![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমাদের এখানে কোন ধর্মীয় অনুষ্ঠান বিশেষ করে পূজা আসলে একটা কথা খুব শোনা যায়, "ধর্ম যার যার, উৎসব সবার"। এটা নিয়ে বিতর্ক কম হয় না। এই কথাকে কেন্দ্র করে কয়েক শ্রেণির মানুষের উদ্ভব ঘটে, তারমধ্যে প্রধান দুই শ্রেণি, প্রথম শ্রেণি এর সাথে সম্পূর্ণ একমত এবং দ্বিতীয় শ্রেণি এর সাথে পুরোপুরি দ্বিমত। হয়তবা প্রথম শ্রেণির মানুষ ঠিক অথবা দ্বিতীয় শ্রেণির মানুষ ঠিক, সেটা এটা নির্ভর করে তার দৃষ্টিভঙ্গির উপর, সে কোনদিক থেকে বিষয়টা দেখছে।
সামনে রমজান মাস, এরপর ঈদ। মুসলমানদের অনেক বড় একটা উৎসব। সারাদিন রোজা রাখবে আর সন্ধ্যা হলে ইফতার করবে। মাস শেষে ঈদের নামাজের মাধ্যমে শেষ হয়ে যাবে এর আনুষ্ঠানিকতা। এই রমজান বা ঈদ উপলক্ষে আমাদের দেশের যত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আছে সব ছুটি হয়ে যাবে। এই ছুটি কার জন্য, শুধু মুসলিম শিক্ষার্থীদের জন্য? না, বরং এই ছুটি দল-মত, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার জন্য। এই ছুটিটা কি শুধু আমরা যারা মুসলিম আছি তারাই উপভোগ করব নাকি যারা অন্য ধর্মালম্বি আছে তারাও উপভোগ করবে? এবার আমাদের স্কুল-কলেজ-ভার্সিটি প্রায় ৩০-৪০ দিন বন্ধ। তারা এই বন্ধটা কীভাবে কাটাবে, কোথায় ঘুরতে যাবে, কারা তাদের বাড়িতে ঘুরতে আসবে, তাদের প্রিয় কাজ কী আছে এসব করেই কাটাবে। উৎসব মানে কী? তারা আমার ঈদের নামাজে শামিল হতে আসবে এর নাম? তারা যে এসব প্ল্যান করছে, আনন্দে সময় কাটাবে এর নাম কী উৎসব নয়? এখন আসি পূজার কথায়। তখনও সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছুটি হয়ে যায়, এমনকি মাদরাসাও ছুটি হয়। ধরলাম আমি একজন মাদরাসার ছাত্র যদি এই ছুটিতে আমার নানারবাড়ি, দাদারবাড়ি, আমার গ্রামের বাড়ি বা অন্য কোথাও বা আমার নিজের বাড়িতেই যদি আনন্দ করি, এটা কি আমার অপরাধ হবে? এই আনন্দটাই আমার উৎসব। উৎসব মানে এই নয় যে আমি পূজা দিতে যাবো, আমি দেবী বিসর্জন দিতে যাবো। নির্মল আনন্দ সব ধর্মই সমর্থন করে। দৃষ্টিভঙ্গির উপরে আসলে কিছু নেই। “নিশ্চয় সকল কাজের ফলাফল মনের ইচ্ছাশক্তির উপর নির্ভরশীল” ভুলত্রুটি হলে জানাতে ভুলবেন না। ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.