![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গ্রামীণফোন দেশের বেশির ভাগ এলাকায় ৩জি ইন্টারনেট কভারেজ না দিয়েই গত ৩০ মার্চ থেকে পুরো দেশে সকল ২জি ইন্টারনেট প্যাকেজ বন্ধ করে দিয়ে বেশি দামের ৩জি ইন্টারনট
ডাটা বিক্রি শুরু করেছে।
এতে করে ২জি কভারেজ এলাকার গ্রাহকগণ ৩জি সেবা না পেলেও বাধ্যতামূলক ভাবে ৩জি ডাটা কিনতে বাধ্য হচ্ছেন। গ্রাহকদের অভিযোগ ২জি নামের বিরক্তিকর স্লো গতির ইন্টারনেট ব্যবহার করে ও তারা ৩জির বিল গুনছেন যা সম্পূন অযৌক্তিক এবং বিষয়টি ব্যবসার নামে গ্রাহকদের সাথে প্রতারণার সামিল। বিষয়টি এমন হচ্ছে যে, গ্রাহকগণ সেবা ব্যবহার না করেই সেবার অগ্রিম বিল দিচ্ছেন।
গ্রামীনের নতুন এ প্রতারণা মূলক প্যাকেজটি সম্পকে লক্ষ্মীপুরের সাংবাদিক সানা উল্লাহ সানু জানান, আমার এলাকায় গ্রামীণের ৩জি কভারেজ নেই। আমি দীঘ দিন থেকে ২জি ইন্টারনেট ব্যবহার করছি। একতা প্যাকেজের একটি বিশেষ সীমে প্রতি মাসে ২৮৭.৫ টাকা হারে ২জি ইন্টারনেট একাধিক বার কিনে ব্যবহার করছি। গত ৩০ মার্চ তারিখে আমি ইন্টারনেট প্যাকেজ রিনিউ করতে গিয়ে দেখি আমার সে প্যাকেজটি বতমান মূল্য ৪৫০.৫টা । পক্ষান্তরে মাত্র ১জিবি ডাটার বতমান মূল্য ২৮৭.৫ টাকা।
এতে আমি ক্ষুব্ধ হয়ে গ্রামীনের গ্রাহকে সেবা কেন্দ্রে কল দিয়ে প্যাকেজের মূল্য বৃদ্ধি বিষয়ে জানতে চাইলে তারা আমাকে জানায়, আজ থেকে গ্রামীণের সকল ২জি ডাটা প্যাকেজ বন্ধ এবং সকল গ্রাহককে বাধ্যতা মূলক ভাবে ৩জি ডাটা কিনতে হবে।
আমি তাদের এ সিদান্তের প্রতিবাদ করে জানতে চাই, আমি তো ৩জি কভারেজে নেই এবং স্লো গতির ২জি কভারেজে আছি। তাহলে আমি কেন সেবা না পেয়ে ও দ্বিগুণ দামের ৩জি ডাটা প্যাকেজ কিনতে বাধ্য থাকব। এর জবাবে গ্রাহক সেবা কেন্দ্র থেকে বলেন, এটাই নাকি গ্রামীণের সিদ্ধান্ত।
গ্রামীণের এ ডাটা প্যাকেজে সম্পকে ওই দিনই আমি বাংলাদেশ টেলিরেগুলারেটি কমিশনের কাছে অভিযোগ আকারে তাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে জমা দিই। কিন্তু এর কোন উত্তর পাইনি।
লক্ষ্মীপুর গ্রামীণের ডিস্ট্রিবিউশন নবারুণ এন্টারপ্রাইজের দেয়া তথ্য মতে লক্ষ্মীপুরের ৫টি উপজেলার মধ্যে জেলা শহর লক্ষ্মীপর, রামগঞ্জ, রায়পুর এবং কমলনগর উপজেলা সদরের মাত্র ৪টি বিটিএসে ৩জি কভারেজ রয়েছে এবং যার আওতায় গ্রাহক সংখ্যা ২০ হাজার। অন্য দিকে লক্ষ্মীপুরের ৫টি উপজেলার ৫৮টি ইউনিয়নে গ্রামীণের প্রায় ২শ ১৬টি বিটিএস রয়েছে। যাদের আওতায় গ্রাহক সংখ্যা প্রায় ৮ লাখ।
নিয়মিত প্রযুক্তি ব্যবহারকারি এবং কমলনগরের উপসহকারী কৃষি কমকতা সালেহ উদ্দিন পলাশ জানান, মাত্র ২০ হাজার গ্রাহককে ৩জি দিয়ে গ্রামীণ ফোন ৮লাখ গ্রাহক থেকে ৩জি বিল নিচ্ছে এ এক অদ্ভূত প্রতারণা।
কমলনগরের নুরুল হুদা মাটিনি বলেন, গ্রামীণ ফোন বেশি লাভের সন্ধান করতে গিয়ে গ্রাহকদের স্বার্থ বিবেচনায় আনতে ব্যর্থ হচ্ছে। নতুন নুতুন প্রতারণামূলক ব্যবসা শুরু করেছে।
একই সময়ে ২জি ইন্টারনেট ব্যবহারকারীগণ গ্রামীণের এ প্রতারণামূলক ব্যবসা বন্ধ করার জন্য বিটিআরসির সহযোগিতা কামনা করেছেন।
২| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১১:২৯
ঢাকাবাসী বলেছেন: বিআর..সর সবাই ঘুষ খাচ্ছে হর রোজ গুষ খাচ্ছে আর বাড়ী কিনছে গাড়ি পাল্টাচ্ছে। জিপির কি দুষ? সে যদি ঘুষ দিয়ে টুবিলিয়ান টাকা বানাতে পারে মাসে তো মন্দ কি?
©somewhere in net ltd.
১|
০৮ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১২:১৪
এস কাজী বলেছেন: আগে অন্তত ১জিবি ২জি ডাটা কিনলে এক জিবি ফ্রি পাওয়া যেত। এখন দাম কমানোর নাম করে কমিয়ে দিয়েছে এক্সট্রা ১ জিবি। পুরোই জুচ্চুরি শুরু করেছে। অনেকের আবার ৩জি সাপোর্টটেড সেট নেই। তাদের বাধ্য হয়ে ৩জি এর দামে ২জি ডাটা কিনতে হচ্ছে। ব্লাডি বিজনেস মাইনডেড জিপি।