![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক রাজধানী খ্যাত
ব্রাহ্মণবাড়িয়া" শব্দটি নিয়ে বিতর্কের অবসান ও কিছু কথা।
উচ্চারণ---< ব্রাম্+হোন্+বাড়িয়া =ব্রাহ্মণবাড়িয়া
হ+ম=হ্ম(সঠিক)
ক+ষ=ক্ষ(ভুল)
ম+ম=ম্ম(ভুল)
কিন্তু উচ্চারণের ক্ষেত্রে "ম্" আগে উচ্চারণ হবে এবং "হো্" পরে উচ্চারিত হয়ে ব্রা+ম্+হো্+ণ+বাড়িয়া/বাড়ীয়া।
মোবাইল টাইপ= ব্রা--<হ+ম--<ণ--<বাড়িয়া/বাড়ীয়া
"ব্রাহ্মণ"--<শব্দটি সরাসরি সংস্কৃত থেকে এসেছে তাই এর বানানে কিংবা উচ্চারণে কোন পরিবর্তন সঠিক নই।
"" বাড়িয়া--< (ই/ি) বাড়িয়া
বাড়ীয়া--< (ঈ/ী) বাড়ীয়া ""
বাংলা একাডেমীর নতুন বানান রীতি অনুযায়ী ই-কার কিংবা ঈ-কারে কোন পার্থক্য করা হয়না (তবে বিশেষ কিছু ক্ষেত্র ছাড়া)।
তৎসম শব্দ বাটী থেকে বাড়ী/বাড়ি শব্দটি এসেছে, তাই বাড়ি/বাড়ী শব্দটি তদ্ভব শব্দ।
তদ্ভব শব্দের ক্ষেত্র ই-কার কিংবা ঈ-কার দুটোই সঠিক। বর্তমান বানান রীতি অনুযায়ী ই-কার'ই বেশি ব্যবহার করা হয়।
মধ্যযুগে আজকের ব্রাহ্মণবাড়িয়া ছিল সরাইল পরগনার অন্তর্গত। ঐতিহাসিক তথ্য উপাত্তে জানা যায় পাঠান সুলতান শেরশাহ রাজস্ব আদায় ও শাসন কার্য পরিচালনার সুবিধার্থে প্রথম পরগনার সৃষ্টি করেন। সুলতানী আমলেই সরাইল পরগনার সৃষ্টি হয়। সেখানেই দিল্লী থেকে ইসলাম ধর্ম প্রচার করতে আসেন সুফী হযরত কাজী মাহমুদ শাহ রহমতুল্লাহি আলাইহি। সে সময় ধর্মপ্রচারক কাজী মাহমুদ শাহ রহমতুল্লাহ ঐ এলাকায় মুসলমানদের ধর্ম পালনের সুবিধার্থে বসবাসরত ব্রাহ্মণ পরিবারদের বেরিয়ে যাবার নির্দেশ প্রদান করেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আঞ্চলিক উচ্চারণ 'বাউনবাইরা' (বা ‘ব্রাহ্মণ বেড়িয়ে যাও’)। ধারণা করা হয় সেখান থেকেই ব্রাহ্মণবাড়িয়া নামের উৎপত্তি। উল্লেখ্য বহুল প্রচারের ফলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া নামটি পরিবর্তিত হয়ে বি-বাড়িয়া ধারণ করতে থাকে।তাই ২০১১ সালে নামের অস্তিত্ব ঠিক রাখার জন্য জেলা প্রশাসন কর্তৃক এক প্রজ্ঞাপন জারি করে যে, এখন থেকে কেউ বি-বাড়িয়া নামটি ব্যবহার করতে পারবে না, সবাইকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া নামটি ব্যবহার করতে হবে।ধন্যবাদ জেলাপ্রশাসনকে।
★এস এম শাহনূর
[email protected]
(তথ্য সংগ্রাহক, লেখক ও গবেষক)
-------------------------------------------------------
©somewhere in net ltd.