নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শেখ সাজ্জাদুর রহমান

জয় বাংলা

শেখ সাজ্জাদুর রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছে ভোটার

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১১:৫৬

সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে সেনাবহিনী ব্যারাকে থাকবে না ভোট কেন্দ্র এলাকায় টহল দিবে এ বিষয়ে সৃষ্ট বিভান্ত্রি নির্বাচনের দিন সহিংসতা বাড়িয়ে দিতে পারে বলে আশংকা প্রকাশ করেছে ইলেকশন ওয়ার্কিং গ্রুপ (ইডব্লিউজি)। এর ফলে নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতও কমতে পারে বলে সংশয় প্রকাশ করেছে সংগঠনটি।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপ লাউঞ্জে রবিবার বিকালে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের প্রচারণাকাল পযবেক্ষণ নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করেছে ইডব্লিউজি। এসময় সংগঠনটির পক্ষে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন এর পরিচালক ড. আব্দুল আলীম।
নির্বাচনী প্রচারণা কালে প্রার্থীরা আইনশৃংখলা বাহিনীর আতংকে ছিলেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, আইন-শৃংখলাবাহিনীর কাযক্রমের কারণে কিছু কিছু প্রার্থীকে খুবই সীমিতভাবে প্রচারণা চালাতে দেখা গেছে। অনেক প্রার্থী গ্রেফতার কিংবা রাজনৈতিক মামলার কারণে পুলিশের হয়রানির শিকার হতে পারেন ভেবে প্রচারণা চালাননি।
এছাড়া পরিস্থিতি অনুকুলে না থাকায় অনেকে প্রচারণা চালাতে পারেন নি। বিশেষ করে একটি বিশেষ রাজনৈতিক দল সমর্থিত প্রার্থীদের প্রচারণা সামগ্রী অন্য প্রার্থীদের তুলনায় কম ছিল।
প্রার্থীদের আচরণ বিধি লংঘনের ব্যাপারে আব্দুল আলীম বলেন, তিনটি সিটি কর্পোরেশনের সবকটিতেই মেয়র এবং কাউন্সিলর প্রার্থীরা আচরণ বিধি লংঘন করেছেন। এসব লংঘনের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনকে খুবই সীমিত আকারে আইনী ব্যবস্থা নিতে দেখা গেছে। আচরণ বিধির এসব লংঘন ছোট ছোট কিন্তু প্রয়োজনীয় আইনী ব্যবস্থা গ্রহণের অভাবে এগুলো উৎসাহিত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আইন অমান্য করে প্রার্থীরা প্রচারণায় রাজনৈতিক দলের সাথে সম্পর্কিত ছবি, স্লোগানসহ বিভিন্ন বিষয় ব্যবহার করেছেন। নির্ধারিত আকারের চেয়ে বড় আকারের পোস্টার, দেয়ালে, যানবাহনে, বিদুৎতের খুঁটিতে, ছাদে পোস্টার লাগিয়েছেন। যা নির্বাচনের আচরণ বিধির স্পষ্ট লংঘন। এছাড়া দুপুর ২ টা থেকে রাত ৯টার পর মাইক্রোফোন ও লাউডস্পিকারের ব্যবহার নিষিদ্ধ থাকলেও প্রার্তীরা তা মানেন নি।
নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন ঢাকা উত্তরে ৯ টি, দক্ষিণে ১৪ টি ও চট্টগ্রামে ১০ টি মোবাইল কোর্ট বসিয়েছিল। কিন্তু কেবল অর্থদন্ড ও সতর্ক নোটিসে তাদের কাযক্রম সীমাবদ্ধ ছিল।
ইডব্লিউজি নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অধিকতর স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া জোরদার করার লক্ষ্যে ২০০৬ সালে ২৮ টি সিভিল সোসাইটি প্রতিষ্ঠান ও সংস্থার সমন্বয়ে গঠিত হয়। সংগঠনটির সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন তালেয়া রহমান, ইমাম হাসনাত প্রমুখ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.