নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অন্যায় অপশক্তির বিরুদ্ধ্যে সোচ্চার কন্ঠধ্বনি, মুক্তবাক, স্বাধীন চিন্তা, প্রগ্রেসিভ রাজনৈতিক চর্চার মাধ্যমে সামাজিক বৈপ্লবিক পরির্তন চাইযুক্তিহীন কথা মূল্যহীন। কিছু কিছু লোক আছে যারা অযুক্তিক অসত্য কথা বলে বেড়ায়। এদের কথার মূল্য খুবই কম। যুক্তি যু

শেখ মিজান

একটাই ফিল্টার, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ফিল্টার এটা, দেশের উন্নয়নে মানবিকতার ও মুক্ত চিন্তার আদর্শের সৈনিক।

শেখ মিজান › বিস্তারিত পোস্টঃ

"নিউক্লিয়াস" এবং সিরাজুল আলম খান দাদা ভাই

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৩:২৬

“নিউক্লিয়াস" বাংলাদেশ; একটি ইতিহাস”

যারা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস পড়েন, একটি নাম ‘নিউক্লিয়াস’ শব্দটির তাদের খুব চেনা। নিউক্লিয়াস নেতা সিরাজুল আলম খানকে নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে যতো আলোচনা-সমালোচনা হয় তা অন্য কোনো রাজনীতিকের ক্ষেত্রে এরূপ ঘটেনি।

একটি খেতাবতো তাকে রীতিমতো ঘেরাটোপেই আটকে ফেলেছে, তা হলো ‘রাজনীতির রহস্যপুরুষ।’ স্বাধীনতা পূর্ব বাংলাদেশের একজন প্রখ্যাত ছাত্র নেতা। তিনি বাঙালির ‘জাতীয় রাষ্ট্র’ বাংলাদেশ গঠনের লক্ষে ১৯৬২ সনে গোপন সংগঠন ‘নিউক্লিয়াস’ গঠন করেছিলেন।


১৯৬২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে সেই তরুণদের একজন তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল আলম খান ঢাকা হলের মাঠে এক অলস বিকেলে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিষয়টি উত্থাপন করলে তাঁর সাথে একমত হন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় ও ঢাকা মহানগর নেতা কাজী আরেফ আহমেদ ও ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক।

সিরাজুল আলম খান, আব্দুর রাজ্জাক, কাজী আরেফ আহমেদ- এই তিন ছাত্রলীগ নেতার উদ্যোগে গঠিত হয় স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পক্ষের প্রথম গোপন সংগঠন যা 'নিউক্লিয়াস' নামে পরিচিত। আবার এই 'নিউক্লিয়াস'ই স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী পরিষদ' নামে অভিহিত।

প্রকাশ্যে এই নিউক্লিয়াসের কোনো কর্মকাণ্ড ছিল না ঠিকই; কিন্তু অত্যন্ত গোপনে তারা অভিষ্ঠ লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য কাজ শুরু করেন।

১৯৬৩ সালের নভেম্বরে সিরাজুল আলম খান আব্দুর রাজ্জাক ও কাজী আরেফ আহমেদকে নিয়ে ছোট একটা সেল বা চক্র তৈরি করেন। রাজ্জাক ছিলেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রিয় কমিটির সহ-সম্পাদক।
কাজী আরেফ ছিলেন ঢাকা নগর ছাত্রলীগের সভাপতি।

এই সেলের তাত্ত্বিক ছিলেন সিরাজুল আলম খান। তাঁরা বিপ্লবী রোমান্টিকতায় আচ্ছন্ন ছিলেন। আঙ্গুল কেটে রক্ত ছুঁয়ে তাঁরা শপথ নেন, যতদিন পূর্ব বাংলা স্বাধীন না হবে, ততদিন তারা ব্যক্তিগত সুখ- সুবিধার পেছনে ছুটবেন না, এমন কি বিয়েও করবেন না।
.
সেলটির নাম দেওয়া হয় ‘স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী পরিষদ’। আগরতলা মামলা বাতিল হয়ে যাওয়ার পর সিরাজুল আলম খান ও আবদুর রাজ্জাকের সঙ্গে কথা বলে শেখ মুজিব স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী পরিষদের ব্যাপারে অবহিত হন। তিনি উৎসাহবোধ করেন, কিন্তু বিষয়টা নিয়ে হইচই করতে নিষেধ করেন।

ছাত্রলীগের ভেতরে যে মেরুকরণ ঘটছিল, তার একটা বিস্ফোরণ হয় ১৯৭০ সালের আগষ্ট মাসে। ঢাকার ৪২ নং বলাকা বিল্ডিংয়ের ছাত্রলীগের অফিসে তখন কেন্দ্রীয় কমিটির বর্ধিতসভা চলছিল। কেন্দ্রীয় কমিটিতে সিরাজপন্থীদের মুখপাত্র ছিলেন স্বপন কুমার চৌধুরী।

২১ আগস্ট রাতে সভা চলার সময় তিনি ‘স্বাধীন সমাজতান্ত্রিক বাংলাদেশ’ শিরোনামে একটা প্রস্তাব আনুষ্ঠানিকভাবে উত্থাপন করেন। এ নিয়ে কিছুক্ষণ আলোচনা ও বিতন্ডা হয়। স্বপন ভোটাভোটির দাবি জানান। কেন্দ্রীয় কমিটির ৪৫ জনের মধ্যে ৩৬ জনই ছিলেন প্রস্তাবের পক্ষে।

সভাপতি নূরে আলম সিদ্দিকী অবস্থা বেগতিক দেখে সভা মুলতবী করে দেন। তখন সবাই মিলে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের বাসায় যান। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সব শুনে বিব্রতবোধ করেন। ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক বদিউল আলম বললেন, ‘আমরা মেজরিটি ভোটে প্রস্তাব পাশ করেছি।

’ উত্তেজিত তরুণ-তুর্কিদের শান্ত হওয়ার পরামর্শ দিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বললেন, ‘স্বাধনিতা চাস, ভাল। কিন্তু রেজুলেশন নিয়ে তো স্বাধীনতা হয় না। গ্রামে যা, কাজ কর।’

এ সময় রফিকুল ইসলাম জোরে শ্লোগান দিয়ে উঠলেন, ‘কৃষক-শ্রমিক অস্ত্র ধরো/ বাংলাদেশ স্বাধীন করো’। রফিকের শ্লোগান শুনে শেখ মুজিব বিরক্ত হয়ে বললেন, ‘খবরদার, এ শ্লোগান দেবা না, এটা কমিউনিস্টদের শ্লোগান।’


ছাত্রলীগের আরেক সহ-সম্পাদক চিশতি হেলালুর রহমান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের মুখের সামনে হাতের বুড়ো আঙ্গুল উচিঁয়ে বললেন, ‘আপনি শ্রেণী সংগ্রামের কী বুঝেন?’

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হতভম্ব হয়ে যান। এই প্রজন্মকে তিনি চেনেন না। শেষে তিনি বললেন, ‘ঠিক আছে, ঠিক আছে। তোরা এখন যা। সিরাজের সঙ্গে আমার কথা হবে।’

মনি-সিরাজ- রাজ্জাক- তোফায়েল- এই চার যুবনেতা বসে ছিলেন না। ১৭ এপ্রিল কুষ্টিয়ার বৈদ্যনাথ তলায় ব্যানার্জি নামের এক ভারতীয় সরকারি কর্মকর্তার সঙ্গে তাদের যোগাযোগ হয়। তার মাধ্যমে ভারতীয় সেনাবাহিনীর মেজর জেনারেল সুজন সিং উবানের দেখা হয়।

নিউক্লিয়াসের সিদ্ধান্ত নেয়ার পদ্ধতিও ছিল ভিন্ন। জনগণের সবচেয়ে কাছে থাকা কর্মীদের কাছে থেকে এসেছে যেসব প্রস্তাব, নিউক্লিয়াস সেসব প্রস্তাবের সমন্বয় করে তা যথাসময়ে কাজে লাগিয়েছে। এ কথার সত্যতা মেলে ওই সময়ের কর্মকান্ডে যুক্ত থাকা বিভিন্ন জনের লেখা থেকে।

নিউক্লিয়াস জনগণের চেতনা-মেজাজ অনুযায়ী চলার চেষ্টা করেছে বরাবরই। তাইতো ১৯৬২ সালে স্বাধীনতার শপথ নিলেও পূর্ব বাংলার স্বাধিকার, ৬ দফা ভিত্তিক স্বায়ত্বশাসন নিয়ে হেঁটেছে দীর্ঘদিন। ১৯৭১ সালের ১ মার্চ সংসদ অধিবেশন স্থগিত করার পর জনগণের কাছে যখন স্পষ্ট হয়ে ওঠে যে, স্বাধীনতার কোনো বিকল্প নেই- তখনই উড়িয়ে দেয়া হয় স্বাধীনতার পতাকা, স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠ করে প্রকাশ্যে হাজির করে স্বাধীনতার প্রশ্নটি। তখন জনতার চাপে পড়ে সকলেই এক ধারায় মিশে যেতে বাধ্য হয়। ২৫ মার্চ কালরাত্রিতে নিরস্ত্র বাঙালির উপর হামলে পড়ে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী। শুরু হয় জনযুদ্ধ, স্বাধীনতা যুদ্ধ।

১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারিতে স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী পরিষদ (নিউক্লিয়াস) এর পক্ষ থেকে সিরাজুল আলম খান বঙ্গবন্ধুর হাতে একটি ১৫ দফা কর্মসূচির প্রস্তাব দিয়েছিলেন।

এই কর্মসূচিতে নতুন রাষ্ট্রটি কীভাবে পরিচালিত হওয়া উচিত, তিনি তা উল্লেখ করেছিলেন। প্রস্তাবগুলো ছিল :

১. অসম্পূর্ণ মুক্তিযুদ্ধ সম্পূর্ণ করার লক্ষ্যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় পুনর্গঠনের একটা পর্যায় পর্যন্ত বাংলাদেশ একটি বিপ্লবী জাতীয় সরকার দ্বারা পরিচালিত হবে। মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়া সকল দলের সমন্বয়ে গঠিত এই সরকারের প্রধান থাকবেন বঙ্গবন্ধু।

২. কেন্দ্রীয় সরকার গঠিত হবে মুক্তিযুদ্ধের পরীক্ষিত নেতৃত্ব দ্বারা, যাঁরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করেন।

৩. বঙ্গবন্ধুর মর্যাদার বিষয়ে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনবোধে তিনি রাজধানীর বাইরে অবস্থান করবেন। তাঁকে কেন্দ্র কের বাঙালি জাতির চেতনা বিকাশের ধারা প্রবাহিত হবে।

৪. বাংলাদেশের সংবিধান রচিত হবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার আলোকে, কোনো দেশের অনুকরণে নয়। মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়া সকল দলের প্রতিনিধিদের নিয়ে একটা সংবিধান প্রণয়ন কমিটি গঠন করা হবে।

৫. চিরাচরিত প্রথার সেনাবাহিনী গঠন না করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় জাতীয় পর্যায়ে রেভল্যুশনারি গার্ড বাহিনী গঠন করা হবে। এফএফ এবং বিএলএফসহ মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে এই বাহিনী তৈরি হবে। এর সমান্তরাল অন্য কোনো বাহিনী থাকবে না।

৬. রেভল্যুশনারি গার্ডের মধ্যে থাকবে:
ক) বিশেষভাবে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত জাতীয় প্রতিরক্ষা বাহিনী, যা কিনা হবে ‘পিপলস আর্মি’।
খ) কৃষিকাজে সহায়তা দেওয়ার জন্য রেভল্যুশনারি কৃষক ব্রিগেড।
গ) শিল্প এলাকার জন্য রেভল্যুশনারি লেবার ব্রিগেড।

৭. নিবর্তনমূলক পুলিশ বাহিনীর বদলে পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সমন্বয়ে আইনশৃক্সখলা রক্ষাকারী বাহিনী গঠন করা হবে। ‘পুলিশ’ নামটি ব্যবহার করা হবে না।

৮. শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো আপাতত খোলা হবে না। মুক্তিযোদ্ধা শিক্ষক-ছাত্রদের নিয়ে ছোট ছোট স্কোয়াড তৈরি করে সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে হবে এবং এক বছরের মধ্যে ৬০ শতাংশ মানুষকে সাক্ষরতার আওতায় নিয়ে আসতে হবে।

৯. উচ্চশিক্ষার সুযোগ সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। প্রয়োজনে ব্যাংকঋণের ব্যবস্থা করা হবে। শিক্ষা শেষ করে কর্মক্ষেত্রে যোগদিয়ে ঋণ পরিশোধের সুযোগ দেওয়া হবে।

১০. ব্রিটিশ-পাকিস্তানি আমলের ধারাবাহিকতায় জেলা-মহকুমা-থানায় কমপক্ষে দুই-তিন বছর প্রশাসনের কোনো ক্যাডার বা গোষ্ঠীকে জনপ্রশাসনের দায়িত্বে রাখা যাবে না।

১১. মুক্তিযুদ্ধের সময় যাঁরা জেলা-মহকুমা-থানা পর্যায়ে কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করেছেন, তাঁরাই জনপ্রশাসনের দায়িত্বে থাকবেন।

১২. জনপ্রশাসনে প্রথম-দ্বিতীয়-তৃতীয়-চতুর্থ- এই সব শ্রেণিবিন্যাস থাকবে না। কাজের ক্ষেত্রে দায়িত্ব পাওয়ার জন্য যে স্তর হয়, তার কোনো চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত থাকবে না।

১৩. সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ বেতনের অনুপাত হবে অনধিক১:৭।

১৪. সমবায়ভিত্তিক অর্থনীতি চালু হবে। পরিত্যক্ত কলকারখানা মুক্তিযোদ্ধা শ্রমিক-কর্মচারীদের সমবায়ের মাধ্যমে পরিচালিত হবে।

১৫. কেবল ভারত ও রাশিয়ার ওপর নির্ভর না করে চীন, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশের সঙ্গে দ্রুততম সময়ের মধ্যে কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক স্থাপন করতে হবে।

গণভবনের সবুজ চত্বরে এক সন্ধ্যায় সিরাজুল আলম খানের কাঁধে হাত রেখে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব অনেকক্ষণ হেঁটেছিলেন। একপর্যায়ে বলেই ফেললেন, ‘পারলাম নারে সিরাজ।’ আওয়ামী লীগের অনেক প্রভাবশালী নেতা এর (কর্মসূচি) বিরোধীতা করেছিলেন।

কর্মসূচিটি একঝলক দেখে বঙ্গবন্ধু সেটা তাঁর টেবিলের ড্রয়ারে রেখে দেন। ড্রয়ার থেকে সেটা আর বের হয়নি।

সিরাজুল আলম খানের রাজনীতির রহস্য সরলভাবে দেখলে কোনো রহস্য থাকে না। তবুও যদি তাকে কেউ রাজনীতির রহস্যপুরুষ ভাবেন, তাতে অন্য রহস্য থাকতে পারে।

১৯৬২ থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত সংগঠিত সবকটি আন্দোলনের কৌশল নির্ধারণ ও পরিকল্পনা প্রণয়ন করে এই গোপন সংগঠনটি। স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী পরিষদের ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ প্রধান প্রধান কর্মকাণ্ডগুলো সংক্ষেপে নিম্নে উল্লেখ করা হলো:

১) ষাটের দশকের মাঝামাঝি সময়ে গাড়িসহ বিভিন্ন যানবাহনের নাম্বার ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও দোকানপাটের নাম ফলক ইংরেজির পরিবর্তে বাংলায় লেখার আন্দোলন সংঘটিত হয়। নিউক্লিয়াসের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বাংলায় লেখার এই মৌলিক কাজটি সুচারুরূপে সম্পন্ন করে ছাত্রলীগ।

২) একই সময়ে প্রথম দেয়াল লিখন (চিকা) ব্যবস্থা চালু হয় 'নিউক্লিয়াস'-এর সিদ্ধান্তে। যা বাস্তবায়নের জন্য যৌথভাবে দায়িত্ব পালন করে ছাত্রলীগ ও ছাত্র ইউনিয়ন।

৩) ১৯৬৬ সালে বঙ্গবন্ধু লাহোরে ছয় দফা ঘোষণা করলে বাঙ্গালীর স্বাধিকার বিষয়টা সামনে চলে আসে এটাই ছিল স্বাধীনতার আন্দোলনের প্রাথমিক ধাপ।বঙ্গবন্ধু যখন ছয় দফা ঘোষণা করেন তখন তার পক্ষে বিপক্ষে বিতর্ক শুরু হয়। আর এই বিতর্ককে পাস কাটিয়ে সে সময়ের ছাত্রলীগের মহানগর সভাপতি কাজী আরেফ আহমেদ সর্বপ্রথম বিবৃতি দিয়ে ছয়দফার প্রতি সমর্থন জানান এবং তার নেতৃতে ঢাকার রাজপথে মিছিল বের করেন। এরপর পরই ছয় দফার প্রতি সমর্থন জানানো শুরু হয় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে।

৪) শেখ সাহেবকে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধি প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ, যা তখনকার ছাত্রলীগের সভাপতি (তোফায়েল আহমদ) কর্তৃক ১৯৬৯ সালে পল্টন ময়দানে ঘোষণা করা হয়।

৫) বাঙ্গালীর জাতীয় রাষ্ট্র হিসেবে ‘বাংলাদেশ’ নামকরণের সমর্থন, যা ১৯৭০ সালে সর্বপ্রথম বঙ্গবন্ধু উত্থাপন করেন।

৬) স্বাধীন বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে কবি গুরু রবীন্দ্র নাথা ঠাকুরের ‘আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি’ নির্ধারণ করে নিউক্লিয়াস।

৭) স্বাধীন বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা তৈরী ও প্রদর্শন। ১৯৭০ সনের ৬ই জুন রাতে ইকবাল হলের ১১৬ নম্বর রুমে পতকা প্রস্তুত করা হয় যা পরের দিন পল্টনে বঙ্গবন্ধুর হাতে তুলে দেয়া হয়। এই পতাকাই ১৯৭১ সালের ২রা মার্চ ঢাবি’র কলাভবনের পশ্চিম পাশের ছোট গাড়ি-বারান্দার ছাদের সভা মঞ্চ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে উত্তোলন করেন ডাকসুর তৎকালীন ভিপি আসম আব্দুর রব।

৮) ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভায় ‘স্বাধীন সমাজতান্ত্রিক বাংলাদেশ’ প্রস্তাব পাস করানো ছিল নিউক্লিয়াসের সিদ্ধান্ত। আর সিদ্ধান্ত মোতাবেক ১৯৭০ সনের ২১শে জুন বলাকা ভবনে ছাত্রলীগের সভায় নিউক্লিয়াসের সদস্য ও ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক স্বপন কুমার চৌধুরী এই প্রস্তাবক উত্থাপন করেন এবং ৩৬ : ৯ ভোটে প্রস্তাবটি পাস হয়।

৯) ১৯৭১ সালের ৩রা মার্চ পল্টন ময়দানে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান সিরাজ কর্তৃক স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠ।

১০) সম্ভাব্য মুক্তিযুদ্ধে মুক্তিবাহিনীর সর্বাধিনায়ক হিসেবে আতাউল গনি ওসমানীর নাম বঙ্গবন্ধুকে সুপারিশ করে নিউক্লিয়াস।

১১) ১৯৭০ সালে শ্রমিক শ্রেণীর সংগঠন ‘শ্রমিক লীগ’ গড়ে তোলা।

১২) মরহুম মমতাজ বেগমের নেতৃত্বে ছাত্রীদের নিয়ে ‘প্রীতিলতা ছাত্রী জঙ্গিবাহিনী’ গড়ে তোলা হয়।

১৩) ‘বিপ্লবী বাংলা’ নামে গোপন ও ‘জয় বাংলা’ নামে প্রকাশ্য পত্রিকা এবং বুকলেট, লিফলেট ও পুস্তিকা প্রকাশ।

১৪) প্রবাসী সরকারের ‘জাতীয় উপদেষ্টা পরিষদ’ গঠন।

১৫) ১৯৭১ সালে তৎকালীন রেসকোর্স মাঠে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণে বঙ্গবন্ধুর মুখে উচ্চারিত ‘এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম’ বাক্য সংযোজন করেন নিউক্লিয়াসের নেতৃবৃন্দের সিদ্ধান্তে।

১৬) স্বাধীনতার যাবতীয় প্রচার কর্মকাণ্ড ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে’ পরিচালিত হওয়ার সিদ্ধান্ত প্রদান।

১৭) ১১ দফা আন্দোলন পরিকল্পনা এবং এর সাংগঠনিক বিস্তারে 'নিউক্লিয়াস'-এর নেতৃত্ব ও সংগঠকরা নেপথ্যে মূল ভূমিকা পালন করেছিলেন। ১১ দফা কর্মসূচি প্রণয়ন এবং এ আন্দোলন পরিচালনার জন্য সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের রূপ প্রদানে 'নিউক্লিয়াস' নেতাদের ভূমিকাই প্রধান ছিল। ১১ দফায় স্বাক্ষরকারী ছাত্র সংগঠনসমূহ হলো ছাত্রলীগ, ছাত্র ইউনিয়ন (উভয় গ্রুপ), ছাত্র ফেডারেশন (দোলন গ্রুপ) ও ডাকসু। ১১ দফা আন্দোলন চলাকালে গণ-অভ্যুত্থান অনুষ্ঠিত হওয়ার ফলে পূর্ব পাকিস্তানে অবাঙালি অধ্যুষিত প্রশাসনিক ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে। 'নিউক্লিয়াস' সংগ্রাম পরিষদের মাধ্যমে বিকল্প সামাজিক শক্তি হিসেবে বিভিন্ন ধরনের ব্রিগেড সারা দেশে গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছিল।

ছাত্রনেতা আসাদ, কিশোর ছাত্র মতিউর পুলিশের গুলিতে নিহত হলে তীব্র গণ-আন্দোলন গড়ে তোলার পরিকল্পনা প্রণয়ন ও কৌশল নির্ধারণ করে 'নিউক্লিয়াস' এবং তা কার্যকর করে 'ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ'।

গণ-আন্দোলন ক্রমেই তীব্র হতে থাকে এবং গণ-অভ্যুত্থানে পরিণত হয়। প্রশাসনিক ব্যবস্থা বিকল হয়ে পড়ে। ফলে আইয়ুব খান পদত্যাগ করে ইয়াহিয়া খানের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে বাধ্য হন।

১৮) ৬ দফা, ১১ দফা এবং আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহার আন্দোলনকে এক দফায় রূপান্তর করে স্বাধীনতার বিষয়কে সামনে নিয়ে আসা।

এছাড়াও ‘জয় বাংলা’, ‘
তুমি কে আমি কে বাঙ্গালী বাঙ্গালী’, ‘
তোমার আমার ঠিকানা পদ্মা মেঘনা যমুনা’,
‘পিণ্ডি না ঢাকা?ঢাকা ঢাকা’,
‘ছয় দফা না এক দফা! এক দফা এক দফা’,
‘বীর বাঙ্গালী অস্ত্র ধরো বাংলাদেশ স্বাধীন করো’!
‘স্বাধীন করো স্বাধীন করো বাংলাদেশ স্বাধীন করো’
এই শ্লোগান গুলো নিউক্লিয়াস থেকেই সৃষ্টি যা জনপ্রিয় করা হয় ছাত্রলীগ, শ্রমিক লীগের মাধ্যমে।

উপরের আলোচনা থেকে খুব সহজেই এই সিদ্ধান্তে আসা যায় যে, ১৯৬২ সালে গঠিত গোপন সংগঠন স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী পরিষদ বা নিউক্লিয়াসই ধারাবাহিকভাবে স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করে এসেছে।

তাই বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস লিখতে গেলে কোনভাবেই এই নিউক্লিয়াসের ভূমিকা এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। অথচ, বর্তমান আওয়ামীলীগের অনেক নেতাই নিউক্লিয়াসের অস্তিত্ব স্বীকার করতে চান না।

সিরাজুল আলম খান দাদা ভাই

স্বাধীনতা পূর্ব বাংলাদেশের একজন প্রখ্যাত ছাত্র নেতা। তিনি বাঙালির ‘জাতীয় রাষ্ট্র’ বাংলাদেশ গঠনের লক্ষে ১৯৬২ সনে গোপন সংগঠন ‘নিউক্লিয়াস’ গঠন করেন। নিউক্লিয়াস ‘স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী পরিষদ’ নমেও পরিচিত।

ছাত্র ও কর্মজীবন
সিরাজুল আলম খান মেধাবী ছাত্র হিসাবে শিক্ষায়তনে সুখ্যাতি অর্জন করেছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হিসাবে তিনি ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এবং পরবর্তীকালে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হন। ১৯৬৩-’৬৪ এবং ১৯৬৪-’৬৫ এই দুই বছর তিনি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। বিস্তারিত

সিরাজুল আলম খান ভিন্ন ভিন্ন তিন মেয়াদে প্রায় ৭ বছর কারাভোগ করেন। সিরাজুল আলম খানের বিশ্ববিদ্যালয় ডিগ্রী অঙ্ক শাস্ত্রে হলেও দীর্ঘ জেল জীবনে তিনি দর্শন, সাহিত্য, শিল্পকলা, রাজনীতি-বিজ্ঞান, অর্থনীতি, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, সমাজ বিজ্ঞান, পরিবেশ বিজ্ঞান, সামরিক বিজ্ঞান, মহাকাশ বিজ্ঞান, সংগীত, খেলাধুলা সম্পর্কিত বিষয়ে ব্যাপক পড়াশোনা করেন। ফলে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের উপর গড়ে উঠে তাঁর অগাধ পাণ্ডিত্য এবং দক্ষতা। সেই কারণে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা না থাকলেও তিনি রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক নিযুক্ত হন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উইসকনসিন রাজ্যের অসকস বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯৯৬-’৯৭ সনে। আর্থ-সামাজিক বিশেষনে সিরাজুল আলম খানের তাত্বিক উদ্ভাবন বাংলাদেশের রাজনীতিতে এক নতুন অধ্যায়। মার্কসীয় ‘দ্বন্দ্বমূলক বস্তুবাদে’র আলোকে বাংলাদেশের জনগণকে শ্রমজীবী-কর্মজীবী-পেশাজীবী হিসাবে বিভক্ত করে ‘রাষ্ট্রীয় রাজনৈতিক’ মডেল হাজির করেছেন সিরাজুল আলম খান। চিরাচরিত পার্লামেন্টারী ধাঁচের ‘অঞ্চল ভিত্তিক’ প্রতিনিধিত্বের পাশাপাশি শ্রম, কর্ম, পেশায় নিয়োজিত সমাজ শক্তি সমূহের ‘বিষয় ভিত্তিক’ প্রতিনিত্বের ব্যবস্থা সংবলিত ‘দুই কক্ষ’ বিশিষ্ট পার্লামেন্ট গঠন, ফেডারেল সরকার ব্যস্থা প্রবর্তন, বাংলাদেশকে কয়েকটি প্রদেশে ভাগ করে প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচন এবং প্রাদেশিক সরকার গঠন, উপজেলা পর্যায়ে স্ব-শাসিত স্থানীয় সরকার পদ্ধতি চালু করার মধ্য দিয়ে ব্রিটিশ-পাকিস্তানী ঔপনিবেশিক আইন ব্যবস'া ও শাসন কাঠামোর পরিবর্তে স্বাধীন দেশের উপযোগী শাসন ব্যবস্থা গড়ে তোলার মডেল উত্থাপন করেন তিনি।

১৪ দফা প্রস্তাব “ফেডারেল পদ্ধতির কেন্দ্রীয় সরকার, দুইকক্ষ বিশিষ্ট সংসদ, জাতীয় ঐক্যমতে সরকার, ৭ অথবা ৯টি প্রদেশে বাংলাদেশকে বিভক্তকরণ, মেট্রোপলিটন গভর্ণমেন্ট, প্রবাসিদের ভোটাধিকার, তত্ত্বাধায়ক সরকার, স্বাধীন নির্বাচন কমিশন, নির্দলীয় রাষ্ট্রপতি ও উপরাষ্ট্রপতি উভয় কক্ষের সদস্য নিয়ে সংসদীয় কমিটি, জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিল, সাংবিধানিক আদালত, জাতীয় অর্থনৈতিক কাউন্সিল, স্থায়ী বিচার বিভাগীয় কাউন্সিল, উপ আঞ্চলিক অর্থনৈতিক জোট গঠন এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে কিছু বিকল্প প্রস্তাব ১৪দফায় সন্নিবেশিত। ২০২০সাল নাগাদ প্রতি নাগরিকের বছরে আয় হবে কমপক্ষে ২লক্ষ টাকা এই প্রস্তাবও ব্যক্ত করা হয়েছে।



মুজিব বাহিনী : ‘দ্য ফিফথ আর্মি ইন বাংলাদেশ’

সম্প্রতি দেশে একাত্তর ও একাত্তর-পরবর্তী রাজনীতির বিভিন্ন প্রসঙ্গ নিয়ে নতুন করে আগ্রহ ও বিতর্ক লক্ষ করা যাচ্ছে। এবার এই বিতর্কের কেন্দ্রে উঠে এসেছে মুক্তিযুদ্ধে মুজিব বাহিনী নামে পরিচিত ‘বাঙলাদেশ লিবারেশন ফোর্স বা বিএলএফ’-এর ভূমিকা। বিশেষত একাত্তরে কী প্রেক্ষাপটে এই গোপন বাহিনী গড়ে উঠেছিল এবং তার ভূমিকা মুক্তিযুদ্ধে ও যুদ্ধ-পরবর্তী বাংলাদেশের রাজনীতি ও সমাজ জীবনে কীরূপ ফলাফল বয়ে এনেছে, তা নিয়ে সম্প্রতি জাতীয় সংসদে ও গণমাধ্যমে তীব্র বিতর্ক দেখা যাচ্ছে।

৬৭ বছর বয়স্ক সিরাজুল আলম খান এখন দেশে-বিদেশে ‘রাজনৈতিক তাত্বিক ব্যক্তিত্ব’ হিসেবে পরিচিত।

তাঁর দীর্ঘ ৫০ বছরের রাজনৈতিক জীবনে অসংখ্য ছাত্র-যুব নেতাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক এক বিষ্ময়কর ব্যাপার।

ব্যক্তিগত জীবনে সিরাজুল আলম খান অবিবাহিত।








মন্তব্য ৫ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ ভোর ৪:২৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


মুক্তিযুদ্ধের পর, আবিস্কার করা হয়েছে নিউক্লিয়াস, ফিউক্লিয়াস, বাল চাল।
যুদ্ধের মাঝখানে, শেখ মনি ইন্দিরা গান্ধীকে বুঝায়েছিল যে, দেশ স্বাধীন হলে দেশ মিলিটারী, সাধারণ যোদ্ধাদের হাতে চলে যেতে পারে, এবং তাতে "বামারা" থাকবে। ইন্দিরা বামদের ভয় পেতেন; তখন "র" অধীনে বালচালদের ট্রেনিং দেয়।

যুদ্ধের পর, দেশ টারা দখল করে নেয়, পরে এসব বালচাল নিউক্লিয়াস ফিউক্লিয়াস আবিস্কার করে। ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হওয়ার পর, সিরাজ ভাই একদিনও ক্লাশে যায়নি; সারা রাত তাস খেলে, দুপুর বেলা মধুর ক্যান্টিনে লীগের ছেলেদের সাথে বিনে পয়সায় খেতো, আর হাউকাউ থিওরী দিতো, মস্কো নিউজ পড়তো; আজো টাকাটা দেয়নি।

২| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ ভোর ৪:৩২

চাঁদগাজী বলেছেন:

"ব্যক্তিগত জীবনে সিরাজুল আলম খান অবিবাহিত। "

-গার্ল ফ্রেন্ডের অভাব ছিলো না।

৩| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ ভোর ৫:৪৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


"‘রাজনীতির রহস্যপুরুষ।’ "

-সবচেয়ে বুদ্ধিমান ছাত্রলীগার; রাজনীতির ডাব্বু

৪| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:৩৮

সুদিন বলেছেন: লেখার জন্য ধন্যবাদ। অামি এই প্রথম জানলাম, এখন সত্য-মিথ্যা যাচাই করে তা বিশ্বাস করবো।

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৩:৪৫

শেখ মিজান বলেছেন: অবশ্যই যাচাই বিহীন বিশ্বাস একধরণের "অন্ধত্ব", আমি খুশি হবো যদি যাচাই করে আমার তথ্যে কোন ভুল ধরিয়ে দিয়ে কৃতজ্ঞ করবেন।

আমরা চাই সুস্থ ও সুন্দর রাজনৈতিক চর্চা, অন্ধত্বের মাধে সৃষ্টি থাকে না, থাকে গোড়ামি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.