নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভেঙে চলেছি হৃদয় পাথর ব্যার্থ সময়ের মুগুরে

সর্বভূক

ভেঙে চলেছি হৃদয় পাথর কঠিন সময়ের মুগুরে।

সর্বভূক › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার প্রিয় কবি

১৫ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ৮:৫০

ভূমিকাঃ চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের দীর্ঘ অর্ধ শতকের জড়তা দূর করে বাংলা কাব্য সাহিত্যে এক দমকা হাওয়া হয়ে আবির্ভূত হয়েছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের মাস্টার্স বর্ষের ছাএ মহিবুল্লাহ খানম।তিনি বাংলা কাব্যে এনেছেন ফেল করা ছাএদের মনোবেদনা,শোষিত স্বামীদের হাহাকার,নারীর সৌন্দর্য ইত্যাদি।তার রচিত কাব্যে তিনি সবসময় ছিলেন রবীন্দ্র বলয় মুক্ত। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে এমুন কোন ছাত্রী নেই যাকে নিয়ে তিনি কবিতা লেখেন নি।ছাত্রীরা তাকে স্যান্ডেল ছুড়িয়া মারিয়াছে…,তাহার নামে উপাচার্য মহোদয়ের কাছে বিচার দিয়া সিন্ডিকেট বসাইয়াছে,….শহীদ মিনারে মানব বন্ধনে দাঁড়াইয়াছে তথাপি তিনি দমিয়া যান নাই।কাজী নজরুলের মতন তাকেও জেলের অন্ন গ্রহণ করিতে হইয়াছিল।শুধু তাই নয় রিমান্ডে তার পশ্চাৎদেশে একখানা অশ্বডিম্বের প্রবেশ করানো হইয়াছল।তথাপি এ তরুণ নারীদের নিয়া কবিতা লেখনীতে ছিলেন স্বীয় বৈশিষ্ট্যে সমুজ্জল।







প্রথম কবিতা: সূর্য উঠিয়াছে



আমরা নাচিতে থাকিব।







এ কবিতাটি ছিল কবিশত্রু মহিবুল্লাহর প্রথম রচিত পঙতি।এ কবিতা লেখার পরপরি তার গার্লফ্রেন্ড আঙুরবালা তার সহিত ব্রেক আপ করিয়া ফেলে।কিন্তু শোককে শক্তিতে পরিণত করিয়া একের পর এক কাব্য রচিয়া তিনি এ জাতির জুতার তলায় স্হান করিয়া নেন।







জন্ম ও বংশ পরিচয়: কবে এ সংগ্রামী কবি এ ধরনীতে আসিয়া এ জাতির অন্নের সংকটে অবদান রাখিয়াছিল তাহা প্রত্নতাত্বিকবৃন্দের গবেষনার বিষয়।তাহার বয়সের কোন গাছ-পাথর এখনও কেউ বাহির করিতে পারিয়াছে বলিয়া আমি শুনি নাই।তবে তিনি সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারের সদস্য ছিলেন। তাহার পিতা-মাতা তার এই জঘন্য কাব্য প্রতিভার পরিচয় তাহার শৈশবেই পাইয়াছিলেন ।জানা যায়,তার কাব্য চর্চায় অতিষ্ঠ হইয়া তার পিতা ১২ বছর বয়সেই তাকে গৃহ হইতে বাহির করিয়া দেয়।







কৈশর ও যৌবন: বাড়ি হইতে বাহির করিয়া দিবার পর তিনি কবিরাজ মোঃ লাড্ডু পাটোয়ারীর সানিধ্ধ্যে আসেন।সেখানেই তার কাব্য প্রতিভার বিশেষ ১২ টা বাজে বলিয়া জানা যায়।ঋতু বৈচিত্র্যের এ বাংলাদেশে বর্ষা ছিল তার সবচেয়ে প্রিয় ঋতু।তার বর্ষা নিয়া একটা কবিতা…………







বৃষ্টি পড়ুক আর নাই পড়ুক এখন বর্ষাকাল



আসুন রাস্তা খুঁড়িয়া বানাই একটা খাল।







এই সব ঘাটিয়া কিসিমের কবিতা লিখিতে লিখিতেই তার কৈশর-যৌবন কাটিয়া যায়।চাকুরীর তাগিদে কবিতা লেখা বাদ দিয়া তিনি ব্যংকে কাজ করিবার খায়েশে GMAT করিতে এক কুচিং সেন্টারের আশ্রয় নেন।কিন্তু বিধি বাম।হঠাৎ একদিন অংক না করিয়া সেই কুচিং এর এক ম্যাডামকে নিয়া একটা কবিতা রচনা করিবার ফলে তিনি তীব্র রোষানলে পড়েন এবং তাকে সেখান হতে ইস্তফা দেয়া হয়।কবিতাটি নিম্নরূপ…







তুমি মোর কদবেল



তোমাকে না পাইলে করিব আমি হার্টফেল।







কারাবরণ: তার এ দীর্ঘ কবি জীবনে অসংখ্যবার তিনি কারাবরণ করিয়াছেন বলিয়া জানা যায়।নারীদের নিয়া জঘন্য সব কবিতা রচনার জন্য এখনও তার নামে হাটাজারী থানায় শ-খানেক মামলা ঝুলিতেছে ।কারাগারে বসিয়াও তার শান্তি নাই… তিনি একের পর এক কবিতা রচিয়াছেন আপণ মনে।অনামিকাকে নিয়াও তিনি একটা কবিতা লিখিয়াছিলেন…..যার কারনেই অনামিকা এখন আমার সহিত আর বাকচিত করিতে ইচ্ছা পোষণ করে না।কবিতাটি নিম্নরূপ…..







অনামিকা…ও অনামিকা



তুমি কেন এত লিক লিকা??



কেন তুমি সীমান্তকে করিলে না নিকা???







নিপেড়ীত ও শোষিত ছাত্রীদের নিয়া কাব্য:তার কাব্যের সবচেয়ে সৃষ্টিশীল দিক ছিল এটাই।তিনি ছিলেন অকুতোভয় ও নির্বীক।তিনি নিজে ভাল ছাত্র হইলেও ফেল্টুস ছাত্রীদের মর্ম বেদনা তিনি হাড়ে-হাড়ে বুঝিতে পারিতেন।ছাত্রীদের নোট জোগাড় করিবার নিমিত্তে তিনি সারা ক্যাম্পাস হাল চাষ করিয়া বেড়াইতেন।নোট না পাইলে তিনি নিজেই দায়িত্ব কাঁধে লইয়া কাগজ-কলম নিয়া বসিয়া যাইতেন।কিন্তু নোটের মাঝেও তিনি কাব্য চর্চা করিতেন বলিয়া সেগুলো পাঠ্য হিসেবে গ্রহনযোগ্যতা হারাইত।নিপেড়ীত ছাত্রীদের নিয়া তার একটি কবিতা নিম্নরূপ….







প্রতিদিন মোরা চড়ি রেল



কিন্তু পরীক্ষায় মারি ফেল



ওরে পোড়া কপালী রমনীরা এবার তোরা তোদের ডানা মেল।







পুরস্কারসমূহ:মহিবুল্লাহর এমন কাব্য চর্চায় অতিষ্ঠ হইয়া বাংলাদেশ সরকার তাহাকে জাতীয় শত্রু হিসাবে চিন্নিত করিয়াছে।তার বাংলাদেশের নাগরিকত্ব কাড়িয়া নেবার জন্য বিরোধীদল গণ শৌচাগারের সামনে অনশন কর্মসূচী পালণ করে।এরপরও তিনি সইপ্পার মা award এ ভূষিত হোন।যার দরুন তিনি প্রতিমাসে ৩ কেজি করিয়া ভূষি রেশন হিসাবে পাইয়া থাকেন।







উপসংহার: বাংলা সাহিত্যে বর্ণহীন,স্বাদহীন,অর্থহীন কবিতা রচনায় মহিবুল্লাহ খানের অবদান বাড়িয়ে বলার অপেক্ষা রাখে না।এ জন্য এ জাতি তাকে তার মৃত্যুর পূর্বেই ভুলিয়া যাইবে বলিয়া আশাবাদ ব্যক্ত করা যায়।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.