![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রাতিষ্ঠানিকভাবে যত উঁচু শিক্ষা সংক্রান্ত কার্যক্রম সম্পন্ন করার মাধ্যমে নিজেকে উচ্চশিক্ষিত ভাবেন না কেন, মনের ভিতরে চুপিসারে সাম্প্রদায়িক একটা মানসিকতা লালন করেনই করেন।
ভাবতেছেন কেউ বুঝতে পারে না, তাই না?
কার সাথে বসতে মজা পান, খাইতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন, গল্প করতে যেয়ে বেশী আপন মানুষ পান, কে বস হলে বেশী দাবী করেন, কে অধীনস্ত হলে বেশী আদর করেন বা বেশী দাবী মানেন, একটু চিন্তা করলেই বুঝতে পারবেন আপনি কোন ধরনের সাম্প্রদায়িক।
তবে শুধু যে ধর্মীয় সাম্প্রদায়িকতাই রয়েছে তা কিন্তু না। আরো অনেক ধরণের সাম্প্রদায়িকতা আছে। তবে এর মধ্যে ধর্মীয় সাম্প্রদায়িকতাই জঘন্য।
তবে একটা ধর্মীয় সমাবেশের কথা আলাদা, তবে ধর্মীয় সমাবেশ বা ক্ষেত্র ভিন্ন অন্য ক্ষেত্রে এরকম সাম্প্রদায়িক আচরণ অন্য পক্ষকে আরো সাম্প্রদায়িক হতে প্ররোচিত করে। অন্য পক্ষকে তখন বেশী দোষ দেয়া যায় না।
ইসলাম নিয়ে কথা বলা একজন মুসলমানের জন্য অস্বাভাবিক নয়, তেমনি একজন হিন্দুর জন্য তার ধর্ম নিয়ে আলোচনা করা স্বাভাবিক। কিন্তু আপনি যুক্তি দিয়ে অন্য ধর্মের বিরুদ্ধাচরণ করবেন, তা মোটেও যুক্তিসংগত না, এটা অবশ্যই সাম্প্রদায়িকতা, সে যতই আপনি যুক্তি দিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করুন বা নাস্তিক সাজার চেষ্টা করেন, আপনার সাম্প্রদায়িক মন অনেকেই বোঝে।
আপনার সম্প্রদায়ের একজন উচ্চপদে আসীন হলে গর্বিত হয়ে স্বার্থ উদ্ধার করতে ছোটেন, বা নিজে কিছু ক্ষমতা পেলে অনৈতিক এবং নিয়মের বাইরে যেয়ে নিজ সম্প্রদায়কে অতিরিক্ত সুবিধা দিতে চান, এটা আপনার সাম্প্রদায়িক আচরণ।
শুধু ধর্ম নয়, বর্ণে, জেলাভিত্তিক সম্প্রদায়ের জন্য নিয়মের বাইরে ক্ষমতার অপব্যবহার করাও নেতিবাচক সাম্প্রদায়িকতা।
এ সকল সাম্প্রদায়িক আচরণ থেকে মুক্তি জরুরী।
©somewhere in net ltd.
১|
১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:২২
রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন।
আপনার লেখার সাথে সহমত।