নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

http://ianamblog.wordpress.com

আই আনাম

বলতে চাই অনেক কিছু কিন্তু কেন যেন বলতে পারি না

আই আনাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

দই/দৈ

০১ লা নভেম্বর, ২০১১ সকাল ১১:৪৭

আমি যে খেতে ভালবাসি তা নিশ্চয়ই আমার পরিচিত কারও অজানা নয়। প্রায় সব ধরণের খাবারই আমার প্রিয় কিন্তু তাদের মধ্যে একটি অত্যন্ত প্রিয় খাবার হল দই। অনেক নামী-দামী বাঘা বাঘা মিষ্টির চেয়ে দই আমার অধিক পছন্দের। ইতিহাস বলে ইন দ্যা ইয়ার ২০০৩-০৪ আমি এক বসায় দুই-তিন কেজি দই খেতে পারতাম। এখন নেহায়েত বয়স হয়েছে বিধায় অত খেতে পারি না। গ্রামে এক মামার বিয়েতে আমার দইপ্রেম একবার বিখ্যাত হয়ে উঠল। সকাল-বিকাল আমি শুধু দই খাই। খালারা আদর করে আমার সামনে দইয়ের হাঁড়ি দিয়ে যান আর বলেন, “নে বাবা, দই খা”। কেউ কেউ বলতে লাগলেন, “ছেঁড়াডা খালি দই খায়”। দইয়ের সাথে আমার সম্পর্ক নিশ্চয়ই এতক্ষণে আবিষ্কার করতে পেরেছেন। আজকের লেখাটা এই দইকে নিয়েই।



আমার মনে হয় এমন একটা সময় আসবে যখন আমাদের ছেলেমেয়ে কিংবা নাতি-নাতনীরা দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে বলবে, “ঐ যে দেখা যাচ্ছে দই। আমাদের মা-বাবা কিংবা দাদা-দাদি বা নানা-নানীরা একসময় ওটা খেতে পারতেন। ওটা নাকি খুব মজার মিষ্টি”। কেন এমনটা হবে? উত্তর ‘দইয়ের পানির’ মত সহজ। দাম। হ্যাঁ, দাম। যেভাবে দইয়ের দাম বাড়ছে তাতে এক সময়ে তা নাগালের বাইরে চলে যাবে। ২০০৬-০৭ এর দিকে একবার চিনির দাম বাড়ল। বেড়ে গেল দইয়ের দাম। যুক্তি হল চিনির দাম বাড়তি। এরপর চিনির দাম কমে গেল বটে কিন্তু দইয়ের দাম অপরিবর্তিত থাকল। এরপর নানান অজুহাত এবং বর্তমানে অজুহাত ছাড়াই দইয়ের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। মনে আছে আজিমপুরে হরিপদের দোকান থেকে ৫০ টাকা কেজির মিষ্টি দই খেতাম। সে কী স্বাদ! তখন ঢাকার নামজাদা দোকানে দইয়ের কেজি ছিল ৭০ টাকা। এই ৭০ টাকা দাম বেশ কিছুদিন টিকে ছিল। এরপর হঠাৎ করে হুড়মুড় করে সেই দাম বাড়া শুরু করল। ৭০ থেকে বেড়ে ১২০/১৩০ হতে সময় লাগল না। দুধ, চিনির দাম বেড়েছে। দইয়ের দাম বাড়বে সেটা স্বাভাবিক কিন্তু দুধ, চিনির সাথে দইয়ের দাম বাড়ার অনুপাতটা আমাদের কাছে পরিষ্কার নয়। বাড়ির কাছের দোকানে প্রতি সপ্তাহে দেখি দইয়ের দাম ১০ টাকা করে বাড়ে। তবে তাদের একটা সততার বিষয় আছে। তারা এখন আর বলে না এক কেজি দইয়ের দাম এত। বরং তারা দই বিক্রি করে পাতিল হিসেবে। কারণ পাতিলে এখন আর এক কেজি দই থাকে না। বর্তমানে এক পাতিল দই ১৭০ টাকা। রাস্তার ওপারের দোকানের দইটা আবার এর চেয়ে বেটার তাই দামটাও বেটার - ১৮০ টাকা। অনেক দোকানে ১৯০ টাকা পাতিলও বেচে। তবে চিনি কম দেয়া দইয়ের দাম আবার ১০ টাকা বেশি। ঐটা নাকি স্পেশাল! এ তো গেল সাধারণ মিষ্টির দোকানে দইয়ের দাম। ঢাকা শহরে কিছু অ-সাধারণ মিষ্টির দোকান চালু হয়েছে। এসব অসাধারণ মিষ্টির দোকান বিক্রমপুর, যাদবঘোষ, বনফুল, আলাউদ্দিন টাইপ নামে বিশ্বাসী না। তাদের নাম প্রিমিয়াম, প্রমিনেন্ট, রেডফোর্ট টাইপ। তাদের দোকানে দইয়ের দামও সেইরকম ডলার বা পাউন্ড হিসেবে। ২৭০, ৩০০ টাকা পাতিল কোন ব্যাপার না।



দইচিড়া খেতে খুব ভাল লাগে। কিন্তু সেটা খেতে গেলে ১৭০ টাকা কেজি থুক্কু পাতিলের দই কিনে খেতে হয়। তাই অহরহ খাওয়া যায় না। এক সময়ে গরীব মানুষ মিষ্টির মধ্যে সস্তা বলে দই খেত। এখন মধ্যবিত্তও বুঝে-শুনে দই কিনে। আর গরীব ফেলে দেওয়া পাতিল চাইটা খায়। আমরা সাধারণ মানুষ অ্যাকাউন্টিং, ফিনান্সের কস্টিং- টস্টিং বুঝি না। আমরা বুঝি দ্রব্যমূল্য তরতর করে বেড়ে যাচ্ছে। সহজলভ্য অনেক পন্যই আজ আর সহজলভ্য নেই। এখন যেটা অকেশনালি কেনা বা খাওয়া যায় সেটা আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম হয়ত বছরে একবার কিনবে বা খাবে অথবা বইয়ে পড়ে সাধ মেটাবে।



বিঃদ্রঃ দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি নিপাত যাক।

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা নভেম্বর, ২০১১ সকাল ১১:৫৬

লাল চাঁন বলেছেন: দই ভালো পাই :D তয় গৌরনদীর দই

২| ০১ লা নভেম্বর, ২০১১ সকাল ১১:৫৭

পুরাতন বলেছেন: আজকে সকালেই কুষ্টিয়া থেকে আনা দৈ খেলাম B-)

৩| ০১ লা নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:২৯

আহমেদ সাব্বির পল্লব বলেছেন: দই-চিড়া খাইতে মন্চায়.......

৪| ০১ লা নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ১:০৩

তোমোদাচি বলেছেন: দই এর কথা শুনে দই খেতে ইচ্ছা করল; কিন্তু কৈ পাই?? দেশের মত মিষ্টি দইয়ের এখানে বড় আকাল!!

৫| ০১ লা নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ১:৫১

বলাক০৪ বলেছেন: আড়ং এর টক দই খাই...।

৬| ০১ লা নভেম্বর, ২০১১ রাত ৯:৩৪

বড় বিলাই বলেছেন: মিষ্টি জাতীয় খাবারের মধ্যে দই-ই সবচেয়ে প্রিয়।

৭| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১১:২২

রাশমী বলেছেন: আগামী প্রজন্মের প্রত্নতাত্তিকেরা দৈ নামে খাবার ছিলো এ নিয়ে গবেষণা করবে !!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.