![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শূন্য
আজ বাংলার বুকে নেমে আসে কালরাত্রি, অত্যাচার, পাশবিকতা, নৃশংসতা আর হিংস্রতার কালো থাবা।
পাকহানাদার বাহিনী পূর্ব পরিকল্পিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পূর্ণ সামরিক সম্ভার নিয়ে রাত ০১টা অতিক্রম করার সাথে সাথে শুরু করে সারা দেশব্যাপী পৃথিবীর ইতিহাসে জঘন্যতম হত্যাযজ্ঞ ও ধ্বংসলীলা। সামরিক ভাষায় ‘অপারেশন সার্চলাইট’ নামে পরিচিত ছিল এই হত্যা-অভিযান।
প্রেসিডেন্ট জেনারেল ইয়াহিয়া খান সন্ধ্যা পৌনে ছয়টায় প্রেসিডেন্ট ভবন থেকে সরাসরি এয়ারপোর্টে চলে যান। বাঙালিদের ওপর কাপুরুষোচিত সশস্ত্র হামলা চালাবার নির্দেশ দিয়ে রাত পৌনে আটটায় তিনি গোপনে বিমান যোগে ঢাকা ত্যাগ করেন।
পাকহানাদার বাহিনী জেনারেল ইয়াহিয়া খানের নির্দেশে জল্লাদের মতো বাংলাদেশের নিরস্ত্র নিরপরাধ জনগণের ওপর মেশিনগান, মর্টার আর ট্যাঙ্ক নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং শহরে ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষকে হত্যা করে।
রাত ১টা বাজার সাথে সাথে পরিকল্পনানুযায়ী ২২তম বেলুচ রেজিমেন্টের সৈন্যরা পিলখানা ইপিআর হেড কোয়ার্টারে আক্রমণ চালায়। কেন্দ্রীয় কোয়ার্টার গার্ডে ১৮ জন বাঙালি গার্ড থাকলেও তারা পাল্টা আক্রমণের সুযোগ পায়নি।
পিলখানা আক্রমণের সাথে সাথে রাজারবাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, শাঁখারি বাজারসহ সমগ্র ঢাকাতেই শুরু হয় প্রচন্ড আক্রমণ। বিভিন্ন এলাকাতে যথেচ্ছ হত্যা, লুণ্ঠন, ধর্ষণ এবং অগ্নিসংযোগ করে চলে বর্বর পাক হানাদারবাহিনী।
২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে মুক্তিসংগ্রামের মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন।
গোপন ওয়্যারলেস বার্তায় তিনি বলেন, ‘‘পাকিস্তানি সেনাবাহিনী আমাদের ওপর আক্রমণ চালিয়েছে। ছাত্র-জনতা-পুলিশ-ইপিআর শত্রুর বিরুদ্ধে সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে। সশস্ত্র মুক্তি সংগ্রাম শুরু হয়েছে। আমি ঘোষণা করছি আজ থেকে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ একটি স্বাধীন রাষ্ট্র। সর্বস্তরের নাগরিকদের আমি আহবান জানাচ্ছি, আপনারা যে যেখানে যে অবস্থাতেই থাকুন, যার যা আছে তাই নিয়ে দখলদার বাহিনীর বিরুদ্ধে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ না করা পর্যন্ত প্রতিরোধ গড়ে তুলুন। সম্মিলিতভাবে শত্রুর মোকাবেলা করুন। এটাই হয়তো আপনাদের প্রতি আমার শেষ বাণী হতে পারে। আপনারা শেষ শত্রুটি দেশ থেকে বিতাড়িত না করা পর্যন্ত সশস্ত্র সংগ্রাম চালিয়ে যান।’’
এর আগে সকালে প্রেসিডেন্ট ভবনে ভুট্টো-ইয়াহিয়া এবং ইয়াহিয়া ও পিপলস পার্টির উপদেষ্টাদের মধ্যে আলোচনা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বঙ্গবন্ধুর কাছে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়ার ঢাকা ত্যাগের খবর সঙ্গে সঙ্গেই পৌঁছেছিল। রাত ৯টার পর বঙ্গবন্ধু তাঁর বাসভবনে উপস্থিত দলীয় নেতা, কর্মী, সমর্থক, ছাত্র, নেতৃবৃন্দ ও সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, আমরা সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়েছি। কিন্তু জেনারেল ইয়াহিয়া খান সামরিক ব্যবস্থা গ্রহণের মধ্য দিয়ে সমস্যার সমাধান করতে চাচ্ছেন। এ ব্যবস্থার মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট অখন্ড পাকিস্তানের সমাপ্তি টানতে চলেছেন।
পিলখানায় ইপিআর ব্যারাকে ও অন্যান্য স্থান থেকে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণার লিখিত বাণী ওয়্যারলেসের মাধ্যমে সারা দেশে মেসেজ আকারে পাঠানো হয়। এই ওয়্যারলেস বার্তা চট্টগ্রাম ইপিআর সদর দফতরে পৌঁছায়। চট্টগ্রাম উপকূলে নোঙর করা একটি বিদেশী জাহাজও এই মেসেজ গ্রহণ করে। চট্টগ্রামে অবস্থানকারী আওয়ামী লীগের শ্রম সম্পাদক জহুর আহমেদ চৌধুরী বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণার বাণী সাইক্লোস্টাইল করে রাতেই শহরবাসীর মধ্যে বিলির ব্যবস্থা করেন।
রাত ১টায় পাকবাহিনীর একটি দল বঙ্গবন্ধুর বাসভবনের অদূরে শুক্রাবাদে ব্যারিকেডের মুখোমুখি হয়। এখানে প্রতিরোধ ব্যুহ ভেঙে হানাদাররা রাত দেড়টায় বঙ্গবন্ধুর বাসভবনের সামনে আসে। হানাদার বাহিনী বঙ্গবন্ধুর বাসভবনে এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়ে ভেতরে প্রবেশ করে।
বঙ্গবন্ধুকে রাত দেড়টায় তাঁর বাসভবন থেকে বন্দী করে শেরেবাংলা নগরস্থ সামরিক বাহিনীর সদর দফতরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে বঙ্গবন্ধুকে সেনানিবাসে স্থানান্তরিত করা হয়। সকাল পর্যন্ত আদমজী কলেজের একটি কক্ষে বঙ্গবন্ধুকে আটক রাখা হয়।
২| ২৫ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:১০
ইট্টুস কথা বলেছেন: +++++++++++++++
ভালেলাগা পোস্ট
but
Click This Link
৩| ২৫ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:১০
মুয়াজ বলেছেন: Click This Link
৪| ২৫ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:১১
স্মিথ হাসান বলেছেন: ধন্যবাদ
৫| ২৫ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:৫২
রাজীব দে সরকার বলেছেন: সত্যবচন এবং ধন্যবাদ
ভালো লাগলো ++++
৬| ২৫ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:২৮
নিজাম বলেছেন: ধন্যবাদ। অসংখ্য ধন্যবাদ। সত্যানুসন্ধানী পোস্টের জন্য।
৭| ২৫ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:০৭
সকাল রয় বলেছেন:
ধন্যবাদ
৮| ২৫ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:০৮
বোকামন বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা ...
৯| ২৫ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:০৭
হাসানুর বলেছেন: তথ্যবহুল পোস্ট ।
যারা গণহত্যার ডেফিনেশন জানেনা তাদের পোষ্টটা দেখানো দরকার ।
ধন্যবাদ ।
১০| ২৫ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:৪২
রায়ান ঋদ্ধ বলেছেন: আমার একটা প্রশ্ন, ২৫ মার্চ যখন পাক-হানাদাররা আক্রমণ করে তখন তারা ইপিআর দখল করে নেয়। ঢাকার রেডিও আর ওয়্যারলেস কন্ট্রোল তাদের হাতে ছিল। এর মধ্যেও বঙ্গবন্ধু কি করে ইপিআর সিগন্যাল ব্যাবহার করে চট্টগ্রামে বার্তা পাঠালেন?
ইনফো রেফারেন্স সহ দিলে ভালো হত!!
(আমার প্রশ্ন দেখে কেউ আমাকে বিরোধী পন্থী মনে করলে সেটা নিতান্তই তার ব্যাপার। আমি বঙ্গবন্ধুকেই জাতির জনক মানি, শুধু নিজের ডাউট ক্লিয়ার করে নিতে চাই।)
১১| ২৫ শে মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০১
স্মিথ হাসান বলেছেন: ধন্যবাদ সবাইকে
১২| ২৫ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:২২
শিশির ডি শাখামৃগ বলেছেন: এমন পোস্টের অভাবের জন্যই ব্লগ জনপ্রিয়তা হারাচ্ছে, অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই!!
১৩| ২৫ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:২০
অন্ধকার রাজপুত্র বলেছেন: অনেক তথ্যপূর্ণ লেখা, লাইক পাবার যোগ্যতা রাখেন আপনি
১৪| ২৫ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:২৪
বাংলার হাসান বলেছেন: তথ্য বহুল পোষ্ট।
পারলে ঘুরে যাবেন, Click This Link
১৫| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ২:৫৮
স্মিথ হাসান বলেছেন: আপনার লিংকটি ঘুরে এলাম , ভাল লাগল ।banglar_hasan
১৬| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:০১
স্মিথ হাসান বলেছেন: +আম বলেছেন: ধন্যবাদ। অসংখ্য ধন্যবাদ। সত্যানুসন্ধানী পোস্টের জন্য।
আপনাকে ও ধন্যবাদ।
১৭| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:০৩
স্মিথ হাসান বলেছেন: উৎসাহ দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ -Shishir D ShakhaMrigo
১৮| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:০৫
স্মিথ হাসান বলেছেন: অন্ধকার রাজপুত্র -আপনাকে ও ধন্যবাদ
১৯| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:৩৬
শান্তা273 বলেছেন: ++++
২০| ২৭ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ৭:০২
আকাশ চুরি বলেছেন: দাদা মুক্তিযুদ্ধে শেখ পরিবারের কেউ শহীদ হয় নাই কেন? পরিবারতো ছোট না।
©somewhere in net ltd.
১|
২৫ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:০৭
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: ৩য় ভালেলাগা তথ্যবহুল পোস্ট..