নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি কারো ভাই ব্রাদার না, আমারে স্যার ডাকবা

আমারে স্যার ডাকবা

আমারে স্যার ডাকবা › বিস্তারিত পোস্টঃ

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রীর বক্তব্যে হতাশা প্রকাশ করছি

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ৮:০৬



মাননীয় জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী মহোদয় আজ (মঙ্গলবার) সচিবালয়ে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) আয়োজিত সংলাপে বলেছেন, "সরকারি কর্মকর্তাদের স্যার বা ম্যাডাম বলতে হবে- এমন কোনো রীতি নেই।" (নিউজ লিংক)

সরকারি কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, "কেউ সেবা নিতে গেলে হাসিমুখে আপনার আচরণটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। কেউ সেবা নিতে গেলে যদি ওয়েলকামিং এটিচিউড না থাকে, আপনি তিরস্কার বা রেগে আছেন- এগুলো দুর্নীতি। দুর্ব্যবহার দুর্নীতির শামিল। এটা করা যাবে না। আপনি সুন্দর, সাবলীলভাবে কথা বলুন। সুন্দর করে কথা বলাটা এমন না যে আপনি ক্ষমতা দেখাতে পারছেন না বা আপনি হেরে যাচ্ছেন। দরকার সাধ্যমতো সেবাটি দেওয়া। আপনার আচরণ সরকারের আচরণ।"

প্রথমে বলে রাখি, আমি সরকারি কর্মচারী না। তবে সরকারী কর্মচারীদের দুঃখ, কষ্ট ও আত্মমর্যাদা অনুভব করে তাদের পক্ষ্যে এই লেখাটি লিখছি।

মাননীয় প্রতিমন্ত্রী মহোদয় খুবই হতাশ করলেন। সরকারী কর্মকর্তাগন কত কষ্ট করে সরকারী কর্মকর্তা হয়েছেন এটা নিশ্চয় তার অজানা নয়! দেশের সবাই মনে করে বিসিএস ক্যাডার হতে হলে ভার্সিটি পাশের পর গোটা দশেক মোটা মোটা বই পড়ে মুখস্থবিদ্যা অর্জন করে বিসিএস এর বৈতরণী পার হতে হয়। এটা ভুল, খুবই ভুল একটা ধারনা। বর্তমানে বিসিএস ক্যাডার হতে ভার্সিটি পাশের পর কেউ মুখস্থবিদ্য অর্জন করে না, ভার্সিটিতে ভর্তি হয়েই এই মিশনে লেগে পরতে হয়। ভার্সিটিতে শুধু ডিগ্রি পেতেই পড়াশোনা করা হয়, লক্ষ্যটা তো বিসিএস ক্যাডারেই স্থির থাকে। প্রকৌশল বা ডাক্তার কিংবা বিজ্ঞান বিভাগ সবজায়গায় ছাত্রছাত্রীরা প্রথম বর্ষ থেকেই বিসিএস এর প্রস্তুতি নিয়ে থাকে। এ বিষয়ে সময় টিভির রিপোর্ট ছিলো, আশা করি সেটি প্রতিমন্ত্রী মহোদয়ের দৃষ্টি এড়ায়নি।



এতো পড়াশোনা করে তারপর বিসিএস এর দীর্ঘ বাছাইপর্ব পার হয়ে যারা বিসিএস ক্যাডার হন, তারা কি জনসাধারন থেকে আলাদা নন? তারা কি করে জনসাধারন হতে পারে? বাংলা একাডেমির উচিৎ দেশের এই সূর্য সন্তানদের জন্য জনঅসাধারন নামে একটি শব্দ বাংলা ভাষায় যুক্ত করা।

যা বলছিলাম, একজন বিসিএস ক্যাডার এই দেশের সবচেয়ে ত্যাগ স্বীকার কারী ব্যক্তি। ভার্সিটির একাডেমিক পড়াশোনা ত্যাগ করে, ইঞ্জিনিয়ারিং-ডাক্তারী পেশার কর্তব্যবোধ ত্যাগ করে, জনগনের ট্যাক্সের পয়সায় বিজ্ঞানে পড়ে গবেষনা ও বিজ্ঞান বিষয়ক পেশার মায়া ত্যাগ করে, দেশের প্রতি দায়িত্ববোধ ত্যাগ করে পুলিশ, প্রশাসন, কর বিষয়ক পেশায় বিসিএস ক্যাডার হওয়া চাট্টিখানি কথা না।
এতো ত্যাগ স্বীকার করে কি পায় এই মেধাবী সন্তানেরা? দেশের সাধারন মানুষেরা এই অসাধারন মানুষদের সরকারী কর্মকর্তা পর্যন্ত বলতে চান না। সাধারনেরা যুক্তি দেখায় সংবিধানে সরকারী কর্মকর্তা শব্দ নেই, বরং সরকারী কর্মচারী বলা হয়েছে। মানলাম সংবিধানে কর্মচারী শব্দ আছে, তাই বলে কর্মকর্তা ডাকলে কি আপনাদের মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে যাবে? দেশের মেধাবী জনঅসাধারনদের জন্য এটুকু করতে সমস্যা কেন?

আবার সরকারী কর্মকর্তা/কর্মচারী শব্দ নিয়েও অনেক দ্বিধা, ২০১৭ তে তো মিডিয়াগুলোতে সরকারী কর্মচারী নাকি প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী এটা নিয়েও লেখালেখি হয়েছে। যদিও সরকারি চাকরি আইন ২০১৮ তে প্রজাতন্ত্রের কাজে নিযুক্ত ব্যক্তিকে সরকারী কর্মচারী বলা হয়েছে, তাই আশা করি এই বিতর্কের অবসান হয়েছে।



দেখুন, সরকারী কর্মকর্তাদের অবহেলা করবেন না। তারা প্রচুর লেখাপড়া করে, রোবটের মতো বই মুখস্থ করে, পেশা জীবনের মায়া ত্যাগ করে বিসিএস ক্যাডার হয় কি জন্যে? তাদের চাহিদা কি খুবই বেশি? তারা কিইবা এমন কিছু চায়?
♦ একটা বিসিএস ক্যাডার পদ, যেখানে জনসাধারন-অধীনস্ত সকলের থেকে স্যার সম্বোধন শুনে নিজেকে ব্রিটিশ আমলের লর্ড বা নাইট ভেবে মহানন্দ অনুভব করা
♦ সরকারী শব্দটা নিজের সাথে জড়িয়ে নেয়া
♦ পুরুষ হলে কচি ধার্মিক আধুনিক সেক্সি একটা মেয়ে বিয়ে করা
♦ সরকারী গাড়িতে ঘুরে বেড়ানো
♦ টুকটাক স্পিড মানি নেয়া
♦ মাছ চাষ-ধানচাষ শিখতে বিদেশে সফর করা
♦ মাঝে মাঝে নিজের একটু ক্ষমতা-টমতা দেখানো

এগুলো কি খুব বেশি হয়ে যাচ্ছে? তাহলে বলবো, এই দেশ বিসিএস ক্যাডারদের ডিজার্ভ করে না। বিসিএস ক্যাডারদের উচিৎ ইউরোপ আমেরিকায় গিয়ে বিসিএস ক্যাডার হিসেবে কাজ করা। আমেরিকা-ইউরোপে গেলে নিশ্চয়ই তারা স্যার ডাকতে আপত্তি করবে না, সিনেমায় দেখেছি, তারা অবলীলায় একে অন্যকে স্যার ডাকে, বাংলাদেশের মতো প্যাচায় না।

বিদ্রঃ সকল সরকারী কর্মচারীদের পক্ষে নয়, শুধু জনঅসাধারন সরকারী কর্মকর্তাদের পক্ষ্যে রচিত ও প্রকাশিত। যাহারা নিজেদের সাধারন প্রজাতন্ত্রের দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মচারি ভাবেন এবং বিশেষ সুযোগ-সুবিধা দাবী করেন না, লেখাটি তাদের প্রতিনিধিত্ব করে না।

মন্তব্য ৩২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৩২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ৮:১৭

হাবিব বলেছেন: মেলা দিন পরে আইলেন। আপনের কি মাল্টি আছে নাকি?

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ৮:২৬

আমারে স্যার ডাকবা বলেছেন: ভ্যাক্সিন নিয়ে কিছুটা অসুস্থ ছিলাম, তারপরে পরিবারের সদস্যরাও অসুস্থ ছিলো। অনলাইনে ছিলাম না।

২| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ৮:২৪

শাহ আজিজ বলেছেন: জনাব , মিস বা মিসেস অথবা মিস্টার ব্যাবহার হতে পারে ।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ৮:২৯

আমারে স্যার ডাকবা বলেছেন: জনাব/জনাবা সবচেয়ে মানানশই সম্বোধন। তবে জনঅসাধারন মেধাবীগন এটায় রাজী হবে না। এমনকি আপনি শুনেছেন হয়তো, নারী সরকারী কর্মচারীগন ম্যাডাম শব্দ শুনলেও রেগে যান, তাদেরকেও স্যার ডাকতে হয়।

৩| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ৮:৩০

চাঁদগাজী বলেছেন:


খুচরা লেভেলের ব্লগিং

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ৮:৩৪

আমারে স্যার ডাকবা বলেছেন: এইতো! ধরতে পেরেছেন। :#)
অবশ্য আপনার মতো পাইকারী লেভেলের ব্লগার বিষয়টা ধরতে না পারলে কে পারবে? 8-|
আপনার জন্য আছে কেয়া কসমেটিক্স এর পক্ষ থেকে পুরস্কার। :#)

৪| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ৮:৩১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সরকারী কর্মকর্তাদের একটা অংশের বাড়াবাড়ির কারণে ভালোরাও সমালোচিত হচ্ছেন।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ৮:৩৮

আমারে স্যার ডাকবা বলেছেন: ৯০% অসৎ লোকের জন্য ১০% ভালো মানুষ সমালোচিত হওয়া আসলেই মেনে নেওয়া কষ্টের :(

৫| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ৯:৪৪

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: শুধু নিজ নিজ চাকরিক্ষেত্রে/পেশায় একজন অধস্তন তার উর্ধতন ব্যক্তিকে 'স্যার' ডাকতে পারেন। সাধারণ জনগণ ঐ কর্মচারীকে আজাদ সাহেব, আজাদ ভাই, পরিচালক সাহেব, পিএস সাহেব, ইত্যাদি সম্বোধনে ডাকতে পারেন। একজন শিক্ষককে জনসাধারণ বয়স/পদ নির্বিশেষে 'স্যার' ডাকবেন (যেটা আমি নিজে সবসময়ই করি), 'টিচার/মিস' সম্বোধনের পাশাপাশি। এর বাইরে কাউকে 'স্যার/ম্যাডাম' ডাকার প্রয়োজন দেখি না।

'স্যার' সম্বোধনটা অনেকের মধ্যে খুব অহঙ্কার সৃষ্টি করে। আমাকে কেউ 'স্যার' বা 'ম্যাডাম' ডাকলেই মনে করি আমি তার চাইতে পদ ও পদবিতে সুপিরিয়র। এটাই ঝামেলা সৃষ্টি করে। এইজন্য কোনো সরকারি কর্মকর্তাকে 'দিদি' বা 'আপা' ডাকলে তিনি ক্ষেপে আগুন হয়ে তার ঝাকাটাকা সব লাত্থি দিয়া ফেলে দেয়ার মতো ঔদ্ধত্ব্য দেখাতে পারেন।

জনপ্রশাসন মন্ত্রীর বক্তব্যটা এইমাত্র টিভি নিউজেও দেখলাম। তাকে ধন্যবাদ ইস্যুটা উপস্থাপন করার জন্য। এটা কোড অব কন্ডাক্টের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করে দেয়া উচিত।

আপনার স্যাটায়ারিক পিঞ্চ খুব ভালো লেগেছে।

তবে, আপনি আমাকে একটু স্যার ডাকেন দেখি, একটু 'স্যার' হতে সাধ জাগলো :)

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ২:৫৪

আমারে স্যার ডাকবা বলেছেন: শিক্ষকদের স্যার/ম্যাডাম বলতে আমার আপত্তি নাই। কেননা আমাদের দেশে এটাই প্রচলিত হয়ে গেছে। শিক্ষক ছাত্রের মাঝে উত্তম-অধম মানষিকতা নাই। এই সম্পর্কে স্যার শব্দে অহংকার নাই।
কর্মক্ষেত্রে সিনিয়র-উপরের পদের কর্মকর্তাকে স্যার ডাকতে সমস্যা নাই। কারন এটাও প্রচলিত, কর্পোরেট কালচার হয়ে গেছে।

তবে জনসাধারনের ট্যাক্সের পয়সায় বেতন-ভাতা পাওয়া সেবক জনসাধারন থেকে স্যার আশা করা, বেহায়ার চূড়ান্ত পর্যায় এটা।

সারকাজম সবাই ধরতে পারে না। আমার ব্লগ নিক নিয়েই কত কাহিনি হয়ে গেলো.
সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ স্যার

৬| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১১:১৬

রাজীব নুর বলেছেন: সরকারী লোকজন এঁর তেল জমে গেছে।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ২:৪৬

আমারে স্যার ডাকবা বলেছেন: না, জমে থাকে না। তারা যেমন তৈলমর্দন পেয়ে থাকে, একই ভাবে উপর মহলে তেল দিয়ে থাকে। তৈল সর্বদাই প্রবহমান /:)

৭| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ২:৪৫

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
বাংলাদেশের সকল দুর্নিতি অপকর্মের জন্য আমলা তথা সরকারি স্যার রা দায়ী।
স্থানীয় সরকার যেহেতু ক্ষমতাহীন, তাই স্যারেরা ক্ষমতায়, মানে অর্থ ব্যাবহারের(লোপাটের) ক্ষমতায়।
ব্রিটিশরা শাসন করার জন্য এদের বানায়ে দিয়ে গেছে, কিন্তু নিজ দেশে বানায় নি।

উন্নত দেশে এই স্যাররা নেই। ক্ষমতা নেই। স্যাররা কেরানি কাজ করে।
শক্তিশালী কেন্দ্রিয় সরকার(ফেডারেল) থাকলেও ফেডারেল কেরানি স্যারদেরও ক্ষমতা নেই। সরকারি গাড়ী সরকারি বাসস্থান নেই।
দেশ চলে মুলত প্রাদেশিক (স্টেট) সরকার ও স্টেটে অবস্থিত শ খানেক সিটি পৌরসভা সরকার। সেখানেও স্যাররা কেরানির কাজ করে। স্যার ক্ষমতা নেই। সব সরকারি হর্তাকর্তারা সবাই নির্বাচিত, এলাকার কাউন্টি পুলিশ প্রধান নির্বাচিত, জজসাহেব নির্বাচিত, একজন বড় ক্যারানি সাহেব (কাউন্টি ক্লার্ক) পর্যন্ত নির্বাচিত। পুলিশের গাড়ী ও ইউটিলিটি গাড়ী বাদে সরকারি বিলাশবহুল গাড়ী নেই, স্যাররা তো দুরের কথা নির্বাচিতরাও নিজের বক্তিগত গাড়ী ব্যাবহার করেন।
স্টেট গভর্নর বাদ দিলাম, একটা গ্রামের সিটি মেয়রের ক্ষমতা প্রেসিডেন্ট বাইডেনের চেয়ে বেশী। প্রেসিডেন্টের হুকুম অগ্রাহ্য করে নিজের নিয়ম জারি করতে পারে।

দৈনদনিন কাজকর্মে কেন্দ্রের (ফেডারেল) সরকারের ভুমিকা তেমন নেই। ফেডারেল কেরানি স্যারদেরও কোন ক্ষমতা নেই।
আমার চোখে মার্কিন দেশে সবচেয়ে ক্ষমতাবান স্থানিয় সিটি মেয়র। তাকেও স্যার বলতে হয় না।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ৩:১৪

আমারে স্যার ডাকবা বলেছেন: আমাদের দেশে আমলারা যে কত ক্ষমতাবান, সেটা ঢাকা সিটি দেখলেই বোঝা যায়। ওয়াসা, রাজউক, গণপূর্তসহ বিভিন্ন সেক্টরের আমলাদের সাথে দায়িত্ব ও ক্ষমতার এই অসামঞ্জস্যই ঢাকার ঝামেলার কারন।

এ দেশে সব সরকারই আমলাদের তোয়াজ করে চলে। বর্তমান সরকার এতবছর ক্ষমতায় থেকেও স্থানীয় সরকার শক্তিশালী করতে পারে নাই, বরং আমলাদের সুযোগ-সুবিধা বহুগুন বাড়িয়েছে। সরকারি দল বহুলাংশে আমলা ও সরকারি স্যারদের উপর নির্ভরশীল।

আমাদের দেশের স্থানীয় সরকার দূর্বল কারন দেশে সুষ্ঠু গনতন্ত্রের চর্চা নাই। রাজনৈতিক দলের ভেতরে রাজনীতিবিদ নাই। সব সুবিধাবাদী, বড় নেতার আত্মীয় / পরিবারের সদস্য, মাস্তান আর ব্যাবসায়ী দিয়ে ভর্তি। দেশে জাতীয়-স্থানীয় নির্বাচন বাদ দেন, রাজনৈতিক দলগুলোর কাউন্সিলই নিয়মিত ভাবে হয় না। আর দলীয় নেতৃত্ব ও কমিটি নির্বাচনে কাউন্সিলরদের কোন অংশগ্রহনও নাই। রাজধানীর এসিরুমে বসে মহানগর, জেলা এমনকি প্রান্তিক পর্যায়ের কমিটি করে দেয়া হয়। এমন কমিটি কি বাল ফালাইবো? স্থানীয় সরকার শক্তিশালী হবে কেমনে?

এই অবস্থা শুধু আওয়ামী লীগ না, দেশের ছোট-বড় সব রাজনৈতিক দলের অবস্থা। রাজনীতির অবস্থা এমন হলে কর্মচারীদের তো স্যার বলতেই হবে।

৮| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:০০

অপু তানভীর বলেছেন: আমিও খুবই হতাশ হয়েছি মাননীয় মন্ত্রীর কথায় । এই হতাশা দুর করতে কি করতে হবে ঠিক বুঝতে পারছি না ।
কোন একটা বুদ্ধি দেন জনাব স্যার ! :D

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৫৭

আমারে স্যার ডাকবা বলেছেন: বিটিভির সংবাদ দেখুন, সব হতাশা দূর হয়ে যাবে। :D
অপু স্যার, আপনি তো খুব প্রেমের গল্প লেখেন, একটা ফরমায়েশ ছিলো। সময় করে একজন সরকারি স্যার এবং একজন সরকারি ম্যাডাম এর ভেতর প্রথম শ্রেনীর প্রেমের গল্পো লিখবেন। B-))

৯| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৪:০৪

নতুন বলেছেন: সারা দিন বাংলায় কথা বলে যদি মানুষের মুখে ইংরেজী স্যার শুনে নিজেদের পদের অবস্থা বুঝতে হয় তবে এদের মনে অনেক বড় সমস্যা আছে।

বাইরের দেশে সবাই সবাইকেই স্যার বলে সম্বোধন করে।

আমাদের দেশে ভাই এবং আপু অবশ্যই খুবই সম্মানের ডাক এতে আপত্তি থাকার কথা না। যারা স্যার ডাকে নিজেকে সম্মানিত মনে করে তাদের সমস্যা বোঝাবে কে?

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৫৮

আমারে স্যার ডাকবা বলেছেন: তারা হয় অবুঝ, না হয় তারা এক লাইন বেশি বোঝে #:-S
পরেরটাই হওয়ার সম্ভাবনা বেশি

১০| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৪:১২

সাত ভাই চম্পা বলেছেন:
জনাব হাবিবের এখনো কি জ্ঞান হয়নি উনাকে স্যার
ডাকা যাবে না ?

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৫৩

আমারে স্যার ডাকবা বলেছেন: একটি বিশেষ ঘোষনাঃ
আমার সাথে কিংবা আমার লেখার সাথে সম্পর্ক নাই এমন কোন মন্তব্য করবেন না। এছাড়াও অন্য কোন ব্লগারকে কিছু জিজ্ঞেস করতে চাইলে তার লেখাতেই গিয়ে কমেন্ট করবেন অথবা তার ইমেইল/মোবাইলে (জানা থাকলে) যোগাযোগ করবেন। অযথা আমার ব্লগে এসে আরেকজনকে খুচিয়ে ক্যাচাল লাগাতে চেষ্টা করবেন না।
ঘোষনাটি শেষ হলো। ধন্যবাদ।

১১| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২৮

জুন বলেছেন: সত্যি আপনার বিশ্লেষণে মুগ্ধ হোলাম। আর কাউকে ডাকি না ডাকি আপনেরে স্যার ডাকতেই হপে B-) আমি সরকারি অফিসে কোন কাজে গেলে সে যত বড় অফিসারই হোক তার আই কন্টাক্টের অপেক্ষায় থাকি। তারপর সে যখন আমার দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করে "কি ব্যাপার"? তখন আমি বলি "শোনেন আমি এই সমস্যা বা এই কাজে এসেছি"। তবুও স্যার বা ম্যাঠাম ডাকি না। স্যার/ ম্যাঠাম ডেকেছি স্কুল কলেজ আর ইউনিভার্সিটির শিক্ষকদের আর কাউকে না।
=p~

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:৩০

আমারে স্যার ডাকবা বলেছেন: সরকারি অফিসে তেমন যাই নাই, তবে যতটুকু কাজে গিয়েছি স্যার ডাকি নাই। পদের নাম ধরে ডাকছি 8-|

১২| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২৯

জুন বলেছেন: আরেকটা কথা বলতে মনে নাই সেটা হলো আপনার মধ্যে কেমন যেন একটা ভুয়া ভুয়া ভাব আছে :| আমার আশংকা ভুল ও হতে পারে :P

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:৩২

আমারে স্যার ডাকবা বলেছেন: আপনার আশংকা সত্যি, আমি নিজেও মাঝে মাঝে ফিল করি আমি ভূয়া টাইপের মানুষ। অবশ্য দুনিয়াটাই তো ভূয়া। এই বিষয়ে একজন বিখ্যাত দার্শনিক বলে গেছেন, "ইয়ে দুনিয়া পিত্তল দি" :``>>

১৩| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩৯

চাঁদগাজী বলেছেন:



খুচরা

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ৮:২০

আমারে স্যার ডাকবা বলেছেন: খুচরা হারে একই কমেন্ট বারবার করেন কেন? একবার কমেন্ট করেছেন, আমি দেখেছি।

আপনাকে দেখলেই আমার ভারতীয় একটা প্রবাদ এর কথা মনে চলে আসে, "লোগো কা না আন্ড কা পাতা হ্যায়, না গান্ড কা, পার গিয়ান চোদেঙ্গে পুরা ব্রহ্মান্ড কা"

১৪| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ৯:১৬

*আলবার্ট আইনস্টাইন* বলেছেন: সরকারী কর্মকর্তাদের উচিৎ সেবার দিকে মনোযোগ দেওয়া। একজন কৃষক কিংবা সাধারণ হকার বাদাম বিক্রেতার কাছ থেকে অনেক কিছু শেখার আছে। তাদেরকে স্যার ডাকতে বাধ্য করা স্রেফ ফ্যাসিস্ট চিন্তাভাবনা।

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ৯:২০

আমারে স্যার ডাকবা বলেছেন: সরকারী কর্মচারীগন যেদিন নিজেকে সরকারী কর্মকর্তা না ভেবে পাবলিক সার্ভেন্ট বা জনগনের সেবক ভাববেন, তখনই এই সমস্যাগুলো দূর হবে।

১৫| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১০:৪২

চাঁদগাজী বলেছেন:


কয়েকদিন ব্লগে মাছির মতো উড়েন, তারপর ফেইবুকে স্হান পাবেন।

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১২:৩০

আমারে স্যার ডাকবা বলেছেন: আপনার মতো জ্ঞানী ব্লগে উড়ে বেড়ালে মানুষ তো ব্লগ ছাড়তে বাধ্য হবেই। :D
আর আমারে নিয়ে চিন্তা কইরেন না বস, আপনের তো আরো বহুত ইম্পর্টেন্ট বিষয় নিয়ে চিন্তা করতে হয়। আমেরিকায় মাইক্রোসফট-গুগল দাপিয়ে বেড়ান তো, আমার কিন্তু এই টিউশনী করা জীবনে সময়ের অভাব নাই। তবে আপনার মহামূল্যবান সময় আমার পেছনে ব্যয় করা বৃথা। :)

তারচেয়ে বরং ৩য় বিশ্ব, টিকা রাজনীতি, জাতিসংঘ আর স্যোস্যালিষ্ট অর্থনীতি নিয়ে গবেষনা করতে থাকেন। অন্য ব্লগারদের লেখা মানহীন বলে খোঁচা মেরে নিজে ফেসবুক স্ট্যাটাস-সম লেখা ব্লগে দিয়ে ভরে ফেলেন। স্যালুট সহ শুভ কামনা রইলো। :#)


১৬| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:৫৫

সোনালি কাবিন বলেছেন: :( :(

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:০৯

আমারে স্যার ডাকবা বলেছেন: মাননীয় প্রতিমন্ত্রীর কথা শুনে আমারও মন খারাপ :(

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.