![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অনেককে দেখছি হ্জ্জ্ব নিয়ে একটা মন্তব্যের কারণে শাস্তি প্রদানের বিরুদ্ধে মতামত প্রদান করছেন। এ প্রসঙ্গে তারা সাংবিধানিক অধিকার, স্বাধীনভাবে মত প্রকাশের অধিকার ইত্যাদি নিয়ে বাকচিত করছেন।
স্বাধীনভাবে মত প্রকাশের বিষয়ে আমার মত হচ্ছে যে কেউ তার মতামত প্রকাশ করতেই পারে। কেউ নাস্তিক হলে তাতে আমার কিছু যায় আসে না।
কিন্তু আমাদের সমাজ বা রাষ্ট্রব্যবস্থা সব ধরনের স্বাধীনতাকে প্রশ্রয় দেয় না। যেমন আমাদের সমাজ ব্যবস্থায় গুরুজনের সামনে সিগারেট খাওয়া বা বড়দের সাথে বেয়াদবী করা ভালো চোখে দেখা হয় না। আমরা দেশদ্রোহীতাকেও ভালো চোখে দেখি না।
এখন যদি কেউ আমাদের এই দেশকে নিয়ে কটুক্তি করে তখন মাথায় রক্ত উঠে যায়। কারণ এটা আমার মতাদর্শ, আমার বিশ্বাস, আমার চেতনা। কিন্তু মতাদর্শ, বিশ্বাস এবং চেতনা শুধু একটা বিষয় নিয়ে হয় না। রাজনৈতিক ভিন্ন মতাদর্শও আছে যা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় আবশ্যিক বিষয়। তা নিয়ে কম মারামারি হানাহানি হয় না। বছর কয়েক ধরে রাজনৈতিক মতাদর্শ, দলীয় মতাদর্শ, স্বাধীনতার মতাদর্শ আর চেতনা নিয়ে কম হুলুস্থুল হয়নি।
তেমনি ধর্মও একটা শক্তিশালী মতাদর্শ। যদি দেশদ্রোহীতার জন্য কারো বিচার করা যায় তবে কেন ধর্মীয় মতাদর্শ নিয়ে এত নাক সিটকানো?
একটু ঠান্ডা মাথায় চিন্তা করুন। ধরুন কেউ দেশ নিয়ে বা ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত কাউকে নিয়ে কটুক্তি করলে আমরা তার শাস্তি চাই। তখন সেটা স্বাধীন মত প্রকাশের ধর্তব্যের মধ্যে আসে না। (অবশ্য আমি দেশ নিয়ে কটুক্তি বা চক্রান্তকারীর সর্বেোচ্চ শাস্তির পক্ষে)। কিন্তু ধর্ম নিয়ে কটুক্তি করলে সেটা তখন কেন স্বাধীন মত প্রকাশের বিষয় হয়ে যাবে।
মনে রাখতে হবে ধর্ম একটা শক্তিশালী চেতনা বা বিশ্বাস বা মতাদর্শ। ঠিক যেমনটা দেশাত্ববোধ।
আমি আমার দেশকে নিয়ে অবশ্যই কোন কটুক্তি বরদাস্ত করি না।
আমি আমার জাতিকে নিয়ে অবশ্যই কোন কটুক্তি বরদাস্ত করি না।
আমি আমার ভাষাকে নিয়ে অবশ্যই কোন কটুক্তি বরদাস্ত করি না।
এবং অবশ্যই আমি আমার ধর্মকে নিয়ে কোন কটুক্তিকারীকে ঘৃণা করি । (বরদাস্ত করি না একথা বলতে ভয় হয়, চারিদিকে এত তথাকথিত সেকুলার যে আমাকে হয় জঙ্গি বা মৌলবাদী বলে গালাগাল শুরু করতে পারে।)
## হুম- অবশ্যই এবং অবশ্যই ধর্ম নিয়ে বেশী বাড়াবাড়ি ভালো না এবং অবশ্যই কারো কোন মন্তব্যে বা ধর্মের কোন ক্ষতি হয় না। তাই বেশীর ভাগ সময়ই আমি এসব মন্তব্যগুলো স্কীপ করে যাই।
২| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১২
নেবুলা মোর্শেদ বলেছেন: এবং অবশ্যই আমি আমার ধর্মকে নিয়ে কোন কটুক্তিকারীকে বরদাস্ত করি না ।
৩| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৮:৩২
এম এ কাশেম বলেছেন: যৌক্তিক,
বাক স্বাধীনতা মানে কারো ধর্মীয় চেতনায় আঘাত করা নয়।
৪| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১২:০৭
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: এম এ কাশেম বলেছেন: যৌক্তিক,
বাক স্বাধীনতা মানে কারো ধর্মীয় চেতনায় আঘাত করা নয়।
@ এম এ কাসেম.. এটা শূধূ চেতনার প্রশ্ন নয়...এখানে ধর্শের মৌলিক বিধঅন এবং আল্লাহর হুকুমকে কটাক্ষ করা হয়েছে।
ধর্মের প্রায়োগিক দিক নিয়ে সমালোচনা হলে তাতে আহত হলে তা চেতনার বিষয় হলেও হতে পারে, কিন্তু এটাতো মূল ৫ স্তম্ভের একটি এবং সরাসরি আল্লাহর আদেশের বলে যে বিধান তাকে উপহাস করা হয়েছে।
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০৯
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: মনে রাখতে হবে ধর্ম একটা শক্তিশালী চেতনা বা বিশ্বাস বা মতাদর্শ। ঠিক যেমনটা দেশাত্ববোধ।
আমি আমার দেশকে নিয়ে অবশ্যই কোন কটুক্তি বরদাস্ত করি না।
আমি আমার জাতিকে নিয়ে অবশ্যই কোন কটুক্তি বরদাস্ত করি না।
আমি আমার ভাষাকে নিয়ে অবশ্যই কোন কটুক্তি বরদাস্ত করি না।
এবং অবশ্যই আমি আমার ধর্মকে নিয়ে কোন কটুক্তিকারীকে বরদাস্ত করি না ।