![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একটাই ফিল্টার, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ফিল্টার এটা, দেশের উন্নয়নে মানবিকতার ও মুক্ত চিন্তার আদর্শের সৈনিক।
By midnight, some 4,500 people gathered in front of the Victoriei Palace, asking for the Government’s resignation. Hundreds also went to the streets in Cluj-Napoca, Sibiu, Timisoara, Brasov, and Iasi. The people shouted “Thieves!”, “PSD, the red plague”, “Traitors”, and “You won’t get away with this”, and seemed determined to continue the protests until late in the night, according to local Digi 24 news station.
Most of the protesters are young people who have mobilized on Facebook. They are angry that the Government has ignored the 90,000 people who marched in Bucharest and other big cities on Sunday against the initiative to change the criminal law.
The protests were peaceful, the same as the ones in the previous days.
Update 0:15 ০১/০২/২০১৭ – Some 10,000 people are protesting in the Victoriei Square, according to News.ro. All the streets leading to the square were blocked.
Update 0:50 ০১/০২/২০১৭ – The number of protesters in Bucharest reached some 12,000. There were also 5,000 people gathered in Cluj-Napoca, 3,000 in Sibiu, 2,000 in Timisoara, and 1,500 in Brasov, according to Digi 24 news station.
Tomisoara Movement, Romania.
In January 2017, days after the PSD government led by Sorin Grindeanu was sworn in, massive protests took place throughout Romania against the government ordinance bills that were proposed by the Ministry of Justice regarding the pardoning of certain committed crimes, and the amendment of the Penal Code (especially regarding the abuse of power)
Thousands rally in Bucharest, other Romanian cities for night protests against changes to criminal law
০১/০২/২০১৬
সমাজতন্ত্রের দিকেই আন্দোলনের ঢেউ রোমানিয়াতে
জনগণের আন্দোলনের মুখে সরকার পদত্যাগ করলেও প্রতিবাদ সমাবেশ থামছে না রোমানিয়ায়। দ্বিতীয় দিনের মত সরকার বিরোধী প্রতিবাদ সমাবেশ হয় রোমানিয়ার রাজধানী বুখারেস্টের রাস্তায়।
বৃহস্পতিবার ৩০ হাজার লোক বুখারেস্টের রাস্তায় সরকার বিরোধী আন্দোলনে যোগ দেয়। গত শুক্রবার বুখারস্টে নাইট ক্লাবে আগুন লেগে ৩২ জনের মৃত্যুর জের ধরে আন্দোলন শুরু হয়। আর তাতেই দেশটির সরকার প্রধান ভিক্টর পোনটা পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন।
রোমানিয়ার প্রতিবাদকারীরা বলছেন, সরকার দুনীর্তিগ্রস্ত হওয়ার কারণে অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থায় ঢিলেমি দেয়া হয়েছিল। তারা নাইটক্লাবগুলোর মালিকের সঙ্গে গোপনে আপোষ মীমাংসা করেছে। আর এ কারণে এতগুলো প্রাণ চলে গেছে। জনগণের নিরাপত্তার কথা চিন্তাই করেনি এই সরকার।
সাম্রাজ্যবাদের অন্যতম চারিত্র্যিক বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী কতিপয় পুঁজিবাদী অল্প কিছু দেশ পৃথিবীর অন্যান্য শান্তিকামী দেশগুলির উপর নিজেদের কর্তৃত্ব জাহির করে। শোষণ করতে শুরু করে এবং সেই শোষিত সম্পদের দ্বারা নিজেরা আরও শক্তিশালী হয়। পূর্ব ইউরোপ ছিল এমনই একটা অঞ্চল যার অফুরন্ত প্রাকৃতিক সম্পদ ও মানব শ্রমকে দীর্ঘদিন ধরে শোষণ করে পুঁজিবাদীরা নিজেদের সঞ্চিত পুঁজির আরও আধিক্য ঘটিয়েছে। ফুলে ফেঁপে উঠেছে তাদের ধনসম্পদ আর অন্যদিকে পূর্ব ইউরোপের সাধারণ মানুষের মধ্যে দারিদ্র্য বেড়েছে হু হু করে।
ভি আই লেনিনের মন্তব্যে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ ছিল ‘সাম্রাজ্যবাদীদের নিজেদের দ্বন্দ্ব’। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে সেই ছায়া ছিল আরও ভয়ঙ্কর, ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি, ইটালি, আমেরিকা, জাপানের শাসকশ্রেণী নিজেদের মধ্যে শুধুমাত্র একটিই কারণে লড়াই করেছিলেন — কারা পৃথিবীর এই বেশিরভাগ নিরীহ মানুষগুলোর শ্রমকে কাজে লাগিয়ে আরও সম্পদের অধিকারী হবেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে হিটলারের জার্মানি পূর্ব ইউরোপের এক বিশাল অংশ নিজেদের কবজায় আনার পরে এগিয়ে ছিল সমাজতান্ত্রিক সোভিয়েতের দিকে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত হিটলারের একনায়কতন্ত্রের পতন ঘটে স্তালিনের লাল ফৌজ-এর কাছে। যেহেতু সোভিয়েতের লড়াই-এর অভিমুখ ছিল পশ্চিম দিকে, সেহেতু হিটলারের পতনের সাথে সাথে পূর্ব ইউরোপের কিছু অংশও সাম্রাজ্যবাদের কবল থেকে মুক্ত করতে সক্ষম হয় সোভিয়েত।
পূর্ব ইউরোপের এমনই একটি দেশ রোমানিয়া, যারা ১৯৪০ থেকেই ফ্যাসিস্ত শাসনাধীন। দেশের বেশিরভাগ কমিউনিস্ট ও সোস্যালিস্ট নেতা কর্মীরা হয় খুন হয়েছিলেন নয়তো তাদের হিটলারের বিখ্যাত কনসেনট্রেশন ক্যাম্পে পাঠানো হয়েছিল। শুধু অল্প সংখ্যক কিছু কমিউনিস্ট কর্মী সোভিয়েতে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছিলেন। ১৯৪৪-এ জার্মানির পিছু হটার সময়ে রোমানিয়ার বুর্জোয়া শাসকশ্রেণী অক্ষশক্তি থেকে নিজেদের বিচ্ছিন্ন করে মিত্রশক্তির দিকে ঝুঁকে পড়ে এবং দেশে রাজতন্ত্র ফিরিয়ে আনে। কিন্তু দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষে হিটলারের পতনের পর রোমানিয়াতে প্রতিষ্ঠিত হয় ‘গণসাধারণতন্ত্র’, এই গণসাধারণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল কয়েকটি রাজনৈতিক দলের মিলিত উদ্যোগে। মাত্র দু’বছর স্থায়ী হয় এই শাসন ব্যবস্থা। দেশজোড়া আন্দোলনের মুখে পড়ে ১৯৪৭-এ পশ্চিমী সাম্রাজ্যবাদী কর্তাদের হাতের পুতুল হিসেবে খ্যাত রোমানিয়ার শেষ রাজতন্ত্রের প্রতিনিধি মাইকেল দেশে ছেড়ে পালাতে বাধ্য হন, গণসাধারণতন্ত্র শাসনব্যবস্থাও ভেঙে পড়ে। রোমানিয়ার ওয়ার্কার্স পার্টির নেতৃত্বে সাধারণ মানুষের সমর্থনে সমস্ত ব্যাঙ্ক, কলকারখানা, প্রাকৃতিক সম্পদের খনির জাতীয়করণ করা হয়। শুরু হয় রোমানিয়াতে সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার কর্মযজ্ঞ পরবর্তীকালে ওয়ার্কার্স পার্টিই পরিণত হয় রোমানিয়ার কমিউনিস্ট পার্টিতে।
১৯৫০-৭০ দীর্ঘ ২০ বছরে দেশের সর্বক্ষেত্রে প্রভূত অগ্রগতি ঘটে। বিশেষত স্বাস্থ্য পরিষেবা ও শিক্ষাক্ষেত্রে রোমানিয়ার সাফল্যর কথা মার্কিন সরকারী নথিতেও লিপিবদ্ধ হয়। কমিউনিস্ট পার্টির নেতৃত্বে গোটা দেশ জুড়েই চলে উন্নয়নের বিপুল কর্মকাণ্ড। কিন্তু দেশের রাষ্ট্রপতি নিকোলে সিসেস্কু ধীরে ধীরে পশ্চিমী পুঁজিবাদী দেশগুলির দিকে ঝুঁকে পড়তে শুরু করেন। দূরত্ব বাড়তে থাকে সোভিয়েতের সাথে। সাম্রাজ্যবাদী কর্তাদের পাতা ফাঁদে পুরোপুরি জড়িয়ে পড়ে সিসেস্কু। ১৯৮৯-তে সোভিয়েত সমাজতন্ত্রের পতনের ফলে নতুন উদ্যমে উৎসাহী হয়ে ওঠে পুঁজিবাদী শক্তিধর দেশগুলি। তাদেরও পরোক্ষ ইন্ধনে রোমানিয়াতে শুরু হয় বিদ্রোহ। অপসারিত হন চসেস্কু। ২৫শে ডিসেম্বর, ১৯৮৯ ফাঁসি হয় চসেস্কুর। দেশে প্রতিষ্ঠিত হয় পশ্চিমী দেশগুলির সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণাধীন একটি দক্ষিণপন্থী সরকার। একটার পর একটা প্রাকৃতিক সম্পদে ভর্তি খনি এবং কলকারখানাগুলি বিক্রি হয়ে যেতে থাকে পুঁজিবাদী শক্তিগুলির কাছে। ফলে রোমানিয়াতে আবার ধীরে ধীরে বাড়তে শুরু করে বেকারী, গৃহহীনতা, সামাজিক অবক্ষয়, অর্থনৈতিক অসাম্য — প্রভৃতির মতো পুঁজিবাদের ব্যাধিগুলি।
বর্তমান রোমানিয়াতে দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাসকারী মানুষের সংখ্যা মোট জনসংখ্যার ৪০ শতাংশ, যা সমগ্র ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলির মধ্যে সর্বাধিক। যে স্বাস্থ্য পরিষেবায় রোমানিয়ার বিপুল অগ্রগতি ঘটেছিল, তাও প্রায় একদম ভেঙে পড়ার মতো অবস্থায় এসে উপস্থিত। দেশের সমস্ত হাসপাতালগুলি ঋণের বোঝায় জর্জরিত। ন্যূনতম সুযোগ-সুবিধাটুকুও বেশিরভাগ জায়গায় অমিল। ২০০২ সাল থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত রোমানিয়াতে মোট জনসংখ্যা হ্রাস পেয়েছে প্রায় ১২ শতাংশ। চরম অর্থনৈতিক দুরবস্থার জন্য অনেক মানুষ কাজের সন্ধানে পাড়ি দিয়েছেন বিদেশে। এরমধ্যে বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক মন্দা সংঘটিত হবার ফলে কর্মক্ষেত্রগুলিতে ছাটাই হয়েছেন বহু শ্রমিক। সরকারী ক্ষেত্রে কর্মচারীদের বেতন কমিয়ে দেওয়া হয়েছে প্রায় ২৫ শতাংশ অথচ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম অগ্নিমূল্য।
পুঁজিবাদের ভয়ঙ্কর রূপ গ্রাস করেছে পূর্ব ইউরোপের এই দেশটিকে। দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে সাধারণ মানুষের। ফলে আবার নতুন করে দানা বাঁধছে গণ-আন্দোলন। ঢেউ উঠছে সমাজতন্ত্রে ফিরে যাবার অভিমুখে। দেশজোড়া আন্দোলনের চাপে পড়ে প্রধানমন্ত্রী এমিল বক পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন ৬ই ফেব্রুয়ারি। ‘সেন্টার ফর স্টাডি অব মার্কেট অ্যান্ড ওপিনিয়ন’ সংস্থার সম্প্রতি একটি সমীক্ষা চালায় রোমানিয়াতে। সমীক্ষার ফলাফল বেশ চমকপ্রদ। দেশের অর্ধেক প্রায় ৫০ শতাংশ মানুষই মনে করছেন ১৯৮৯-এর পূর্বের জীবনযাত্রাই অনেক ভালো ছিল। অন্য একটি প্রশ্নে আরও এক ধাপ এগিয়ে দেশের ৬১ শতাংশ মানুষ মনে করছেন সমাজতন্ত্রই একমাত্র বিকল্প হতে পারে রোমানিয়ার জন্য।
প্রকৃতপক্ষে বর্তমান সময়ের রোমানিয়া পশ্চিমী সাম্রাজ্যবাদী দেশগুলির একটি নতুন উপনিবেশ ছাড়া আর কিছুই নয়। ১৫০ লক্ষ কোটি মার্কিন ডলার ঋণে সম্পূর্ণ নিমজ্জিত রোমানিয়া। বেশ কিছু সমীক্ষা, ও গণ-আন্দোলনের গতি-প্রকৃতিতে একটা চিত্রই পরিষ্কার হচ্ছে — রোমানিয়ার শ্রমিকশ্রেণী আবার প্রস্তুত হচ্ছে শিকল ভাঙার লড়াইএর জন্য সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে।
@শেখ মিজা
২| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৮:১১
আবু মুছা আল আজাদ বলেছেন: ব্যাপারটা হয়তবা এমন যে, যার বিরুদ্ধে আন্লন তিনি প্রকৃতই ভাল
বাট প্রকৃতভাল মানে ওয়াল্ড এলিটদের জন্য খারাপ। সেজন্য মাঠে লোক নামিয়ে দিয়েছে।
আর ইসু তো থঅকেই সেটা তৈরীও করা যায়্
৩| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:১১
টারজান০০০০৭ বলেছেন: রুমানিয়ার লোকজনরে কি কুত্তায় কামড়াইছে ? সরকার গেলে আরেক সরকার আসুক। বমি কইরা আবার সেই খাবার কেউ খায় নাকি ? সমাজতন্ত্র শুধু বুইড়া , বালপাকা বামাতীদের কাছে ভালো হইতে পারে। সোভিয়েতের জমানায় এরা কিছু দান সদকা পাইয়া সেই যে কম্যুনিজমের ঢোল পেটানো শুরু করছে , এখন আবার সেই বমি করা খাবারই খাইতে কইতাছে ! ভণ্ডামি আর গেলো না !
৪| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:৩৬
জুন বলেছেন: ২৫শে ডিসেম্বর ১৯৮৯ এক ঘন্টার এক ছোট্ট বিচারের রায়ে পুঁজিবাদী মদদপুষ্ট বিদ্রোহী সেনাবাহিনী লুকিয়ে থাকা প্রেসিডেন্ট চসেস্কু ও তার স্ত্রী এলিনাকে ধরে আনে। বিচারে তাদের মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয় কিন্ত ফাসী নয়, অপ্রস্তুত অবস্থায় প্রকাশ্যে গুলি করে একই সাথে তাদের হত্যা করা হয়। যা টিভিতেও দেখিয়েছিল।
৫| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ২:০৪
কালীদাস বলেছেন: খাচড়া ফকিন্নীদের দেশ একটা, এর মধ্যে আবার বিহেভ খারাপ, ফরেনারদের ব্যাপারে চরম রেসিস্ট। ওয়েস্টার্ণ ইউরোপের ফরেনার ভাদাইম্যা প্রায় সব কয়টা এই রোমানিয়ার, এইগুলার যন্ত্রণায় সব পশ্চিম ইউরোপের কয়টা দেশ অস্হির, ইইউএর কারণে ধনী দেশগুলাতে যায়া জীবন পাড় কইরা দেয় এগুলা।
জাহান্নামে যায়া লটকন খাউক শালারা।
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৭:৩৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
যাযাবরদের দেশ রুমানিয়ার মানুষ কখনো রাজনীতি নিয়ে মাথা ঘামায় না; সেই সুযোগে সেখানে বারবার দুস্টরা সম্পদ দখল করে নেয়; খুব অল্পতে খুশী মানুষ, হাসি খুশী ভালোবাসার দেশ; দেখা যাক, নতুন কোন ফাঁকিবাজরা আবার কৌশলে ক্ষমটা দখ করে।
এই জাতির জন্য সমাজতন্ত্রই সমাধান।