![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যে জায়গাটাতে প্রতিদিন অফিস বাসের জন্য অপেক্ষা করি, সেখানে আমার বাস আসার আগে দুইটা লালবাস আমাকে অতিক্রম করে যায়।
আর আমি ভালোবেসে লাল বাসদুটির দিকে তাকিয়ে থাকি।
যতক্ষণ দেখা যায়, ততক্ষণ তাকিয়ে থেকে একটা দীর্ঘনিশ্বাস ফেলি, নস্টালজিক হয়ে যাই।
আমি ঢাকা ইউনিভার্সিটির লাল বাসের কথা বলছি, আমার প্রিয় বাস, লাল বাস।
আমি উল্লাসের যাত্রী ছিলাম। তখন লালবাসটাকে বলতাম রহমতের বাক্স। ছাত্র উঠানোর জন্য লাল-বাসটাতে জায়গার অভাব হত না। যত স্টুডেন্টই ঢুকাও না কেন, ভিতরে ঠিকই যায়গা হয়ে যেত। একজন আরেকজনের উপর চেপে, এক পায়ের পাতায় ভর করে আরেক ভাইয়ের গায়ে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে বাকীদেরকে জায়গা করে দিতাম। মাথা সোজা রাখা যেত না কখনও কখনও, তারপরও সব ভাইদেরকে নিতে হবে, নিয়েই যাব।
এরপর যখন আর জায়গা থাকত না, তখনও অনেকে বাইরে দাঁড়িয়ে, এবার জানালার পাশে বসে থাকা ভাই-বোনেরা জানালা দিয়ে হাত বাড়িয়ে দিত, সাহায্যের হাত। হাত বাড়িয়ে নিয়ে নিত অন্য ভাইদের ব্যাগ, আর ব্যাগ রাখার যায়গা পেয়ে তারা দরজায় ঝুলে পড়ত। জানালার পাশের সীটে বসা ভাই-বোনদের কোলের উপর ব্যাগ আর ব্যাগ। আর গেটে ঝুলে থাকা ভাইদেরকে ধরে রাখত ভিতরে থাকা অন্য কোন সহযোদ্ধা ভাইয়ের হাত। একজন আরেকজনকে ধরে রাখত, সে অন্য আরেকজনকে। এভাবে বাসের গেটের পেট ফুলে যেত। একটা যুদ্ধে যাওয়ার প্রস্তুতি বা যুদ্ধ শেষে বাসায় ফেরার প্রস্তুতি শুরু হত। সবাই মিলে হাতে হাত ধরে ঘাড়ে ঘাড় মিলিয়ে প্রায় ৬/৭ বছর।
এরপর এক যুগ পার করে ফেললাম, এখনও লালবাস দেখলে নস্টালজিক হয়ে যাই। মন চায় দৌড়ে আবার ঐ বাসটার হ্যান্ডেল ধরি।
২| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:১১
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: কানাডায় একবার একই রাস্তায় একই বাসে পর পর কয়েকদিন দুর্ঘটনা ঘটে। পরে তদন্ত করে জানা যায় যে ৩৮ জনের জায়গায় তাদের বাসে ৪১ জন চড়তো; আর এতেই দুর্ঘটনার সুত্রপাত হয়।
অবাক হয়ে তখন বাংলাদেশের বাসের কথা মনে পড়ে!
৩| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৩০
পদ্মপুকুর বলেছেন: আপনার লেখায় নস্টালজিক হয়ে পড়লাম.... আমি হলে থেকেছি, সে কারণে নির্দিষ্ট কোনো রুটের যাত্রী ছিলাম না। কিন্তু আমার বাসে ঘোরার বাতিক ছিলো। হাতে সময় হলেই সামনে যেটা পেতাম, সেই লাল বাসটাতেই উঠে পড়তাম.. এ ভাবে হেমন্ত, ইশা খাঁ, উল্লাস, কিঞ্চিত, তরঙ্গ, শ্রাবণ (তখন একটা ছিলো, শেষের দিকে এসে দেখলাম শ্রাবণের দুটো রুট হয়েছে, রামপুরা আর মুগধা), বৈশাখী, চৈতালী, আর গাজীপুরের বাসটার নাম মনে আসছে না। তবে সবচে বেশি চড়েছি বৈশাখী আর শ্রাবণে। একা, দোকা বা গ্রুপেও। এমন অনেকদিন হয়েছে যে হয়তো ঢাকা শহরের কোনো এক সড়কে দাড়িয়ে আছি, হঠাৎ একটা লাল বাস চোছে পড়লো, অমনি কোনো কিছু না ভেবেই দৌড়! উঠে পড়লাম, এক সময় না এক সময়তো ক্যাম্পাসে ফিরবেই!
লাল বাসগুলো আসলেই একটা চলন্ত নস্টালজিয়া। এখন অবশ্য ভোটকা সাইজের বিআরটিসির ডাবল ডেকার দেখি, ওগুলো দেখে কোনো প্রেম আসে না।
ক্যাম্পাস নস্টালজিয়া নিয়ে আমার লেখা পড়ে দেখতে পারেন।
৪| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৩৭
সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: কিছু স্মৃতি কখনোই ভোলা যায় না।
৫| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৪৩
আহমেদ জী এস বলেছেন: সিদ্দিকী শিপলু,
হ্যা, স্মৃতি বেদনাময়!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!
৬| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:১৩
জয় মহিন বলেছেন: কিছু কিছু স্মৃতি কখনো ভূলার নয়।
৭| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৬
জুন বলেছেন: আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের লাল বাস আমি তোমাকে অনেক মিস করি।
ভালোলাগলো আপনার স্মৃতিচারণ।
৮| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:০৮
আব্দুল্লহ আল মামুন বলেছেন: আমিও উল্লাস ও ঈসাখাঁর যাত্রী ছিলাম। সেই পাট চুকিয়েছি ২০০৪ সালে। আমিও আপনার মত অফিসের বাসের জন্য দাঁড়িয়ে থাকার সময় লাল বাস দেখে স্মৃতিকারত হয়ে যাই। বলি এটা আমার বাস।
৯| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:১৮
রাজীব নুর বলেছেন: এই বাসে উঠেছি।
অনেক ছেলে মেয়ে। হইচই, নানান গল্প। ঘামের গন্ধ। সেন্টের গন্ধ। ড্রাইভার জর্দা দিয়ে পান খায় সেই জর্দার গন্ধ- সব মিলে মিশে একটা ককটেল গন্ধ হতো।
১০| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৩২
আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: স্মৃতি সেতো সোনার হরিণ.....
ফিরে ফিরে আসে মনের গহীন কোনে.....
১১| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৩২
⓪ বলেছেন: শ্রাবণ, কিঞ্চিৎ, উল্লাস, আনন্দ, মৈত্রী, হেমন্ত, বসন্ত (?), ফাল্গুনী, ঈসা খাঁ, উয়ারী বটেশ্বর, ক্ষণিকা, তরঙ্গ।
মীরপুর লাইনের বাস দুইটার নাম কিছুতেই মনে আসছে না।
১২| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৩৮
ঢাবিয়ান বলেছেন: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যারাই পড়াশোনা করেছে তাদের সবার কাছেই মনে হয় জীবনের শ্রেষ্ঠ সময় সেখানে কাটানো সময়টা। এত বছর পার হয়ে গেছে অথচ এখনো মনটা আদ্র হয়ে যা্য সেই সময়ের কথা মনে পড়লে। প্রবাসে যারা থাকে তাদের কাছে আরো বেশি প্রিয় সেই সময়ের স্মৃতিগুলো, কারন চাইলেই ছুটে চলে যাওয়া যায় না প্রিয় ক্যাম্পাসে ।
বাস নিয়েও যে কত স্মৃতি। আমি বৈশাখী ও ক্ষনিকার যাত্রী ছিলাম।
১৩| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৪১
ঢাবিয়ান বলেছেন: হেমন্ত, বসন্ত (?), ফাল্গুনী, ঈসা খাঁ, উয়ারী বটেশ্বর = এই বাসগুলো কোন সালে সংযোজন হল কেউ বলতে পারেন? আমাদের সময়ে ছিল না।
১৪| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৩১
পদ্মপুকুর বলেছেন: মিরপুর রুটের বাসদুটির নাম চৈতালি এবং বৈশাখী@ শূন্যের ভেতর জিরো
ঢাবিয়ান বলেছেন: হেমন্ত, বসন্ত (?), ফাল্গুনী, ঈসা খাঁ, উয়ারী বটেশ্বর = এই বাসগুলো কোন সালে সংযোজন হল কেউ বলতে পারেন? আমাদের সময়ে ছিল না।
আমি তো ভেবেছিলাম ক্যাম্পাসে আপনি আমার অনূজ হবেন.... কিন্তু বলছেন হেমন্ত, ফাল্গুনী, ইসা খাঁ, উয়ারী বটেশ্বর এইগুলো পাননি... তার মানে তো আপনি আমার সিনিয়র। দুঃখিত ভাইজান, কোনো একটা লেখায় আমি আপনাকে অনূজ হিসেবে মন্তব্য করেছিলাম!!!
২০০৭ বা ২০০৮ এর দিকে উয়ারী বটেশ্বর চালু হয়, প্রথম বাসটা নিটোল বা একটা ওষধ কোম্পানি স্পন্সর করেছিলো, আমি তখন সদ্য মাস্টার্স শেষ করেছি। আর বসন্ত নামে কোনো বাস আছে কি না জানিনা। খুব সম্ভবত এটা জগন্নাথ এর কোনো বাসের নাম।
১৫| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৮
ঢাবিয়ান বলেছেন: পদ্ম পুকুর , আমি বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়েছি ২০০০ সালে। । আর দেশ ছেড়েছি ২০০১ সালে।
১৬| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৪
ঢাবিয়ান বলেছেন: পদ্ম পুকুর, ধন্যবাদ আপনার তথ্যের জন্য। আমাদের সময়ে বাসগুলোর ওপড় প্রচন্ড চাপ ছিল।উপচে পড়া ভীর হত। এই পোস্টের লেখক যে গল্পগুলো করেছে, সেগুলোর চাক্ষুশ সাক্ষী ছিলাম আমরা। পরে মনে হয় চাপ কমাতে আরো বাস সংযোজন করেছে।
১৭| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৪১
নীল আকাশ বলেছেন: লেখকের উচিৎ প্রতিটা মন্তব্যের প্রতি মন্তব্য করা। এটা দেখতে খুব অড লাগছে এই পর্যন্ত ১৬ মন্তব্য করে গেছেন অথচ কোন প্রতি মন্তব্য নেই!
আমি আমাদের বুয়েটের গাড়িতে যখন উঠতাম বা নামতাম বা ভার্সিটিতে যেতাম ঠিক তখনই দেখতাম এই গাড়ীগুলি আমাদের গাড়ি পাশ দিয়ে চলে যেত। তবে আমাদের গাড়িতে তূলনামূলক ভাবে ভীড় কম হতো।
পুরানো স্মৃতি নিয়ে লেখা টা ভালো হয়েছে....।
ধন্যবাদ।
১৮| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৪১
রাজীব নুর বলেছেন: মন্তব্যের উত্তর দেন নাই কেন?
১৯| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৫
⓪ বলেছেন: @ পদ্মপুকুর ও ঢাবিয়ান, বসন্ত কোন বাস রূট নেই। হেমন্ত গাবতলী হয়ে সাভার রূটে চলে
ফাল্গুনী চলে মহাখালী, বনানী ও গুলশান রূটে
ঈসা খাঁ লং রূটের বাস, চলে মেঘনাঘাট পর্যন্ত।
ঊয়ারী বটেশ্বর বাসটি স্পন্সর করেছিল থার্মেক্স গ্রুপের সত্ত্বাধিকারী নরসিংদীর বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আবদুল কাদের মোল্লা।
মনে হয় আমিই এখানে সবচেয়ে জুনিয়র
২০| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:২৮
পদ্মপুকুর বলেছেন: আমিও বসন্ত নিয়ে কনফিউজড ছিলাম @ শূন্যের ভেতর জিরো...
ও আর গাজীপুর রুটেরটার নাম মনে এসেছে, ওটা ক্ষণিকা।
©somewhere in net ltd.
১|
২৭ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৫২
মলাসইলমুইনা বলেছেন: আহা শ্রাবণ আর কিঞ্চিৎ নিয়ে আমার নস্টালজিয়া মোটেই কিঞ্চিৎ নয় ! সেই নস্টালজিয়া এতদিন পরেও শ্রাবণ ধারায় ভাসায়,হাসায়,কাদায়ও মনে হয় কখনো কখনো । লেখায় ভালো লাগা ।