| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
✍️ ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি পরীক্ষার সুবাদে যে কয়েকবার ক্যাম্পাসে যাওয়ার সৌভাগ্য হয়েছিলো তাতে এটাকে ঢাকা তথা এশিয়ার একটি অন্যতম সেরা বিদ্যাপীঠ বলে মনে হয় নি। অবশ্য মনে হওয়ার কথাও না। বেদখল ফুটপাত, টোকাই, ছিন্নমূল মানুষের যত্রতত্র ঘোরাফেরা, হকারের দৌরাত্ম্য ও রিক্সার মিছিল ঢাকা ইউনিভার্সিটিকে আলাদাভাবে পরিচয় করানোর কোন উপায় নেই। এটা অবশ্য বাইরের রূপ, পড়ার সুযোগ হয়নি বলে ভিতরের রুপ হয়তো দেখা হয়নি। তবে এই বিশ্ববিদ্যালয় দিয়ে যে দেশের আহামরি কোন উপকার হয়নি বা হচ্ছে না সেকথা তো দিবালোকের মতো স্পষ্ট। শুধুমাত্র কিছু আমলা ও কর্পোরেট কামলা তৈরি করা ছাড়া আর কোন আউটপুট নেই। ওয়ার্ল্ড র্যাংকিংয়ে ঢাকা ইউনিভার্সিটির অবস্থান ৫৫৪তম, এশিয়ার মধ্যে ১১২তম।
✍️ যাই হোক, বর্তমানে যে ক্যাচালটা লাগছে, অনলাইন দুনিয়ায় ঝড় উঠছে তা হলো ঢাকা ইউনিভার্সিটি সংলগ্ন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ছিন্নমূল গাঞ্জুট্টি ও হকার উচ্ছেদ অভিযান। আমার মতে, নিঃসন্দেহে এটা একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ। ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যান দিনের বেলায় আন্দোলন, সংগ্রাম, সমাবেশের জন্য বিখ্যাত তেমনি রাতের অন্ধকারে মাদকসেবী ও ব্যবসায়ীদের একটি অন্যতম আখড়া হিসেবে সর্বজন বিদিত।
✍️ বেকারত্ব, হতাশা, হৃদয়ঘটিত টানাপোড়েন কিংবা নিতান্তই সখের বশে ছাত্রদের মাদকের হাতেখড়ি কিন্তু এখান থেকেই হচ্ছে এটা সচেতন মানুষমাত্রই অনুধাবন করবেন। তাছাড়া সন্ধ্যার আলো-আধারীতে নিষ্কাম ভালোলাগার স্পর্শ কিংবা যৌনতার লেনাদেনারও নিরব স্বাক্ষী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। এসব যাদের দেখার কথা, তারাই এখানে নিরব।
✍️ আশার কথা, অবশেষে ঢাকা ইউনিভার্সিটি কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছে। ক্যাম্পাসের মধ্যে টং দোকান, হকার, ভবঘুরে ও ছিন্নমূল ব্যক্তিদের উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছে। বানের স্রোতের মতো ক্যাম্পাসজূড়ে ভেসে বেড়ানো ত্রিচক্রযান (রিকশা) নিয়ন্ত্রনের উদ্যোগ নিয়েছে। অনেকেই সাধুবাদ জানিয়েছে। কিন্তু এতে বিড়াল বেজার হয়েছে, প্রচন্ড গোস্বা করেছে। দুই টান না দিলে যাদের শরীরে জোস আসেনা, ক্রিয়েটিভ আগডুম বাগডুম পেইন্টিংয়ের আইডিয়া আসেনা তারাই চটেছেন, বেজায় চটেছেন। অসহায় হকার (মাদক ব্যবসায়ী), ছিন্নমূল (মাদকসেবী) মানুষদের জন্য দরদ উগরে দিচ্ছেন। মানোভতা (মানবতা!) আজ কোথায়?
✍️ ফেসবুকে আমি যাদেরকে ফলো করি তাদের মধ্যে অনেকেই এহেন ন্যাক্কারজনক (পড়ুন প্রশংসনীয়) উদ্যোগের তীব্র সমালোচনা করেছেন। অসহায় ও ছিন্নমূল লোকগুলোর স্থায়ী পূনর্বাসন করার কোন উদ্যোগ নাই, কর্মসংস্থানের কোন আইডিয়া নাই, শুধু আছে বিরোধীতা। রাম-বাম সবাই মিলে নব নির্বাচিত ডাকসুকে একহাত দেখে নিচ্ছেন এই সুযোগে!!
২|
২৯ শে অক্টোবর, ২০২৫ বিকাল ৩:২৭
রাজীব নুর বলেছেন: উচ্ছেদ অভিযান তো ভালো কাজ।
এটা অব্যহত থাকা দরকার।
©somewhere in net ltd.
১|
২৯ শে অক্টোবর, ২০২৫ সকাল ১১:৪৪
আমি নই বলেছেন: ডাকসু খুব ভাল কাজ করতেছে।