নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চিন্তিত পথিক

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছি অর্থনীতিতে।এবার ২য় বর্ষে।

চিন্তিত পথিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

মা বলেছেন, মরার আগে হুজুরের বিরুদ্ধে মিথ্যা বলতে পারব না’

২৭ শে মার্চ, ২০১২ দুপুর ২:৪৪









‘মা বলেছেন, আমি মৃত্যুর পথে। মরার আগে আমি হুজুরের (মাওলানা সাঈদী) বিরুদ্ধে মিথ্যা কথা বলতে পারব না। হুজুর ঘটনার সাথে জড়িত ছিলেন না। ওনার বিরুদ্ধে আমি এখন মিথ্যা কথা বলব কেমন করে?’

মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে অনুপসি'ত ৪৬ সাক্ষীর একজন মো: মোস্তফা তার মায়ের উদ্ধৃতি দিয়ে বললেন এ কথাগুলো। মোস্তফা, তার মা সিতারা বেগম ও বোন রানী বেগমেরও নাম রয়েছে মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে সাক্ষীদের তালিকায়। কিন' তারাসহ মোট ৪৬ জন সাক্ষীর কাউকেই সাক্ষ্য দিতে আদালতে হাজির করা সম্ভব নয় বলে গত ২০ মার্চ রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীদের পক্ষ থেকে আদালতে দরখাস্ত দিয়ে জানানো হয়েছে। ৪৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৯ জন সম্পর্কে বলা হয়েছে, তাদের কেউ কেউ নিখোঁজ, আত্মগোপনে এবং কেউ কেউ পালিয়ে ভারতে চলে গেছে।

নয়া দিগন্তের পক্ষ থেকে ১৯ জনের মধ্য থেকে বেশ কয়েকজন সাক্ষী এবং তাদের আত্মীয়স্বজনের সাথে কথা বলা হয় টেলিফোনে। সাক্ষীরা জানিয়েছেন, রাষ্ট্রপক্ষের তদন্ত সংস'া ও আইনজীবীদের শেখানো মতে মিথ্যা সাক্ষ্য দিতে রাজি নন বলেই তারা সাক্ষ্য দিতে যাননি। মাওলানা সাঈদীর সন্ত্রাসীদের ভয়ভীতি ও হুমকির ফলে আত্মগোপনে চলে যাওয়ার অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে তারা জানান। যেসব সাক্ষী ও তাদের আত্মীয়স্বজনের সাথে কথা হয়েছে তাদের সবাই জানিয়েছেন তারা মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে কিছুই বলেননি জবানবন্দীতে। কিন' তাদের নামে জবানবন্দীতে কী লিখে তদন্ত কর্মকর্তার পক্ষ থেকে জমা দেয়া হয়েছে তা-ও তারা জানেন না। তারা যা বলতে চান তা বলতে না দিয়ে অন্য কথা বলার জন্য চাপ দেয়ার কারণে মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতে যাননি বলে তারা জানান।

নয়া দিগন্তের পক্ষ থেকে গতকাল সোমবার যেসব সাক্ষী ও তাদের আত্মীয়স্বজনের সাথে কথা বলা হয়েছে তা এখানে তুলে ধরা হলো :

মো: মোস্তফা : মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে একটি বড় অভিযোগ হলো ইব্রাহিম কুট্টি নামে একজন কাজের লোককে মানিক পসারীর বাড়ি থেকে মাওলানা সাঈদীর নেতৃত্বে ধরে নিয়ে যায় এবং তারই নির্দেশে পারেরহাট বাজারে পাক বাহিনী ইব্রাহিমকে গুলি করে লাশ নদীতে ভাসিয়ে দেয়। এই ইব্রাহিম কুট্টির শ্যালকই হলেন সাক্ষী মো: মোস্তফা। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে মো: মোস্তফা, তার মা সিতারা বেগম ও মোস্তফার এক বোন রানী বেগমকে সাক্ষী করা হয় মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে।

মো: মোস্তফার সাথে কথোপকথন :আপনি, আপনার মা ও বোনসহ মোট ১৪ জন সাক্ষীর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীদের পক্ষ থেকে দরখাস্ত দিয়ে জানানো হয়েছে আপনাদের মাওলানা সাঈদীর সন্ত্রাসীরা ভয়ভীতি দেখিয়েছে। সে কারণে আপনারা আত্মগোপন করেছেন। আপনাদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। আপনারা এখন কোথায় আছেন একটু বলবেন?

মোস্তফা : সাঈদীর কোনো লোক কোনো ধরনের আমাদের ভয়ভীতি দেখায়নি। সুতরাং এ অভিযোগ মিথ্যা। আমরা কোথাও আত্মগোপনও করিনি। আমরা সবাই নিজ বাড়িতেই আছি।

আরেক প্রশ্নের জবাবে মোস্তফা জানান, আমাদের তিনজনকে যে সাক্ষী মানা হয়েছে তা প্রথমে আমরা জানিও না। পরে আমাদের জানানো হয়েছে।

পিরোজপুর কোর্টের দারোগা এসেছেন, ঢাকা থেকে লোক এসেছেন। বাবুল পণ্ডিত, মাহবুবুল আলম হাওলাদার, মাহতাব তারা এসে বলেছেন- ‘বেয়াই সাক্ষী দিতে যেতে হবে’। আমি বললাম- আমার বোনকে (মমতাজ বেগম, তার স্বামীই ইব্রাহিম কুট্টি এবং তাকে হত্যার অভিযোগ মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে) সাক্ষী না বানিয়ে আমাকে কেন সাক্ষী বানানো হলো?

মো: মোস্তফা বলেন, ইব্রাহিম কুট্টি হত্যার সময় হুজুর (মাওলানা সাঈদী) ছিলেন না। ইব্রাহিমকে পারেরহাটে নয়, আমাদের বাড়িতে (নলবুনিয়ায়) হত্যা করা হয়েছে। পারেরহাটে হত্যা করার কথা ভুয়া। আমার দুলাভাই ইব্রাহিমের সাথে আমার বড় ভাই সাহেব আলীকেও মারা হয়েছে। আমার দুলাভাইকে বাঁচাতে গিয়ে আমার বোন মমতাজের হাতেও গুলি লেগেছে। রাত ১২টার দিকে পাক আর্মি আমাদের বাড়িতে আসে। আমার দুলাভাই ইব্রাহিমকে আমাদের বাড়িতেই গুলি করে মারা হয়। আমার ভাইকে পিরোজপুর নিয়ে মারা হয়।

মো: মোস্তফা জানান, তিনি ওই হত্যার সময় বাড়িতে ছিলেন। হত্যাকাণ্ডের সময় হুজুর ছিল না। এ বিষয়ে হুজুরের নাম কোনো দিন শুনিও নি। হুজুরের নাম আমি শুনছি বড় হয়ে। তিনি ওয়াজ করার কারণে তার নাম শুনেছি অনেক পরে।

আপনার দুলাইভাইকে যে রাতে মারা হয় সে রাতে আপনাদের বাড়িতে কারা এসেছিল তা তো শুনেছেন কি পরবর্তীতে?

আমি তখন ছোট ছিলাম। আমার মা, বোন মমতাজ বেগম তাদের কাছে শুনেছি মোসলেম মাওলানা, দানেস মোল্লা, আইউব আলী, সুন্দর আলী দফাদার, ইউসুফ চকিদার তারা ছিল পাক আর্মিদের সাথে। আমার বোন ও মা তাদের দেখেছে। আমার বোন মমতাজ তাদের নামে মামলাও করেছিল। এর সাথে হুজুরের নাম কোনো দিন কারো মুখে শুনিনি। এখন মামলা হওয়ার পর শুনতে পেলাম।

আপনারা সাক্ষ্য দিতে চাচ্ছেন না কেন?

এ প্রশ্নের জবাবে মোস্তফা বলেন, আমার বোনের (মমতাজ বেগম) স্বামীকে হত্যা করা হলো। সে মামলা করেছিল। তাকে সাক্ষী না বানিয়ে আমাদের কেন সাক্ষী বানানো হলো। আমরা জবানবন্দী দিয়েছি। তাতে বলেছি হুজুর ছিল না ওই সময়। সব জায়গায় একই কথা বলেছি। আমার মা বলেছেন, আমি মৃত্যুর পথে। মৃত্যুর আগে মিথ্যা কথা বলতে পারব না হুজুরের বিরুদ্ধে। হুজুর তো ছিল না। তার বিরুদ্ধে মিথ্যা কথা কেমনে কমু?

আশিষ কুমার মণ্ডল, সুমতি রানী ও সমর মিস্ত্রি : এ তিনজন সম্পর্কে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে নিখোঁজ। জানা যায়, তারা গোপনে ভারতে চলে গেছেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীদের পক্ষ থেকে এর আগে ট্রাইব্যুনালে জানানো হয়েছিল তারা ঢাকায় তাদের হেফাজতে ছিল কিন' আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে চলে যাওয়ার পর আর আসেনি।

আশিষ কুমারের একজন ঘনিষ্ঠ আত্মীয়ের সাথে গতকাল নয়া দিগন্তের পক্ষ থেকে কথা হয়। তিনি নিরাপত্তাজনিত কারণে নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ জানিয়েছেন। সাক্ষী নিখোঁজ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তারা তো মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে সাক্ষী দিতে চায়নি। তারা সাক্ষী দেবেই বা কী? তারা তো বাগেরহাটের লোক। পিরোজপুর এসেছে ১৯৭৩ সালে। ১৯৭১ সালে আশিষের বয়স ছিল ছয়-সাত বছর। আশিষ কুমারের এক মামা এবং মা ও চারজন খালা ছিল। পাকবাহিনীর হাতে তার নানা উপেন্দ্রনাথ ও মামা বিজয় মারা যাওয়ার পর পিরোজপুরে তাদের বাড়িতে পাহারা দেয়ার জন্য ১৯৭৩ সালে আসেন আশিষ কুমার মণ্ডল, তার মা সুমতি রানী মণ্ডল ও সমর মিস্ত্রি। এর পর থেকে তারা এখানে নানার বাড়িতে আছেন। এই পরিবারের সদস্যরা ১৯৭১ সালের পিরোজপুরের ঘটনা কী জানে আর বলবেই বা কী? তাদের বাড়ি বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জের পঞ্চমালা গ্রামে।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, আশিষ কুমারসহ ওই তিনজনকে সাক্ষী বানানোর জন্য অনেক চাপ দেয়া হয়েছে। আমাকেও চাপ দেয়া হয়েছিল সাক্ষ্য দেয়ার জন্য। এমপি এ কে এম এ আউয়াল সাব সরাসরি তাদের বাড়িতে এসে বলেছেন সাক্ষ্য দিতে হবে। এরপর পুলিশ এসে তাদের তিনজনকে ঢাকায় নিয়ে যায়। এক থেকে দেড় মাস আটকে রাখে। মিথ্যা কথা বলতে চাপ দেয় সাঈদীর বিরুদ্ধে। কিন' তারা তাতে কোনোমতেই রাজি হননি। যা বললে তাদের ক্ষতি হবে, সাঈদীরও ক্ষতি হবে সে কথা বলতে বলে। কিন' তারা তাতে রাজি নন। ১৫ দিন আগে আশিষের সাথে আমার ফোনে কথা হয়েছে। আশিষ বলেছে, ঢাকায় নিয়ে তাকে হুমকি দিয়ে বলা হয়েছে ‘চো...(অকথ্য)...পোলা, তোকে যা কইতে কমু তা কবি।’ সে আরো জানিয়েছে, তার মায়ের সাথে অবৈধ সম্পর্কের অভিযোগ আনতে বলে সাঈদীর বিরুদ্ধে। কোনো ছেলে মায়ের নামে এ কথা বলতে পারে? এমন মিথ্যা কথা কেমনে কমু? আশিষ জানিয়েছে, তার মা কান্নাকাটি করছে। তাদেরকে মিথ্যা বলার জন্য টর্চার করা হয়েছে।

আশিষ কুমারের এ আত্মীয় জানান, শুনেছি তারা ভারতে চলে গেছে। আসলে চলে গেছে না পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে তার কিছু জানি না। তাদের কোনো খোঁজখবর আমাদের কাছে নেই। তাদের ঢাকায় নিয়েও কেন সাক্ষ্য দেয়ানো গেল না, তাদের কী কী বলা হয়েছিল সে বিষয়গুলো এলাকায় এলে হয়তো জানাজানি হবে সে কারণে তাদের ভারতে পাঠিয়ে দেয়া হতে পারে।

তিনি বলেন, সাঈদীর নামে কোনো অন্যায় অত্যাচারের কথা শুনিনি। সুরেন্দ্রনাথ মণ্ডলসহ পাঁচজন পাক আর্মির হাতে মারা গেছে। এর সাথে সাঈদীর নাম শুনিনি কখনো।

আমরা দেলোয়ার সিকদার নামে এক রাজাকারের নাম শুনেছিলাম এবং তাকে স্বাধীনতার পরপরই মেরে ফেলা হয়েছে বলে জানি।

অপূর্ব ও রীতা : মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে আরেকটি গুরুতর অভিযোগ হলো বিশা বালী নামে একজনকে গাছের সাথে বেঁধে তার নির্দেশে হত্যা করা। এ বিষয়ে সাক্ষী মানা হয়েছে বিশা বালীর ভাই সুখরঞ্জন বালীকে। সাক্ষী সুখরঞ্জন বালী সম্পর্কে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা জানিয়েছেন, তিনি চার মাস ধরে নিখোঁজ। গতকাল সাক্ষী সুখরঞ্জন বালীর স্ত্রী রীতা ও তার ছেলে অপূর্বের সাথে কথা হয়। রীতা জানান, তার স্বামী তাকে বলেছেন, তিনি কোনো মিথ্যা কথা বলতে পারবেন না। তারা তাকে দিয়ে মিথ্যা কথা বলাতে চেয়েছিল। তারা বলতে বলেছিল সেখানে গাছ ছিল। গাছের সাথে বেঁধে তার ভাই বিশা বালীকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। আরো অনেক কথা বলতে বলেছিল। তিনি মিথ্যা কথা বলতে পারবেন না। তিনি ঘটনার সময় বাড়িতে ছিলেন না। আমার শাশুড়ি বলেছেন বিশা বালী অসুস' ছিলেন। তাকে গুলি করে মারা হয়নি। তাকে বন্দুক দিয়ে পাকবাহিনী বুকে তিনটি ঘা মারে। এর তিন ঘণ্টা পর তিনি মারা যান। গুলি করার কথা সত্য নয়। সেখানে সে সময় কারা ছিল তাদের তিনি দেখেনও নি চেনেনও নি। এখন ‘চাইপ্পা ধইরা কী কওয়াইতে চায়’ তা ওপরওয়ালা ভালো জানেন।

আপনার স্বামী কেন সাক্ষী দিতে তিনি রাজি নন- এ বিষয়ে আবারো প্রশ্ন করা হলে রীতা জানান, আমার স্বামী মিথ্যা কথা বলতে পারবেন না।

সুখরঞ্জন বালীর নামে যে জবানবন্দী জমা দিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা তাতে লেখা হয়েছে ‘আমার বাড়ির পাশে জঙ্গলের মধ্যে থাকিয়া বাড়ির ওপর নজর রাখি।... আমাদের বাড়িসহ ২৫টি বাড়িঘর লুটপাট করে আগুন ধরিয়ে ধ্বংস করে দেয়। অস্ত্রধারী রাজাকাররা আমার ভাই বিশা বালীকে নারিকেলগাছের সাথে বাঁধিয়া মারপিট করে। তখন দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী ওরফে দেলু রাজাকারের নির্দেশে জনৈক রাজাকার আমার ভাইকে গুলি করে হত্যা করে। আমি নিজের চোখে আমার বড় দাদাকে গুলি করিয়া হত্যা করার ঘটনা দেখিয়া ভয় পাইয়া যাই এবং বাড়ি হইতে দূরে পালাইয়া যাই।’

পিতার নামে এ কথা লেখা হয়েছে শুনে তার ছেলে অপূর্ব বলেন, আমার বাবা তো ওই সময় বাড়িই ছিলেন না। দেখা যাচ্ছে মানুষে পারে না এমন কোনো কাজ নেই।

ঊষারানী মালাকার : রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীদের পক্ষ থেকে সাক্ষী ঊষারানী মালাকার সম্পর্কে বলা হয়েছে, তার স্মরণশক্তি লোপ পেয়েছে। ভ্রমণে মৃত্যুর ঝুঁকি রয়েছে। সে কারণে তাকে সাক্ষ্য দিতে আনা সম্ভব নয়।

গতকাল সকালে কথা হয় ঊষারানী মালাকারের ছেলের ঘরের নাতির সাথে। তিনি জানান, সর্বশেষ যেদিন আমাদের কাছে আসে আমার দাদু তাদের স্টেট বলে দিয়েছেন তিনি কিছু দেখেননি। জানেন না। মিথ্যা বলতে পারবেন না।

ঊষারানী মালাকারের স্বামী হরলাল মালাকার পারেরহাটে থাকতে মারা গেছে। ঊষারানী তখন সেখানে ছিলেন না। কারা মেরেছে তাও তিনি জানেন না বলে জানান।

চান মিয়া : মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে অন্যতম অভিযোগ হলো মানিক পসারীর বাড়িতে অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও তাদের বাড়ির কাজের লোক ইব্রাহিম কুট্টিকে ধরে নিয়ে পারেরহাট বাজারে হত্যা করা। এ বিষয়ে মানিক পসারীসহ বেশ কয়েকজন সাক্ষী সাক্ষ্য দিয়ে গেছেন মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে। কিন' তার ভাই চান মিয়া গতকাল নয়া দিগন্তকে বললেন, ‘আমাদের বাড়িতে আগুন দেয়া হয় কিন' মাওলানা সাঈদী সেখানে ছিলেন না। সাঈদীর নামই এ বিষয়ে কোনো দিন শুনিনি। সাঈদীর বিরুদ্ধে মিথ্যা কথা বলতে পারব না। আমার ভাই মানিক পসারী আমাকে মিথ্যা সাক্ষী দেয়ার জন্য হুমকি দিয়েছে। আমার কাছে যখন তদন্তের লোকজন আসে তখন আমি সত্য কথা বলে দিয়েছি। শুনেছি আমার নাম সাক্ষীর তালিকায় আছে। কিন' আমি সত্য কথা বলতে চেয়েছিলাম সে জন্য তারা আর আমার কাছে আসেনি।

আমাদের বাড়িতে ঘর পোড়ানোর সাথে সেকেন্দার শিকদার, দানেশ মোল্লা, কাইউম, মমিন রাজাকার জড়িত ছিল বলে শুনেছি। সাঈদীর নামই তখন শুনিনি।’

মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম খান সেলিম : মাওলানা সাঈদীর সন্ত্রাসীদের ভয়ে আত্মগোপনে থাকার তথ্য জানিয়ে যে ১৪ জনের নাম দেয়া হয়েছে তার মধ্যে একজন সাক্ষী হলেন শহিদুল ইসলাম খান সেলিম। তার সাথে গতকাল টেলিফোনে কথা হলে তিনি বলেন, সাঈদীর সন্ত্রাসীদের ভয় দেখানোর কথা সত্য নয়। আত্মগোপনে থাকার বিষয়ে তিনি বলেন, আমি বর্তমানে ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসের একটি অনুষ্ঠানে আছি। সাক্ষ্য দিতে চাচ্ছেন না কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী নই। যুদ্ধ শুরুর আগেই আমি বাড়ি থেকে অন্যত্র চলে যাই। কাজেই আমাদের বাড়িতে কারা আগুন দিয়েছিল তা তো আমি দেখিনি। সে জন্য সাক্ষ্য দিতে ইচ্ছুক নই।

গোপাল কৃষ্ণ মণ্ডল : আমি জবানবন্দী দিয়েছি। তবে আমার নামে কী লেখা হয়েছে তা আমি জানি না। জবানবন্দীতে আমি সাঈদীর বিরুদ্ধে কিছু বলিনি। আত্মগোপনে থাকার বিষয়ে তিনি বলেন, আমি বাসায় আছি। কোর্টেও যাই।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে মার্চ, ২০১২ বিকাল ৩:২৮

হাসির বাক্স বলেছেন:

২| ২৭ শে মার্চ, ২০১২ বিকাল ৩:৪০

এফ এম-৯৭ বলেছেন: অত্যন্ত সাহসিকতার সাথে এই ব্লগটী পোষ্ট করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
আমি নতুন প্রজন্ম। স্বাধীনতা আন্দোলন দেখিনি। বিভিন্ন জনের বই বিভিন্ন কথা বলে। নিরপেক্ষ বই খুব কম। তাও অনেকের অপরিচিত। এমনও বই আছে নেট এ পড়তে বসলে লেখা চলে আসে- 'ভুল তথ্যের জন্য এই পৃষ্টা মুছে ফেলা হয়েছে'। যারা আমাদের যুব-সমাজকে বিভ্রান্ত করতে চায়, তারাই হয়ত এসব কাজ করেছে। তাই কষ্ট করেই ঠিকানা জোগাড় করে সেই নিরপেক্ষ বইটা কেনা লাগে।

যাই হোক, মাওলানা সাঈদীর ব্যাপারে বলতে- আমি উনার তত ওয়াজ শুনি নি। তবে একদিন শুনেছি। আর তাতেই উনার প্রতি আমার শ্রদ্ধা জন্মেছে। উনার দোয়া করার স্টাইল অনেক উত্তম। আমাদের সৌভাগ্য উনার মত একজন আলেম আমাদের প্রাণপ্রিয় বাংলাদেশে। উনার মোনাজাত যখন শেষ হয়েছিলো- ইচ্ছে করছিলো, আরো শুনি.....
উনার মত এত বড় আলেমে দ্বীনকে কষ্ট দেয়া উচিত নয়। আর উনি যে নিরপরাধ, আর উনার বিরুদ্ধে সাক্ষী জোগাড় করার জন্য সত্য বিরোধী শক্তিরা যে- কি পরিমাণ ষড়যন্ত্র করতে পারে- তা আপনার ব্লগে ও আদালতের বিবরণীতেই ফুটে উঠেছে।
আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে বলি- দয়া করে এমন নিরপরাধ মানুষকে কষ্ট না দিয়ে, উনাকে অতিসত্তর মুক্তি দিন। সবাই যাতে আবার উনার লেকচার শুনে আল্লাহ হেদায়াত পেতে পারে।

৩| ২৭ শে মার্চ, ২০১২ বিকাল ৩:৪৩

এফ এম-৯৭ বলেছেন: হাসির বাক্সকে বলছি- মেয়েদের কে নিয়া এত মাতামাতি কিসের? যার গিয়া বিয়া করেন।

ফালতু কমেন্টের আর জায়গা পান না? X(( X(( X((

৪| ২৭ শে মার্চ, ২০১২ বিকাল ৫:৪৯

রেশম বলেছেন: যে লেখাটি আপনাদের পড়তেই হবে।

স্বাধীনতার ঘোষনা, শেখ মুজিবর রহমান, চাক নরিস / রজনীকান্ত সম্পর্কিত জটিলতা ও প্রয়োজনীয় যেসব সাংবিধানিক পরিবর্তন/পরিমার্জন

৫| ২৭ শে মার্চ, ২০১২ রাত ৮:৩৩

সানড্যান্স বলেছেন: সাঈদী হুদাই ফাইসা গাসে.বাকিগুলা রাজাকা।। লেকিন অই বেচারা জামাত করে ফাইসে গাসে

৬| ৩০ শে মার্চ, ২০১২ রাত ৮:১২

এফ এম-৯৭ বলেছেন: সানড্যান্সকে বলছি- আসলে সাঈদী জামাত করে ফাসে নাই। আওয়ামী লীগ এর মত সৈরাচারীকে সমর্থন না দেয়ার জন্যই উনাকে ফাসানো হলো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.