![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
. . . .অতৃপ্ত অনূভুতি . . . .
.
(১)আজ অভ্র অনেক খুশি ।
খুশি হবেই না কেন
আজ
দুই বছর পর ট্রেনে
করে বাড়ি যাচ্ছে ।
অনেক দিন হয়ে গেছে
বাড়িতে যাওয়া হয় না ।
রাগ কিনা অভিমান অভ্র
নিজেই জানে না ।
কারন কয়েক বছরের ব্যবধানে অভ্র পুরোপুরি চেঞ্জ হয়ে গেছে ।
চুলগুলো আগের মতই বড় বড় । শুধু যোগ হয়েছে চিকন ফ্রেম এর একটি চশমা ।
.
.
আজ অভ্রকে চেনে না
ঢাকা কেন সারা দেশে এমন কেউ নেই ।
কারন অভ্রের মত দ্বিতীয়
কেউ পেন্টিং করতে পারেনা ।
বিশেষ করে মানুষের
ছবিগুলো এতো সুন্দর করে ...
আঁকে মনে হয় যেন জীবন্ত ।
টাকা পয়সা বাড়ি গাড়ির
কোন কিছুর অভাব নেই ।
তারপর অভ্র আগে
যে ফ্লাট টাতে থাকতো সেটাতেই আছে ।
.
অভ্র কত ভালোবাসতো মেয়েটাকে ।
জীবনের চাইতেও বেশি ।
কিন্তু মেয়েটা একটা স্বার্থপর ।
অভ্রের মনে আজও
একটাই প্রশ্ন দোলা দেয় ।
আবন্তিকা কেন তার সাথে
এমন করলো । অভ্রতো কোন অপরাধ করেনি ।
যদি কোন অপরাধ করেই
থাকে তাহলে একটাই করেছে আবন্তিকা কে ভালোবেসে ।
.
.
পরিবার থেকে অভ্রকে
অনেক জোরাজুরি করার
পর ও আজও বিয়ে করেনি ।
কারন আবন্তিকাকে যে
আজও পাগলের মতো ভালোবাসে অভ্র ।
অভ্রর হৃদয়ের স্মৃতির পাতায়
পাতায় জুরে আছে যে
তার ই নাম ।
.
অভ্রের ঠিক মনে আছে ..
কলেজ এর ফাইনাল
পরীক্ষা দেওয়ার পর স্বাধীনভাবে একটু ঘোরাঘুরি করতে ছিল ।
একদিন অভ্র স্কুলমাঠে
বসে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিচ্ছিল ।
.
হঠাৎ একটি মেয়েকে দেখে অবাক হয়েছিল !!!
মেয়েটি তেমন সুন্দরী না বা কোন স্মার্টনেস নেই যে অভ্র মেয়েটিকে দেখে অবাক হবে ।
কিন্তু একটি কারনে মেয়েটিকে অভ্রর ভাল লেগে ছিল ।
তা ছিল মেয়েটির হাসি ।
মেয়েটির সেই হাসির
কাছে এ পৃথিবীর সব কিছু
তুচ্ছ । অভ্রের ইচ্ছে করতে ছিল
মেয়েটির হাসির ভিতর
হারিয়ে যেতে ।
সেই হৃদয় কারা হাসি
অভ্রের আজও মনে পড়ে ।
সেই হাসিটা যে অভ্রের হাসি চিরদিনের জন্য কেড়ে নিবে কে
জানতো ?
.
(২)অভ্র সব মেয়েদের কাছে
প্লেবয় নামে পরিচিত পেলেও
কখনো প্লেবয়দের মতো
কোন মেয়ের হৃদয় নিয়ে
খেলতো না ।
কারন হৃদয় ভাঙ্গার কষ্ট
অভ্রের চাইতে আর কেউ
ভালো বুঝে না ।
মেয়েরা অভ্রের পিছু নিলেও
অভ্র কখনো মেয়েদের
পিছু নেই নি ।
এর জন্যই মেয়েরা অভ্রকে
আরো বেশি লাইক করতো ।
.
মেয়েটি সেদিন চলে যাওয়ার পর অভ্র জানতে পারে মেয়েটির নাম আবন্তিকা ।
এর পর অভ্র মেয়েটাকে যত দেখে ততই ভালো লাগতে থাকে ।
অভ্র প্রতিদিন একবার
নতুন করে যেন মেয়েটির
প্রেমে পড়ে ।
অভ্র জানে না আবন্তিকা
মেয়েটার মাঝে এমন কি
আছে যা অভ্রকে মন্ত্রমুগ্ধ করে ।
অনেক অপেক্ষার পর অভ্র
আবন্তিকাকে একদিন বলে ফেলে ...
.
আবন্তিকা আমি তোমাকে অনেক অনেক অনেক ভালবাসি । তুমি কি আমাকে ভালোবাসো । আবন্তিকাও সে দিন সারা দিয়েছিল ।
.
.
সে দিন আবন্তিকার সারা দেওয়ার পর অভ্র অবাক
হয়ে গিয়েছিল ।
এমন কি অভ্রর সব ফেন্ডরাও ।
এর পর প্রতিদিন কথা বলা , ফোন আলাপন , এস এম এস চ্যাট সব একসাথে চলছিল ।
অভ্র জীবনের এই প্রথম
বুঝতে পেরেছিল ভালোবাসার অনূভুতিটা ।
কিন্তু আবন্তিকা কেন যেন
হঠাৎ করে সমস্ত
যোগাযোগ বন্ধ করে দিল ।
.
(3)ট্রেনটা জেলা স্টেশন এ
দাড়াতেই অভ্র পুরনো
স্মৃতির বেড়াজাল থেকে
বেরিয়ে এল । কেন যেন অভ্রর দুচোখ দিয়ে পানি চলে এলো ।
অভ্রের পাশে থাকা স্কুল লাইফের বন্ধু বলল ..
.
সুমনঃ কিরে অভ্র কাঁদছিস কেন ?
.
অভ্রঃ চোখে মনে হয় কিছু পড়েছে হুমায়ুন কবির ।
.
সুমনঃ অভ্র কথাটা বলতেই কিছুটা অবাক হলো ।
.
কথাটার অর্থ বুজতে পারলো । কারন আজ পযর্ন্ত তাকে কেউ তার পুরো নামটা বলেনি ।
চুপ হয়ে গেল সুমন । চুপ হওয়া ছাড়া কোন উপায় ছিল না সুমনের । অভ্রর কষ্টগুলো বাস্তবতা সুমন নিজেই যে দেখেছে ।
.
.
ট্রেনটা ছাড়তেই অভ্র
চোখের সামনে দেখতে
পেল স্মৃতির পাতা গুলো ।
আবন্তিকা কে যে কতবার
ফেরাতে চেষ্টা করেছে অভ্র ।
পাগলের মত ছুটে গিয়েছিল আবন্তিকার কাছে ।
কিন্তু প্রতিটা সময় অভ্রকে
ফিরিয়ে দিয়েছে ।
অভ্র শুধু জানতে চেয়েছে
তার ভূলটা কোথাই ?
অভ্র সেদিন ও জানতে
পারে নি ?
অভ্র আজও জানে না তার
ভূলটা কোথায় ?
অভ্র হয়তো আর
কোন দিনও জানতে
পারবে না .....
[অভ্রর মতো ছেলেরা বা মেয়েরা কখনো জানতেও পারবে না তাদের ভুল কোথায়]
লিখাঃ ছন্নছাড়া বেনজামিন আবির ।
©somewhere in net ltd.