নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Ml Ali

Ml Ali › বিস্তারিত পোস্টঃ

জীবন প্রবাহ

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ২:২৩

জীবন প্রবাহ


নিজের কথা- ৯৩ পর্ব

সাধারণ জনতা, গবেষক আর সূফীসাধকদের বিশ্বাস যেমন এক না তেমনি বিভ্রান্ত,অভিশপ্ত আর সফলকামীদের চিন্তনজগ‍ৎও এক না। চিন্তনের উপর ভিত্তি করেই শুরু হয় ব‍্যক্তি জীবনের পথ চলা। আর সুচিন্তনের প্রভাবেই অর্জিত হয় ব‍্যক্তির সফলতা আর সরল পথের সন্ধান। আর কুচিন্তনের প্রভাবেই ব‍্যক্তির সৃষ্টি হয় সন্দেহ, ভীতি ও অন‍্যান‍্য অসফলতার জটিল পথ। যে পথে পথ চলে ব‍্যক্তি হয়ে থাকে অসফল, বিভ্রান্ত কিম্বা পথভ্রষ্ঠ।

সুচিন্তন কি আর কুচিন্তন কি তা জানা আবশ‍্যক। মানুষের মাঝে দুধরনের গুণাবলী দেখা যায়। এক ধরনের গুণাবলী হল মানবিক গুণাবলী। মানবিক গুণাবলী হলো দয়া, মায়া, কৃপা, উদারতা, অহিংসা, ভালোলাগা,ভালোবাসা,স্নেহ, প্রেম,শ্রদ্ধা, ভক্তি, বিশ্বাস, জ্ঞান, আনন্দ ইত‍্যাদি শিষ্টাচার। ব‍্যক্তির চিন্তাশক্তি যখন এসকল শিষ্টাচার তথা মানবিক গুণাবলী নিয়ে কাজ করে তখন এধরনের কাজের মাধ‍্যমে মানুষের মানবতা বিকশিত হয়। ব‍্যক্তির মানবতা বিকাশকারী চিন্তাশক্তিগুলোই হলো সুচিন্তা। সুচিন্তার প্রভাবে ব‍্যক্তি মানবতাপূর্ণ ভয়ভীতিহীন সন্দেমূক্ত শিষ্টাচারপূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাসের সফল জীবন লাভ করে থাকেন।

আর ব‍্যক্তির মানবতা বিকাশের বাধাদানকারী চিন্তাশক্তিগুলোই হলো ব‍্যক্তির শিষ্টাচারহীন কুচিন্তা। ব‍্যক্তির কুচিন্তা কাজ করে যে সব গুণাবলীর উপর এই গুলো হলো দয়ামায়াহীনতা, ক্ষমাহীনতা, হিংশ্রতা, সংকীর্ণতা,অহংকার,লোভ, ক্রোধ, মোহ, নেশা ইত‍্যাদি। এগুলো হলো ব‍্যক্তির শিষ্টাচারহীণ অমানবিক গুণাবলী। কুচিন্তার প্রভাবেই ব‍্যক্তি এসকল অমানবিক কার্যক্রম করে থাকে। ফলে ব‍্যক্তি শান্তিপূর্ণ জীবন যাপনের অনুপযোগী ক্ষতিকর অশান্তির পরিবেশ গড়ে তুলে। এপ্রসঙ্গে সূফী সাধক আনোয়ারুল হকের অমূল‍্য বাণী," আদবে আওলিয়া বেআদবে শয়তান।"

গুণীজনেরা বলেন, সাধারণ জনতার চিন্তা যেখানে শেষ হয়, সেখানেই শুরু হয় জ্ঞান- বিজ্ঞানের গবেষণা কার্যক্রম। আর গবেষকদের গবেষণার কার্যক্রম যেখানে শেষ হয় সেখান থেকেই শুরু হয় সাধকদের সাধনা কর্ম। আর সূফী সাধকদের সাধনা কর্ম যেখানে শেষ হয়, সেখানই শুরু হয় স্রষ্টার কার্যক্রম। কারন সাধারণ জনতা নাজেনে অন‍্যের কথা বলে। বিজ্ঞানী গবেষকেরা জেনে অন‍্যের কথা বলে। সূফী সাধকগণ স্বীয় আল্লাহর কথা বলেন। আর আল্লাহ্ স্বয়ং নিজের কথা বলেন।

তাই সূফী সাধকগণ সর্বদাই স্রষ্টাই বিশ্বাসী ও আত্ননির্ভরশীল থেকে জীবন যাপন করেন। আর স্রষ্টা সর্ব বিষয়ে মহাজ্ঞানী ও প্রজ্ঞাবান। তাই সূফীসাধকগণ স্রষ্টার উপর বিশ্বাস আর্জনের পাশাপাশি তাঁর নির্দেশনাবলী তথা আদেশ, নিষেধ ও উপদেশ অনুসরণ পূর্বক জীবন যাপন করে থাকেন । ফলে তাঁরা সর্বদাই সুখী ও আনন্দঘণ জীবন যাপন করেন।

গবেষণায় জানা যায়,সাধারণ জনগণ যাকিছু দেখে, শোনে, পড়ে, যাকিছুর স্বাদ গ্রহণ করে কিম্বা যাকিছু অনুভব করে থাকে সেই সব বিষয়ের প্রভাব থেকেই সাধারণ জনগণের চিন্তা শুরূ হয়। আর গবেষকগন গবেষণা কর্ম করে থাকেন একদিকে সাধারণ লোকের সন্দেহ দূরীকরনের উপায় ও সম্ভাব‍্য বিভিন্ন প্রতিকার উদ্ঘাটন করতে। আর অন‍্যদিকে আল্লাহর সৃষ্টি জগৎ ও সূফী সাধকগণের জীবন দর্শনের সত‍্য উদ্ঘাটনে।

সূফীসাধকগণ সাধনা কর্ম করে থাকেন, শান্তি ও আনন্দের মাঝে জীবন যাপনের লক্ষ‍্যে স্বীয় আল্লাহর নির্দেশনা বাস্তবায়ন করা। আর যুগোপযোগী কর্মের মাঝে শান্তি ও আনন্দে থেকে কিভাবে স্রষ্টার সাথে সৃষ্টির যোগাযোগ প্রতিষ্ঠা ও আনুগত‍্য প্রকাশ পুর্বক সম্পর্ক স্থাপন ও সফল জীবন যাপন করা যায় তা অন্বেষণ করা । স্রষ্টা সর্বদাই তাঁর নিখুঁত সৃষ্টির মাধ্যমে সৃষ্টি জগৎসমূহ পরিচালনা করেন। আর সৃষ্টি ও স্রষ্টার মাঝের জ্ঞান ও প্রজ্ঞাময় জীবনের নিবিড় সম্পর্ক ধরে রাখেন।

জ্ঞানের মালিক আল্লাহ্ আর ওলীআল্লাহগণ হলেন সূফিসাধক। যাঁরা আল্লাহর ভাবজগতের শাহ্সুলতান। আর বিজ্ঞানীরা হলেন জ্ঞান জগতের সত‍্য অনুসন্ধানী গবেষক। আর যারা সাধারণ, তাদের নেই জ্ঞান নেই ভাব। তারাই তো বাদশাহ,সুলতান আর মালিকের দরজার অভাবগ্রস্থ কৃপা ভিখারী পথিক। ক্ষমাকরো হে ঈশ্বর।

যে সব ব‍্যক্তি না জেনে না বুঝে এক এক সময় এক এক জনকে দেখে তার মত হওয়ার জন‍্য কেবলই নকল করে জীবন যাপনে অভ‍্যস্ত হন,অধিকাংশ তারাই বিভ্রান্ত হয়ে থাকে। আবার গুণীজনের দেখানো পথ অনুসরণ না করে যারা মিথ‍্যে অহংকারের প্রভাবে খেয়াল খুশী মত জীবন যাপন করে বিপথে চলে যায় , তারাই হলো পথভ্রষ্টদের অন্তর্ভুক্ত সদস‍্য। আর যাঁরা প্রভুর নির্দেশনা অনুসরণ পূর্বক সন্তুষ্টচিত্তে জীবন যাপন করে থাকেন, তাঁরাই হলেন সফলকামী সরল পথের পথিক।


জ্ঞানের মালিক আল্লাহ্ আর ওলীআল্লাহগণ হলেন সূফিসাধক। যাঁরা আল্লাহর ভাবজগতের শাহ্সুলতান। আর বিজ্ঞানীরা হলেন জ্ঞান জগতের সত‍্যানুসন্ধানী গবেষক। আর যারা সাধারণ, তাদের নেই জ্ঞান নেই ভাব। তারাই তো বাদশাহ,সুলতান আর মালিকের দরজার অভাবগ্রস্থ কৃপা ভিখারী পথিক। ক্ষমা করো প্রভু, ক্ষমা কর হে ঈশ্বর।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.