![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমরা জাতি হিসেবে ইমোশনাল। এটা খারাপ কিছু, তা বলছি না। সমস্যা ঠিক তখনই হয়, যখন আমরা ভুলে যাই যে আমরা ইমোশনাল। আর বেশী ইমোশনাল হওয়ার যে দোষটা আছে, সেটাও আমাদের ভালোই আছে। আমরা ইমোশনাল হই তাৎক্ষনিকভাবেই, আবার ভুলেও যাই তাড়াতাড়িই।
প্রেমই হোক আর জাতীয় কোন ব্যাপারই হোক। যতদিন আমরা ইমোশন নিয়ন্ত্রনে নিতে না পারবো, সফলতা আমাদের আসবে না।
দেশের অবস্তা একবার দেখেন! তনুকে নিয়ে, গুলশান নিয়ে, এটা ওটা কতকিছু নিয়েই তো মাতামাতি করে দেশ উদ্ধার করে ফেললাম, আলোচনা, ঝগড়া, মারামারি, লিখালিখি... অবশেষে কি হলো? কি উদ্ধার করলাম?
কিছুই না। আমরা ভুলে গিয়ে এবার আইফোনের নয়া এপ প্রিজমা নিয়া গবেশনা শুরু করলাম। ভারমে যায়ে জাতিয় সমস্যা। আমার ফেবুতে প্রিজমা পিক দেওয়া বেশী ইম্পর্টেন্ট। ( ভাই, প্রিজমা প্রেমিকদের খারাপ বলছি না। প্রিজমা এপটা আসলেই ইউনিক।)
নিজের ব্যাক্তিগত জীবনের দিকেই দেখি না ক্যান? বাবা আমাকে বুঝে না, মা বুঝে না, প্রেমিকা বুঝে না। সবাই খারাপ। সত্যিই কি? আরে না রে ভাই। সবাই ঠিক আছে। সমস্যা আসলে আমাদের নিজেদের মাঝেই। আমরা ভালো কাজ করতে গেলেও আমাদের ভুল বুঝা হয় কারন আমরা ভালো কাজটাও করার জন্য একটা খারাপ রাস্তাই খুজে বের করি। বুঝেন তাইলে কতোটা ক্রিয়েটিভ জাতি আমরা।
একটু যদি সঠিক ভাবে, সঠিক রাস্তায় আমাদের ইমোশন গুলা, ক্রিয়েটিভিটি গুলা লাগানো যেত, তাহলে যে আমরা কি করতে পারি তা বুঝতে হলে খুব দূরে যেতে হবে কি? ৭১ এর বিজয় কি তার প্রমান দেয় না। লুঙ্গি, লেঙ্কটি পড়ে, ফুল আর্মড সেনাবাহিনীর পরাজয় নিশ্চিত করা ভাই মুখের কথা না। আমাদের এই ইমোশন আর ক্রিয়েটিভিটিই ছিলো একমাত্র হাতিয়ার।
পারসোনাল লাইফেই দেখেন। কারো গিএফ চলে গেলে, কি করে? পাগলের মতো তাকে ফোন দেয়। অথচ ইউটিবে সার্চ দিয়ে দেখেন, গিএফ কে ফিরিয়ে আনার প্রথম ট্রিকটাই হলো কন্টাক্ট না করা।
কথা সিম্পল, আমার ইমোশন, আমার ক্রিয়াটিভিটি, আমার দখলে থাকলেই সবচেয়ে ভালো কিছু হবে। আরেকজনের হাতে এগুলা দিয়ে বসে থাকলে, বাশ নিজেরই খাওয়া লাগবে। আজ হোক বা কাল।
©somewhere in net ltd.