![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একটাই ফিল্টার, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ফিল্টার এটা, দেশের উন্নয়নে মানবিকতার ও মুক্ত চিন্তার আদর্শের সৈনিক।
অবিশ্বাস বনাব বিশ্বাস
( পৃথিবীতে ধর্ম মানুষের কল্যাণার্থে আগমন ঘটে, কিন্তু বর্তমানে ধর্মের নামে অকল্যাণগুলি কেন মেনে নেব?)
১। বিশ্বের ধার্মিক বেশি, নাকি ‘ধর্ম বিশ্বাস করেন না এমন লোক বেশী’?
২। সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্বে বিশ্বাস করেন না এমন মানুষ কোন কোন দেশে সবচেয়ে বেশি?
৩। সবচেয়ে বেশি ‘নিরশ্বরবাদী’ বাস করেন কোন সাতটি দেশে?
উপরোক্ত তিনটি প্রশ্নের উত্তর আপনার কাছেই প্রত্যাশা করছি, আমি সংক্ষিপ্ত আকারে ৭টি দেশের খতিয়ান তুলে ধরার চেষ্টা করছি।
চীনে শতকরা ৯০ ভাগই ‘নাস্তিক’
৬৫টি দেশে জরিপ চালিয়েছিল ‘গ্যালাপ ইন্টারন্যাশনাল’৷ জরিপ থেকে বেরিয়ে আসা তথ্যে দেখা যাচ্ছে, বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ চীনই বিশ্বের সবচেয়ে বেশি নাস্তিকেরও দেশ৷ সে দেশের শতকরা ৯০ ভাগ মানুষই প্রত্যক্ষ ভা পরোক্ষভাবে সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব অস্বীকার করেন৷ চীনের শতকরা ৬১ ভাগ মানুষ সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব সরাসরি অস্বীকার করেন, বাকি ২৯ ভাগ নিজেদের ধর্মে বিশ্বাসী নন বলে দাবি করেছেন৷
সুইডেনে ৭৬ শতাংশ
স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশ সুইডেনে সরকারি হিসেব অনুযায়ী মাত্র শতকরা ৮ ভাগ মানুষ উপাসনালয়ে গিয়ে ধর্ম চর্চা করেন৷ তবে গ্যালাপ-এর জরিপ অনুযায়ী, মোট জনসংখ্যার শতকরা ৭৬ ভাগ সৃষ্টিকর্তা আছেন বলে মনে করেন না৷
চেক প্রজাতন্ত্রে সামান্য কম
‘নাস্তিক’ চেক প্রজাতন্ত্রেও খুব বেশি কম নয়৷ মোট জনসংখ্যার মাত্র ৩০ ভাগ মানুষ নিজেদের সরাসরিই ‘নাস্তিক’ বলেন৷ তবে বেশিরভাগ মানুষই নিজেদের ধর্মবিশ্বাস আছে কিনা, তা জানাতেই রাজি নন৷ মাত্র ১২ শতাংশ মানুষ জানিয়েছেন, তাঁরা গির্জায় গিয়ে প্রার্থনা করেন৷ গ্যালাপ-এর জরিপ জানাচ্ছে, সাবেক সমাজতান্ত্রিক দেশটিতে এক হিসেবে শতকরা ৭৫ ভাগ মানুষই নাস্তিক, কেননা তাঁরা ধর্ম বা সৃষ্টিকর্তার গুরুত্ব স্বীকার করেন না৷
ব্রিটেনে ৬৬ শতাংশ
জরিপে অংশ নেয়া ব্রিটেনের শতকরা ৫৩ জন মানুষ বলেছেন যে, তাঁদের কোনো ধর্মবিশ্বাস নেই৷ আর ১৩ ভাগ সরাসরিই বলেছেন, ‘আমি নাস্তিক’৷
হংকং ও জাপানে শতকরা ৬২ ভাগ
বিশ্বের ৬৫টি দেশের ৬৪ হাজার মানুষের মাঝে এই জরিপ চালিয়েছে গ্যালাপ৷ হংকংয়ের মানুষদের সম্পর্কেও একটা ধারণা পাওয়া গেছে এই জরিপ থেকে৷ দেখা গেছে, হংকংয়ের শতকরা ৪৩ ভাগ মানুষ প্রত্যক্ষভাবে নাস্তিক৷ বাকি ৫৭ ভাগের মধ্যে ১৯ ভাগকেও আস্তিক অন্তত মনে হয়নি৷ জাপানে প্রত্যক্ষ নাস্তিক শতকরা ৩১ ভাগ হলেও সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্বের গুরুত্ব নিয়ে ভাবেন না এমন মানুষও আছে অনেক৷
জার্মানিতে ৫৯ ভাগ
জার্মানির ৫৯ ভাগ মানুষকেই নাস্তিক হিসেবে দেখিয়েছে গ্যালাপ৷ ইউরোপের অন্যান্য দেশ, যেমন স্পেন, অস্ট্রিয়া এবং ফ্রান্সের নাগরিকদেরও বড় একটা অংশই নাস্তিক৷ বিশ্বের যেসব দেশে অনেক ‘আস্তিক’, সেসব দেশ থেকে অনেক মানুষই এসব ‘নাস্তিক’ দেশে এসে উন্নত জীবনের সন্ধান পেয়েছেন, পাচ্ছেন৷ ইউরোপের বেশ কিছু দেশেই এখনো নাস্তিকরাই সংখ্যাগুরু৷ তবে সংখ্যালঘু আস্তিকদের ধর্ম চর্চায় তাতে কোনো সমস্যা হয় না৷
এর সৌজন্যে- ডিডব্লিউ
২| ০৮ ই জুন, ২০১৭ সকাল ৯:০০
খরতাপ বলেছেন: বর্তমান বিশ্বে শতকরা ১৫ ভাগ নাস্তিক/ধর্মনিরপেক্ষ/মানব ধর্মের অনুসারী। বাকী ৮৫ ভাগই কোন না কোন ধর্মের অনুসারী। যেসব দেশের মানুষ খুব সুখে আছে, তৃপ্তিতে আছে এবং যেসব দেশের মানুষ ভয়ানক অসুখী, তাদের জীবনযাপনে ধর্মের কোন প্রয়োজনীয়তা নেই। তাছাড়া একসময় শীর্ষে থাকা বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা ক্রমে নাস্তিকতার দিকে ঝুঁকে পড়ছে - যেহেতু এই ধর্মে নিরাকার ঈশ্বরের কোন ধারণাই নেই। তাই বিশ্বে বৌদ্ধদের সংখ্যা হ্রাস পেয়ে নাস্তিকদের সংখ্যা বাড়ছে। তার সাথে বাড়ছে খ্রিস্টান এবং ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের সংখ্যাও। মোটামুটি একই রকম আছে অথবা খুব ধীরে ধীরে হ্রাস পাচ্ছে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সংখ্যা।
৩| ০৮ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৭
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
মানুষের আবির্ভাব আড়াই কোটি বছর আগে।
৫০ হাজার বছর আগে মানুষ পাথরাস্ত্র, কাপড় বুনন, সমাজ সংগবদ্ধ হতে থাকে।
মানব সভ্যতার টাইমলাইনের ৯৯% সময় মানুষ ধর্মবিহীন অবস্থায় কাটিয়েছে।
অল্প কিছু মানুষ অষ্পস্ট ভাবে পর্বত, চন্দ্র- সুর্য শাক্ষি রেখে এটা সেটা করত, গাছের নীচে ফুল দিত। সেসবকে ধর্ম বলা যায় না।
বড় ধর্মগুলো এসেছে অতিসম্প্রতি মাত্র ৬ হাজার বছর আগে
১। কনফুশিয়াস - ৬ হাজার বছর আগে
২। হিন্দুইজম - প্রায় ৬ হাজার বছর আগে
৩। ইব্রাহীম- মুসা - ইহুদি ধর্ম - ৫ হাজার বছর আগে
৪। ঈসা (জেসাস খ্রাইস্ট) খ্রীষ্টান ধর্ম ২ হাজার বছর আগে।
৫। মোহম্মদ (স) ইসলাম মাত্র দেড় হাজার বছর আগে।
মানব সভ্যতার টাইমলাইনের ৯৯% সময়কাল মানুষ ধর্মবিহীন ..
৪| ০৮ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৬
বিজন রয় বলেছেন: ধর্মহীন দেশের মানুষরাই সুখে আছে।
৫| ০৮ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৮
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: কোন ধর্ম কখনও মানুষেকে খারাপ শিক্ষা দেয় না । ধর্মের প্রতি এত গোস্মা কেনো ভাই? ধর্ম
প্রকৃতির আপডেট একটি লার্নিং থেরাপী সুতরাং ধর্ম বলে আপনি বা আমরা যাকে বলি আসলে তা প্রকৃতি বা ঈশ্বরের উপদেশ নামা। যা তৎকালীন মানুষের জন্য প্রকৃতির উপদেশ।
১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৩:৩৪
শেখ মিজান বলেছেন: সহমত লাবলু ভাই, প্রথম বলে নেই "ধর্মের প্রতি বিন্দুমাত্র গোস্যা" নেই আমার, কেবল মাত্র ধর্মের নামে কুপ্রথাগুলির চরম বিরোধী, যতক্ষণ ধর্ম মানুষের জীবন যাত্রায় ভাল কাজের জন্য ভাল ফল নিয়ে আসে ততক্ষণ আমিও একজন ধর্মিক মানুষ, যখন ধর্মের নামে মানুষ হত্যা হয়, ধর্মের নামে মানুষের ক্ষতি করা হয়, ধর্মের নামে মানুষের মানুষে বৈষম্যের সৃষ্টি হয়, তখন আমি ধর্মকে বিশ্লেষণ করার চেষ্টা করি মাত্র।
©somewhere in net ltd.
১|
০৮ ই জুন, ২০১৭ রাত ২:৪৮
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: উত্তর তো আপনার পোষ্টেই!! নয় কি??