নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাস্তবতা নিয়ে কথা বলতে চাই।

সৈয়দ মশিউর রহমান

লিখতে চাই অন্যায়ের বিরুদ্ধে। রাজনীতি,সাংস্কৃতিক বা ধর্মের ব্যাপারে মতামতের ভিন্নতা থাকা সত্বেও মতামত প্রকাশের ক্ষেত্রে আক্রমনাত্বক বা উষ্কানীমূলক কিছু না লিখে সকলের সহনশীলতার পরিচয়ই লেখার উৎকর্ষ সাধনের একমাত্র হাতিয়ার। যদিও লেখার হাত পাকা না। বাংলা মাতৃভাষা হলেও বানানে হয় অনেক ভুল। তার পরেও চেষ্টা করছি কিছু লেখার। সত্য বলার মতো সাহসী লোকের সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে। এখন দেখি সবাই দু'ধারায় বিভক্ত হয়ে পড়েছে। কেউ আওয়ামী লীগ কেউবা বিএনপি। সঙ্গত কারণেই লেখা হয়ে উঠে আওয়ামী পন্থী অথবা বিএনপি পন্থী। পন্থী নিয়ে লিখতে লিখতে আমরা মূল স্রোতধারা থেকে ছিটকে পড়ছি। কি লিখছি বোঝাই দায়। মনে হয় কোন দলকে গালি দিচ্ছি।

সৈয়দ মশিউর রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

ডাক্তার যখন ডাক্তার না!

১২ ই জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১২:১৪


ছোট বেলায় যখন এইম ইন লাইফ অথবা বড় হয়ে তুমি কি হতে চাও এই টাইপের রচনা লিখেছেন তখন শতকরা ৯৫ জনই ডাক্তার হতে চেয়েছিলেন। ডাক্তার হওয়া না হওয়া পরের বিষয় কিন্তু তখন মনে হতো ডাক্তারী ছাড়া আর কোন পেশা নেই অথবা কোন মহৎ কাজও নেই। তখন কেউ শিক্ষক বা সমাজ সেবক অথবা অন্য কিছু হতে চায়নি গুটি কয়েক হয়তো পুলিশ বা অন্যকিছু হতে চেয়েছিলেন।

উচ্চ চাহিদার বিপরীতে ডাক্তারের সংখ্যা নেহাতই কম হওয়ায় আয় উপার্জন অনেক বেশি ফলে সব ছাত্র/ছাত্রীই প্রাপ্তিযোগে আশায় ডাক্তার না হওয়ার মত বুদ্ধিনাশা সিদ্ধান্ত নিতে পারেনা। যদিও ডাক্তার হওয়ার দৌড়ে শেষ পর্যন্ত যে ক'জন টিকে থাকে তারাও ডাক্তার না হয়ে টাকার কুমির হতে চায়।

আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে সিজারিয়ান জন্মের হার ১০-১৫% ভালো বলে সুপারিশ করেছিল। সেখানে বাংলাদেশে ২০১৭-১৮ সালে এসে এই হার ৩৩ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। বেসরকারি ও এনজিওভিত্তিক হাসপাতালে সিজারিয়ানের মাধ্যমে শিশুজন্মের হার যথাক্রমে ৮৩.৭০ ও ৪৩.৯০ শতাংশ। যেখানে ২০০৪ সালেই এই হার ছিল ৮ শতাংশ। ভাবা যায়! বেশি অর্থযোগের নেশা ডাক্তারদেরকে কোথায় নিয়ে গিয়েছে? বাংলাদেশে নরমাল ডেলিভারি ৫০০০ টাকার মধ্যেই সম্ভব পক্ষান্তরে সিজারিয়ান ডেলিভারি গড়ে ২৫০০০ টাকা বা তার বেশি লাগে।

মানবিক ডাক্তার যে নেই তা বলবোনা, ভালোমন্দ দুই আছে। তবে মানবিকের চেয়ে অমানবিকের সংখ্যাটাই যেন হুহু করে বেড়ে যাচ্ছে।
(একজন মানবিক ডাক্তার)
মানবিক ডাক্তার অধ্যাপক কামরুল ইসলাম৷ তিনি পারিশ্রমিক ছাড়া কিডনি অপারেশন করে থাকেন৷ নিম্ন ও মধ্য আয়ের লোকদের জন্য এক ভরসাস্থল। নিভৃতচারী চিকিৎসক ও প্রখ্যাত কিডনি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. কামরুল ইসলাম বিনামূল্যে সহস্রাধিক কিডনি প্রতিস্থাপন করে শুধু দেশেই নয়, আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলেও জায়গা করে নিয়েছেন তিনি। তবুও লেশমাত্র অহংকার নেই এ চিকিৎসকের। বরং সবসময় নিজেকে আড়ালে রাখতেই পছন্দ করেন।

মন্তব্য ৩০ টি রেটিং +১২/-০

মন্তব্য (৩০) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১২:১৭

জুন বলেছেন: আমি যখন ক্লাশ নাইনে কলা বিভাগে পড়ি তখনও এইম ইন লাইফ রচনা লিখেছিলাম ডাক্তার হইতে চাই :`>

১২ ই জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১২:৩৩

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: মজার বিষয়ই বটে। এখনও কি চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন?

২| ১২ ই জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১২:৩২

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: মানবিক অমানবিক দুটোই আছে তবে অমানবিকের সংখ্যা যেন দিনদিন বেশি হচ্ছে। একমাস আগে এক ডাক্তারের কাছে গেলাম ৮০০০টাকারও অধিক টেস্ট দিলেন কিন্তু মজার বিষয় হলো ওনি একটা টেস্টের রিপোর্ট দেখলেন অন্যগুলো উল্টেও দেখলেন না। এখন আমি কি ভাববো?

১২ ই জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১২:৩৫

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: অনেকেই অভিযোগ করেন ডাক্তাররা প্রয়োজনীয় পরীক্ষা সংগে কিছু অপ্রয়োজনীয় পরীক্ষাও দেন।

৩| ১২ ই জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১২:৫২

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


উনি মানবিক হয়ে থাকলে, খোজ নিয়ে জানবেন উনি কখনো হয়তো "Aim In Life 'এ Doctor লিখে নাই।

১২ ই জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১২:৫৬

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: আপনার মন্তব্যটি আমার খুব পছন্দ হয়েছে। চমৎকার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৪| ১২ ই জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১:০৬

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: জাতির নৈতিকতায় পঁচন ধরেছে। সেখানে ডাক্তার আর মাস্টার কি আর চৌকিদারই কি সবার একই অবস্থা। খালি টাকা চাই আরও টাকা। জাতির নৈতিকতার সুস্থতার চিকিৎসার জন্য একজন হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালার বড়োই দরকার।

১২ ই জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১:১০

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: একদম ঠিক কথা। জাতির নৈতিকতায় পঁচন ধরেছে; সেই পঁচনের চিকিৎসায় একজন হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালার বড্ড প্রয়োজন।

৫| ১২ ই জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১:১৫

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: অসুখ হলেও ডাক্তারের কথা মনে আসলে ডরাই। কারণ এখন ডাক্তাররা রোগীর পকেটটাই বেশী কাটে। আমার ডাক্তার বললেন, দু’বছর পরে কেন আসলেন? যেখানে তিন মাস পর পর আসার কথা? তাঁর কথায় আমি শুধু মুচকি হেসেছি। কারণ তিন মাস পর পর আসলে আমার খরচ হতো চল্লিশ হাজার টাকা, আর দু’বছরে একবার আসায় খরচ হলো পাঁচ হাজার টাকা।

১২ ই জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১:১৯

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: অনেকেই অকারণে টেস্ট দেন এবং টেস্ট করানোর পর কিছু না পেলে দেখবে দুটো ভিটামিন, ১টা গ্যাসের বড়ি লিখে দিয়েছে।

৬| ১২ ই জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১:৪২

শায়মা বলেছেন: ডঃ কামরুল ইসলামের প্রতি শ্রদ্ধা!

১২ ই জুলাই, ২০২৩ দুপুর ২:০৫

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৭| ১২ ই জুলাই, ২০২৩ দুপুর ২:৫০

অনন্য দায়িত্বশীল আমি বলেছেন: আমিও ডাক্তার হতে চেয়েছিলাম কিন্তু পারিনি।

১৩ ই জুলাই, ২০২৩ সকাল ৮:২৬

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: অনেকেই চেষ্টা করে কিন্তু পারে ক'জন?

৮| ১২ ই জুলাই, ২০২৩ দুপুর ২:৫২

রবিন.হুড বলেছেন: ডাক্তারী পেশা হতে পারে জনসেবার এক উত্তম আদর্শ
পেশাগত জীবনে ডাক্তারী এক মহান পেশা এবং জনসেবার এক উত্তম আদর্শ। অনেকেরই ছাত্রজীবনে স্বপ্ন থাকে কর্মজীবনে ডাক্তার হওয়ার আবার অনেকের স্বপ্ন থাকে ছেলে-মেয়ে কে ডাক্তার বানাবে। এই উদ্দেশ্য নিঃসন্দেহে মহৎ যদি ডাক্তার হয় মানবিক ডাক্তার যার ব্রত হবে মানুষের সেবা। আবার অনেকে প্রকাশ্যে যাই বলুক মনে মনে নিজেকে টাকা কামানোর মেশিন হিসেবে ডাক্তার হতে চায় যা খুবই অমানবিক। তাই আমাদের চাওয়া যে সবাই মানুষ হোক।
ডাক্তারগণ সামাজিকভাবে উচ্চ স্থানে অবস্থান করেন। প্রতিটি মানুষ তাদের হ্রদয়ের মণিকোঠায় ডাক্তারদের অবস্থান দেন। অসুস্থ্য রোগী জানেন ডাক্তার তার সবচেয়ে দরদী লোক। অনেকে আবার বলে বসেন, উপরে আল্লাহ নিচে ডাক্তার। কতই না মর্যাদা দেওয়া হয় ডাক্তারদের। কিন্তু আজ কাল ডাক্তারগণ তাদের মর্যাদা সংরক্ষনে কতটা দায়িত্বশীল?

ডাক্তার কেঃ ডাক্তার হচ্ছেন এমন এক ব্যক্তি যিনি পেশাগত ডিগ্রী এবং অভিজ্ঞতার মাধ্যমে মানুষের আচরণ ও শারিরীক বৈশিষ্ট্য ও বিভিন্ন উপসর্গ অনুধাবন করে তার শরীরের রোগ ও অসুস্থতার কারন নির্ধারণ করে থাকেন। কোন রোগের জন্য কি ওষধ এবং তার ব্যবহারে মাত্রা কি তা ওষধ কোম্পানীগুলো ফার্মাসিস্টদের মাধ্যমে নির্ধারন করে মেডিকেল রিপ্রেজেন্টিভদের মাধ্যমে ডাক্তারদের নিকট হালনাগাদ তথ্য প্রেরণ করে থাকে। তাহলে ডাক্তারদের মূল দায়িত্ব হলো রোগ নির্ধারণ করা। পেশাগত জ্ঞান, অভিজ্ঞতা ও রোগীদের সংস্পর্সে এসে সুচারুভাবে রোগ নির্ধারন করাই ডাক্তারে মূল পেশা। এ কাজে অধিকতর পারদর্শীতার জন্য উচ্চতর ডিগ্রী বা বিভিন্ন যন্ত্রপাতির সহযোগিতা নিতে পারেন কিন্তু নিজের মূল দায়িত্বকে পাশ কাটিয়ে নয়।

আধুনিক কালে প্রযুক্তির উৎকর্ষে , উচ্চশিক্ষা গ্রহণ ও আধুনিক রোগনির্ণায়ক যন্ত্রপাতির বদৌলদতে অভিজ্ঞ না হয়ে হচ্ছে আনাড়ী ডাক্তার বা হাতুড়ে ডাক্তার। আগে যেখানে রোগীর নাড়ী দেখে (পালস দেখে),চোখ ও জিহবার রং দেখে রোগীর সাথে কথা বলে রোগ ধরে ফেলতেন বর্তমানের ডাক্তারগণ তার ধারের কাছেও নেই। রোগী তার চেম্বারে আসলে অভিজ্ঞাতাকে কাজে না লাগিয়ে ( অভিজ্ঞ হওয়ার চেষ্টাও করে না) বিভিন্ন টেস্ট করার জন্য তাদের নির্ধারীত ডায়াগোনেস্টিক সেন্টার ( যেখান থেকে সকল ধরনের টেস্ট এর কমিশন নিয়ে থাকেন) এ পাঠিয়ে দেন। রোগ নির্ধারণ বা রোগীকে ভালো মন্দ পরামর্শ না দিয়ে নিজের কমিশন আদায়ের রাস্তা উন্মুক্ত করে রোগীর নিকট থেকে হাতিয়ে নেন মোটা অংকের ফি। পরবর্তীতে ফি নিয়ে রিপোর্ট দেখে রোগ নির্ধারণ করে (অনেক সময় ভুল হয়) ওষধ কোম্পানীর ফর্মুলা মোতাবেক (উৎকোচের বিনিময়ে) প্রয়োজনের চেয়ে অপ্রয়োজনীয়/অতিরিক্ত ওষধের একটা তালিকা রোগীর হাতে তুলে দেন। এই সেবা ডাক্তারে নিকট থেকে রোগী কখনো আশা করে না। অথচ রিপোর্ট দেখে রোগ নির্ণয় করতে প্যারামেডিকেলের ছাত্র বা ডায়াগোনেস্টিক সেন্টারের টেকনিশিয়ানই যথেষ্ট পারদর্শী। আর নির্ধারিত রোগের জন্য কোন ওষধ কতটুকু সেবন করতে হবে তার পরামর্শের জন্য মেডিকেল রিপ্রেজেনটিভই যথেষ্ট।
দুই চারজন ভালো ডাক্তার বা অভিজ্ঞ ডাক্তার যে নাই তা বলব না। ব্যতিক্রম কখনও উদাহরণ হতে পারে না।
বর্তমান সময়ে ডাক্তারগণ যথেষ্ট অমানবিক। রোগী মৃতশয্যায় কিন্তু অগ্রিম টাকা না দিলে অপারেশন করবে না এটা যে ডাক্তারদের ধর্ম । রোগী মারা গেলেও তাদের সিদ্ধান্তের কোন পরিবর্তন নেই। আবার মৃত রোগী হাসপাতালে আটকে রেখে বিল আদায়, মরার খবর স্বজনকে না জানিয়ে আইসিইউ এর বিল বাড়ানো হাসপাতাল ব্যবসার একটা অংশ হয়ে দাড়িয়েছে।
অন্য পেশার অসৎ লোকজন হয়তো আপনার পকেটের টাকা নিজের করে নিতে পারে কিন্তু একজন ডাক্তার অসুস্থতার সুযোগ নিয়ে আপনার ভিটে-মাটি বিক্রি করে টাকা হাতিয়ে নিতে ওস্তাদ।
এটা কোন ডাক্তার বিদ্বেষী কথা নয়। কিছু সত্য কথা তুলে ধরার চেষ্টা । এই কথাগুলোর সত্যতা যাচাই করতে পত্র-পত্রিকা বা টেলিভিশনের রিপোর্টগুলো দেখুন। ডাক্তারদের নিয়ে নচিকেতার গানটি শুনুন। কলকাতার বাংলা সিনেমা “জীবন নিয়ে খেলা” দেখলে বুঝতে পারবেন বর্তমান সময়ের ডাক্তারদের আসল চেহারা।

১৩ ই জুলাই, ২০২৩ সকাল ৮:৫৮

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: সুন্দরভাবে আপনি সবই বলেছেন। চমৎকার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৯| ১২ ই জুলাই, ২০২৩ দুপুর ২:৫৫

অরণি বলেছেন: অনেক ডাক্তার অর্থাৎ ৮০% ডাক্তারই অকারণে টেস্ট দেয় এবং ডায়াগনোস্টিক সেন্টারের কাছ থেকে কমিশন খায়; এরা ঔষধ কোম্পানী থেকেও কমিশন খায়।




গুটিকয়েক ডাক্তার খুবই ভালো এবং আন্তরীক।

১৩ ই জুলাই, ২০২৩ সকাল ৯:৪২

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: লোকজন তো তাই বলে; আজকাল পেপার পত্রিকাতে অনেক ঘটনা পাওয়া যায়।

১০| ১২ ই জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৩:৩৬

শেরজা তপন বলেছেন: এমন বিশাল মনের মানবিক মানুষ এই লোভী মানুষের দেশে কেমনে জন্মায় সেটা মাথায় আসে না!!!

১৩ ই জুলাই, ২০২৩ সকাল ৯:৪৩

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: আমাদের মত দেশে এমন মানুষ আশা করাই দূরাশা।

১১| ১২ ই জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৪:২৯

রবিন.হুড বলেছেন: ডাক্তারদের নিয়ে নচিকেতার গান শুনতে পারেন

ও ডাক্তার, ও ডাক্তার
ও ডাক্তার, ও ডাক্তার
তুমি কতশত পাস করে
এসেছ বিলেত ঘুরে
মানুষের যন্ত্রণা ভোলাতে
ও ডাক্তার, ও ডাক্তার
তোমার এম.বি.বি.এস না না এফ.আর.সি.এস
বোধহয় এ টু জেড ডিগ্রী ঝোলাতে
ও ডাক্তার, ও ডাক্তার
ডাক্তার মানে সে তো মানুষ নয়
আমাদের চোখে সে তো ভগবান
কসাই আর ডাক্তার একইতো নয়
কিন্তু দুটোই আজ প্রফেশান
কসাই জবাই করে প্রকাশ্য দিবালোকে
তোমার আছে ক্লিনিক আর চেম্বার
ও ডাক্তার, ও ডাক্তার
ডাক্তার চাইবেন রক্ত রিপোর্ট
ক্লিনিকের সন্ধানও তিনিই দেবেন
একশত টাকা যদি ক্লিনিকের বিল হয়
অর্ধেক দালালী তিনিই নেবেন
রোগীরা তো রোগী নয় খদ্দের এখন
খদ্দের পাঠালেই কমিশান
ক্লিনিক আর ডাক্তার কী টুপি পড়াচ্ছে
বুঝছেনা গর্দভ জনগণ
কসাই জবাই করে প্রকাশ্য দিবালোকে
ওদের আছে ক্লিনিক আর চেম্বার
ও ডাক্তার, ও ডাক্তার
নিজেদের ডাক্তার বল কেন?
তার চেয়ে বল নাকো ব্ল্যাকমেলার
রোগীর আত্মীয়দের ঘটি বাটি চাটি করে
করো সুযোগের সৎব্যবহার
সরকারী হাসপাতালের পরিবেশ
আসলে তো তোমরাই করেছো শেষ
হাসপাতাল না থাকলে জনগণ
নার্সিং হোম এ যাবে অবশেষ
সেখানে জবাই হবে উপড়ি কামাই হবে
মানুষের সেবার কি দরকার
ও ডাক্তার... ও ডাক্তার...
বাঁচানোর ক্ষমতা তো তোমারই হাতে
তুমি যদি মারো তবে কোথা যাই
অসহায় মানুষের তুমিই তো সবকিছু
করোজরে নিবেদন করছি তাই
তোমার গৃহিনী যে গয়না পড়েন
দেখেছো কি তাতে কতো রক্ত
তোমার ছেলের চোখে দেখেছো কি
কতো ঘৃনা জমা অঃভক্ত
তোমারও অসুক হবে, তোমারি দেখানো পথে
যদি তোমাকেই দেখে কোনো ডাক্তার
ও ডাক্তার, ও ডাক্তার
ও ডাক্তার, ও ডাক্তার
তুমি কতশত পাস করে
এসেছ বিলেত ঘুরে
মানুষের যন্ত্রণা ভোলাতে
ও ডাক্তার, ও ডাক্তার
তোমার এম.বি.বি.এস না না এফ.আর.সি.এস
বোধহয় এ টু জেড ডিগ্রী ঝোলাতে
ও ডাক্তার, ও ডাক্তার
ডাক্তার মানে সে তো মানুষ নয়
আমাদের চোখে সে তো ভগবান
কসাই আর ডাক্তার একইতো নয়
কিন্তু দুটোই আজ প্রফেশান
কসাই জবাই করে প্রকাশ্য দিবালোকে
তোমার আছে ক্লিনিক আর চেম্বার
ও ডাক্তার, ও ডাক্তার
ডাক্তার চাইবেন রক্ত রিপোর্ট
ক্লিনিকের সন্ধানও তিনিই দেবেন
একশত টাকা যদি ক্লিনিকের বিল হয়
অর্ধেক দালালী তিনিই নেবেন
রোগীরা তো রোগী নয় খদ্দের এখন
খদ্দের পাঠালেই কমিশান
ক্লিনিক আর ডাক্তার কী টুপি পড়াচ্ছে
বুঝছেনা গর্দভ জনগণ
কসাই জবাই করে প্রকাশ্য দিবালোকে
ওদের আছে ক্লিনিক আর চেম্বার
ও ডাক্তার, ও ডাক্তার
নিজেদের ডাক্তার বল কেন?
তার চেয়ে বল নাকো ব্ল্যাকমেলার
রোগীর আত্মীয়দের ঘটি বাটি চাটি করে
করো সুযোগের সৎব্যবহার
সরকারী হাসপাতালের পরিবেশ
আসলে তো তোমরাই করেছো শেষ
হাসপাতাল না থাকলে জনগণ
নার্সিং হোম এ যাবে অবশেষ
সেখানে জবাই হবে উপড়ি কামাই হবে
মানুষের সেবার কি দরকার
ও ডাক্তার... ও ডাক্তার...
বাঁচানোর ক্ষমতা তো তোমারই হাতে
তুমি যদি মারো তবে কোথা যাই
অসহায় মানুষের তুমিই তো সবকিছু
করোজরে নিবেদন করছি তাই
তোমার গৃহিনী যে গয়না পড়েন
দেখেছো কি তাতে কতো রক্ত
তোমার ছেলের চোখে দেখেছো কি
কতো ঘৃনা জমা অঃভক্ত
তোমারও অসুক হবে, তোমারি দেখানো পথে
যদি তোমাকেই দেখে কোনো ডাক্তার

১৩ ই জুলাই, ২০২৩ সকাল ৯:৪৪

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: গানটি দারুণ।

১২| ১২ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ৯:২৮

এইযেদুনিয়া বলেছেন: আমি কখনো ডাঃ হতে চাই নি। বাবা মায়ের ইচ্ছেয় মেডিকেলে পরীক্ষা দিয়েছিলাম, টিকেওছিলাম, তাঁদের দেখিয়েছি, দেখো আমি চান্স পাইসি। কিন্তু পড়ি নি। পড়ি নি জন্য আমি খুশি। অনেকেই আফসোস করে, কিন্তু আমি খুশি। আমি ডাঃ হইলে এই রকম বাজে একটা ডাঃ হইতাম মনে হয়!

১৩ ই জুলাই, ২০২৩ সকাল ৯:৪৬

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: ডাক্তারী প্রকৃতপক্ষে একটি সেবা ধর্মী পেশা; ডাক্তারী ছাড়াও মানুষে অনেকভাবে সেবা করা যায়।

১৩| ১৩ ই জুলাই, ২০২৩ সকাল ১০:১৮

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: সিজার করা ইদানিং একটা ফ্যাশন হয়ে দাঁড়িয়েছে, ডাক্তার এবং অভিবাবক দু'পক্ষই দায়ী এজন্য।

১৩ ই জুলাই, ২০২৩ সকাল ১০:২৪

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়ছে কিন্তু নরমাল ডেলিভারীতে সময় বেশি লাগে পক্ষান্তরে ফি কম তাই ডাক্তারদের ইন্টারেস্ট কম, সিজারে ইস্টারেস্ট বেশি।

১৪| ১৩ ই জুলাই, ২০২৩ দুপুর ২:০৬

রাজীব নুর বলেছেন: ডাক্তারদের খাই বেশি।
তাঁরা আর একটু কম টাকা নিলে পাবলিকের উপকার হয়।

১৩ ই জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৩:২৩

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: একদম।

১৫| ২৭ শে জুলাই, ২০২৩ রাত ৩:৫৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: মানবিক ডাক্তার, ডঃ কামরুল ইসলামের প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। ওনারা এ সমাজে নেহায়েতই ব্যতিক্রম।
সিজারিয়ান ডেলিভারির খরচ মাত্র ২৫০০/-টাকা? পোস্টটা আরেকবার দেখে নিবেন।

০৩ রা আগস্ট, ২০২৩ সকাল ৯:০১

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: ২৫০০০ টাকা হবে। ভুল ধরিয়ে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.