নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভেঙে চলেছি হৃদয় পাথর ব্যার্থ সময়ের মুগুরে

সর্বভূক

ভেঙে চলেছি হৃদয় পাথর কঠিন সময়ের মুগুরে।

সর্বভূক › বিস্তারিত পোস্টঃ

চিরকূট রহস্য।

১৪ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:২৮

মেয়েটা দিন দিন মাথায় চেপে বসছে হিমেলের।দূরে কিছুতেই সরানো যায় না তাকে।এক এক সময় এই মেয়েটির উপস্হিতি তার জীবনে আনন্দের অস্তিত্বকে ভুলিয়ে দেয়।সে জানে বাস্তবে মেয়েটির কোন অস্তিত্ব নেই।তার যত দৌড়-ঝাপ হিমেলের মনে আর মস্তিস্কে।একটা সময় ছিল যখন তাকে ঘিরে থাকত বন্ধু-বান্ধবদের আড্ডা।কিন্তু সময়ের স্রোতে সে এক বন্ধুহীন মানুষ আজ।তার এই একাকিত্বটাকে পূঁজি করে মেয়েটা তাকে বার বার অসহায় করে তোলে।মেয়েটির নামটা পর্যন্ত জানে না হিমেল।অসংখ্যবার কথা বলতে গিয়েও হিমেল হার মানে মনের কাছে।সে জানে না কি এত ভয় তার??? Graduation শেষ হবার পর থেকেই বাড়িতে বসে থাকাটা হিমেলের profession হয়ে দাড়িয়েছে।বিভিন্ন জায়গায় বায়োডাটা পাঠানো আর ডাক এলে টাই গলায় এটে ইন্টারভিউ বোর্ডে হাজির হওয়াটা তার মাসিক কর্তব্যে গিয়ে ঠেকেছে।বাড়ির বাজার-টাজার…আদা-রসূন নিয়ে তার কোনকালে মাথাব্যথা ছিল না।সে জানে বাজারে গেলে এক কেজি আলু কিনতে গেলেও সে ঠকে আসবে।তারচে বড় কথা হল সাংসারিক কাজে জড়িয়ে পড়লে বেরুনো বড় মুশকিল।





হিমেল যখন রাতে তার বিছানায় শুয়ে পড়ে মেয়েটিও লাজ-লজ্জা আটলান্টিকে বিসর্জন দিয়ে তার পাশে গা এলিয়ে দেয়।কিন্তু হিমেলকে কখনই স্পর্শ করে না মেয়েটি।শুধু মুচকি হাসে। তীব্র একটা অনুভূতি খেলে যায় হিমেলের শরীরে।কিন্তু মাঝে মাঝে ভীষণ অস্বস্তিও হয় তার।সে আড়চোখে মেয়েটির অবয়বে চোখ বূলোয়।পরনে শুধু একটা হালকা কলা-পাতা রঙের শাড়ি পেচানো মেয়েটির।তার এই আবরণ বরং তার নগ্নতাকে আরো বেশী ফুটিয়ে তোলে।গায়ে রঙ দুধে-আলতা।এলো-চুল পিঠ ছাড়িয়ে জুড়ে বসেছে সমস্ত মহাদেশ।ঠোঁটের হাসিখানা অমলিন।





মেয়েটাকে ছুঁয়ে দেখতে বড় ইচ্ছে হয় তার।হয়তো জীবনে সে ফেইলিওর তবুও তো সে পুরুষ মানুষ …না কি??? তবু সে এড়িয়ে যায়।এখন এমন অবস্হা হয়েছে যে মেয়েটি ২৪ ঘন্টা তার চারপাশে ঘুরে বেড়ায়।তার হাতের চুড়িগুলো ঝনঝন বেজে ওঠে….রূপার মলগুলোও সুর তোলে চুড়ির সাথে।অসহ্য হয় ওঠে তার মন।না এবার কথা বলবেই সে মেয়েটির সাথে।প্রত্যুওর না পেলেও সে কথা বলবে….,প্রশ্ন করবে…ভীষণ ধমক দেবে সে মেয়েটিকে…..চলে যেতে বলবে তার জীবন থেকে।





সে রাতেই নূপুরের নিক্কনে বাদ্য বাজিয়ে বিছানায় হাজির হয় মেয়েটি।এবার হিমেল শক্ত করে হাতটা ধরে ফেলে মেয়েটির।।সিনেমা স্টাইলে উপুর হয় মেয়েটির শরীরে।কিছুক্ষন দৃষ্টি বিনিময় হয় দুজনার।





হিমেল:কে তুমি??? কি চাও আমার কাছে??চলে যাও….চলে যাও তুমি আমার জীবন থেকে।





মেয়েটি:(মুচকি হেসে)..চলে যাব হিমেল??আমি চলে যাব??তুমি পারবে আমায় ছাড়া থাকতে??





হিমেল:থাকতে পারব না মানে???জীবনের এতটা বছর আমি কাটালাম কি করে শুনি???





মেয়েটি: আমার জন্য হাজার যুবক তাদের জীবন বাজি রাখে।আমার জন্য কত সংসারে অশান্তি হয়।আমার জন্য কত প্রেমিক তার প্রেমিকাকে হারায় জানো তুমি???





হিমেল: তোমার জন্য ???কে তুমি শুনি?? কিসে তোমার এত ক্ষমতা??





মেয়েটি আলতোভাবে এবার হাত ছাড়িয়ে নেয় হিমেলের শক্ত মুঠি থেকে।তারপরি বলে ওঠে….চাও না তুমি আমাকে???কে বলল???তুমি আমাকে ভীষণ চাও।তোমার স্বপ্নে-বাস্তবে কেবল আমিই আছি।তুমি আমাকে ছাড়া মুক্তি পাবে না হিমেল।





হিমেলের আকুতি …কি নাম তোমার???একবার বল…কে তুমি???





মেয়েটির প্রত্যুওর….”আমার নাম চাকরী”।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:৩১

সর্বভূক বলেছেন: ব্লগে আমার প্রথম লেখা।

২| ১৫ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:১৭

নোমান নমি বলেছেন: শুভেচ্ছা ব্লগে :D

৩| ১৫ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:২২

সর্বভূক বলেছেন: ধন্যবাদ নোমান।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.