নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এলোমেলো মানব

সীমান্ত দেব তূর্য

একজন গর্বিত বাংলাদেশি।

সীমান্ত দেব তূর্য › বিস্তারিত পোস্টঃ

ফ্রান্সের হামলা। প্রোফাইল পিকচার বদল নিয়ে অহেতুক বিতর্ক!!

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৭

ফ্রান্সের উপর হামলাটা বাংলাদেশের মানুষের উপর যতটা এফেক্ট ফেলেছে, তারচেয়ে বেশি কয়েকগুণ বেশি এফেক্ট ফেলেছে মানুষ যে প্রোফাইল পিকচার এ ফ্রান্সের পতাকার ছবি দিচ্ছে তাতে।
অবাক হওয়ার কিছু নেই, সবটাই এখন স্বাভাবিক মনে হয়। কত কথা শুনি আর কত লেখা দেখি! হাসি পায়, আবার অনেক সময় রাগে কান্নাও পায়।
"ফ্রান্সের পতাকা কেন প্রোফাইল পিকচার এ যাবে! কি এমন হয়েছে! প্যালেস্টাইন, সিরিয়াতে তো হাজার হাজার মানুষ মরছে ঐ সময় তো কেউ প্রোফাইল পিকচার পরিবর্তন করছে না, তাহলে এখন কেন? " এসব বালখিল্য যুক্তিতে নিউজ ফিড পুরাটাই ভরা।
অনেকে তো ধর্মের দোহাই দিয়ে ফ্রান্সে ঘটে যাওয়া হামলাকে সমর্থনও দিচ্ছেন।
অরে ভাই বোনেরা অনেক তো হল পা ধরে টানাটানি, এখন একটু অফ যান না! জাতি হিসেবে একটু উপরে উঠতে দেন না! কেন বার বার টেনে নামিয়ে দিতেছেন!!
সোজা একটা কথা বুঝেন! ফ্রান্সে একটা সন্ত্রাসী হামলা হইছে। অনেক নিরীহ মানুষ মারা গেছে, যারা সাধারণ জীবনযাপন করত এবং তারা কোনো জঙ্গীগোষ্ঠীর আওতাভুক্তও ছিল না। আর আপনি তো এইখান থেকে যারা হামলা করছে তাদের ধরতে পারবেন না বা আপনার সে উপায় ও নেই। কিন্তু ঘটনার সমব্যথী তো হওয়া যায়। ঐটার জন্যই ফেসবুক এই ফিচারটা এ্যাড করেছিল যে প্রোফাইল পিকচার এ ফ্রান্সের পতাকা দিয়ে নিজেকে সমব্যথী বা তাদের পক্ষে থাকার একটা সম্মতি ব্যক্ত করা তাদের এই দুর্দিনে। আমাদের দেশের অনেক মানুষ আজ ফ্রান্সে আছে, আমার আপনার আত্মীয়! আর তারা তো এইটা দেখেও একটা সাহস পেতে পারেন। আর এইটা যার যার ব্যক্তিগত বিষয় যে কে প্রোফাইল পিকচার দিবে বা দিবে না। কিন্তু এইরকম অহেতুক আর বালখিল্য যুক্তির মানে কি!! আর প্রোফাইল পিকচার দিলেই যে প্রতিবাদ হবে আর না হলে যে হবে না এমন তো নয়। আপনি না দিয়েও প্রতিবাদ করতে পারেন, ঐটা আপনার বিষয়। আবার আরেকজন পিকচার দিয়ে প্রতিবাদ করছে। তো আপনার কি সমস্যা! অযথা কেন বাম হাত ঢুকাচ্ছেন!
আর একটা ব্যাপার হল, অনেকের আপত্তি এই জায়গায় যা আমি ইতোপূর্বে বলে এসেছি যে, অনেকেই এই যুক্তি দিচ্ছেন , সিরিয়া, প্যালেস্টাইনে হামলার পর ফেসবুক কেন এই ফিচার চালু করল না বা কেন অন্যরা প্রোফাইল পিকচার পরিবর্তন করল না!! ফেসবুক এই ফিচারটা আগে চালু না করলেও আমার স্পষ্ট মনে আছে যে, প্যালেস্টাইন এর হামলার সময় মানুষ নিজে নিজেই প্রোফাইল পিকচার বা অনেকে নিজের ভঙ্গিতে প্রতিবাদ জানাচ্ছিল। আর ফ্রান্সের হামলার পর যে এই ফিচারটা নতুন করে ফেসবুক চালু করে ঠিক এটাও না, ফ্রান্সের হামলার আগেই এই ফিচারটি এ্যাড করা হয় কিন্তু অন্য ক্ষেত্রে। ঐ ফিচার এ্যাড করা হয়েছিল ফুটবল খেলায় বিভিন্ন দলের সাপোর্ট এর জন্য। আর আমরা অনেকেই দেখেছি অনেকেই রিয়াল মাদ্রিদ-বার্সালোনা প্রভৃতি টিম এর জন্য নিজের প্রোফাইল পিকচার এ তাদের ছবি দিয়ে তাদের সমর্থন জানিয়েছেন। তো আসল ব্যাপারটা এই। আর ফেসবুক প্রশ্নবিদ্ধ তখনই হবে যখন পরবর্তীতে কখনো যদি নন-ইউরোপিয়ানদের উপর হামলা হয়ে থাকে এবং তারা এই ফিচারটি এ্যাড না করে। তাই প্লিজ সবসময় সোজা সরল জিনিসটাকে জটিল করবেন না।

আর রানা প্লাজা আর ফ্রান্সে হামলার একটা জরিপ ও দেখলাম। আবার অনেক শেয়ার ও দেখলাম। তারা যে কি বুঝে কি শেয়ার দিলেন একমাত্র তাদের উচ্চ মস্তিষ্কেই ধরা সম্ভব।

ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন এবং অযথা বাম হাতকে কষ্ট দিবেন না।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.