![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মুক্তমনা, সকল রকমের সংস্কার মুক্ত, আমি ধর্মভীরু হলেও ধর্মান্ধতা আমাকে কখনো গ্রাস করে নিতে পারেনি।আমি সুস্থ্য চিন্তা আর মানবিক মূল্যবোধে বিশ্বাসী। আমার শক্তি আমার আবেগ আবার সে আবেগ-ই আমার বিশেষ দুর্বলতা। নেহায়েত সখের বশে এক আধটু কাব্য চর্চা করি, এই আর কি। প্রিয় বিষয় সাহিত্য, ইতিহাস, ধর্ম, সংগীত, দর্শন, দেশ ভ্রমন আর গোয়েন্দা সিরিজের বই পড়া।ভীষণ ভোজন রসিক আমি। জন্ম যদিও চট্টগ্রামে কিন্তু ঢাকা শহরেই লেখা পড়া আর বেড়ে উঠা। আমার জীবনের গল্প তাই আর দশ জনের মতো খুবই সাদামাটা।
পীর বদরউদ্দীন আল্লামা ওরফে বদরে আলম বা বদর পীর(রহঃ)-
শাহজাহান মোহাম্মদ ইসমাঈল
বারো আউলিয়ার মধ্যে পীর বদরউদ্দীন আল্লামা ওরফে বদরে আলম বা বদর পীর (রহঃ) সবচেয়ে প্রসিদ্ধ। তাঁকে বারো আউলিয়ার নেতা এবং অভিভাবক সথানীয় ব্যক্তিত্ব(Patron Saint)হিসেবে গন্য করা হয়ে থাকে। শুধু চট্টগ্রামেই নয়, নদী মাতৃক বাংলাদেশের সব জায়গাতেই হযরত বদর পীর (রহঃ) সমানভাবে সম্মানিত ও পরম পূজনীয়। তবে তাঁকে ছাড়াও এ নামে আরো বেশ কয়েকজন অলী আল্লাহর নাম পাওয়া যায়। যেমন- হযরত পীর বদরউদ্দীন মাদার (রহঃ)-মাদারীপুর, হযরত বদর শাহ্ (রহঃ)-রাজশাহী, হযরত বদরউদ্দীন শাহ্ (রহঃ)- বদরগঞ্জ,পীরগঞ্জ(রংপুর)এবং হযরত বদরে আরেফীন(রহঃ)-দিনাজপুর। কিন্তু এঁদের মধ্যে চট্টগ্রামের কোতোয়ালী থানার বক্সীর হাটের বদরপাতিতে সমাহিত হযরত শাহ্ বদর আউলিয়ার(রহঃ)মাজারই সবা©পেক্ষা বিখ্যাত। ইনি সাধারণতঃ বদর পীর(রহঃ), বদর শাহ্ (রহঃ), পীর বদর (রহঃ) বা বদর (রহঃ) নামে পরিচিত। তাঁর প্রকৃত নাম আজো অপরিজ্ঞাত। তবে ঐতিহাসিকগণ তাঁকে হযরত শাহ্ বদরউদ্দীন আল্লামা বা পীর বদরে আলম বা বদর পীর (রহঃ) হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।
হযরত বদর শাহ্ পীর (রহঃ) এর পরিচিতি
“ঐতিহাসিকদের মতে আরবেরা সম্ভবতঃ অষটম শতাব্দীর মধ্যভাগে চট্টগ্রামে এসে পৌঁছান। চট্টগাম রেল ষেটশনের উত্তর পাশ্বস্থ কুমাদান পাহাড়ের উপর বহু প্রাচীন আরবীয় অলী দরবেশের সমাধি আছে বলে জানা যায়’’; এ তথ্য জনাব মাহবুব উল আলম (১৮৯৮খৃঃ-১৯৮১খৃঃ) তাঁর ‘চট্টগ্রামের অলী দরবেশগণ’ শীষ©ক গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন। বদর পীর (রহঃ) প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেছেন, ‘‘বদরউদ্দীন বদরে আলম-বদরউদ্দীন আল্লামা ও বদর পীর নামে পরিচিত। মীরাটে জন্ম, হযরত শাহজালাল এর সমসাময়িক। তরফের রাজা আচক নারায়ণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেন।হাজী খলীলকে সঙ্গে নিয়ে চট্টগ্রামে আসেন।১৩৪০ খৃঃ ইন্তেকাল করেন। তিনি বিহারের ছোট দরগায় সমাহিত।’’
ইতিহাস বলে, সিলেট বিজয়ী হযরত শাহজালাল ইয়ামানী(রহঃ)(১৩০৩ খৃঃ)এর অপর সাথী হযরত নাসিরউদ্দীন সিপাহসালার(রহঃ)এর সহযোদ্ধা হিসেবে হযরত বদর পীর(রহঃ)তরফ পরগনার অত্যাচারী রাজা আচক নারায়ণের বিরুদ্ধে বীর বিক্রমে যুদ্ধ করেন। প্রকৃ্তপক্ষে, হযরত বদর পীর(রহঃ)ছিলেন তরফ বিজয়াভিযানে অংশগ্রহনকারী বিখ্যাত বারো আউলিয়ার অন্যতম সদস্য।
হযরত বদর শাহ্ পীর (রহঃ) এর প্রভাব ঃ-
‘‘বাংলাদেশের সমস্ত অঞ্চলের মাঝি-মাল্লারা নদী পারাপারের সময় এই পীরের উদ্দেশ্যে প্রণতি জানায়। নদীপথে আসন্ন বিপদের সময় হিন্দু ধমা©বলম্বী মাঝি-মাল্লারা তাদের জান-মালের নিরাপত্তা বিধানের জন্য এ পীর বদরের (রহঃ) কথা স্মরণ করে সমস্বরে বলে ওঠে,
‘‘আমরা আছি পোলাপান,
গাজী আছেন নিগাবান;
শিরে গঙ্গা দরিয়া,
পাঁচ পীর বদর; বদর’’।
আর মুসলমান মাঝিরা সমস্বরে গেয়ে ওঠে,
‘‘আমরা আছি পোলাপান,
আল্লাতালা নিগাবান;
আল্লা, নবী, পাঁচ পীর;
বদর; বদর’’। (তথ্যসূত্রঃ বাংলাদেশের সুফী সাধক- ডঃ গোলাম সাকলায়েন-পৃঃ-১৩৪।)
চট্টগ্রামের মুসলমান খেলোয়াড়েরা জমায়েত হয়ে যে বদর ধ্বনি করে এবং সমুদ্রে মাঝি-মাল্লারা যে বদর ধ্বনি করে এগুলো পীর বদরউদ্দীনের(রহঃ)স্মৃতির সূচক। বাংলার গণ মানসে হযরত বদর পীর (রহঃ)এর অতুলনীয় প্রভাব-প্রতিপত্তির বণ©না প্রসঙ্গে ঐতিহাসিক আহমদ হাসান দানী বলেন,
Ò... .. ... কতক লৌকিক দেবদেবীর পূজা উভয় সম্প্রদায়ের মধ্যে প্রচলিত যা সাম্প্রদায়ীক সম্প্রীতির সহায়ক ছিল। এরকম একজন দেবতা হচ্ছেন বদর।যাকে নদীর অধিষ্ঠাত্রী তথা রক্ষক দেবতা হিসেবে নদীমাতৃক বাংলাদেশের মানুষ হিন্দু-মুসলমান নিবি©শেষে প্রত্যেক দিন পূজা করত।তবে শেষোক্ত সম্প্রদায়ের নিম্নস্তরের (যারা নদীভিত্তিক জীবন যাপনে অভ্যস্থ) মানুষের মধ্যে এটির প্রচলন ছিল বেশীÓ। দানী, পৃঃ-৬৩।
(তথ্যসূত্র-t ঐতিহাসিক ঢাকা মহানগরী : বিবত©ন ও সম্ভাবনা t সম্পাদক, ইফতিখার-উল-আউয়াল। প্রকাশকালঃ ঢাকা-২০০৩ পৃঃ নং-৮৩।)
কাজেই দেখা যাচছে, বাংলার হিন্দু-মুসলিম সকল সম্প্রদায়ের কাছেই পীরবদর(রহঃ)সমানভাবে মান্য এবং সাম্প্রদায়ীক সম্প্রীতির উত্স উপলক্ষ্য ও মাধ্যম ছিলেন| তাঁকে বারো আউলিয়ার নেতা তথা অভিভাবকরূপে আজও সমানভাবে মান্য করা হয়।
কিংবদনতীর বদর শাহ(রহঃ)ও চট্টগ্রাম শহরের নামকরণঃ-
‘‘জনশ্রুতি আছে যে, প্রায় পাঁচ-ছশ বছর আগে বদর পীর (রহঃ) একটা প্রকান্ড পাথরের উপর বসে চট্টগ্রামে আসেন।তৎকালে ঐ অঞ্চলে ভূত-প্রেতের বসবাস ছিল।হযরত বদর শাহ্ পীর(রহঃ)এসে জ্বীনদের কাছ থেকে একটা ছোট চাটি(মাটির প্রদীপ)রাখার সম পরিমান জায়গা চেয়ে নেন।চাটি জ্বালাবার পর সেটির আলো চারিদিকে ছড়ি্যে পড়ে এবং জ্বীনেরা সে জায়গা থেকে বিতাড়িত হয়।এভাবে হযরত বদর শাহ্ পীর(রহঃ)ঘন জঙ্গলে ঘেরা চট্টগ্রামের পাহাড়ী অঞ্চলকে মনুষ্য বসবাসের উপযোগী করে তোলেন। এইরুপে, চট্টগ্রাম শহর বদর পীরের চাটি দিয়ে আলোশিখা বিকিরণ করায় এবং এই জেলাকে সব©প্রথম মানুষের বাসোপযোগী স্থানে পরিণত করায় একে ‘চাটিগ্রাম’ বা ‘চাটগাঁও’ নামে অভিহিত করা হয়। ....................................। পূবে© চট্টগ্রামের পাহাড় প্রভৃতি অঞ্চলে জ্বীন-ভূত-প্রেতের বসতি ছিল। চট্টগ্রামের অধিবাসীগণ এখনও কোন কোন পাহাড়ের উল্লেখ করতে গিয়ে তাকে ‘পরীর পাহাড়’ নামে অভিহিত করেন।পীর বদরের ভক্তগণ তাঁকে চট্টগ্রাম শহরের ‘অভিভাবক দরবেশ’ বলে থাকেন’’। (তথ্যসূত্রঃ বাংলাদেশের সুফী সাধক-ডঃ গোলাম সাকলায়েন-পৃঃ-১৩৪।)
‘বদর পীরের চাটির’ কথা আজও চট্টগ্রামে কিংবদন্তি হয়ে আছে। ‘বদর শাহের চাটি’ থেকে চাটিগ্রাম> চট্টগ্রাম নামের উৎপত্তি হয়েছে মমে© বিশেষজ্ঞগণের বেশ জোরালো অভিমত রয়েছে।‘‘চট্টগ্রামের মোমিন রোডের কদম মুবারক মসজিদের উত্তর দিকে অবস্থিত, যে পাহাড়ের উপর তিনি প্রথম চাটি প্রজ্বলন করেছিলেন, সেটি বত©মানে চেরাগীর পাহাড় নামে পরিচিত। হিন্দু-মুসলমান ও খৃষটান জনসাধারণ এখনো মনোস্কামনা পূরণের জন্য এ স্থানে প্রতি সন্ধ্যায় আলো জ্বেলে থাকে’’। (তথ্যসূত্রঃ বাংলাদেশের সুফী সাধক- ডঃ গোলাম সাকলায়েন পৃঃ ১৩৪।)
কৃতজ্ঞ চট্টলার আপামর জনসাধারণের পক্ষে, হযরত বদর পীরের(রহঃ)পূণ্য স্মৃতির স্মরণে শ্রদ্ধাঘ© নিবেদনাথে©, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে, জামাল খান ও মোমিন রোডের সংযোগস্থলে অবস্থিত যে পাহাড়ের উপর তিনি প্রথম চাটি প্রজ্বলন করেছিলেন, সেখানে ৫৪ ফুট উঁচু এবং ৪৬ ফুট ব্যাসের চেরাগ আকৃ্তির একখানা সুদৃশ্য স্তম্ভ নিমা©ণ করা হয়েছে। চট্টগ্রামের পরিচয়বাহী এ স্থানটি একটা দশ©নীয় স্থান রুপে খ্যাত।এ পাহাড়খানা আগে ডিসি হিলের অংশ ছিল।কথিত আছে যে, আজ থেকে প্রায় ছয়শ পঞ্চাশ বছর আগে হযরত বদর পীর(রহঃ)একটা প্রকান্ড পাথরের উপর বসে সমুদ্র পাড়ি দিয়ে ইসলাম প্রচারের জন্য চট্টগ্রামে আসেন। শহরের যে স্থানে এসে তাঁকে বহনকারী পাথরখানা থেমে গিয়েছিল, সে জায়গাটি বত©মানে ‘পাথরঘাটা’ নামে পরিচিতি পেয়েছে।
হযরত বদর শাহ্ পীর (রহঃ)এর সুখ্যাতি ঃ-
হযরত বদর পীর (রহঃ)শুধু চট্টগ্রামেই নয় বামা© থেকে মালয় অবধি সুবিস্তৃত অঞ্চলে তিনি সুপরিচিত ছিলেন। হযরত বদর শাহ্ পীর (রহঃ) এতই খ্যাতি লাভ করেছিলেন যে, তাঁর দশ©নের জন্য ব্যাকুল হয়ে চতুদ©শ শতকের মরক্কো দেশীয় পয©টক ইবনে বতুতা ১৩৪৬ খৃষটাব্দে চট্টগ্রামে আসেন। কিন্তু ইতিপূবে© এ দরবেশের ইন্তেকাল ঘটলে ইবনে বতুতার সে আশা আর পূরণ হয়নি।
বাংলার সুলতান ফখরুদ্দিন মুবারাক শাহের (১৩৩৮খৃঃ-১৩৪১খৃঃ) বীর সেনাপতি কদল খাঁ গাজীর চট্টগ্রাম অভিযানকালে (১৩৪০খৃঃ) হযরত বদর শাহ্ পীরের সাথে তাঁর সাক্ষাত হয়েছিল বলে জানা যায়। সপ্তদশ শতকের কবি মুহাম্মদ খান তাঁর বংশ পরিচয় দিতে গিয়ে বারো আউলিয়া ও হযরত বদর শাহ্ পীরের কথা উল্লেখ করেছেন। কবি ‘মক্তুল হোসেন’ (১৬৪৬খৃঃ) কাব্যে বলেন, ‘‘তাঁর পূব© পূরুষ মাহি আছেয়ার যখন হাজী খলীল পীরকে সঙ্গে নিয়ে আরব দেশ থেকে চট্টগ্রাম আগমন করেন, তখন কদল খাঁ গাজী পীর, তাঁর প্রাণের সখা শায়খ শরফুদ্দিন এবং শাহ্ বদরে আলম এর সঙ্গে তাঁর সাক্ষাত হয়’’। কবি আরো বলেন, ‘‘কদল খাঁ গাজী পীর অসংখ্য রিপুদল পরাস্ত করে চট্টগ্রামে এক আল্লাহর মহিমা প্রকাশ করেন। কদল গাজী খাঁনের পীরের সংগে তাঁর একাদশ মিত্র ছিল।কিন্তু পুস্তক বাড়ন্ত হেতু কবি এদের নাম উল্লেখ করেননি’’। (যাদের কারণে চট্টগ্রামকে বার আউলিয়ার দেশ বলা হয়ে থাকে।)
‘‘এ তথ্যের ঐতিহাসিক সত্যতার প্রমান পাওয়া গেছে । ‘পূব©বঙ্গ গীতিকা’য় ও তাঁর নাম পাওয়া যায়।
‘‘চাইর দিক মানি আমি মন কৈলাম স্থির।
মাথার উপর মানম আশী হাজার পীর ।।
আশী হাজার পীর মানম ন লাখ পেকাম্বর।
শিরের উপরে মানম চাটিগাঁর বদর’’।।
(তথ্যসূত্রঃ বাংলাদেশের সুফী সাধক- ডঃ গোলাম সাকলায়েন-পৃঃ-১৩৪।)
হযরত পীর বদর শাহের (রহঃ) সমাধি
চট্টগ্রাম শহরের বদরপাতিতে এ মহান সূফী সাধকের সমাধি রয়েছে। হিন্দু-মুসলমান, বৌদ্ধ-খৃষটান জাতি ধম© নিবি©শেষে সবাই এ মহাপূরুষের পবিত্র কবরগাহের প্রতি সম্মান দেখিয়ে থাকেন। ‘চট্টগ্রামের ইসলামী ঐতিহ্য’ গ্রন্থে বিশিষ্ট ঐতিহাসিক ডঃ আবদুল করিম সাহেব বলেন, ‘‘চট্টগ্রামের বদরপাতিস্থ বদর শাহের সমাধি ভবন পরীক্ষা করে আমাদের মনে হয়, বদর শাহ চট্টগ্রামেই সমাহিত আছেন। বদরপাতিস্থ বদর শাহের মাজার নিহায়েত জওয়াব বা কৃ্ত্রিম সমাধি নয়।’’ প্রতি বছর ২৯শে রমজান তারিখে হযরত পীর বদর শাহ’র(রহঃ)মাজারে গুনমুগ্ধ ভক্তকূ্ল বিপুল আয়োজনের সাথে তাঁর বাষি©ক ওরস শরীফ পালন করে থাকেন। এতে জাতি-ধম©-বণ© নিবি©শেষে দেশ-বিদেশের বহু লোকের সমাবেশ হয়।
বদর মকানঃ
আরব বনিকগণ আসাম থেকে মালয় পয©ন্ত বিস্তৃত সমুদ্র উপকূলে অসংখ্য মসজিদ প্রতিষটা করেছিলেন।বদর পীরের প্রভাবে কালক্রমে এগুলি ‘‘বদর মকান” নামে পরিচিতি লাভ করে। প্রকৃ্তপক্ষে, বদর মকান গুলি ছিল আরবদের জাহাজ ঘাটা। ব্যবসায়ী, ভ্রমনকারী, ধম© প্রচারক ও ভাগ্যান্বেষীরা এ সকল স্থানে উঠানামা করতেন। বদর মকান গুলো এদের আশ্রয়স্থলে পরিণত হয়। এসবের অনেকগুলোতেই তাঁদের কোন কোন চিহ্নাদি(মসজিদ, আসন, চিল্লা, কুয়া) প্রভৃতি বিদ্যমান।এগুলো জাতি-ধম©-বণ© নিবি©শেষে সকলেই ভক্তি ও সম্মানের চোখে দেখে থাকেন। বদর টিলা, বদর খালী, বদর কুয়া, বদর মকান প্রভৃতির নামে খ্যাত পাহাড়, নদী, কূপ, স্থান ইত্যাদি চট্টগ্রাম থেকে আরাকান পয©ন্ত বিস্তৃত স্থান জুড়ে অদ্যাপি দেখা যায়।
বদর পীরের স্মৃতিকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে অনেক স্থানের নাম। যেমন- বদর মোকাম-কক্সবাজার, বদরপাতি-বক্সীরহাট;চট্টগ্রাম,বদরপুর-মতলব,পটুয়াখালী,ময়মনসিংহ।বদরখালী-চট্টগ্রাম,চেরাগীর পাহাড়-চট্টগ্রাম।এছাড়া চট্টগ্রামে প্রাপ্ত এক প্রকার সামুদ্রিক মাছ বদরের ছুরি নামে পরিচিত। ছুরি মাছের শুঁটকী চট্টগ্রামবাসীর অতি প্রিয় খাবার।
তথ্যসূত্রঃ
১। চট্টগ্রামের অলী দরবেশগণ - মাহবুব উল আলম
২। চট্টগ্রামের ইতিহাস - মাহবুব উল আলম।
৩। বাংলাদেশের সুফী সাধক- ডঃ গোলাম সাকলায়েন।
৪। মুসলিম সাহিত্য ও সাহিত্যিক - ডঃ গোলাম সাকলায়েন।
৫। বঙ্গে সূফী প্রভাব - ডঃ মুহাম্মদ এনামুল হক।
৬। সম্ভাবনাময় বৃহত্তর চট্টগ্রাম - ডঃ এম এম এমরান চৌধুরী। (প্রকাশনা-ফেব্রুয়ারী ২০০৯)।
©somewhere in net ltd.