![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একটাই ফিল্টার, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ফিল্টার এটা, দেশের উন্নয়নে মানবিকতার ও মুক্ত চিন্তার আদর্শের সৈনিক।
গুজব বা অপপ্রচার (Propaganda) এর কারনে শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করে কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনার উল্লেখ করছি।
ধর্মিয় উস্কানীতে সম্প্রতিক সাম্প্রদায়ীক সন্ত্রাসের খসড়া
১৯৪৭ সালে ধর্মিয় উম্মাদনা -
এবং অখন্ড বাংলা স্বাধীন না হয়ে কেন পূর্ব পাকিস্তান হল?
ধর্ম অনুযায়ী ১৯৪৭-এর দেশ ভাগের ভয়ঙ্কর রূপ:
দেশভাগের পরবর্তী সময়ের কিছু ছবি থাকছে এখানে।
১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ রাজ থেকে মুক্ত হয়ে দুটি ভিন্ন দেশের জন্ম হয়। ভারত ও পাকিস্তান। ধর্ম অনুযায়ী তখন প্রায় ২৫ লাখ মানুষ দেশ পরিবর্তন করেছিলো।
সর্বত্র তখন লুটতরাজ, অচলাবাস্থা বিরাজ করছিলো। তখন নবগঠিত এ দুটি দেশের মধ্যে সম্পর্ক খারাপে ভূমিকা রেখেছিলো ধর্মীয় সহিংসতা।
রাষ্ট্রের কর্তাব্যক্তিগণ যদি ধর্মিয় দৃষ্টকোন থেকে বিভক্ত হওয়ার চিন্তা করেন, তখন তাকে সভ্যতার অগ্রযাত্রা বলিবার সাধ্য আমার নেই, স্যাকুলার সমাজগঠনের উপযোগী বা সর্বস্তরের মানুষের জন্য রাষ্ট্রিয় কাঠামো বলা যায় কি? হিন্দুদের অভিযোগ ছিল মুসলিমরা নিম্নবর্ণের মানুষ, তারা অভাবের তারনায় হিন্দু ধর্মে কনভার্ট হওয়া নব্য মুসলি ধার্মিক, তাদের জাত চলে গেছে, সুতরাং তাদেরকে আমরা (হিন্দুরা) কেন গ্রহণ করবো? বাঙালি হিন্দুরা তাদের দৃষ্টিতে মনে করেছিলেন- ১৯৩৭ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে বাংলার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে একজন মুসলমান অভিষিক্ত হওয়ার পর বাংলার হিন্দুরা রাজনৈতিক প্রাধান্য এরা চিরদিনের জন্য হারিয়েছে।
ভারত বিভাগের অব্যবহিত পূর্বে ১৯৪৬ সালের নির্বাচনে মুসলিম লীগের পক্ষে সোহরাওয়ার্দী জয়লাভ না করলে জিন্নাহ পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠাতা হতে পারতেন না। কিন্তু জিন্নাহ যখন পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠাতা হন, ঠিক ওই একই সময়ে সোহরাওয়ার্দীও এক স্বাধীন যুক্ত বাংলার প্রতিষ্ঠাতা হওয়ার প্রায় শেষ পর্যায়ে পৌঁছেছিলেন। জিন্নাহ যুক্ত বাংলা পরিকল্পনা বাংলার মুসলমানদের জন্য মঙ্গলকর হবে মনে করে এর সমর্থন করেন। ১৯৪৭ সালের ২৬ এপ্রিল জিন্নাহর সাথে এক আলাপ-আলোচনায় লর্ড মাউন্টবেটেন তাকে জানান, সোহরাওয়ার্দী ‘মনে করেন যে তার পক্ষে যুক্ত বাংলাকে ধরে রাখতে সম্ভব হবে, যদি এটি পাকিস্তান অথবা হিন্দুস্তান কোনোটাতেই যোগদান না করে।’ ‘টপ সিক্রেট’ এই আলাপ-আলোচনা এভাবে লিপিবদ্ধ হয়ঃ ‘আমি মি. জিন্নাহকে সোজাসুজি জিজ্ঞেস করলাম পাকিস্তানের বহিভূêত থেকে যুক্ত বাংলার অবস্থান সম্পর্কে তার কী অভিমত?’ কোনো দ্বিধা না করে তিনি বললেনঃ ‘আমি আনন্দিত হব। কলকাতা ব্যতীত বাংলার কী মর্যাদা রয়েছে? তাদের (বাঙালিদের) পক্ষে যুক্ত থাকা এবং স্বাধীন থাকাই ভালো হবে। আমি এ ব্যাপারে নিঃসন্দেহ যে এরা আমাদের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রাখবে।’ আমি তখন বললাম, সোহরাওয়ার্দী বলেছেন যদি বাংলা যুক্ত এবং স্বাধীন থাকে তাহলে বাংলা কমনওয়েলথের অন্তর্ভুক্ত থাকার ইচ্ছা প্রকাশ করবে। জিন্নাহ উত্তরে বলেনঃ ‘সেটাই তো ঠিক, যেমন আমি আপনার কাছে প্রকাশ করেছি, পাকিস্তান কমনওয়েলথের অন্তর্ভুক্ত থাকার ইচ্ছা প্রকাশ করবে।’ (মাউন্টবেটেন পেপারস, লর্ড মাউন্টবেটেন ও জিন্নাহর মধ্যে ১৯৪৭ সালের ২৬ এপ্রিলে অনুষ্ঠিত ইন্টারভিউয়ের রেকর্ড, Nicholas Mansergh, The Transfer of Power, 1942-47, vol. X, পৃঃ ৪৫২-৪৫৩ দ্রঃ)
১৯৪৭ সালের ২৮ এপ্রিলে লর্ড মাউন্টবেটেন নিশ্চিত হন, জিন্নাহ যুক্ত বাংলা পরিকল্পনার বিরুদ্ধে দাঁড়াবেন না। ওই তারিখে বাংলার গভর্নর বারোসের কাছে এক টেলিগ্রামে তিনি বলেনঃ ‘এটা ভুলবেন না যে আমার প্ল্যানে পাকিস্তান অথবা হিন্দুস্তানের অংশ নয় এমন একটি যুক্ত অথচ স্বাধীন বাংলার পথ খোলা রেখেছে। জিন্নাহ এই প্ল্যানের কোনো বিরোধিতা করবে না।’ (‘টপ সিক্রেট’, Mansergh, vol. X,পৃঃ ৪৭২ দ্রঃ) মে মাসে অনুষ্ঠিত ভাইসরয়’স মিটিংয়ে ‘ভাইসরয় বলেন ... মি. জিন্নাহ পাকিস্তান থেকে পৃথক একটি স্বাধীন বাংলার পরিকল্পনা অনুমোদন করেন।’ (মাউন্টবেটেন পেপারস, ১৯৪৭ সালের ১ মে, Mansergh, vol. X,পৃঃ ৫১২ দ্রঃ) এমনকি ১৯৪৭ সালের মে মাসের প্রথম দিকে একটি স্বাধীন বাংলা প্রতিষ্ঠার জন্য জিন্নাহর সম্মতি সম্পর্কে সোহরাওয়ার্দী নিঃসংশয় ছিলেন। ১৯৪৭ সালের ৭ মে ‘টপ সিক্রেট’ মাউন্টবেটেন পেপারসে উল্লেখ রয়েছেঃ ‘মি. সোহরাওয়ার্দী তাকে (গভর্নর বারোসকে) বলেন, মি. জিন্নাহ বলেছেন যে তিনি একটি স্বাধীন বাংলার প্রতিষ্ঠা সম্পর্কে রাজি হবেন।’ Mansergh, vol. X,পৃঃ ৬৫৭ দ্রঃ)
এসব বিষয় পর্যালোচনা করে গ্রন্থকার স্ট্যানলি ওয়ালপার্ট মন্তব্য করেন, ‘জিন্নাহ একটি স্বাধীন বাংলা প্রতিষ্ঠাকল্পে আগ্রহসহকারে স্বাগত জানানোর জন্য তৈরি ছিলেন। কিন্তু নেহরু ও প্যাটেল এই পরিকল্পনাকে কংগ্রেস এবং ভারতীয় স্বার্থের পরিপন্থী বলে অভিসম্পাত বলে মনে করেন এবং ভয় করেন যে মুসলিম প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি যুক্ত ‘বাংলাদেশ’ ভারতের চেয়ে পাকিস্তানের সাথে নিবিড়তর সম্পর্ক স্থাপন করবে।’ (জিন্নাহ অব পাকিস্তান, পৃঃ ৩২০) শীলা সেন তার গ্রন্থে প্রায় একই ধরনের মত প্রকাশ করেনঃ ‘জিন্নাহ এই [যুক্ত বাংলার] পরিকল্পনার বিরুদ্ধাচরণ করেননি। কিন্তু কেন্দ্রীয় কংগ্রেস নেতৃবৃন্দ প্রথম থেকেই এর সম্পূর্ণ বিরুদ্ধে ছিলেন।’ ‘প্যাটেল ও নেহরুর বিরোধিতা ছিল জেদে পূর্ণ।’ (মুসলিম পলিটিকস ইন বেঙ্গল, পৃঃ ২৪৩) ‘বাংলার কংগ্রেস নেতাদের কাছে লিখিত বেশ কিছু পত্রে প্যাটেল এই পরিকল্পনাকে নিন্দা করেন। (পৃঃ ১৩০)
জিন্নাহ জানতেন যে বাঙালি হিন্দুরা মন-প্রাণ দিয়ে যুক্ত বাংলার সমর্থন করে না। ১৯৪৭ সালের ১৭ মে জিন্নাহ বলেন, ‘দাবি-দাওয়া নিয়ে সোচ্চার বেশির ভাগ হিন্দু বাংলার বিভক্তি চায়।’ Mansergh, vol. X, পৃঃ ৮৫২ দ্রঃ) ১৯৪৭ সালে জিন্নাহ বাংলায় রেফারেনডাম করার প্রস্তাব করলে ব্রিটিশ কেবিনেট ২০ মে সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে। Mansergh, vol. X, পৃঃ ৯২১-৯২২ দ্রঃ) ১৯৪৭ সালের ২৮ মে লর্ড মাউন্টবেটন লন্ডনে অনুষ্ঠিত ব্রিটিশ কেবিনেট মিটিংকে অবহিত করেন, জিন্নাহ তাকে পরিষ্কারভাবে বলেছেন, তার পক্ষে বাংলার বিভক্তি মেনে নেয়া সম্ভব হবে না। Mansergh, vol. X, পৃঃ ১০১৪)
পক্ষান্তরে হিন্দু মহাসভা যুক্ত বাংলা সম্পর্কে প্রথম থেকেই একটি নেতিবাচক ভূমিকা গ্রহণ করে। নিখিল ভারত হিন্দু মহাসভার প্রেসিডেন্ট শ্যামা প্রসাদ মুখার্জি যুক্ত বাংলা পরিকল্পনার সম্পূর্ণ বিরুদ্ধে ছিলেন এবং ভাইসরয় লর্ড মাউন্টবেটনের কাছে তিনি একটি তীব্র প্রতিবাদ পাঠান। ২ মে তারিখে লিখিত একটি চিঠিতে তিনি লেখেন, ‘একটি স্বাধীন অবিভক্ত বাংলা সম্বন্ধে কিছু এলোমেলো কথাবার্তা শোনা যাচ্ছে। এর ভাবার্থ আমাদের কাছে একেবারেই বোধগম্য নয় এবং আমরা এর সমর্থন কোনোভাবেই করি না। আমরা হিন্দুদের কাছে এই পরিকল্পনা কোনো উপকারে আসবে না।
স্বাধীন অবিভক্ত বাংলা প্রকৃতপক্ষে একটি পাকিস্তানের রূপ নেবে... আমরা কোনোভাবেই ভারতের অংশ থেকে বিচ্ছিন্ন হতে চাই না।’ (মাউন্টবেটেন পেপারস Mansergh, vol. X,পৃঃ ৫৫৭ দ্রঃ) সোহরাওয়ার্দী জানতেন, কেন্দ্রীয় কংগ্রেস ছাড়াও হিন্দু মহাসভা যুক্ত বাংলা পরিকল্পনার পরম বিপক্ষে ছিল। ১৯৪৭ সালের ১৫ মে ভাইসরয়ের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি ঝমড় ঊ. গমপংমললপ-এর কাছে এক পত্রে সোহরাওয়ার্দী লেখেন, ‘পার্টিশানের ব্যাপারে হিন্দু মহাসভা হিন্দুদের ধ্যান-ধারণাকে আচ্ছন্ন করে রেখেছে।’ (Mansergh, vol. X, পৃঃ ৮৩০ দ্রঃ)
বাঙালি হিন্দুরা তাদের দৃষ্টিতে মনে করে, ১৯৩৭ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে বাংলার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে একজন মুসলমান অভিষিক্ত হওয়ার পর বাংলায় রাজনৈতিক প্রাধান্য এরা চিরদিনের জন্য হারিয়েছে। বাংলার কংগ্রেস তাদের তরফ থেকে যুক্ত বাংলা সম্পর্কে আলাপ-আলোচনা চালানোর জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে কাউকে ভার দেয়নি অথবা কোনো সংস্থা স্থাপনা করেনি। যুক্ত বাংলা পরিকল্পনা কার্যকর না হওয়ার কারণগুলোর বিশ্লেষণ করে শীলা সেন তার গ্রন্থে বলেন, ‘সম্পূর্ণ স্বাধীন বাংলা পরিকল্পনা ব্যর্থ হওয়ার’ প্রথম কারণটি হচ্ছে ‘কংগ্রেস নেতাদের পুরোপুরি বিরোধিতা’। (পৃঃ ২৪৩)
১৯৫২ভাষা আন্দোলন:
২৫ ফেব্রুয়ারী ১৯৪৮ : কুমিল্লা থেকে নির্বাচিত বাঙ্গালী গণপরিষদ সদস্য ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত পার্লামেন্টে প্রথমবারের মত বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসাবে গ্রহণ করার জন্য একটি বিল আনেন । মজলুম জননেতা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীসহ, বাঙালী পার্লামেন্ট সদস্যদের একাংশ এর পক্ষে সমর্থন দিলেও মুসলিম লীগ সমর্থিত এমপিরা এর বিপক্ষে অবস্থান নেন । পূর্ব পাকিস্তান থেকে নির্বাচিত সদস্য খাজা নাজিমুদ্দিন ছিলেন এই বিরোধিতার শীর্ষে এবং তার সক্রিয় সমর্থনে এই বিলটিকে হিন্দুয়ানী সংস্কৃতিকে পাকিস্তানের সংস্কৃতিতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা আখ্যায়িত করে প্রধান মন্ত্রী লিয়াকত আলী এর তীব্র বিরোধিতা করেন এবং বিলটি বাতিল করা হয় । [img|http://s3.amazonaws.com/somewherein/pictures/skmizan1980/skmizan1980-1476987754-3a91852_xlarge.jpg
১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুকে নাস্তিক আখ্যায়িত দিলে তিনি তার বিরুদ্ধ্যে অভিয়োগ খন্ড করেন এবং মুসলিম বলে পরিচয় দেন, এতেও পাকিস্তান খান্ত হয় নাই, ৩০ লক্ষ মা/বোনকে ধর্ষণ ও হত্যা করে, প্রত্যেক হত্যাকান্ডের পেছনে ছিল ধর্মিয় উস্কানী ।
শান্তি কমিটি ও রাজাকারদের তৎপরতা
শান্তি কমিটি ও রাজাকারদের তৎপরতার মাস – মে ’৭১
মুসলমানদের এগিয়ে আসার আবেদন
১৯ মে, প্রাদেশিক জামায়াতে ইসলামীর মহাসচিব আবদুল খালেক ও শ্রম সচিব মোহাম্মদ শফিউল্লাহ এক যুক্ত বিবৃতিতে বলেন, ‘পাকিস্তান-বিরোধী দুষ্কৃতকারী ও বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ত্রাসের রাজত্ব শেষ হয়েছে। পাকিস্তানের বীর সেনাবাহিনী সময় মতো ব্যবস্থা নেয়ায় সহজেই পরিস্থিতি আয়াত্তে এসেছে। সেনাবাহিনী বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সম্পূর্ণ নিশ্চিহ্ন করতে বদ্ধপরিকর। আমরা তাদের উৎখাত করতে সেনাবাহিনীকে সাহায্য করার জন্য পূর্ব পাকিস্তানের মুসলমানদের এগিয়ে আসার আবেদন জানাচ্ছি।’
গনহত্যাঃ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ১৯৭১ (মালাউন বাচ্চাক খতম করো)
১৪ই ডিসেম্বর বুদ্ধিজীবী হত্যাকান্ড (নাস্তিক কতার দোহাই দিয়ে হত্যাকান্ড) , সন্দেহের তীর ভারতীয় গোয়েন্দাদের দিকে
হুমায়ুন আজাদ হত্যা (মুরতাগ ট্যাগ)
'এক মুরতাদ ছিল। আমরা তাকে সরিয়ে দিয়েছি। এদেশে সরিয়ে দিলে নানা ঝামেলা হতো। তাই বিদেশে নিয়ে রিয়ে দিয়েছি।' প্রথিতযশা লেখক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হুমায়ুন আজাদের জার্মানিতে মৃত্যুবরণ করার পর এ কথা বলেছিলেন - দেলওয়ার হোসাইন সাঈদী। এই পেইজটি আজো সক্রিয় আছে, প্রশাসন ইস্টিশন দেখে, বাঁশের কেল্লা দেখে না কেন?
হুমায়ুন আজাদ হত্যা
ধর্মিয় উস্কানীতে রামুতে হামলা হতামত-
২০১৩ তে শুরু হয় সেই ধর্মের নামে নারকিয় হত্যা, তাতেও ধর্মের নামে মানুষ খুন, প্রপান্ডা চালানো হয় যে, সাইদিকে চাঁদে দেখা গেছে, ভারেত বাবরী মসজিদ ভেঙ্গে দেয়া হয় ধর্মিয় গুজবে।
ইসলাম কাউকে হত্যার অধিকার দেয়নি .. এরূপ ধর্মিও উক্তিতেও থামানো যায় নাই হামলা ও খুন।
নিচের ছবিগুলির বর্ণনা আপনাদের কাছে প্রত্যাশা করি, ইহা কি ধর্মীয় উম্মাদনার কারণ হত্যা নাকি অন্য বাংলাকে সুস্থধারা এগিয়ে নেয়ার চক্রান্ত?
আপনাদের মতামত আমাকে কৃতজ্ঞ করবে।
বিনত অনুরোধ: লিখাতে অনেক বানান ভুল হতে পারে, ভুল ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার জন্য প্রার্থনা রইল।
শাহবাগ আন্দোলনকে নাস্তিকদের আন্দোলন বলে অপপ্রচার
২০১৩তে শাহবাগ আন্দোলন যখন জনতার ৪০ বছরের ক্ষোভ, বিচারের দাবীতে গণজারণ মঞ্চের নেত্রীত্বে- অঙ্গিস্ফুলিঙ্গের ন্যায় বিস্ফোরিত হয়, তখনই প্রগতিশীলমনা, সমাজ গড়ার কারীগরদের উপর নেমে আসে ধর্মিয় খর্গ। একের পর এক খুন হতে থাকে দেশপ্রেমিক লিখক, সাহিত্যিক, কবি, মসজিদের ইমাম, পুরহিত সহ সাধারণ মানুষ, হত্যার পর তাদের বিরুদ্ধ্যে নাস্তিকতা অথবা ধর্মীয় অবমানার অভিযোগ আনের খুনী ধর্মান্ধ মৌলবাদি সম্প্রদায়, সরকারে বিচ্ছিন্নমন্ত্রীর অবহেলায় হত্যার লিষ্টে যুক্ত হতে থাকে নতুন নতুন মুক্তচিন্তার প্রাণ।
অতিতে যে কায়গায় বুদ্ধিজীবিদের হত্যা করা হয়েছিল, একই কৌশলে ধর্মের দোহাই দিয়ে তাদের হত্যা করা হয়। বাবরি মসজিদে হামলা
৪ ফেব্রুয়ারী ২০১৩ হেফাজত ই ইসলাম এর ধ্বংস যঙ্গ।
সম্প্রতি সিলেটে মন্দিরে হামলা
২০১২, ১৩ র রামুর ঘটনা বুদ্ধ মন্ধির ধ্বংস করা।
নিম্নুক্ত ব্যক্তিদের হত্যার হুমিকি দাতাদের আজো সন্ধান করতে পারে নাই বর্তমান প্রশাসন ।
বর্তমান সংকট থেকে উত্তরণ সম্ভব?
Subrata Shuvo(Je suis Avijt) এর মতে-
বাংলাদেশ একটি কঠিন সময় অতিক্রম করছে। ব্লগার ইস্যু, অধিক সংখ্যক লেখক হত্যা’র মতন ঘটনা অতীতে বাংলাদেশে ঘটে নি। লেখকদের উপর শারীরিক আঘাত শুরু হয় ১৯৯৯ সালে শামসুর রাহমান থেকে এরপর ২০০৪ সালে ২৭ ফেব্রুয়ারি চাপাতির আঘাতে গুরুতর-ভাবে আহত হোন হুমায়ুন আজাদ। ১৯৭১ সালের ১৪ই ডিসেম্বর রাজাকারদের সহায়তায় পাকিস্তান সেনা বাহিনী কর্তৃক বুদ্ধিজীবী হত্যার পর স্বাধীন বাংলাদেশে মাটি হুমায়ুন আজাদের রক্তে প্রথম রঞ্জিত হয়!
কাদের মোল্লা’র ফাঁসির দাবীতে শাহবাগ সৃষ্টির পর বিএনপি-জামাত কর্তৃক শাহবাগের সবাইকে ব্লগার ও একই সাথে নাস্তিক ট্যাগ, বিএনপির মুখপত্র ‘আমাদের দেশ’ কর্তৃক সমাজে ব্লগারদের নেগেটিভ-ভাবে উপস্থাপন শুরু হয়। রাজিব হায়দার বাংলা ব্লগের প্রথম ব্লগার যিনি ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৩’তে জঙ্গিদের হামলায় প্রাণ হারান। সারা বাংলাদেশে ব্লগারদের বিপরীতে একটি ঘৃণা’র দৃষ্টিভঙ্গি বিএনপি-জামাত তৈরি করার মধ্য দিয়ে ব্লগার হত্যা পথ মসৃণ হয়। শাহবাগের ব্যর্থতা শুরু সেখান থেকে। মানুষের কাছে বিএনপি-জামাতের দৃষ্টিভঙ্গি তারা পরিবর্তন করতে সক্ষম হয় নি।
শেখ মিজান
ঢাকা, বাংলাদেশ
২১/১০/২০১৬
Facebook শেখ মিজান
https://twitter.com/skmizan
অন্যান্য লিখা সমুহ: ব্লগ লিষ্ট- বিস্তারিত
©somewhere in net ltd.