![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একুশের দশকে আমরা আজ কিছুটা হলেও "নারী" নামে যেসব জংধরা নিয়মকানুন অতীতে প্রচলিত ছিল সেসব থেকে বেরিয়ে আসতে পেরেছি। কিন্তু এই জংধরা নিয়মকানুন থেকে বেরিয়ে আসার পথে কাটাছেড়াও যে খুব কম হয়েছে বা এখনও কম হচ্ছে এমনও কিন্তু নয়।
এখন হয়ত কোনো পরিবারে মেয়ে সন্তান জন্ম নিলে মুখ কুচকানো হয় না কিন্তু তাড়াতাড়ি বিয়ে দিয়ে দায়মুক্ত হওয়ার প্রবণতা এখনও অনেক জায়গায়ই রয়ে গেছে। এখন কোনো পরিবারে মেয়ে সন্তান জন্ম নিলে হয়ত প্রাথমিক শিক্ষাটূকু দেয়া হয় কিন্তু পায়ের উপর দাড়ানোর আগেই পা খুড়ো করে দেখিয়ে দেয়া হয় যে স্বামীর সেবা করাই তার একমাত্র লক্ষ্য। এখন হয়ত মা-বাবাকে ভয় দেখিয়ে মেয়েকে বাড়ি থেকে তোলে নেয়া যায় না কিন্তু নির্জন রাস্তায় ধর্ষণের শিকার ঠিকই হতে হয়। এখন হয়ত মেয়েদের নিজের কেনা ক্রীতদাস বলে মেরে ফেলা হয় না কিন্তু নিজের কেনা দ্রব্য মনে করে ছুড়ে ফেলে দেয়া হয় ঠিকই।
প্রতিনিয়ত নারীরা নিজের অবস্থান গড়ে নিচ্ছেন। হয়ত কয়েকবছর পর কারো লেখায় নারীদের নিয়ে আর "কিন্তু" শব্দটা থাকবে না , কয়েকছর পর ৮ মার্চের দিনে শুধু "International Woman's Day" বলেই হয়ত লেখা শেষ হয়ে যাবে। হয়ত কয়েকবছর পর নারীদের নিয়ে আর কোনো সচেতনতামূলক পোস্টের দরকার হবে না, হয়ত আর কয়েকবছর পর নারীদের ওয়ালে সমাজ নিয়ে তাদের প্রতি অবজ্ঞার কোনো চিত্র ভেসে আসবে না। হয়ত কয়েকবছর পর কোনো মেয়েকে ধর্ষিত হতে হবে না, হয়ত কাউকে নিজের প্রাণ দিয়ে নিজের অবস্থান গড়ে নিতে হবে না, হয়ত পায়ের উপর দাড়ানোর আগেই পা খুড়ো করে দেয়া হবে না।
হয়ত এটা শুনতে হবে না যে বোরকা আর হিজাব না থাকায় মেয়েটিকে ধর্ষণ করা হয়েছে। দোষ মেয়েটির ছিল যে সে বোরকা বা হিজাব পড়ে নি! হয়ত এসব শুনতে হবে না।
বোরকা আর হিজাব কখনো নারী মর্যাদার প্রতীক হতে পারে না। নারী মর্যাদার প্রতীক হওয়া উচিত তাদের বিশুদ্ধতা, সমাজে পুরুষের পাশাপাশি তাদের সম-অবস্থান। আর সেই সাথে পরিবর্তন চাই আমাদের দৃষ্টিভঙ্গির। সুন্দর দৃষ্টিভঙ্গিতে সবকিছু সুন্দরই দেখায়। এই সুন্দর দৃষ্টিভঙ্গিতেই হয়ত একদিন নারীসমাজের কাছে এই সমাজ সর্বোচ্চ গ্রহনযোগ্যতা পাবে।
জয় হোক নারী শক্তির। জয় জোক মানবতার।
আন্তর্জাতিক নারী দিবসের শুভেচ্ছা।
©somewhere in net ltd.
১|
০৮ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ৯:২৮
বিজন রয় বলেছেন: ভাল লিখেছেন।
++++