![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মুক্তমনা, সকল রকমের সংস্কার মুক্ত, আমি ধর্মভীরু হলেও ধর্মান্ধতা আমাকে কখনো গ্রাস করে নিতে পারেনি।আমি সুস্থ্য চিন্তা আর মানবিক মূল্যবোধে বিশ্বাসী। আমার শক্তি আমার আবেগ আবার সে আবেগ-ই আমার বিশেষ দুর্বলতা। নেহায়েত সখের বশে এক আধটু কাব্য চর্চা করি, এই আর কি। প্রিয় বিষয় সাহিত্য, ইতিহাস, ধর্ম, সংগীত, দর্শন, দেশ ভ্রমন আর গোয়েন্দা সিরিজের বই পড়া।ভীষণ ভোজন রসিক আমি। জন্ম যদিও চট্টগ্রামে কিন্তু ঢাকা শহরেই লেখা পড়া আর বেড়ে উঠা। আমার জীবনের গল্প তাই আর দশ জনের মতো খুবই সাদামাটা।
বারো আউলিয়া
শাহজাহান মোহাম্মদ ইসমাঈল।
সিলেট বিজয়ের (১৩০৩খৃঃ) পরপরই হযরত শাহজালাল ইয়ামানী(রহঃ)তাঁর সাথী ৩৬০ আউলিয়াকে দিকে দিকে ইসলাম প্রচারাথে প্রেরণ করেছিলেন। আর এ কর্মসূচীরই অংশ হিসেবে হযরত নাসিরউদ্দীন সিপাহসালার (রহঃ) এর নেতৃত্বে তরফ পরগনার (বর্তমানে হবিগঞ্জ) অত্যাচারী হিন্দু সামন্ত রাজা আচক নারায়ণের বিরুদ্ধে এক সমরাভিযান প্রেরিত হয়েছিল। বীর সেনাপতি হযরত নাসিরউদ্দীন সিপাহসালার (রহঃ)এর সাথে তরফ পরগনাভিমুখে মুসলিম বাহিনীর এ অগ্রাভিযানের পুরোভাগে থেকে বীর বিক্রমে যুদ্ধ পরিচালনা করেছিলেন ইতিহাস খ্যাত বারো আউলিয়ার সদস্যগণ। তরফ বিজয়ের পর তাঁরা তরফ রাজ্যের বিভিন্ন অঞ্চলে ইসলাম প্রচার কাযে© বেরিয়ে পড়েন।এ কারনে বিজিত তরফ রাজ্যকে বারো আউলিয়ার দেশ বলা হয়ে থাকে। এ বারো আউলিয়াগণ হলেনঃ -
১। হযরত শাহ বদরউদ্দীন (রহঃ) ওরফে হযরত পীর বদর শাহ (রহঃ) -
ইতিহাস বলে সিলেট বিজয়ী হযরত শাহজালাল ইয়ামানী (রহঃ) এর সাথী ৩৬০ আউলিয়ার অন্যতম সদস্য হযরত নাসিরউদ্দীন সিপাহসালার (রহঃ)এর সহযোদ্ধা হিসেবে হযরত বদর পীর(রহঃ)তরফ পরগনার অত্যাচারী রাজা আচক নারায়ণের বিরুদ্ধে বীর বিক্রমে যুদ্ধ করেন। প্রকৃ্তপক্ষে, হযরত বদর পীর (রহঃ) ছিলেন তরফ বিজয়াভিযানে অংশগ্রহনকারী বিখ্যাত বারো আউলিয়ার অন্যতম সদস্য। তাঁর প্রকৃত নাম আজো অপরিজ্ঞাত। তবে ঐতিহাসিকগণ তাঁকে হযরত শাহ্ বদরউদ্দীন আল্লামা বা পীর বদরে আলম বা বদর পীর (রহঃ) হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। তাঁর সম্পর্কে জনাব মাহবুব উল আলম (১৮৯৮খৃঃ-১৯৮৬খৃঃ) ''চট্টগ্রামের অলী দরবেশগণ'' শীর্ষক গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন যে, ''বদরউদ্দীন বদরে আলম-বদরউদ্দীন আল্লামা ও বদর পীর নামে পরিচিত। মীরাটে জন্ম, হযরত শাহজালাল এর সমসাময়িক। তরফের রাজা আচক নারায়ণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেন। হাজী খলীলকে সঙ্গে নিয়ে চট্টগ্রামে আসেন। ১৩৪০ খৃঃ ইন্তেকাল করেন। তিনি বিহারের ছোট দরগায় সমাহিত।''
চট্টগ্রামের মুসলমান খেলোয়াড়েরা জমায়েত হয়ে যে বদর ধ্বনি করে এবং সমুদ্রে মাঝি-মাল্লারা যে বদর ধ্বনি করে এগুলো পীর বদরউদ্দীনের(রহঃ)স্মৃতির সূচক। বদর পীরের স্মৃতিকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে অনেক স্থানের নাম। যেমন-বদর মোকাম-কক্সবাজার, বদরপাতি-বক্সীরহাট; পাথরঘাটা-চট্টগ্রাম, বদরপুর-মতলব, পটুয়াখালী, ময়মনসিংহ। বদরখালী-চট্টগ্রাম, চেরাগীর পাহাড়-চট্টগ্রাম।এছাড়া চট্টগ্রামে প্রাপ্ত এক প্রকার সামুদ্রিক মাছ বদরের ছুরি নামে পরিচিত। ছুরি মাছের শুঁটকী চট্টগ্রামবাসীর অতি প্রিয় খাবার।
হযরত বদর পীর (রহঃ) শুধু চট্টগ্রামেই নয় বার্মা থেকে মালয় অবধি সুবিস্তৃত অঞ্চলে তিনি সুপরিচিত ছিলেন। হযরত বদর শাহ্ পীর (রহঃ) এতই খ্যাতি লাভ করেছিলেন যে, তাঁর দর্শনের জন্য ব্যাকুল হয়ে চর্তুদশ শতকের মরক্কো দেশীয় পর্যটক ইবনে বতুতা ১৩৪৬ খৃষটাব্দে চট্টগ্রামে আসেন। কিন্তু ইতিপূর্বে এ দরবেশের ইন্তেকাল ঘটলে ইবনে বতুতার সে আশা আর পূরণ হয়নি।
বাংলার সুলতান ফখরুদ্দিন মুবারাক শাহের (১৩৩৮খৃঃ-১৩৪১খৃঃ) বীর সেনাপতি কদল খাঁ গাজীর চট্টগ্রাম অভিযানকালে (১৩৪০খৃঃ) হযরত বদর শাহ্ পীরের সাথে সাক্ষাত হয়েছিল বলে জানা যায়। সপ্তদশ শতকের কবি মুহাম্মদ খান তাঁর বংশ পরিচয় দিতে গিয়ে বারো আউলিয়া ও হযরত বদর শাহ্ পীরের কথা উল্লেখ করেছেন। কবি ‘মক্তুল হোসেন’(১৬৪৬খৃঃ) কাব্যে বলেন, ''তাঁর পূর্ব পুরুষ মাহি আছেয়ার যখন হাজী খলীল পীরকে সঙ্গে নিয়ে আরব দেশ থেকে চট্টগ্রাম আগমন করেন, তখন কদল খাঁ গাজী পীর, তাঁর প্রাণের সখা শায়খ শরফুদ্দিন এবং শাহ্ বদরে আলম এর সঙ্গে তাঁর সাক্ষাত হয়''।
''এ তথ্যের ঐতিহাসিক সত্যতার প্রমান পাওয়া গেছে। যেমন- পূর্ববঙ্গ গীতিকায় তাঁর নাম পাওয়া যায়।
''চাইর দিক মানি আমি মন কৈলাম স্থির।
মাথার উপর মানম আশী হাজার পীর।।
আশী হাজার পীর মানম ন লাখ পেকাম্বর।
শিরের উপরে মানম চাটিগাঁর বদর''।।
(তথ্যসূত্রঃ বাংলাদেশের সুফী সাধক- ডঃ গোলাম সাকলায়েন-পৃঃ-১৩৪)।
চট্টগ্রাম শহরের কোতোয়ালী থানার অন্তর্গত বদরপাতিতে এ মহান সূফী সাধকের সমাধি রয়েছে। হিন্দু-মুসলমান, বৌদ্ধ-খৃষটান জাতি ধর্ম নিবিশেষে সবাই এ মহাপূরুষের পবিত্র কবরগাহের প্রতি সম্মান দেখিয়ে থাকেন। ‘চট্টগ্রামের ইসলামী ঐতিহ্য’ গ্রন্থে বিশিষ্ট ঐতিহাসিক ডঃ আবদুল করিম সাহেব বলেন, ‘‘চট্টগ্রামের বদরপাতিস্থ বদর শাহের সমাধি ভবন পরীক্ষা করে আমাদের মনে হয়, বদর শাহ চট্টগ্রামেই সমাহিত আছেন। বদরপাতিস্থ বদর শাহের মাজার নিহায়েত জওয়াব বা কৃ্ত্রিম সমাধি নয়।'' প্রতি বছর ২৯শে রমজান তারিখে হযরত পীর বদর শাহ’র(রহঃ)মাজারে গুনমূগ্ধ ভক্তকূ্ল বিপুল আয়োজনের সাথে তাঁর বাষিক পবিত্র ওরস শরীফ উদযাপন করে থাকেন। এতে জাতি-ধম-বণ নিবিশেষে দেশ-বিদেশের বহু লোকের সমাবেশ হয়।
২। হযরত শাহ গাজী (রহঃ) - সিলেট বিজয়ী হযরত শাহজালাল ইয়ামানী(রহঃ) এর সাথী ৩৬০ আউলিয়ার অন্যতম। হযরত নাসিরউদ্দীন সিপাহসালার (রহঃ) এর সহযোদ্ধা হিসেবে হযরত শাহ গাজী (রহঃ) তরফ পরগনার অত্যাচারী হিন্দু সামন্ত প্রভূ আচক নারায়ণের বিরুদ্ধে অমিত বিক্রমে যুদ্ধ পরিচালনা করেন। হযরত শাহ গাজী (রহঃ) ছিলেন তরফ বিজয়াভিযানে অংশগ্রহনকারী বিখ্যাত বারো আউলিয়ার অন্যতম সদস্য। তরফ বিজয়ের পর তিনি বিষ গ্রামেই বসতি স্থাপন করে থেকে যান।ওফাতের পর পলাতক সামন্ত রাজা আচক নারায়ণের পূজা মন্ডপের সন্নিহিত কক্ষেই তাঁকে সমাহিত করা হয়।পরে তাঁর নামানুসারেই এ অঞ্চলের নামকরণ করা হয়েছে গাজীপুর।
৩। হযরত শাহ মজলিশ আমিন(রহঃ)ঃ- হযরত শাহ মজলিশ আমিন(রহঃ)উচাইল অঞ্চলে গমন করে ইসলামের বাণী প্রচার করেন। সেখানেই তাঁর মাজার রয়েছে। মাজারের পাশেই তাঁর নিমিত এক খানা মসজিদ ও দীঘি রয়েছে।
৪।হযরত শাহ ফতেহ গাজী (রহঃ) - হযরত শাহ ফতেহ গাজী'র (রহঃ)বাসস্থান ফতেপুর নামে খ্যাত। বতমান শাহজী বাজার রেল ষ্টেশনের পাশেই এর অবস্থান।তাঁর সঙ্গী ছিলেন হযরত শাহ মাসউদ গাজী (রহঃ) ও হযরত শাহ আহমদ গাজী(রহঃ)। তাঁরা তিনজন একত্রে বসবাস করতেন। হযরত শাহ ফতেহ গাজী'র( রহঃ) ওফাতের পর তাঁকে পাশ্ববতী রঘু্নন্দন পাহাড়ে সমাহিত করা হয়। সেস্থান আজও জংগলাকীণ হয়ে রয়েছে। মাজারের পাশেই তাঁর নিমিত এক খানা মসজিদ রয়েছে।এ পাহাড়ের পাশেই রয়েছে হযরত শাহ আহমদ গাজী'র (রহঃ) মাজার। হযরত শাহ ফতেহ গাজী'র( রহঃ) নামানুসারে ''শাহজী বাজার'' নামকরণ করা হয়েছে বলে স্থানীয় লোকজনের অভিমত।
৫। হযরত সৈয়্যদ শাহ সায়েফ মিন্নতউদ্দীন (রহঃ) - হযরত সৈয়্যদ শাহ সায়েফ মিন্নতউদ্দীন (রহঃ) লস্করপুর গমন করে ইসলামের বাণী প্রচার করেন। সেখানেই তাঁর মাজার রয়েছে।
৬। হযরত শাহ আরেফীন(রহঃ) - হযরত শাহ আরেফীন (রহঃ) এর বাসস্থান ছিল লাউর এলাকায় এবং সেখানেই তাঁর মাজার অবস্থিত। হযরত শাহ আরেফীন (রহঃ) এর মাজার সিলেট বিভাগের উত্তরাঞ্চলে
বিশেষ প্রসিদ্ধ।
৭। হযরত শাহ তাজউদ্দীন কোরেশী (রহঃ) - হযরত শাহ তাজউদ্দীন কো্রেশী (রহঃ) চৌকি পরগণায় গমন করে ইসলাম প্রচার কাযে রত হন এবং সেখানেই রয়েছে তাঁর মাজার শরীফ।
৮। হযরত শাহ রোকনউদ্দীন আসওয়ারী (রহঃ) - হযরত শাহ রোকনউদ্দীন আসওয়ারী (রহঃ) সরাইল অঞ্চলে ইসলাম প্রচার করেন। শাহজাদপুরে তাঁর দরগাহ শরীফ বতমান।
৯। হযরত শাহ মাহমুদ (রহঃ) - হযরত শাহ মাহমুদ (রহঃ) লস্করপুর এলাকায় গমন করে সেখানে ইসলামের অমীয় বাণী প্রচারে আত্মিনয়োগ করেন। লস্করপুরের নিকটবতী উদ্দু বাজারে তাঁর মাজার রয়েছে। যদিও বতমানে উদ্দু বাজারের কোন চিহ্ন নাই।
১০। হযরত শাহ বদর (রহঃ) - হযরত শাহ বদর (রহঃ) এর বাসস্থান ছিল ভারতের বদরপুর নামক স্থানে। বদরপুর রেলওয়ে জংশনের নিকটেই হযরত শাহ বদর(রহঃ)এর মাজারের অবস্থান।
১১। হযরত শাহ সুলতান(রহঃ) - হযরত শাহ সুলতান (রহঃ) ময়মনসিংহ অঞ্চলে ইসলাম প্রচার কাযে লিপ্ত ছিলেন। ময়মনসিংহের বদরপুরে তাঁর পবিত্র দরগাহ শরীফ বিদ্যমান।
১২। হযরত সৈয়্যদ আহমদ শাহ গিছুদরাজ (রহঃ) - হযরত সৈয়্যদ আহমদ শাহ গিছুদরাজ (রহঃ) ছিলেন সিলেট বিজয়ী হযরত শাহজালাল ইয়ামানী (রহঃ) এর সাথী ৩৬০ আউলিয়ার অন্যতম। হযরত নাসিরউদ্দীন সিপাহসালার (রহঃ) এর সহযোদ্ধা হিসেবে হযরত সৈয়্যদ আহমদ শাহ গিছুদরাজ (রহঃ) তরফ পরগনার অত্যাচারী হিন্দু সামন্ত রাজা আচক নারায়ণের বিরুদ্ধে মহাবিক্রমে যুদ্ধ পরিচালনা করেন। হযরত সৈয়্যদ আহমদ শাহ গিছুদরাজ (রহঃ) ছিলেন তরফ বিজয়াভিযানে অংশগ্রহনকারী বিখ্যাত বারো আউলিয়ার অন্যতম সদস্য। তরফ বিজয়ের পর তিনি হযরত শাহজালাল ইয়ামানী (রহঃ) এর নির্দেশে বৃহত্তর কুমিল্লা ও ব্রাহ্মণবাড়ীয়া অঞ্চলে ইসলাম প্রচারকার্যে অংশগ্রহন করেন। এক স্থানীয় হিন্দু নরপতির বিরুদ্ধে জিহাদ করতে গিয়ে শহীদ হন। যুদ্ধক্ষেত্রে শরীর থেকে তাঁর পবিত্র মস্তকখানা ছিন্ন হয়ে পার্শ্ববর্তী তিতাস নদীতে ভেসে যেতে থাকে।আখাউড়া রেল ষ্টেশনের নিকটবর্তী খড়মপুরস্থ বর্তমান মাজারের স্থান অতিক্রম করার সময় তাঁর খন্ডিত মস্তক মুবারাক স্থানীয় এক জেলের মাছ ধরার জালে আটকা পড়ে। এ সময় তাঁর খন্ডিত মস্তক মুবারাক থেকে পবিত্র কলেমা শরীফ উচ্চারিত হচ্ছিল।অতি আশ্চর্যজনক এ ঘটনা দর্শনে সে এলাকার ৩৬০ ঘর জেলে পরিবার ইসলাম ধর্মে দীক্ষা গ্রহন করে। জেলেরা অতিশয় সম্মানের সাথে তাঁর দেহ বিহীন খন্ডিত মস্তক মুবারাক তিতাস নদীর তীরে বর্তমান মাজারের স্থানে সমাধিস্থ করে । মাজারের রক্ষণাবেক্ষণ করার কারণে সিদ্ধপূরুষ এ দরবেশের কৃপায় অত্র এলাকার ৩৬০ ঘর জেলে পরিবারের ভাগ্যের দুয়ার খুলে যায়। তারা স্বচ্ছলতা লাভ করে পরম সুখে জ়ীবন কাটাতে থাকে। প্রতি বছর ২৬ শে শ্রাবণ থেকে ১লা ভাদ্র পর্যন্ত ৫ দিনব্যাপী অনুষ্টানমালার মাধ্যমে, মহা ধুমধামের সাথে বীর মুজাহিদ হযরত সৈয়্যদ আহমদ শাহ গিছুদরাজ (রহঃ)ওরফে হযরত পীর কল্লা শহীদ (রহঃ) সাহেবের বার্ষিক ওরশ শরীফ পালিত হয়। মাজার প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত এ উৎসবে গুনমুগ্ধ ভক্তকূ্ল বিপুল আয়োজনের সাথে তাঁর বার্ষিক ওরস শরীফ পালন করে থাকেন। এতে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে দেশ-বিদেশের বহু লোকের সমাবেশ হয়।
©somewhere in net ltd.