![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১ম পর্ব দেখতে চাইলে ক্লিক করুন-
বাংলা সাহিত্যের অজানা/স্বল্পজানা/বিভ্রান্তিকর কিছু তথ্যঃ মধ্যযুগ+ (পর্ব-১ )
১। হিন্দু মুসলমানদের মিলনের জন্য রাখি উৎসবের প্রচলন করেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালীদের তালিকার ২য় জন, কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
২। রবীন্দ্রানাথ ঠাকুর তাঁর ১৫ ভাইবোনের মধ্যে ১৪তম ছিলেন। তাঁদের পারিবারিক পদবী ছিল ‘কুশারী’। তিনি খুলনার মেয়ে ভবতারাণী দেবীকে বিয়ে করেন ১৮৮৩ সালে। স্ত্রী বিয়োগ ঘটে ১৯০২ সালে। এ দম্পতির ২ পুত্র ও ৩ কন্যা ছিল। তাঁর বড় ভাইয়ের মেয়ের স্বামী প্রমথ চৌধুরী। চীনারা রবীন্দ্রনাথ বলতে কাউকে চেনে না! তারা তাঁকে চেনে ‘চু চেন তান’ নামে।
৩। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গীতাঞ্জলী কাব্যটি প্রকাশিত হয় ১৯১০ সালে। এতে মোট ১৫৭টি কবিতা ও গান আছে। কবি নিজে ও আইরিশ কবি ‘ডব্লিউ বি ইয়েটস’ মিলে ১৯১২ সালে ‘Song Offerings’ নামে ইংরেজি অনুবাদ বের করেন। ১৯১৩ সালে যা নোবেল পুরষ্কার লাভ করে।
৪। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের বাবা পেশায় ছিলেন মাজারের খাদেম। তাঁর রচিত গ্রন্থ ৫১টি। নিষিদ্ধ গ্রন্থ ৫টি। লিখেন মোট ২৩ বছর। মোট রচিত গান ৩০০০ হাজারের বেশি।
৫। নজরুল বাংলা হিন্দি মিলিয়ে ১২-১৪টি চলচিত্রে পরিচালক/গীতিকার/সুরকার/সঙ্গীত পরিচালক/অভিনেতা/কণ্ঠশিল্পী হিসেবে কাজ করেছেন। কানাডীয় পরিচালক ফিলিপ স্পারেল তাঁকে নিয়ে ‘নজরুল’ নামক চলচিত্র নির্মাণ করেন।
৬। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালিদের তালিকায় ৩য় জন কাজী নজরুল ইসলাম। তাঁকে মৃত্যুর ৬ মাস পূর্বে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব দেয়া হয়। এর পূর্বে তিনি ১২ বার ঢাকায় আসেন।
৭। বাউল কবি লালন শাহ ঝিনাইদহ জেলার হরিশপুর গ্রামের এক হিন্দু কায়স্থ ঘরে জন্ম গ্রহণ করেন ১৭৭২ বা ১৭৭৪ সালে। তাঁর বাল্যনাম লালনচন্দ্র কর। ওস্তাদ সিরাজ সাঁইয়ের কাছে তত্ত্বমূলক গান শিক্ষা নিয়ে পরবর্তীতে শাহ্ উপাধি লাভ করায় অনেকে তাঁকে মুসলমান বলে মনে করেন। কিন্তু তিনি মুসলমানও ছিলেন না আবার হিন্দুও ছিলেন না। তাঁর বাস্তব কোন প্রতিকৃতি নেই। তাঁর যে প্রতিকৃতি প্রচলিত তা অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর অঙ্কন করেন। লালন ১৮৯০ সালে মারা যান কুষ্টিয়ার ছেউড়িয়ায়।
৮। যে সাহিত্যিক সাহিত্য ও শিল্পের সকল অঙ্গনে সমান দক্ষতার পরিচয় দেন তাঁকে সব্যসাচী লেখক বলা হয়। বাংলা সাহিত্যে সব্যসাচী লেখকগণ হচ্ছেন- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, বুদ্ধদেব বসু এবং সৈয়দ শামসুল হক। তবে মজার ব্যাপার হচ্ছে সৈয়দ শামসুল হক সাহিত্যিক ভাষায় মূলত সব্যসাচী লেখক নন। তাঁর প্রথম দিকের লেখাগুলো তাঁর ভাইয়ের ‘সব্যসাচী প্রকাশনী’ থেকে প্রকাশিত হওয়ায় মূলত তাঁর ভক্তরা তাঁকে সব্যসাচী লেখক বলে থাকেন।
৯। নেত্রকোনা জেলার কয়েকজন সাহিত্যিক-
* কবি কঙ্ক(আনুমানিক ১৫০০-১৬০০)- মৈমনসিংহ গীতিকার ‘মলুয়া’ পালার রচয়িতা বলে অনুমান করা হয়।
* মনসুর বয়াতি(আনুমানিক ১৭০০-১৮০০)- মৈমনসিংহ গীতিকার ‘দেওয়ানা মদিনা’ পালার রচয়িতা।
* চন্দ্রকুমার দে(১৮৯৯-১৯৪৭)- মৈমনসিংহ গীতিকার সংগ্রাহক, লেখক ও গবেষক।
* রওশন ইজদানী(১৯১৭-১৯৬৭)- কবি; ‘খাতামুন নাবেঈন’ কাব্যের জন্য আদমজী পুরষ্কার পেয়েছিলেন।
* নির্মলেন্ধু গুণ(১৯৪৫-বর্তমান)- বর্তমান কবিদের মধ্যে অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি।
* হুমায়ূন আহমেদ(১৯৪৮-২০১২)- প্রখ্যাত কথা সাহিত্যিক।
* হেলাল হাফিজ(১৯৪৮-বর্তমান)- কবি; ‘যে জলে আগুন জ্বলে’ কাব্যগ্রন্থের জন্য বিখ্যাত।
* মোস্তফা জব্বার(১৯৪৯-বর্তমান)- বিজয় বাংলা কী-বোর্ডের উদ্ভাবক, কম্পিউটার শিক্ষার উপর বহু গ্রন্থের রচয়িতা।
* মুহম্মদ জাফর ইকবাল(১৯৫২-বর্তমান)- প্রখ্যাত বৈজ্ঞানিক কল্প কাহিনী লেখক।
০৫ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ৮:৪৮
ভেজা আকাশ বলেছেন: প্রকৃত পক্ষে উনাদের কেউই নেত্রকোনা জেলায় জন্মান নি। কারণ উনাদের সর্বশেষ জনের জন্মের সময়ও নেত্রকোনা জেলারই জন্ম হয়নি।
জাফর ইকবাল বাবার কর্মস্থল সিলেটেই জন্মেছেন। তবে তাঁর বাড়ি কিন্তু নেত্রকোনা জেলাতেই।
২| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৯:০৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: ৮ নং অনুচ্ছেদে উল্লেখিত বিষয়ে কি আর কারো কোন নির্ভরযোগ্য প্রমাণ বা বিশ্বাসযোগ্য বক্তব্য আছে? ‘সব্যসাচী প্রকাশনী’ থেকে প্রকাশিত হওয়ার ব্যাপারটা কাকতালীয় হতে পারে। সৈয়দ শামসুল হক কবিতা-গল্প-উপন্যাস, সাহিত্যের এই তিন শাখায় সমানভাবে পারদর্শী ছিলেন বলেই তাঁকে সব্যসাচী লেখক বলা হতো বলে জানি। এ ছাড়াও তিনি একজন ভাল গীতিকার এবং চিত্র নাট্যকারও ছিলেন।
ভাল, তথ্যবহুল এ পোস্টের জন্য প্লাস + +
©somewhere in net ltd.
১|
০৫ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ৮:২৪
মুরাদ-ইচছামানুষ বলেছেন: নেত্রকোনা জেলার কজন সাহিত্যিক// এরা কি নেত্রকোনায় জন্মেছেন?
জাফর ইকবালের জন্ম সিলেটে। বাংলা উইকিপিডিয়া মতে ।