![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি লেখক নই, নই কোন কবি-সাহিত্যিক কিংবা সাংবাদিক। অবসরে কিছু লেখালেখির চেষ্টা করি মাত্র।
অনেকেই 'ব্যাখ্যা' আর 'প্রমাণ' এর মধ্যে পার্থক্য বোঝেন না। কেউ কেউ দেখা যায় বুঝে বা না বুঝে প্রায়শই কোনো কিছুর ব্যাখ্যাকে 'প্রমাণ' হিসেবে চালিয়ে দেন। অনেকে আবার 'প্রমাণ' বলতে ঠিক কী বুঝায় সেটাও বোঝেন না। যেমন তাদেরকে প্রায়শই দাবি করতে শোনা যায় – এই মহাবিশ্বের স্রষ্টার পক্ষে কোনোই প্রমাণ নেই! এই কথা বলে নিজেদেরকে 'যুক্তিবাদী, বিজ্ঞানমনষ্ক' হিসেবে দেখানোর চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তাদেরকে যদি জিজ্ঞেস করা হয় কী ধরণের প্রমাণ পেলে তারা স্রষ্টার অস্তিত্বে বিশ্বাস করবেন এবং কেনো – তখন পিছুটান দেয়া হয়!
যাহোক, ব্যাখ্যা আর প্রমাণ যে এক জিনিস নয় সেটি দু-একটি উদাহরণের সাহায্যে বুঝানো যাক।
- কেউ ইচ্ছে করলে এক মাথা, দুই হাত, এবং দুই পা ওয়ালা মানুষ থেকে কীভাবে অন্ধ-অচেতন ও উদ্দেশ্যহীন প্রাকৃতিক নির্বাচনের মাধ্যমে ধীরে ধীরে তিন মাথা, সাত হাত, তের পা, এবং দুই লেজ ওয়ালা কিম্ভূতকিমাকার জন্তু বিবর্তিত হতে পারে – তার উপর ঘন্টার পর ঘন্টা ধরে ব্যাখ্যা দিতে পারেন। অনুরূপভাবে, সরাসরি ডিম দেয়া অস্তন্যপায়ী কোনো প্রজাতি থেকে কীভাবে অন্ধ-অচেতন ও উদ্দেশ্যহীন প্রাকৃতিক নির্বাচনের মাধ্যমে ধীরে ধীরে বাচ্চা দেয়া স্তন্যপায়ী প্রজাতি বিবর্তিত হতে পারে – সে বিষয়েও ব্যাখ্যা দিতে পারেন। তার এই 'ব্যাখ্যা' শুনে কেউ কেউ হয়ত সেটিকে 'বৈজ্ঞানিক প্রমাণ' হিসেবে বিশ্বাসও করতে পারেন, যেমন অনেকেই করছেন। কিন্তু এটি মোটেও কোনো প্রমাণ নয় – স্রেফ মনগড়া ব্যাখ্যা। এভাবে মনগড়া ব্যাখ্যার মাধ্যমে যাচ্ছেতাই 'প্রমাণ' করা সম্ভব।
- ধরা যাক কোনো এক ভিনগ্রহ থেকে অত্যন্ত উন্নতমানের একটি মেশিন এই পৃথিবীতে পাঠানো হলো। মেশিনটি কে বা কারা পাঠিয়েছে সেটি এই গ্রহের কেউই বলতে পারেন না। পৃথিবীবাসীর কাছে মেশিনটি সম্পূর্ণ নতুন – পরিচিত কোনো মেশিনের সাথে মিল নেই। মেশিনটির কার্যপ্রণালীও কেউ জানেন না। এমনকি মেশিনটি কেউ তৈরী করেছে কি-না – সে বিষয়ে পৃথিবীবাসীর মধ্যে মতবিরোধ আছে। এবার মেশিনটিকে নাসা'র একটি ল্যাবে পাঠানো হলো। একদল বিজ্ঞানী মেশিনটি নিয়ে গবেষণা শুরু করলেন। মেশিনের প্রত্যেকটি অংশ খুলে তার কার্যপ্রণালী বোঝার চেষ্টা করলেন। এভাবে ধীরে ধীরে বিজ্ঞানীরা একদিন পুরো মেশিনের কার্যপ্রণালী ব্যাখ্যা করতে সক্ষম হলেন। কিন্তু তার মানে কি প্রমাণ হবে যে সেই মেশিনটির কোনো মেকার নাই? উত্তর হচ্ছে, মোটেও না। একটি মেশিনের কার্যপ্রণালী কোনো ভাবে ব্যাখ্যা করতে পারা বা জেনে যাওয়া মানে এই নয় যে সেই মেশিনের কোনো মেকার নাই। অথচ নাস্তিকদের বিশ্বাস অনুযায়ী এই 'কার্যপ্রণালী ব্যাখ্যা'-ই হচ্ছে মেশিনটির মেকার না থাকার পক্ষে 'বৈজ্ঞানিক প্রমাণ'! এমনকি প্রফেসর ডকিন্সও একই 'যুক্তি'-তে বিশ্বাস করেন!
- ট্রিনিটি অনুযায়ী "ফাদার একজন গড, সান একজন গড, এবং হলিঘোস্ট একজন গড; কিন্তু তিনজন আলাদা গড নয়, একজন গড।" ট্রিনিটিতে বিশ্বাসীরা এটিকে বিভিন্নভাবে 'ব্যাখ্যা' করার চেষ্টা করেন। যেমন তারা কখনো 'ডিম' কখনো 'আপেল' কখনো 'বরফ' কখনো বা আবার 'ত্রিভুজ' এর উদাহরণ নিয়ে এসে ব্যাখ্যা দেন। কিন্তু তাদের এই 'ব্যাখ্যা' স্রেফ ব্যাখ্যা হিসেবেই থেকে যায় – কোনো প্রমাণ নয়। অধিকন্তু, যৌক্তিক দৃষ্টিকোণ থেকে যেহেতু বাস্তবে এমন কিছুর অস্তিত্ব থাকতে পারে না সেহেতু কোনো উদাহরণই ধোপে টেকে না।
০৪ ঠা জুন, ২০১০ রাত ১১:০৩
এস. এম. রায়হান বলেছেন:
২| ০৪ ঠা জুন, ২০১০ রাত ১০:৫৫
তন্ময় হাসান বলেছেন: রােসল আহেমদ বলেছেন: বুরাকের পিঠে চড়ে সপ্ত আসমানে যাইতে চাই।
৩| ০৪ ঠা জুন, ২০১০ রাত ১০:৫৮
সাত্ত্বিক বলেছেন: দারুন! A+
ধন্যবাদ
০৪ ঠা জুন, ২০১০ রাত ১১:০৪
এস. এম. রায়হান বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
৪| ০৪ ঠা জুন, ২০১০ রাত ১১:০১
ডিস্কো ঘোড়া বলেছেন: পোষ্টের মইদ্যে 'ত্রিভুজ' আছে!
০৪ ঠা জুন, ২০১০ রাত ১১:০৩
এস. এম. রায়হান বলেছেন: হে-হে!
৫| ০৪ ঠা জুন, ২০১০ রাত ১১:১৬
ডিস্কো ঘোড়া বলেছেন: জনাবে আলী, বেহেস্তের টিকেটের দাম কত? আমার মতন নিরীহ ঘোটক কি বেহেস্তে যাইবে? নাকি দোজখে? এই ব্যাপারে জনাবের এরশাদ শুনিতে মনচায়
৬| ০৪ ঠা জুন, ২০১০ রাত ১১:২২
আবদুল মুনয়েম সৈকত বলেছেন:
৭| ০৪ ঠা জুন, ২০১০ রাত ১১:২৮
নাজমুস বলেছেন: গোঙ্গা
৮| ০৪ ঠা জুন, ২০১০ রাত ১১:৫৮
ব কলম বলেছেন: হুজুরে আলা, আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহামাতাল্লাহু ওয়া বারাকাতাহু।
অতীব চমতকার ওয়াজ ফরমাইয়াছেন। এই মাহফিল এ এসে আমার অশেষ নেকী হাসিল হয়েছে।
ডকিন্স বাবাজির গোমর এত সহজে ফাস করিয়া দিলেন। একমাত্র আপনার মত বুজুর্গের পক্ষেই এমন দৈব ঘটনা সম্ভব পর হইবেক। বেহেসতে আপনি যখন দ্রাক্ষারস পান ও হুর সঙ্গমে রত থাকিবেন তখন বেচারা ডকিন্স ব্যাখ্যাকে প্রমান হিসাবে চালাইবার অপরাধে না জানি দোযখে কতইনা শাশ্তি ভোগ করিতে থাকিবে। সুভানাল্লাহ।
অনেক কষ্ট করিয়াও আপনার জন্য তাল গাছের ছবি ম্যানেজ করিতে পারিনাই। ইহার ইংরেজি কি হইবেক? পাম ট্রি?
আপনার উত্তরোত্তর বুজুর্গপনা যেইভাবে বৃদ্ধি পাইতেছে তাহাতে তাল গাছে হইবে না। পুরো তালপট্টি সমেত দিতে বাধ্য থাকিবে নালায়েক নাস্তিক সমাজ।
আমীন। জাজা কাল্লা খায়ের।
০৫ ই জুন, ২০১০ রাত ১২:০৮
এস. এম. রায়হান বলেছেন: আপনি কি সদালাপের মন্তব্যের ঘরে 'khaled' নামে মন্তব্য করেছেন?
২০ শে জুন, ২০১০ রাত ৩:১৬
এস. এম. রায়হান বলেছেন: 'বকলম' ছাগুটা জবাব দেয় না ক্যান? ছাগুটা মনে হয় রাম-ধরা খাইছে!
৯| ০৫ ই জুন, ২০১০ রাত ২:৩৮
সজীব আকিব বলেছেন: কিন্তু তাদেরকে যদি জিজ্ঞেস করা হয় কী ধরণের প্রমাণ পেলে তারা স্রষ্টার অস্তিত্বে বিশ্বাস করবেন এবং কেন - সেক্ষেত্রে পিছুটান দেয়া হয়!
আপনার এ কথাটি হাস্যকর। কোনোকিছুকে কেউ কিভাবে প্রমাণ করবে তা কি আবার অন্য কাউকে বলে দিতে হয়?? কোনো কিছুর অস্তিত্ব যিনি দাবি করবেন প্রমাণের দায়িত্ব তারই। এখন ঐ দাবিকারক প্রমাণ কিভাবে করবেন তা তাকেই নির্ধারণ করতে হবে। অন্যদের কাজ হল এ প্রমাণ গ্রহণযোগ্য হল কিনা তা ভেবে দেখা।
আচ্ছা, দিন দিন আপনার চিন্তা ক্ষমতার এ অবনতি ঘটছে কেন?
১০| ০৫ ই জুন, ২০১০ রাত ২:৫১
উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আসলে গায়ের জোরে অকাট্য যুক্তি দিয়ে প্রমান করা অসম্ভব যে ঈশ্বর আছেন, আবার এটাও অসম্ভব যে ঈশ্বর নেই। সব কিছু বিশ্বাস। আমি যদি বিশ্বাস করি ঈশ্বর নেই তাহলেও কিন্তু সূত্রগুলো মিলে যায় আবার যদি বলি ঈশ্বর আছেন, তাহলে সূত্র নিয়ে টেনশন নাই।
কিন্তু আপনে তো বিশ্বাস আর যুক্তি আর বিজ্ঞান সবকিছু গুলাই ফেলাইছেন সেইটা কে বুঝাইবো?
শুনলাম লোকে নাকি আপনারে পাগল কয়?
০৫ ই জুন, ২০১০ রাত ৩:০০
এস. এম. রায়হান বলেছেন: শুনলাম যারা আমাকে পাগল কয় তারা নাকি পাগলী।
১১| ০৫ ই জুন, ২০১০ রাত ৩:০৪
উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: লেখক বলেছেন: শুনলাম যারা আমাকে পাগল কয় তারা নাকি পাগলী
না, লোকে ঠিকই বলে। খুব দেখতে ইচ্ছে করে এমন পাগলদের যারা ধর্মকে অন্ধভাবে অনুসরন করতে আশেপাশের মানুষকে বাধ্য করতে গিয়ে সবাইকে বদনাম করে। হাতের কাছে পাইলে একটু দেখার ইচ্ছা!
০৫ ই জুন, ২০১০ রাত ৩:১৩
এস. এম. রায়হান বলেছেন: উগ্র গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। ভয় লাগে-রে বাবা। মোটের উপর ঘাড়ের উপর মাথা তো একটাই।
১২| ০৫ ই জুন, ২০১০ রাত ৩:০৮
সজীব আকিব বলেছেন: ভিডুটা কোন দুঃখে দিলেন বুঝলাম না।
১৩| ০৫ ই জুন, ২০১০ রাত ৩:০৯
সজীব আকিব বলেছেন: ভিডুটা কোন দুঃখে দিলেন বুঝলাম না।
এর সাথে আপনার পোস্টটার যোগ কী? নাকি এইটাও জিহাদ??
০৫ ই জুন, ২০১০ রাত ৩:১৬
এস. এম. রায়হান বলেছেন: এইটা তোমার জন্য:
১৪| ০৫ ই জুন, ২০১০ রাত ৩:৪১
সজীব আকিব বলেছেন: আমাকে 'তোমার' বললেন কেন? সমস্যা কি?
ভিডু দেখলাম ও হাসলাম।
১৫| ০৫ ই জুন, ২০১০ সকাল ১১:৩৯
সাফির বলেছেন: তন্ময় হাসান বলেছেন: রােসল আহেমদ বলেছেন: বুরাকের পিঠে চড়ে সপ্ত আসমানে যাইতে চাই।
১৬| ০৫ ই জুন, ২০১০ দুপুর ১:৫৬
সজীব আকিব বলেছেন: বললেন না কেন 'তুমি' করে বললেন। আমি কি আপনার ভগ্নিপতি লাগি?
০৫ ই জুন, ২০১০ দুপুর ২:৩১
এস. এম. রায়হান বলেছেন: 'তুমি' বলাটা যুক্তিসঙ্গতই মনে হচ্ছে। কারণ ভগ্নিপতিকে কেউ 'তুমি' বলে না, বউ এর ছোট ভাইকে বলে।
১৭| ১৩ ই জুন, ২০১০ রাত ১০:৫২
সপ্তর্ষী বলেছেন: আচ্ছা, সংশয়যুক্ত কথা বলার সময় সৃষ্টিকর্তা, ঈশ্বর শব্দগুলো ব্যবহার করেন কেন, আল্লাহ শব্দটি বলা যায় না?
১৮| ২২ শে জুন, ২০১০ বিকাল ৩:৪৫
জুজু বুড়ি বলেছেন: বড়ই জ্ঞানগর্ভ আলোচনা। মজা লাগছে।
+++++
২২ শে জুন, ২০১০ বিকাল ৩:৪৯
এস. এম. রায়হান বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ। কোন প্রশ্ন থাকলে জানাবেন।
©somewhere in net ltd.
১|
০৪ ঠা জুন, ২০১০ রাত ১০:৫৪
রােসল আহেমদ বলেছেন: বুরাকের পিঠে চড়ে সপ্ত আসমানে যাইতে চাই।