|  |  | 
| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস | 
জলবায়ু পরিবর্তনঃ ইসলামের দৃষ্টি ভঙ্গি
 পৃথিবীর সবকিছু আল্লাহ তাআলা মানুষের বাসযোগ্য করে সৃষ্টি করেছেন। সুর্যের আলো ও তাপ, চাঁদের জোসনা, বৃষ্টিপাত, কুয়াশা, ঠান্ডা-গরম, সবকিছু আল্লাহ তাআলা পরিমিত করে সৃষ্টি করে দিয়েছেন যাতে প্রাণীকুল স্বাচ্ছন্দে বসবাস করতে পারে। এগুলোর হেরফের হলে এ জগতে মানুষসহ কোণ প্রাণী বসবাস করতে পারতো না। সবকিছুই মানুষের অনুকুলে সহনীয় করেছেন। ইরশাদ হচ্ছে- 
১.‘আর আমি সব কিছু সৃষ্টি করেছি নির্ধারিত পরিমাণ অনুযায়ী,- সুরা ক্কামার,আয়াত নাং  ৪৯
২. এবং প্রতিটি বস্তুই আল্লাহর নিকট পরিমিত রয়েছে। সুরা রআদ, আয়াত নাং  -৮
৩. তিনি তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন মাটি থেকে এবং সেখানে তোমাদেরকে আবাদকারী বানিয়েছেন। সুরা হুদ, ৬১ 
৪. তোমরা কি দেখনা নভোমন্ডল ও ভু মন্ডলে যা কিছু আছে সব কিছুই আল্লাহ তাআলা তোমাদের কাজে নিয়োজিত করে দিয়েছেন এবং তোমাদের প্রতি তার প্রকাশ্য অপ্রকাশ্য  নিআমাতসমূহ পূর্ণ করে দিয়েছেন? রুম, ২০ নাং আয়াত।
উপরোক্ত আয়াতগুলো থেকে আমরা সুস্পস্টভাবে নির্দেশ পাচ্ছি যে আল্লাহ আমাদের জন্য তাই দান করেছেন যা যতটুকু দরকার সেভাবেই।  কিন্তু মানুষ নিজেই যদি সেগুলোর ভারসাম্য বিনষ্ট করে তবে তার জন্য মানুষকে, মানব জাতিকে খেসারত দিতে হবে। শাস্তি ভোগ করতে হবে। তবে সেই শাস্তি শুধু আখিরাতের জাহান্নামই নয় বরং এ বাসযোগ্য পৃথিবীতে ভারসাম্য নষ্ট করার কারণে এ দুনিয়াতেও  মানব জাতিকে শাস্তি ভোগ করতে হবে।  আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন- 
স্থলে ও জলে মানুষের কৃতকর্মের দরুন বিপর্যয় ছড়িয়ে পড়েছে, আল্লাহ তাদের শাস্তি আস্বাদন করাতে চান, যাতে তারা ফিরে আসে। রুম-৪১
মানুষের কৃত কর্মই বিপর্যয় ছড়িয়ে পরার কারণ। ২১তম বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এটি আজ স্বীকৃত যে পূর্বের যে কোন সময়ের চেয়ে গ্রীন হাউস ইফেক্টের কারণে পৃথিবীতে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে। এবং প্রতি বছর ০৫ ডি.সে করে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০০৭ সালের প্যারিস সম্মেলনের ৫শ বৈজ্ঞানিক এ বিষয়ে একমত হয়ে বিবৃতি প্রদান করেছে যে এ 
তাপমাত্রা বৃদ্ধির একমাত্র কারণ মানুষের কর্মের ফল।
 এখন আমরা দেখবো মনুষ্য সৃষ্টি এ তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে কী কী বিপর্যয় পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়েছে। বিশেষ করে বাংলাদেশে--
জলবায়ু পরিবর্তনে বাংলাদেশের উপর নেতিবাচক প্রভাব
১.বৃষ্টিপাত হ্রাস (২০০৯ এর তুলনায় ২০১০সালেই ৯ হাজার মিলিমিটার বৃষ্টিপাত কমেছে ফলে আমন ধানের ফলন কমে গেছে 
২. লবণাক্ততা বৃদ্ধি =বিশেষজ্ঞদের অভিমত  ১৯৯০ সালে লবণাক্ত ভুমির পরিমাণ ছিল ৮লাখ ৩০ হাজার হেক্টর আর ২০০১ সালে তা দাড়িয়েছে ৩০লাখ ৫০ হাজার হেক্টর ফলে সুন্দর বন আক্রান্ত হতে হতে বিলুপ্তির দ্বার প্রান্তে এসে পৌছেছে।
৩. অস্বাভাবিক তাপমাত্রা স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের তাপমাত্রা বাড়তে বাড়তে ৪৫ ডিগ্রি সে. এসে পৌছেছে। আশঙ্কা প্রকাশ করা হয় প্রতি বছর ০.৫ ডি সে তাপমাত্রা বাড়তে থাকলে বাংলাদেশ নিজস্ব চরিত্র হারাবে। গড় তাপমাত্রা বাড়বে
  ৪. খড়া, মরুকরণ ধীরে ধীরে অনাবৃষ্টির কারণে খড়ার কবলে পড়ছে দেশ ফলে ২০৫০ সালে প্রায় ৮০ লক্ষ মানুষ উদ্বাস্তুতে পরিণত হবে
 
৫. ভুগর্ভস্থ  পানির অভাব= ফলে সুপেয় পানির তিব্র সঙ্কট দেখা যাচ্ছে।
 ৬. প্রাকৃতিক দূর্যোগ,  জার্মান ওয়াচ এর তথ্য মতে ১৯৯০-২০০৯ পর্যন্ত ১৯ বছরে ২৫৪টি দুর্যোগ আঘাত হেনেছে।
৭. ঘুর্ণিঝড় টর্নেডোঃ গত এপ্রিলে বগুড়ায় ৫ মিনিটের টর্ণেডোতে হাজার হাজার বাড়িঘর উড়ে যায়। 
 ৮. জ¦লোচ্ছাস ঃ ২০০৭ এবং ৮ সালে সিডর, নার্গিস , আইলাসহ ছোট বড় ৭টি জ্বলোচ্ছাস হয় যাতে দেশের ট্রিলিয়ন সম্পদ বিনস্টসহ হাজার হাজার প্রাণহানী হয়
৯. স্থায়ী  জলাবদ্ধতা ঃ এর কারণে দক্ষিণাঞ্চলে শীতের সিজনেও মানুষের ঘরে পানি প্রবেশ করছে। 
 
১০. শীলাবৃষ্টি ঃ এমনিতেই বেড়ে যাচ্ছে শীলা বৃষ্টি কিন্তু ইদানিং তা গজবের আকৃতি ধারণ করছে, যেমন- লালমনির হাটের কালীগঞ্জে ও  হাতীবান্ধায় ২০ মিনিট স্থায়ী শীলা বৃষ্টি হয়ে যায়। ফলে ছোট বড় ঘরের চাল পর্যন্ত বিধ্বস্ত হয়ে যায়। প্রত্যক্ষদর্শীর বরাতে প্রকাশ ছোট শীল আধা কেজি আর বড়গুলো দেড় কেজি পর্যন্ত ওজন ছিল।
  ১১.অতিবৃষ্টিঃ বিশ্ব ব্যাঙ্কেও তালিকায়  ঝুকিপূর্ণ ১২টি দেশের প্রথমটি বাংলাদেশ। ভারত ও নেপালের বৃষ্টির পানিসহ বরফ গলা প্রায় ১০৯৪ বিলিয়ন কিউবিক পানি দেশের নদ-নদীতে প্রবাহিত হয়ে সমুদ্রে গিয়ে পড়ছে ফলে ১৫ লক্ষ হেক্টর আবাদি জমি সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।
১২. নদী ভাঙনঃ  পদ্মা, যমুনা, মেঘনা, ব্রক্ষ্রপুত্রের প্রায় ১২ শ কিলোমিটার জুড়ে ভাঙন অব্যাহত আছে আরো প্রায় ৫শ কিলো হুমকির মুখে
  ১৩. ভুমিকম্পঃ  দেশে  কী পরিমাণ ঝুকি বেড়েছে তা সচেতন মানুষ মাত্রই  জ্ঞান রাখেন। বিগত ১৪ সালে পর পর বেশ ক’টি ভুমিকম্প হবার কারণে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। 
১৪.  সুনামির সম্ভাবনাঃ   বিশেষজ্ঞদের মতে বাংলাদেশের উপকুলে ৮শ মিটার পর্যন্ত বিস্তৃত ফল্ট এলাকায় ভুমিকম্প হলে ১৩ফিট উচ্চতার সুনামি দেশে আঘাত হানতে পারে।
  ১৫. সমুদ্র সÍরের উচ্চতা বৃদ্ধি  বঙ্গোপসাগররে সাথে বাংলাদশেরে রয়ছেে ৭১০ কলিোমটিার র্দীঘ উপকূলভাগ থাকায় দনিে দনিে সমুদ্রস্তররে উচ্চতা বৃদ্ধতিে ডুবে যাবার আশংকায় রয়ছেে বাংলাদশে।[১৯] টঘঋঈঈঈ'র দযে়া তথ্যমত,ে বংিশ শতাব্দতিে সমুদ্রপৃষ্ঠরে গড় উচ্চতা ১০-২০ সন্টেমিটিার বডে়ছেে এবং ২০১১ খ্রস্টিাব্দ নাগাদ আরো ১৮-৫৯ সন্টেমিটিার র্পযন্ত বাড়লে মালদ্বীপসহ তলিয়ে যাবে উপকূলর্বতী দেশ বাংলাদেশও।[৫৩] জাতসিংঘরে আন্তসরকার জলবায়ু পরর্বিতন সংক্রান্ত প্যানেল-এর তথ্যমতে ২০৫০ সাল নাগাদ সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা ১ মিটার বৃদ্ধির কারণে বাংলাদশেরে অন্তত ১৭% ভূমি সমুদ্রর্গভে তলিয়ে যাবে
 
১৬. প্রাকৃতিক সম্পদ হ্রাস  ইউনস্কেোর "জলবায়ুর পরর্বিতন ও বৈশ্বিক ঐতিহ্যের পাঠ" র্শীষক প্রতবিদেনরে তথ্যমত, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধিসহ বৈশ্বিক জলবায়ু পরর্বিতনরে বিভিন্ন কারণে সুন্দরবনরে ৭৫% ধ্বংস হয়ে যতেে পারে।
এছাড়াও-
১৭.  জীবজন্তুর অবলুপ্তি
 ১৮. উদ্ভিদ প্রজাতির ধ্বংস 
১৯. পক্ষি প্রজাতির ধ্বংস
  ২০. কৃষি ভিত্তিক উৎপাদন হ্রাস  ঃ কৃষপ্রিধান বাংলাদশেে কৃষভিত্তিকি উৎপাদনরে জন্য যখোনে ছলিো যথাযোগ্য তাপমাত্রা, ছলিো ছয়টি আলাদা আলাদা বশৈষ্ট্যিমন্ডতি ঋতু, সখোনে দনিে দনিে জলবায়ু পরর্বিতনরে কারণে ঋতু হারযি়ে যতেে বসছেে এবং তার সাথে সাথে বৃষ্টপিাত, তাপমাত্রা সবকছিুতে আমূল পরর্বিতন আসছ।ে
২১. খ্যাদ্য সঙ্কট ঃ বর্তমানেই এ বাংলাদেশেই প্রতিদিন ৬০ লক্ষ মানুষ দু বেলা খাবার পায়। ভবিষ্যতে এটা বৃদ্ধি পাবার সম্ভাবনা বাড়তে পারে।
 ২২. জীবিকার উৎস ধ্বংস ঃ জেলেরা কর্মহীন হয়ে পড়বে। কৃষকরাও হারাবে তাদের আবাদী জমি। এভাবে কর্মহীন হবে লাখ বনি আদম।
 ২৩.  স্বাস্থ্য ঝুকিতে মানুষ  
জলবায়ু পরর্বিতনরে বিরুপ প্রভাবে নানারকম স্বাস্থ্যঝুঁকতিে রয়েছে বাংলাদশের মানুষ। শ্বাসকষ্ট, হীটস্ট্রোক বা গরমজনতি মৃত্যু কিংবা তীব্র ঠান্ডাজনিত মৃত্যু ইত্যাদি এখন খুব সাধারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশ্ব বিখ্যাত স্বাস্থ্য সাময়কিী ল্যানসটে, বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য-প্রভাব নিয়ে করা তাদের গবষেণা রিপোর্টে জলবায়ুর পরিবর্তনের প্রভাবে যেসব রোগের প্রকোপ দেখা  দিতে পারে, সে সম্বন্ধে উল্লখে করছে: সংক্রমণ ও কীটপতঙ্গবাহি রোগের ধরণে পরর্বিতন আসবে। তাপপ্রবাহে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়বে জলোচ্ছাস, র্ঘূণঝিড়, কালবশৈাখী ইত্যাদতিে আক্রান্ত হয়ে সরাসরি জখমরে সংখ্যাও বাড়বে
 
২৪. অপুষ্টি  
২৫. রোগ ব্যাধী  
২৬ .  সামাজিক অবক্ষয় ঃ মানুষ বস্তুহারা হয়ে শহরে ভীর জমাচ্ছে। অতিরিক্ত মানুষের কর্ম না থাকায় তারা অপরাধের  দিকে ঝুকে পড়ছে। ফলে সমাজে বিশৃঙ্খলা, অপরাধ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
 ২৭. অর্থনৈতিক ক্ষতি ঃ কৃষি, শিল্প কারখানাসহ সকল কিছুতেই এর প্রভাব পড়ার কারণে অর্থনৈতিক ক্ষতি সাধিত হচ্ছে ব্যাপকভাবে। 
পরিবেশ সংরক্ষণে ইসলামের সমাধানঃ 
রাসুল সা. থেকে পরবর্তি ১৪ বছর কোন প্রকার প্রাণি হত্যা গাছ কাটা নিষিদ্ধ ছিল। যুদ্ধে এ ব্যাপারে সেনাপ্রধানকে নির্দেশ প্রদান করা হতো যেন যুদ্ধ কবলিত এলাকায় কোন গাছ-গাছালি উপড়ানো বা কর্তন করা না হয়।
১. রাসুল সা. ইরশাদ করেন- যদি কিয়ামত সংঘটিত হওয়ার মূহুর্তেও তোমাদের কারো হাতে একটি চারাগাছ থাকে, তাহলে সে যেন সেই বিপদ সঙ্কুল মুহুর্তেও তা রোপন করে দেয়। আদাবুল মুফরাদ
২. 
৩. নমল ৮৮
৪. ধুমপান নিষিদ্ধ হওয়া
৫. আতর সুগন্ধি ব্যবহারে উদ্ধুদ্ধকরণ
৬. রাস্তার কষ্টদায়ক বস্তু সরিয়ে ফেলা
৭. পানির বিশুদ্ধতার জন্য নির্দেশ
৮. - যে ব্যক্তি গাছ কাটবে আল্লাহ তাআলা তার মাথাকে আগুনে নিক্ষেপ করবেন- (আবু দাউদ ৫২৪১)
 প্যারিস সম্মেলন  প্রসঙ্গে ০৪/১২/২০১৫ ইংরেজি তারিখে জুমআর খুৎবা প্রদান। 
বাইতুল আতিক কেন্দ্রিয় জামে মসজিদ, বারিধারা ,ঢাকা
জলবায়ু পরিবর্তনঃ ইসলামের দৃষ্টি ভঙ্গি
                                     - মুফতি মনোয়ার হোসেন
(হাফেয, দাওরা হাদীস, ইফতা, কামিল)
 ০ টি
    	০ টি    	 +০/-০
    	+০/-০©somewhere in net ltd.