![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আজ অনেক বছর পর, বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার ফারাক্কা বাঁধ ভেঙে দেয়ার দাবি জানিয়েছেন্। এই কথাটি পঞ্চাশের দশকে কোলকাতা শহরে একজন মানুষ ক্রমাগত বলে এসেছেন, তিনি কপিল ভট্টাচার্য। এই বাঁধটির বিরোধিতা করার জন্য দৈনিক'আনন্দবাজারে পাকিস্তানের চর' হিসেবে আখ্যা পাওযা কপিল ভট্টাচার্য দেখিয়েছিলেন এমনকি ভারতের সাধারণ মানুষের স্বার্থেও না, বাঁধটি তৈরি হয়েছিল রাজনৈতিক কারণে, হয়েছিল বৃহৎ পুঁজির স্বার্থে। কপিল বলেছিলেন, পদ্মার মুখে এই বাঁধ পলি জমিয়ে উজানেও ভয়াবহ দৃর্যোগের সৃষ্টি করবে। আজ বিহার, উত্তর প্রদেশের মানুষও সেই বিপদ টের পাচ্ছেন। যাকে শাস্তি দেয়ার জন্য এই বাঁধ, সেই বাংলার মানুষ তো ভুগছেনই। নদী নিয়ে দিল্লীর চক্রান্তমূলক তৎপরতা জনগণের সামনে প্রকাশ করার জন্য আস্ত একটি বই বাংলায় লিখেছিলেন বলেই জন্ম নিয়েছিল বাংলা ভাষায় নদী বিষয়ক প্রথম গ্রন্থটি: বাংলা দেশের নদ নদী ও পরিকল্পনা।
কপিল ভট্টাচার্য আঞ্চলিক সহযোগিতার স্বপ্ন দেখেছিলেন, স্বপ্ন দেখেছিলেন পারস্পরিক সুবিধা-অসুবিধা আর অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে নদী ব্যাবস্থাপনার । কপিলের ভারত রাষ্ট্রের বিরোধিতা ভারতের জনগণের স্বার্থ রক্ষার একমাত্র উপায়, বাংলাদেশের জনগণেরও।
এমনও মানুষ আছেন বাংলাদেশে, যারা ভারাক্কা বাঁধ ভেঙে দেয়ার দাবি করায় মাওলানা ভাসানীকে ভারত বিরোধী সাম্প্রদায়িক ইত্যাদি বলতে সময় নেন না। কিন্তু এই মহৎ মানুষরা রাষ্ট্র, শ্রেণী কিংবা দলের স্বার্থের উপড়ে উঠতে পেরেছিলেন, পেরেছিলেন এরও বাইরে প্রকৃতির স্বার্থ, গণমানুষের স্বার্থটাকে দেখতে।
©somewhere in net ltd.