নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Ml Ali

Ml Ali › বিস্তারিত পোস্টঃ

নিজের কথা- ৯৯

১৩ ই মে, ২০২৩ সকাল ১১:৩০

"


জ্ঞান অর্জনে বই-কেতাব হতে মানুষ-কেতাব উত্তম ।" সূফী সাধক আবু আলী আক্তার উদ্দীন।
জ্ঞান হলো এক জীবন্ত জীবনীশক্তি। স্রষ্টার বিচিত্র এই সৃষ্টজগৎ সমূহ তাঁর সুনিপুন জ্ঞানশক্তির মাধ‍্যমেই সৃষ্টি। স্রষ্টা হলেন চিরন্তন চিরঞ্জীব সত্ত্বা। তাই জ্ঞানশক্তি হলো স্রষ্টার চিরন্তন এক চিরঞ্জীব শক্তির জগৎ। স্রষ্টার জ্ঞানশক্তির প্রভাবেই বিভিন্ন জীবের প্রাণশক্তির যাবতীয় জটিল কার্যক্রম অতি সরলভাবে সুসম্পন্ন হয়ে থাকে। স্রষ্টা তাঁর অসীম জ্ঞানজগতের মধ‍্য হতে তাঁর ইচ্ছানুযায়ী খুব সামান‍্য ও সীমিত জ্ঞান দিয়েই
"জ্ঞান অর্জনে বই-কেতাব হতে মানুষ-কেতাব উত্তম ।" সূফী সাধক আবু আলী আক্তার উদ্দীন।
জ্ঞান হলো এক জীবন্ত জীবনীশক্তি। স্রষ্টার বিচিত্র এই সৃষ্টজগৎ সমূহ তাঁর সুনিপুন জ্ঞানশক্তির মাধ‍্যমেই সৃষ্টি। স্রষ্টা হলেন চিরন্তন চিরঞ্জীব সত্ত্বা। তাই জ্ঞানশক্তি হলো স্রষ্টার চিরন্তন এক চিরঞ্জীব শক্তির জগৎ। স্রষ্টার জ্ঞানশক্তির প্রভাবেই বিভিন্ন জীবের প্রাণশক্তির যাবতীয় জটিল কার্যক্রম অতি সরলভাবে সুসম্পন্ন হয়ে থাকে। স্রষ্টা তাঁর অসীম জ্ঞানজগতের মধ‍্য হতে তাঁর ইচ্ছানুযায়ী খুব সামান‍্য ও সীমিত জ্ঞান দিয়েই জীবজগতের এক এক প্রজাতির সৃষ্টকে সৃষ্টি করেছেন। তাই আমরা সকলেই কোন কিছু একই সাথে সমানভাবে বুঝতে পারিনা। এপ্রসঙ্গে স্রষ্টার মহান বাণী থেকে জানা যায়," আমি তোমাদেরকে অতি সামান‍্যই জ্ঞান দিয়েছি। " আবার স্রষ্টার বাণীতে পাওয়া যায়, " যে ব‍্যক্তি কল‍্যাণের পথে আগমন করেন আমি তাকে সেই কাজের দশগুণ অধীক প্রতিদান দেই। "

এখন প্রশ্ন আসে স্রষ্টা কিভাবে তাঁর জ্ঞানজগতের নিয়ন্ত্রণ রাখেন? এপ্রসঙ্গে স্রষ্টার বাণী আলকুরান থেকে জানা যায়," স্রষ্টা যখন কোন কিছু সৃষ্টির ইচ্ছে পোষন পূর্বক হও বলেন, "তখনই তা হতে থাকে। " এথেকে বুঝা যায়, সৃষ্টির সমগ্র ভাব জগৎ স্রষ্টার নিয়ন্ত্রণাধীন থাকে। তাই স্রষ্টা যখন যেখানে যেভাবে সৃষ্টি করতে ইচ্ছে পোষণ করেন তখন সেখানে সেভাবেই তা সৃষ্টি হতে থাকে । স্রষ্টার ভাবজগৎ দৃশ‍্যমান বাহ‍্যিক পুথিগত বিষয় না। এটি একান্তই অদৃশ্যমান অভ‍্যন্তরীন আত্মীক চেতনাগত বিষয়। যা বোধশক্তির মাধ্যমে অনুভাব ও উপলব্ধি করা যায়।

প্রাণশক্তির মাঝেই বিদ‍্যমান থাকে চেতণাময় জ্ঞানশক্তি। যা সকল জীবজগতের মাঝে বর্তমান থাকে। যা ব‍্যক্তির মাঝে বিভিন্ন স্তরের চেতনাশক্তির উপর নির্ভর করে সক্রীয় থাকে। প্রাণশক্তিতে জ্ঞানজগতের বিভিন্ন উপাদান যেমন ক্ষুধা, তৃষ্ণা, অভাব, ভাব, মনন,সুখ-দুঃখ,হাসি-কান্না,আবেগ, অনুভুতি, উপলব্ধি, চৈতন‍্যতা ইত‍্যাদি চেতনাগত আত্মিক বিষয়াদি ধৃত থাকে । তাই প্রাণশক্তি সম্পন্ন মানুষ-কেতাবের সাহচর্যে জ্ঞান অর্জন করা যতটা সহজ বিষয় প্রাণহীন কোন বিষয়ের সাহচর্যে থেকে ততটা সহজতর হয়না। অপরদিকে বই-কেতাব প্রাণশক্তি বিবর্জিত অচেতনাগত বিষয়। যেখানে মনন, সুখ-দুঃখ,হাসি-কান্না, আবেগ, অনুভূতি, উপলব্দি ইত‍্যাদি চৈতন‍্যশীল জৈবিক শক্তি অবর্তমান থাকে। তাই বই-কেতাবের সাহচার্যে অর্জিত জ্ঞানশক্তি ততটা জীবন ঘনিষ্ঠ নয় যতটা জীবন ঘনিষ্ঠ চৈতন্যশক্তি সম্পন্ন মানুষ- কেতাব থেকে পাওয়া যায়। এপ্রসঙ্গে সূফী সাধক আবুআলী আক্তার উদ্দীনের অমৃত বাণী থেকে জানা যায়," জ্ঞান অর্জনে বই-কেতাব হতে মানুষ-কেতাব উত্তম ।"

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.