|  |  | 
| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস | 
ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে আমাদের অপার সম্ভাবনাময় পর্যটন শিল্প – পুঠিয়া , রাজশাহী , সরজমিনে ঘুরে আসলাম ওখান থেকে এবং শেয়ার করছি ওখানকার বর্তমান হালচাল ।
আমাদের সরকার শুধুমাত্র যাদুঘর ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দিয়েই নাকে তেল দিয়ে ঘুমাচ্ছে । ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে আমাদের অপার সম্ভাবনাময় পর্যটন শিল্প রাজশাহীর পুঠিয়া রাজবাড়ী । গত ৭ দিন আগে ঘুরে এলাম সেখান থেকে আর হতাশ হলাম দেখে আমাদের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের কার্যক্রম। অযত্নে অবহেলায় ক্ষয়ে ক্ষয়ে পড়ছে দেয়ালের বালু আর সুরকী দেখলাম আর খুব খারাপ লাগলো এভাবেই ক্ষয়ে ক্ষয়ে দিনে দিনে নিঃশেষ হয়ে যাচ্ছে আমাদের দেশের একটি শিল্প ।
। কেউ নেই দেখার যার যেমন ইচ্ছে তেমন ভাবে ব্যবহার করছে এই ঐতিহাসিক রাজবাড়িটি । তবে আমি প্রায় ২-৩ ঘন্টা ছিলাম ওখানে এরই মধ্যে দেখলাম কম করে হলে ও ১০-১৫ জন বিদেশী পর্যটকের আগমন তবে তার পুরটাই আমাদের দেশের প্রাইভেট ট্রাভেল এজেন্সী গুলোর কল্যাণে । দেশী পর্যটকের আনাগোনাও ব্যপক । যে কোন ছুটির দিনে ও জমে ওঠে এই দর্শনীয় স্থান জানা গেল আসে পাশের দোকানদারদের সাথে আলোচনা করে। 
যাক আমার এই লেখার মাধ্যমে আমি এই সম্পর্কে যথাযথ কতৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি । 
এখন আমরা এক নজরে দেখবো – রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর  ড. কাজী মো. মোস্তাফিজুর রহমান, স্যার এর লেখা একটি আর্টিকেলের  অংশ বিশেষ । 
রাজশাহী জেলার অন্যতম উপজেলা পুঠিয়া । রাজশাহী শহর হতে ত্রিশ কিলোমিটার পূর্বে এবং রাজশাহী-নাটোর মহসড়ক হতে মাত্র এক কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত পুঠিয়া রাজবাড়ি। পুঠিয়ার জমিদারি মোগল সম্রাট আকবরের শাসনামলে (১৫৫৬-১৬০৫) প্রতিষ্ঠিত হয়।
পুঠিয়া রাজবাড়ির চারিদিক পরিখা দ্বারা পরিবেষ্টিত। বর্তমানে পরিখাগুলো বিভিন্ন নামে পরিচিত যথা- শিব সরোবর বা শিবসাগর, গোপালচৌকি, বেকিচৌকি, গোবিন্দ সরোবর ও মরাচৌকি। এছাড়া রাজবাড়ি এলাকার মধ্যস্থলে রয়েছে শ্যামসাগর নামে একটি বিশাল পুষ্করিণী। পরিখা বেষ্টিত এই রাজবাড়ির মোট স্থলভাগের পরিমাণ ২৫.৯৩ একর (কেন্দ্রস্থলের ৬.০০ একর বিশিষ্ট শ্যামসাগর ব্যতীত)। পুঠিয়া রাজবাড়ি ও তার আশেপাশে এখানকার জমিদারদের নির্মিত বেশ ক‘টি নয়নাভিরাম মন্দির এখনো মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে রয়েছে। সম্ভবত শরীক বিভক্তির পর পাঁচ আনি ও চার আনি রাজপ্রাসাদ আলাদাভাবে নির্মিত হয়। এই দুটি প্রাসাদ ছাড়া অন্যান্য শরীকের ঘরবাড়ির কোন চিহ্ন বর্তমানে আর খুঁজে পাওয়া যায় না। তবে এই দুটি প্রাসাদ ও মন্দিরগুলো স্থাপত্যশিল্পের প্রতি পুঠিয়ার জমিদারদের গভীর অনুরাগের পরিচয় বহন করে।
একই এলাকায় অবস্থিত নিন্ম উল্লেখিত আরো কিছু স্থাপনার নাম নিচে দেয়া হল - 
১। পঞ্চরত্ন শিবমন্দির
২। পঞ্চরত্ন বড় গোবিন্দ মন্দির
৩। ছোট আহ্নিক মন্দির
৪। বড় আহ্নিক মন্দির
৫। ছোট গোবিন্দ মন্দির
৬। ছোট শিবমন্দির
৭। গোপাল মন্দির
৮। তারাপুর মন্দির / হাওয়াখানা
৯। অষ্টকোণা রথ মন্দির
১০। দোলমন্দির বা দোলমঞ্চ
১১। পাঁচ আনি রাজপ্রাসাদ
১২। চার আনি রাজপ্রাসাদ
১৩। মহারানি হেমন্তকুমারীর বাসভবন
সূত্র - ড. কাজী মো. মোস্তাফিজুর রহমান, প্রফেসর, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় 
[email protected] 
বিস্তারিত পড়তে ক্লিক করুন এখানে - View this link  
এখানের সমস্ত ছবিগুলো আমার নিজ হাতে তোলা । 
ধন্যবাদ । 
 ১৬ টি
    	১৬ টি    	 +৭/-০
    	+৭/-০  ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩  দুপুর ১২:৫৬
২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩  দুপুর ১২:৫৬
সঞ্জয় নিপু বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ
২|  ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩  দুপুর ১২:১৩
২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩  দুপুর ১২:১৩
মদন বলেছেন: পুঠিয়া নিয়ে একটি ওয়েবসাইট http://www.amarputhia.com/
  ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩  দুপুর ১২:৫৭
২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩  দুপুর ১২:৫৭
সঞ্জয় নিপু বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ
৩|  ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩  দুপুর ১২:৫৮
২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩  দুপুর ১২:৫৮
পলক শাহরিয়ার বলেছেন: এই সম্পর্কে যথাযথ কতৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি ।
  ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩  দুপুর ১:০০
২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩  দুপুর ১:০০
সঞ্জয় নিপু বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ
৪|  ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩  দুপুর ১:৩১
২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩  দুপুর ১:৩১
রেজোওয়ানা বলেছেন: এটা তো প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের সংরক্ষিত স্থাপনা! তারা কিন্তু এখানকার মন্দির গুলোর বেশ ভাল রেস্টোরেশন করেছে। 
রাজবাড়ির পুরোটা সংরক্ষনের ফান্ড পেলে হয়তো করবে, তবে সরকারী প্রতিষ্ঠান যা হয় আরকি, নিজের আখের গোছাতে ব্যস্ত সব! আর অধিদপ্তর প্রত্নতত্ত্বরের হলে কি হবে, কর্মচারী সব হলো বাংলা, ইংরেজি ইত্যাদি ইত্যাদির....এমন হওয়াটাই স্বাভাবিক সেখানে। 
  ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩  দুপুর ১:৩৫
২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩  দুপুর ১:৩৫
সঞ্জয় নিপু বলেছেন:  খুবই সঠিক কথা বলেছেন । 
সেখানে এখন শুধু আছে এক প্রকার ধান্দাবাজ শ্রেনীর লোক । 
আমার বউ নিপু ছিল আমার সাথে, নিরাপত্তার কিছুটা অভাব বোধ ও করেছি । 
তবে এই আর্টিকেল টি যথাযথ কতৃপক্ষের নজরে আনা উচিৎ । 
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য । 
৫|  ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩  দুপুর ১:৫১
২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩  দুপুর ১:৫১
স্বপনবাজ বলেছেন: যথাযথ কতৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি ।
  ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩  দুপুর ২:২৯
২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩  দুপুর ২:২৯
সঞ্জয় নিপু বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ
৬|  ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩  রাত ৮:০৯
২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩  রাত ৮:০৯
ঘুড্ডির পাইলট বলেছেন: কতৃপক্ষের পদক্ষেপ নেওয়া উচিৎ।
  ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৩  সকাল ১১:৫৯
২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৩  সকাল ১১:৫৯
সঞ্জয় নিপু বলেছেন: সঠিক বলেছেন
৭|  ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৩  রাত ১১:১২
২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৩  রাত ১১:১২
মো: আবু জাফর বলেছেন: অসাধারন । আমাদের পুঠিয়া
  ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৩  সকাল ১০:০২
২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৩  সকাল ১০:০২
সঞ্জয় নিপু বলেছেন: আপনাদের পুঠিয়া আজ ধ্বংসের মুখে প্রতিবাদের সময় এখনি রক্ষা করতে হবে ঐতিহ্য ।
৮|  ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৩  বিকাল ৫:৩৬
২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৩  বিকাল ৫:৩৬
অনীনদিতা বলেছেন: ওয়াও  
   
 
  ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৩  বিকাল ৫:৪০
২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৩  বিকাল ৫:৪০
সঞ্জয় নিপু বলেছেন:  
 
©somewhere in net ltd.
১| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩  দুপুর ১২:০৫
২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩  দুপুর ১২:০৫
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
এই সম্পর্কে যথাযথ কতৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি ।