![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শোয়াইব জিবরান
খবরটি হঠাৎ রটে, গত শীতে। বাঘের বাচ্চা পাওয়া গেছে, চারটি। এটি আবিষ্কার করেছে এলাকার বাইরে থেকে আসা লোকজন। দেদারসে হাততালি পাচ্ছে তারা। আমরা এলাকাবাসী তো অবাক মানি। এতোদিন এ এলাকায় থাকি, এলাকার প্রতিটি বনের উপমা, চিত্রকল্প, পাতা নড়ার ধ্বনি জানি। অথচ আমরা জাননাম না।একজন ঠোঁট উল্টে বলল, আরে যা। দেগগে হয়ত শেয়ালের ছাও। শনের বনে বাঘ আইব কোথ্থেকে? খবর যারা নিয়ে এসেছিল তারা আসলে কেউ বনবিজ্ঞানি নিদেন পক্ষে িপ্রাণিবিদ্যা পড়া লোকও ছিল না। তারা আসলে ঘাস কাটছিল, গরুর। অবশ্য নিন্দুকেরা বলেছিল, ঘোড়ার।
অগত্যা আমাদের গাত্রোথ্থান করতে হয়। আমরা আমাদের বনবিদ্যা বিভাগের বন্ধুদের খবর দিই। তাঁরা তাঁদের প্রাণিবিদ্যা পড়ুয়া সহকর্মীদের খবর দেয়। বিকেলের রোদ তখন বেশ কনে দেখা আলো হয়ে ইঠেছে। বনবিদ্যার লোক প্রাণিবিদ্যার লোকজনদের নিয়ে বাঘ দেখতে আসে। আমরা পেছনে পেছনে বরযাত্রিদের মতো মিষ্টান্ন মুখ করে ছুটতে থাকি। অকুস্থলে যাবার সাথে সাথে গরুর ঘাসকাঁটা মজুররা নিন্দুকেরা যাদের ঘোড়ার ঘাসকাঁটা লোক বলে প্রচার করে তারা রে রে করে ওঠে। আরে করতোছুইন কী আফনারা করতাছুইন কী। বাঘিনী আইয়া পড়ব এখইন। হরোঅইনছে! তাতে বনবিজ্ঞানী ও তাদের প্রাণিবিদ্যা পড়ুয়া লোকেরা মোটেই ঘাবড়ায় না। কেননা, শোয়াইব জিবরান এর আগে বলে দিয়েছেন বাঘের সাথে পিরিত আছে কবি ব্রাত্য রাইসুর। ডোরাকাটা বাঘ তারে বিয়া করব কি না এটা নিয়েও তিনি কবিতা েলিখেছেন মাত্র কয়েকদিন আগে ফেসবুকে। তাই ভয় নাই। বাঘের সাথে যখন সম্বন্ধ আছে কবিদের।
আর এখন দেখ বনবিদ্যা বিজ্ঞানি আর তাদের প্রাণিবিদ্যা পডূযা লোকগণ চারটে ছানার উপর তাঁরা উবু হয়ে দণ্ডায়মান। ছানাগুলোর চোখ তখনও ফোটে নাই যে বাঘের ছা হলে প্রেমে পড়বে বা থাবা দেবে। তারা বরং মায়ের নয় একটি অপরটির গায়ের উষ্ণতা নিতে উন্মুখ; যেহেতু মা েতাদের পালিয়ে গেছে দূর বনে, গরুর ঘাসকাটা লোক অথবা ঘোড়ার ঘাস কাটা লোকেদের তাড়া খেয়ে। এলাস, কলিকালে কত কিছুই না ঘটবে।
বনবিদ্যা বিভাগের লোকজন বলে, আচ্ছা এগো মুখ তো তেমন মায়া মায়া নয় আর যেহেতু হোগলার বন আমাদের মনে হয় না ্ইনারা বাঘের বাচ্চা।আচ্ছা প্রাণিবিদগণ তবে তোমরা দেখো তো চোখেরর মাসকরা সরিয়ে। অবএব প্রাণিবিদ্যা পড়ুয়া লোকগণ মনোযোগী হয়। আর তারা ঘোষণা করে আরে নাহ্ এরা তো বাঘডাশার ছানা।
আর দেখ এই আকাশের নামে কসম বলছি, গরুর ঘাসকাঁটা লোকেরা নিন্দুকেরা যাদের ঘোড়ার ঘাসকাঁটা লোক বলে থাকে তারা মাথা নীচু করে তেপান্তর পার হযে চলে গিয়েছিল।
©somewhere in net ltd.
১|
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:১০
এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: খুব মজা পেলাম,কবি। কবির গদ্য যে সব সময় সুস্বাদু হয় আবার তার প্রমান মিললো।