চালা্য় যেতে পারি।আমি এরকম কোন জ্ঞান নিয়া বসিনাই যে কোরআনকে শাসন তন্ত্রের মাথায় বসানো যাবেনা, আবার আমি আমার যে ক্ষুদ্র জ্ঞান, সেইটার সাথেও বিশ্বাসঘাতকতা করতে পারিনা।এই জ্ঞানের পরিধি বাড়ানোর প্রচেষ্টায় আছি। আপনার উত্তর শুনবো, সময় করে উত্তর দিয়ে যাবো।
ধন্যবাদ।
৩৩| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ বিকাল ৩:৫৭
পি মুন্সী বলেছেন: , "বিশ্বাসের ত্যানা প্যাঁচানোদের এখন থেকে ইগনোর করা হবে: - প্রসঙ্গে আমার পরামর্শ থাকবে, ইগনোর বলতে ঠিক খড়্গহস্ত না, বুঝিয়ে বলা, "আপনার কথাটা বিশ্বাসী ভিত্তির উপর দাড়িয়ে বলা" এই ভাব থেকে । কারও বিশ্বাসকে বিচার করতে বসা যায় না। আপনার বিশ্বাসকে শ্রদ্ধা জানিয়ে পাশে সরিয়ে রাখলাম। তাই বিষয়টা বিচার করা যাচ্ছে না, ওখানেই ফুল ষ্টপ। এভাবে। এতে তর্কের মুখ সিধা রাখা সুবিধা পাওয়া যাবে।
বিচার ও যুক্তি:
শব্দ দুটো নিয়ে একটা জ্ঞানতাত্ত্বিক সতর্কতার দরকার আছে। জ্ঞানতাত্ত্বিক বলতে কোন চিন্তা/কথা শুরুর আগে কোনটা জ্ঞান হয়েছে আর কোন জ্ঞান হয়নি, বা জানা নয় - জ্ঞান সংগ্রহের সে বিষয়ে তত্ত্ব, পদ্ধতিগত একটা প্রি-আন্ডারষ্টান্ডিং।
Reason বা ইম্মানুয়েল কান্টের Pure reason অর্থে যুক্তি একমাত্র ভরসা করে বুদ্ধি, মানুষের এই ফ্যাকাল্টি বা বৃত্তির উপর। আর সবচেয়ে বড় কথা, বুদ্ধি কোন ইন্দ্রিয়বৃত্তি বা আমাদের পঞ্চ ইন্দ্রিয়ের কারবার নয়।
সারকথায়, যুক্তি বলতে ইন্দ্রিয়বৃত্তির ভুমিকা নাকচ করে, একমাত্র বুদ্ধি বৃত্তির উপর দাড়ানো ফলাফল মনে করা হয়। এখানে ইন্দ্রিয়বৃত্তির উপর বুদ্ধি বৃত্তিকে জায়গা দেয়া হয়।
বিপরীতে বিচার পর্যালোচনা বলতে ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য তৎপরতা (Sensuous activity) এবং বুদ্ধি - মানুষের এই উভয় ফ্যাকাল্টি বা বৃত্তির ব্যবহার ও ভুমিকা সেখানে বহাল থাকে।
ফলে বিচার ও যুক্তি কথাদুটোকে সমার্থক মনে না করার দিকে সতর্কতার দরকার আছে।
তিন নম্বর প্রসঙ্গ:
পাক নাপাক বা Pure পিউরিফাই প্রসঙ্গে।
পাক পবিত্র বা সাধারণভাবে পরিস্কার ধারণাটা মুলত একটা সামাজিক ধারণা (social notion)। মানুষ একসাথে সামাজিকভাবে বসবাস জীবনধারণ করতে গিয়ে যেসব মুল্যবোধ, বিশ্বাস, ধারণা সামাজিকভাবে তৈরি হয় পাক পবিত্র বা পরিস্কার বিষয়ক ধারণা।
এ বিষয়ে একটা সমাজতত্ত্বীয় আলোচনা করার ইচ্ছা আছে দেখি এনিয়ে আলাদা এক পোষ্ট দিতে পারি কী না।
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১২:৫০
স্তব্ধতা' বলেছেন: আপনার সাথে অনেক আলোচনার অভিজ্ঞতায় আমি এটুকু বুঝতে পারছি, আলোচনার আগে আলোচনা তৈরী করার জন্য নির্দিষ্ট একট ফ্রেম ওয়ার্ক তৈরী করাটা আপনার জন্য জরুরী, যে ফ্রেমওয়ার্কের মধ্যে থেকে আপনি আলোচনা করবেন।সেই ফ্রেম ওয়ার্কটাই আপনি তৈরী করতেছেন, এটা আমি বুঝতেছি।সাথে আছি।চালায় যান।আমি ফ্রেমের মধ্যে থেকেই আপনার সাথে আগাবো।'পাক পবিত্র' বিষয়টা বিষয়টার কন্টেক্সচুয়াল ব্যখ্যাটা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ কারন, সেই ব্যখ্যাটাই ওল্ডটেষ্টামেন্ট, নিউটেষ্টামেন্ট, তারপর কোরআনে আসছে।আপনি সোশিওলজ্যিক্যাল একটা পোষ্ট দিতে পারেন এ বিষয়ে কাজে দেবে।
৩৪| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ দুপুর ২:০৩
সুবিদ্ বলেছেন: আমি খুব সরল দৃষ্টিকোন থেকে প্রথম প্রশ্নের বিষয়ে হিসেবে একটা কথা বলি, সেটা হলোঃ নাপাক-বোধ হওয়া একটি মানসিক ব্যাপার, ধর্ম যে বোধের প্রধান লালনকর্তা আর সমাজ তার পৃষ্ঠপোষক...
আমি কোথাও শুনিনাই, menstruation-এর সময় নারীদের নামাজ-কালাম বন্ধ রাখার কথা, একটু খোঁজ নিতে হবে...তবে পুরুষরাও কিন্তু বীর্যপাতের পরে (হোক সেটা স্বমেহন বা অনিচ্ছাকৃত বা স্বপ্নদোষ) ফরজ গোসল সেরেই অর্থাৎ পাক-পবিত্র হয়ে নামাজ- পড়ে থাকে...
তো এইক্ষেত্রে নারী-পুরুষের ব্যাপারে কিন্তু ইসলাম ঠিক বৈষম্য করে নাই বলেই মনে হচ্ছে আমার
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ সকাল ৮:২২
স্তব্ধতা' বলেছেন: ধন্যবাদ সুবিদ।আসলে এই বিষয়টির ব্যখ্যা বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্নরকম।কোরআনে ইমপিউরিটি শব্দটি আছে, আবার তার পরের আয়াতটিও গুরুত্বপূর্ণ এই ইমপিউরিটির অর্থ বোঝার জন্য।এই বিভাজিত দৃষ্টিভঙ্গীর অবতারনা হয়েছে কারন একটি আয়াত ধরলে একরকম ব্যখ্যা হয় আবার পরেরটি সহ ধরতে গেলে আরেক অর্থ দাঁড়া করানো যায়।অর্থ্যাৎ ভিন্ন ভিন্ন রাস্তায় হাঁটার সুযোগ আপনার আছে।আর তাই হয়েছে। আমেরিকার স্কলাররা এই ইমপিউরিটি কন্সেপ্ট অস্বীকার করেন, আবার মধ্যপ্রাচ্য/আরবজাহান ভিত্তিক ইসলামানুসারীরা এটা মেনে চলেন।
পুরুষের বীর্যপাতের সাথে বিষয়টার তুলনাটা সমমানের হয় কি? বীর্যপাতের পর গোসল দিলেই হযে যাচ্ছে, কিন্তু মেয়েদের ঐ সময়টা দীর্ঘ এবং গোসল করলেও পিউরিটি আসছেনা (যদি ইমপিউরিটির ধারনাটা স্বীকার করে নেই)। নামাজ যেখানে ফরজ করা হয়েছে মৃত্যুর সময় যখন উপস্থিত তখনও, সেরকম একটা গুরুত্বপূর্ণ কাজ মাসিকের সময় ছাড় দেয়া হয়েছে, সেটার পিছনে আসলে সামাজিক 'নাপাক' ধারনাটার প্রভাবই প্রকট হয়ে চোখে পড়ে।তবে এই পোস্টে আমি মূলত দ্বিতীয় পয়েন্টটির দিকে জোর দেয়ার চেষ্টা করেছি, যে শাসন তন্ত্রের মাথায় একটা তন্ত্র কে কিভাবে বসানো যায়, যা গ্রহনযোগ্যতা পাবে, বা সেটা আদৌ সম্ভব কি না।
পাঠে ও মন্তব্যে আবারও ধন্যবাদ।
৩৫| ০২ রা অক্টোবর, ২০১০ ভোর ৬:৩৯
রাগ ইমন বলেছেন: প্রেজেন্ট ম্যাডাম বলে পালিয়ে গেলাম। অনেক কথাই বলার আছে কিন্তু মাথা গরম হয়ে আছে বলে এত গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নে এখন লিখছি না।
মুন্সী ভাইকে দেখে ভালো লাগ্লো। আমার অনেক কথার ব্যাখ্যাই আমি আগে থেকে দিয়ে নেই না। উনি কষ্ট করে ফ্রেমটা তৈরী করছেন দেখে কৃতজ্ঞতা।
বিশ্বাস প্রশ্নে আমিও মুন্সী ভাইয়ের সাথে একমত। বিশ্বাসীর বিশ্বাসকে আমি কোমল ভাবেই বুঝিয়ে বলতে চাই, বিশ্বাস নিরপেক্ষ আলোচনার ( নিরাসক্ত শব্দটা হয়ত আরেকটু উপযুক্ত) ক্ষেত্রে বাধার সৃষ্টি করে।
পাশাপাশি, আরেকটু বলতে চাই যে, সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে বিপরীত মুখী ধারণার অবস্থান থেকে দেখার দৃষ্টি থাকাটাও জরুরী।
পদ্মাচরের লাঠিয়াল, ১৯ নম্বরে আপনার সারাংশটা খুবই সুন্দর হয়েছে। এর সাথে যোগ করুন, ইসলামকে একজন বিশ্বাসী নয়, একজন যুক্তিবাদী জ্ঞানীর চোখে দেখলে অন্য যে কোন তন্ত্রের বা গাইড বুকের সাথে তুলনা করলে আমরা কি পাব।
এর মানে হলো, কুরআন একটা গাইড বই। এই বইয়ে কিছু নিয়ম কানুন বর্ননা করা আছে । এই নিয়ম কানুন গুলো পৃথিবীতে মানুষের সোশাল, ইকোনোমিক ও পলিটিকাল জীবনের সাথে সম্পর্কিত ।
আমাদের বিবেচ্য বিষয় হলো, সোশাল- ইকোনমিক ও পলিটিকাল অন্যান্য তন্ত্রের সাথে তুলনা করে , মুহম্মদের এর দেওয়া তন্ত্র কেমন স্কোর করে বা করতে পারে।
সুতরাং, এখানে ইসলামকে দেখতে হবে , এ্যাজ এ সেট অফ ইন্সট্রাকশন।
০২ রা অক্টোবর, ২০১০ সকাল ৭:০১
স্তব্ধতা' বলেছেন: আমাদের বিবেচ্য বিষয় হলো, সোশাল- ইকোনমিক ও পলিটিকাল অন্যান্য তন্ত্রের সাথে তুলনা করে , মুহম্মদের এর দেওয়া তন্ত্র কেমন স্কোর করে বা করতে পারে।.....সহমত ম্যাডাম।লেটস কিক অফ।আমিও দৌড়ের উপর আছি।সময় করে হাজিরা দিব।
©somewhere in net ltd.
১|
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১০ দুপুর ২:৩১
পদ্মাচরের লাঠিয়াল বলেছেন: পর্যবেক্ষণে- মাসিক নিয়া হাদিস গুলাও দ্যান।