![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পৃথিবীর সব পাখির বাপের বাড়ি গ্রামে হয়। যে গ্রামে ঘাসফুল নেই, পাখিরা সে গ্রাম ছেড়ে চলে যায়।
আমার জন্মের পর যে বিশ্বাসের দলিল হাতে পাই তা হলো ইসলাম। ইসলাম একটি ধর্মের নাম। এ ধর্মের অনুসারীরা এটাকে একটি পূর্ণাঙ্গ নির্ভুল জীবন ব্যবস্থা হিসেবে স্বীকৃতি দিতে পছন্দ করে। ইসলাম ধর্মের অনুসারীর ঔরসজাত হয়ে আমি ছোটবেলা থেকে ইসলাম ধর্ম বিষয়ে জ্ঞানলাভ করার সুযোগ বেশি পেয়েছি যা অন্য ধর্ম নিয়ে পারিনি। এই লেখাটা ইসলাম ধর্মের আলোকেই লেখা। তবে উপাসনার ভিন্নতা থাকলেও নিয়ন্ত্রন তন্ত্রে সব ধর্মের প্রকাশই প্রায়ই একই রকম।
সমাজে বসবাস করার জন্য নারী এবং পুরুষের সম্পর্ককে একটি সামাজিক রূপ দিতে হয়। তা দেয়ার জন্য প্রয়োজন একটি দৃশ্যমান বন্ধন সূত্রতা। এই সূত্রতার সামাজিক প্রকাশ বিয়ে। আমরা আধুনিক হতে হতে অনেককাল আগ থেকেই বিবাহপূর্ব সহনীয় সম্পর্কেও অভ্যস্থ হয়ে গেছি। যাকে আমরা প্রচলিত অর্থে প্রেমের সম্পর্ক বলে থাকি। শাব্দিক বা আক্ষরিক অর্থে প্রেমের ব্যপ্তি বা শক্তি অনেক সমৃদ্ধ। বিবাহ বা বিবাহপূর্ব সম্পর্ক যাই বলি না কেন, পক্ষ কিন্তু দুইটা। নারী এবং পুরুষ। নারী এবং পুরুষের এই সম্পর্কে যৌনতার শক্তিশালী অবস্থান অনেক প্রতিকূলতা সত্ত্বেও ভারসাম্যহীন হলেও উভয় পক্ষের জন্যই লোভনী এবং সুখকর হয়ে থাকে। তবে সে সুখ যে ভারসাম্যহীন, তাতে কোন সন্দেহ নেই। ইসলামের আলোকে নারী এবং পুরুষের সহাস্থানের বাস্তবিক বিধান ও প্র্যাকটিকাল আচার দেখলেই বোঝা যাবে এ ধরনের সম্পর্কের গাঢ়তা, স্থায়িত্ব এবং প্রেমজ অস্তিত্ব কতটুকু সুখকর।
ধর্মীয় রীতি মেনে বিয়ে করতে গেলে একটি মেয়ে পর্যাপ্ত যাচাই বাচাই করে তার কাংখিত পুরুষ বেছে নিতে পারে না। বাছাই পক্রিয়ায় একটি মেয়েকে যে যে বিষয়ে লক্ষ্য রাখতে হয়, (যেমন- পুরুষটির আকার-আকৃতি, রুচি, চলন-বলন, মনস্তাত্বিক-দর্শনভিত্তিক বৈশিষ্ট এবং সর্বোপরি যৌন বিষয়াদি) তা রাখার বিষয়ে ইসলামের কঠোরতা খুবই নির্মম। এক্ষেত্রে নারীকে দেখতে হয় প্রস্তাবিত পুরুষটির আর্থিক সঙ্গতি এবং পুরুষ দেখে ওই নারীর শারীরীক গড়ন (অর্থাৎ সে কতটুকু খেলতে পারবে)। অথচ এটিই পর্যাপ্ত নয়। কিন্তু এর বেশি যাওয়ার আগে একজন নারীকে “একাকী নির্জন স্থানে প্রাপ্তবয়স্ক নারী ও পুরুষের অবস্থান নিষিদ্ধ করে রাখার কারণ ও নাবালিকা কর্তৃক সাবালকের দেহ দর্শনে ধর্মীয় নিষেধ”র থাপ্পড় খেতে হয়।
সবকিছুর আগে ইসলাম নারীকে মানসিকভাবে দুর্বল করে রেখেছে কথিত আল্লাহ প্রদত্ত নিয়ম কানুন দিয়ে। ইসলামের ধর্মগ্রন্থ কোরআনে নারী এবং এতিম বিষয়ক সূরা আন্নিসার এমন কতো আয়াতে নারীর প্রতি রয়েছে অমানবিক হুঁশিয়ারি। বিশেষভাবে নারী ও এতিমের সূরায় বারবার পুরুষের শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষনা করা হয়েছে। পুরুষ কর্তৃক নারীকে পরিচালনার নামে কঠোরভারে নিয়ন্ত্রনের এই দলিলে নারীর মনস্তাত্বিক অস্তিত্বের কোন স্বীকৃতি নেই। “আর যদি তোমরা ভয় কর যে, এতিম মেয়েদের ব্যাপারে সুবিচার করতে পারবে না, তবে বিয়ে করে নাও অন্য নারীদের মধ্য থেকে যাকে তোমাদের মনপুত হয়- দুই, তিন কিংবা চারজন পর্যন্ত। কিন্তু যদি আশংকা কর যে, তাদের মধ্যে সুবিচার করতে পারবে না, তবে একজনকে অথবা তোমাদের স্বত্বাধীন ক্রীতদাসীকে। এতেই পক্ষপাতিত্বে জড়িত না হওয়ার সম্ভাবনা অধিক (সুরা আন্নিসা- আয়াত-৪)”। প্রথমেই বলি এই আয়াতের আগের এবং পরের ক’টি আয়াত কয়েকবার পড়ার পরও এর কথার বুনন অতটা শক্তিশালী বলে মনে হয় না। আয়াতের “কিন্তু যদি আশংকা কর যে, তাদের মধ্যে সুবিচার করতে পারবে না, তবে একজনকে অথবা তোমাদের স্বত্বাধীন ক্রীতদাসীকে” এই অংশটাকে পরিপূর্ণ মনে হয়নি। প্রথমের “ তবে বিয়ে করে নাও অন্য নারীদের মধ্য থেকে যাকে তোমাদের মনপুত হয়- দুই, তিন কিংবা চারজন পর্যন্ত” এবং শেষের দিকে “ক্রীতদাসী” বাক্য ও শব্দ দুটিতে চরম অবমাননাকর দৃশ্যের অবতারনা হয়েছে। এই সূরাটির পূর্ণাঙ্গ পাঠ শেষে দেখা যাবে পৃথিবীর সমস্ত সম্পদ পুরুষরা ভাগ করে নিবে। বিয়ে করার সময় তা থেকে কিছু অংশ দিয়ে একজন নারীকে কিনে নেবে। আবার দেনমোহরের এই প্রকাশকে দুর্নীতিগ্রস্থ করতে নারী কর্তৃক মওকূফেরও ইঙ্গিত দিয়েছে। এখনতো ভালো ঘরনীর প্রথম বৈশিষ্টই হচ্ছে স্বামীকে দেনমোহরের টাকা মওকূফ করে দেয়া। আমরা যে দৃষ্টিতে আমাদের মা’কে দেখি, সেই দৃষ্টিতে আমাদের মা অবশ্যই আমদের বাবার সঙ্গে সম্পর্কের পরিপূরক। কিন্তু যখন আমাদের সম্পদশালী বাবার দুই, তিন অথবা চারজন পর্যন্ত স্ত্রী গ্রহণের বৈধতা ইসলাম দেয় তখন আমাদের মায়ের অবস্থান নিশ্চয় অতটা সুখকর নয়। যাবতীয় সম্পদ কুক্ষিগত করে নারীকে বিবাহপূর্ব বা সামগ্রিক সম্পদ বঞ্চিত করে অত:পর তাকে দয়াবশত পুরুষ কর্তৃক ভিন্ন রমনীর সাথে ভাগাভাগি অবস্থান বা ক্রীতদাসীর নিশ্চয়তায় কোন যুক্তিযুক্ত মর্যাদা দান করা হয়েছে? ইসলাম স্বীকৃত প্রথম নারী বা তারও পরে বিবি খাদিজা, আয়েশা, ফাতেমাসহ অন্যান্য নবী ঘনিষ্ঠ রমনীগণের ধারাবাহিকতায় আমার মাও বিশ্বাস করতে শিখেছে যে, পতি সেবার মাঝে স্বর্গলাভের বোনাস পয়েন্ট নিহিত।
সুরা আন্নিসায় নারী অবমাননার আরেকটি আয়াত উল্লেখ করা যেতে পারে। “আর যদি তোমরা এক স্ত্রীর স্থলে অন্য স্ত্রী পরিবর্তন করতে ইচ্ছা কর এবং তাদের একজনকে প্রচুর অর্থও দিয়ে থাক তবুও তা থেকে কিছুই ফেরত গ্রহণ তর না। তোমরা কি তা গ্রহণ করবে মিথ্যা, অপবাদ ও প্রকাশ্য পাপাচারের মাধ্যমে? (সুরা আন্নিসা- আয়াত-২০)”। এখানেও সমস্ত সম্পত্তিতে পুরুষের দাপট ঘোষনা এবং নারী জীবনকে অর্থ দিয়ে বেচা কেনার বৈধতা দেয়া হয়েছে।
শুরুতেই ইসলাম কর্তৃক নারীকে মানসিকভাবে দুর্বল করে রেখেছে। বিবাহের পরও কিভাবে নারীকে অবস্থানগতভাবে পতিত করা যায়, সে বিষয়ে কোরআন এবং হাদীসে পুরুষের পক্ষে চওড়া পথ দেখানো আছে। সে পথে নারী দেহের কোমলতা, উষ্ণতা এবং বিশেষত স্তন, নিতম্ব, যৌনাঙ্গের বিশেষ আয়েসের সুযোগ নিয়ে পুরুষের বীর্যক্ষেপনের সুড়ঙ্গ অথবা তৎসম্পর্কীয় সুখের নিশ্চিন্ত আবাস বানানো হয়েছে। এক্ষেত্রে নারীর ভিন্নপথ অবলম্বলনের সুযোগ না দেয়ার জন্য জন্মলব্ধ বিশ্বাসের দুর্বলতায় তাকে বুঝানো হয়েছে - “তোমাদেরকে পুরুষের তুলনায় অপেক্ষাকৃত কম বুদ্ধি দিয়ে তৈরি করা হয়েছে।” এখানে সূরা আন্নিসার একটি আয়াত উল্লেখ করা যেতে পারে। “পুরুষেরা নারীর উপর কর্তৃত্বশীল, কারণ আল্লাহ তাদের কতককে কতকের উপর শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছেন এবং পুরুষেরা নিজেদের অর্থ ব্যয় করে। সুতরাং পূণ্যবতী নারীরা অনুগত হয় এবং লোকচক্ষুর অন্তরালে তার (নিজ দেহ) হিফাজত করে আল্লাহর হিফাজত অনুসারে। স্ত্রীদের মধ্যে তোমরা যাদের অবাধ্যতার আশংকা কর তাদের সদুপদেশ দাও, তারপর তাদের একাকীনী ত্যাগ কর তাদের শয্যায়, শেষে তাদের প্রহার কর। এত যদি তারা তোমাদের বাধ্য হয়ে যায় তবে তাদের ব্যাপারে অন্য কোন পথ (তালাক) তালাশ করো না। নিশ্চয় আল্লাহ আল্লাহ উচ্চ মর্যাদাশীল, মহান। (সুরা আন্নিসা, আয়াত-৩৪)”। এখানে প্রথমেই পুরুষেরা নিজেদের অর্থ ব্যয় করার যুক্তিতে তাদেরকে শ্রেষ্ঠত্ব দান করার বিষয়টি খুবই হাস্যকর। ধর্মগ্রন্থে পুরুষের সম নারীকে অর্থ উপার্যনের বৈধতা প্রদান না করার বিষয়টিই একধরনের মনস্তাত্বিক মার। এই আয়াতাংশ পড়ার পর ইসলাম বিশ্বাসী একজন নারী সুযোগ থাকা সত্ত্বেও অর্থ উপার্যনে যাবেন না। কারণ অর্থ উপার্জন এবং ব্যয়ে পুরুষের একক অধিকার স্রষ্টা প্রদত্ত। পরের অংশে এসে ধারাবাহিকভাবেই নারীদেহকে একটি সংবেদনশীল স্থানে রূপান্তরিত করে তার হেফাজতের কথা বলা হচ্ছে। এখানের মতো পুরো কোরআনের নারী বিষয়ক আয়াতগুলোতে অর্থ=নারী, ক্রীতদাসী=নারী, নিয়ন্ত্রন=নারী, স্বর্গসুখ=নারী ইত্যাদি রূপে প্রকাশ করা হয়েছে। নারীর পাশে অবস্থানকৃত শব্দসমূহের ঐরূপ অবস্থান অবশ্যই দৃষ্টিকটু। অত:পর সংসার জীবনে নারীর নিয়ন্ত্রন বিষয়ে এসে শাস্তি স্বরূপ সদুপোদেশ পরবর্তী একাকী শয্যাবস্থানে বাধ্য করার কথা বলা হয়েছে। এখানে এসেই যায়গামতো কোপ মারা হয়েছে। “পুরুষ ব্যতিত নারীর বসবাস কষ্টসাধ্য” এবং “শাস্তি স্বরূপ” এমন ভাব প্রকাশ করার জন্যই এই কথাগুলোর সৃষ্টি। কিন্তু এখানে যদি অন্য কোন শাস্তির বিধান রাখা হতো, (যেমন- ঘরের আলো নিভিয়ে রাখা, একসাথে বসে খাদ্যগ্রহণে বিরত থাকা ইদ্যাদি) তবে নারী সেভাবেই অভ্যস্ত হতো এবং ঐধরনের ক্রিয়ালাপে ভয় পেতো। এখানে নারীকে পুরুষ নির্ভরশীলতার আওতায় আনা হয়েছে খুবই নোংরাভাবে। ইসলাম ধর্মে বিশ্বাসী রমনীগণের দীর্ঘ পাঠসূত্রতা এবং ব্যাখ্যাসূত্রে শ্রবন পরবর্তী মান্যতার ধারাবাহিকতায় একাকী শয্যাগমন হেতু যৌনসুখ বঞ্চিত হওয়ার দৃশ্যপটে পুরুষের বীর্যে নারীর জন্ম স্বার্থকতার যে চিত্রনাট্য তৈরি হয়েছে তাতে করে সংসারে আমাদের মা কখনোই বাবার পরিপূরক নয় বরং অনেকগুলো যোগানের মধ্যে একটি যোগান হতে পারে। আয়াতটির শেষ পর্যায়ে এসে পুরুষের পক্ষে অর্থদানের বিনিময়ে বিচ্ছেদের পথ খোলা রাখা হয়েছে। ধর্ম বিধানে এই বিচ্ছেদের পথ খোলা রাখাকে একধরনের স্বাধীনতা বলা হচ্ছে, যদিও তা পুরোপুরিই পুরুষের পক্ষে। একজন নারীকে অর্থ উপার্জনের বৈধতা না দেয়া, (এখানে এসে বর্তমানে কিছু কিছু আলেম অর্থ উপার্জনের বৈধতার কথা বলে থাকেন। যেমন খাদিজার ব্যবসার কথা টানেন। কিন্তু যখন এই আয়াতের প্রয়োজনীয়তার কথা টানা হয় তখন আল্লাহর উপর দায়ভার দিয়ে ক্ষান্ত হন) পুরোপুরি পুরুষের কর্তৃত্বে রেখে, সামগ্রিক সহাবস্থানে পুরুষের রতিসুখ অথবা ভোজন প্রণালীর কারিগর বানিয়ে তারপর আবার অবাধ্যতার সূত্রতায় অর্থ মাধ্যমে ত্যাগী হতে নারীকেই বাধ্য করা হচ্ছে। নির্মমতার উৎকৃষ্ট উদাহরণ আর কি হতে পারে?
যৌনতার বিষয়ে নারীর অবস্থানের বর্ণনায় কিছু হাদিসের দিকে নজর বুলায়-
১// “দীর্ঘ ভ্রমন শেষে ঘরে ফিরলে (পুরুষ) নারী তার যৌনকেশ সেভ করে রাখবে। (সহিহ বুখারী ৭খন্ড, বই নং- ৬২, হাদিস নং-১৭৩)”। এখানে যৌনকেশ সেভ করার বিষয়টি বাধ্যতামূলক, যা সুন্নতে মুয়াক্কাদা। নারী তার যৌনকেশ সেভ করার বিষয়েও স্বাধীনতা রাখে না।
২// সহিহ বুখারী ৭খন্ড, বই নং- ৩৮, ১৭৩ নং হাদিসে জাবির বিন আবদুল্লাহ হতে বর্ণিত- “আমি নবিজীর সাথে অভিযান থেকে ফিরছিলাম, আমার উটটি ছিলো রুগ্ন, ধীরগতি সম্পন্ন এবং সবার পেছনে। আমরা যখন মদিনার নিকটবর্তী তখন আমি তাড়াতাড়ি আমার বাড়ির পথ ধরছিলাম। নবীজী বললেন কোথায় যাচ্ছ? আমি বললাম- একজন বিধবাকে বিয়ে করেছি। শুনে তিনি বললেন- একজন কুমারী বিয়ে করলে না কেন? তাহলে তোমরা একে অপরের সাথে খেলতে পারতে”। এটি নিয়ে আমি ব্যাখ্যায় যেতে ঘৃন্যবোধ করছি। কারণ আমার মা, বোন এবং প্রেয়সীসহ শ্রদ্ধাশীল অনেক মানুষই নারীর অন্তর্ভূক্ত।
৩// পুরুষের যৌন লালসাজনিত পাপ থেকে মুক্তির জন্য নারীর বাধ্যতার বিষয়ে একটি হাদিস উল্লেখ করছি। “নবীজী রাস্তায় একজন রূপসী নারীর সাক্ষাত পেলেন এবং সাথে সাথে স্ত্রী জয়নবের কাছে গেলেন। জয়নব তখন একটি চামড়া ট্যান করছিলেন। সঙ্গম শেষে নবীজী এলেন এবং বললেন- সাক্ষাত শয়তান নারী রূপে আমার সামনে এলো। সুতরাং তোমরা কেউ যদি এরূপ রমনীর সামনে পড়ো তবে সাথে সাথে স্ত্রীর কাছে যাবে এবং বীজ ক্ষেপন করবে। এভাবেই যৌণ মন্ত্রনা থেকে নিভৃতি পাওয়া সম্ভব। (সহীহ মুসলিম বই নং ৮, হাদিস নং ৩২৪০”)। পাঠক, নিশ্চয় সঙ্গম একটি দীর্ঘ বিষয়। মিলনপূর্ব রতিক্রিয়ার বিষয়টি তারই প্রমান। মুহম্মদ যখন জয়নবের কাছে যায় তখন জয়নব মোটেও সঙ্গমের জন্য প্রস্তুত ছিলো না। কারণ সে তখন চামড়া ট্যান করছিলো। অপরদিকে মুহম্মদ তখন বীর্যস্থলনের চরম মূহুর্তে অবস্থান করছিলেন। এমতাবস্থায় খুবই সংক্ষেপে মুহম্মদ তার ক্রিয়া সম্পাদন করে। যেখানে জয়নবের চাহিদার প্রতি সম্মান প্রদর্শনের কোয়র্টার সেকেন্ড সময়ও ছিলো না বললেই চলে।
৪// যৌন তৃপ্তির বিষয়ে পুরুষের স্বেচ্চারিতার স্বীকৃতির নগ্নতা দেখি এবার। “সহীহ মুসলিম ৮ নং বই’র, ৩২৪০ নং হাদিসে উবে ইবনে কাব’র বর্ণনায়- আমি একজন লোক সম্পর্কে নবীজীকে জিজ্ঞেস করি, লোকটি তার স্ত্রীর চরম তৃপ্তির আগেই সঙ্গম শেষ করে উঠে পড়তো। এ বিষয়ে আপনার মত কি? জবাবে নবীজী বললেন, তার স্ত্রীর উচিত যৌনাঙ্গ থেকে নি:সৃত রস ধুয়ে ফেলা এবং অযু করে নামাজ আদায় করা।” ছি: কি বিশ্রী যৌনাচারের চর্চা ইসলামে!!
পুরো কোরআন এবং হাদিসের খন্ডগুলো ভ্রমণ করলে এমন হাজারো নোংরা, নির্মম কথা আমাদের শুনতে হবে। ইসলামের যারা ধর্ম বিশারদ (ইসলাম বিশ্বাসী) তারা কখনোই এগুলো নিয়ে আলোচনা করেন না। বরঙ নিজে নিজে পড়ে স্বীয় স্ত্রীর উপর তার প্রয়োগেই ব্যস্ত থাকেন। নিজ কন্যাদিগকের প্রতিও তারা একই মনোভাব পোষন করে।
আমার জন্মের পর যে বিশ্বাসের দলিল হাতে পাই তা হলো ইসলাম। ইসলাম একটি ধর্মের নাম। এ ধর্মের অনুসারীরা এটাকে একটি পূর্ণাঙ্গ নির্ভুল জীবন ব্যবস্থা হিসেবে স্বীকৃতি দিতে পছন্দ করে। ইসলাম ধর্মের অনুসারীর ঔরসজাত হয়ে আমি ছোটবেলা থেকে ইসলাম ধর্ম বিষয়ে জ্ঞানলাভ করার সুযোগ বেশি পেয়েছি যা অন্য ধর্ম নিয়ে পারিনি। এই লেখাটা ইসলাম ধর্মের আলোকেই লেখা। তবে উপাসনার ভিন্নতা থাকলেও নিয়ন্ত্রন তন্ত্রে সব ধর্মের প্রকাশই প্রায়ই একই রকম।
সমাজে বসবাস করার জন্য নারী এবং পুরুষের সম্পর্ককে একটি সামাজিক রূপ দিতে হয়। তা দেয়ার জন্য প্রয়োজন একটি দৃশ্যমান বন্ধন সূত্রতা। এই সূত্রতার সামাজিক প্রকাশ বিয়ে। আমরা আধুনিক হতে হতে অনেককাল আগ থেকেই বিবাহপূর্ব সহনীয় সম্পর্কেও অভ্যস্থ হয়ে গেছি। যাকে আমরা প্রচলিত অর্থে প্রেমের সম্পর্ক বলে থাকি। শাব্দিক বা আক্ষরিক অর্থে প্রেমের ব্যপ্তি বা শক্তি অনেক সমৃদ্ধ। বিবাহ বা বিবাহপূর্ব সম্পর্ক যাই বলি না কেন, পক্ষ কিন্তু দুইটা। নারী এবং পুরুষ। নারী এবং পুরুষের এই সম্পর্কে যৌনতার শক্তিশালী অবস্থান অনেক প্রতিকূলতা সত্ত্বেও ভারসাম্যহীন হলেও উভয় পক্ষের জন্যই লোভনী এবং সুখকর হয়ে থাকে। তবে সে সুখ যে ভারসাম্যহীন, তাতে কোন সন্দেহ নেই। ইসলামের আলোকে নারী এবং পুরুষের সহাস্থানের বাস্তবিক বিধান ও প্র্যাকটিকাল আচার দেখলেই বোঝা যাবে এ ধরনের সম্পর্কের গাঢ়তা, স্থায়িত্ব এবং প্রেমজ অস্তিত্ব কতটুকু সুখকর।
ধর্মীয় রীতি মেনে বিয়ে করতে গেলে একটি মেয়ে পর্যাপ্ত যাচাই বাচাই করে তার কাংখিত পুরুষ বেছে নিতে পারে না। বাছাই পক্রিয়ায় একটি মেয়েকে যে যে বিষয়ে লক্ষ্য রাখতে হয়, (যেমন- পুরুষটির আকার-আকৃতি, রুচি, চলন-বলন, মনস্তাত্বিক-দর্শনভিত্তিক বৈশিষ্ট এবং সর্বোপরি যৌন বিষয়াদি) তা রাখার বিষয়ে ইসলামের কঠোরতা খুবই নির্মম। এক্ষেত্রে নারীকে দেখতে হয় প্রস্তাবিত পুরুষটির আর্থিক সঙ্গতি এবং পুরুষ দেখে ওই নারীর শারীরীক গড়ন (অর্থাৎ সে কতটুকু খেলতে পারবে)। অথচ এটিই পর্যাপ্ত নয়। কিন্তু এর বেশি যাওয়ার আগে একজন নারীকে “একাকী নির্জন স্থানে প্রাপ্তবয়স্ক নারী ও পুরুষের অবস্থান নিষিদ্ধ করে রাখার কারণ ও নাবালিকা কর্তৃক সাবালকের দেহ দর্শনে ধর্মীয় নিষেধ”র থাপ্পড় খেতে হয়।
সবকিছুর আগে ইসলাম নারীকে মানসিকভাবে দুর্বল করে রেখেছে কথিত আল্লাহ প্রদত্ত নিয়ম কানুন দিয়ে। ইসলামের ধর্মগ্রন্থ কোরআনে নারী এবং এতিম বিষয়ক সূরা আন্নিসার এমন কতো আয়াতে নারীর প্রতি রয়েছে অমানবিক হুঁশিয়ারি। বিশেষভাবে নারী ও এতিমের সূরায় বারবার পুরুষের শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষনা করা হয়েছে। পুরুষ কর্তৃক নারীকে পরিচালনার নামে কঠোরভারে নিয়ন্ত্রনের এই দলিলে নারীর মনস্তাত্বিক অস্তিত্বের কোন স্বীকৃতি নেই। “আর যদি তোমরা ভয় কর যে, এতিম মেয়েদের ব্যাপারে সুবিচার করতে পারবে না, তবে বিয়ে করে নাও অন্য নারীদের মধ্য থেকে যাকে তোমাদের মনপুত হয়- দুই, তিন কিংবা চারজন পর্যন্ত। কিন্তু যদি আশংকা কর যে, তাদের মধ্যে সুবিচার করতে পারবে না, তবে একজনকে অথবা তোমাদের স্বত্বাধীন ক্রীতদাসীকে। এতেই পক্ষপাতিত্বে জড়িত না হওয়ার সম্ভাবনা অধিক (সুরা আন্নিসা- আয়াত-৪)”। প্রথমেই বলি এই আয়াতের আগের এবং পরের ক’টি আয়াত কয়েকবার পড়ার পরও এর কথার বুনন অতটা শক্তিশালী বলে মনে হয় না। আয়াতের “কিন্তু যদি আশংকা কর যে, তাদের মধ্যে সুবিচার করতে পারবে না, তবে একজনকে অথবা তোমাদের স্বত্বাধীন ক্রীতদাসীকে” এই অংশটাকে পরিপূর্ণ মনে হয়নি। প্রথমের “ তবে বিয়ে করে নাও অন্য নারীদের মধ্য থেকে যাকে তোমাদের মনপুত হয়- দুই, তিন কিংবা চারজন পর্যন্ত” এবং শেষের দিকে “ক্রীতদাসী” বাক্য ও শব্দ দুটিতে চরম অবমাননাকর দৃশ্যের অবতারনা হয়েছে। এই সূরাটির পূর্ণাঙ্গ পাঠ শেষে দেখা যাবে পৃথিবীর সমস্ত সম্পদ পুরুষরা ভাগ করে নিবে। বিয়ে করার সময় তা থেকে কিছু অংশ দিয়ে একজন নারীকে কিনে নেবে। আবার দেনমোহরের এই প্রকাশকে দুর্নীতিগ্রস্থ করতে নারী কর্তৃক মওকূফেরও ইঙ্গিত দিয়েছে। এখনতো ভালো ঘরনীর প্রথম বৈশিষ্টই হচ্ছে স্বামীকে দেনমোহরের টাকা মওকূফ করে দেয়া। আমরা যে দৃষ্টিতে আমাদের মা’কে দেখি, সেই দৃষ্টিতে আমাদের মা অবশ্যই আমদের বাবার সঙ্গে সম্পর্কের পরিপূরক। কিন্তু যখন আমাদের সম্পদশালী বাবার দুই, তিন অথবা চারজন পর্যন্ত স্ত্রী গ্রহণের বৈধতা ইসলাম দেয় তখন আমাদের মায়ের অবস্থান নিশ্চয় অতটা সুখকর নয়। যাবতীয় সম্পদ কুক্ষিগত করে নারীকে বিবাহপূর্ব বা সামগ্রিক সম্পদ বঞ্চিত করে অত:পর তাকে দয়াবশত পুরুষ কর্তৃক ভিন্ন রমনীর সাথে ভাগাভাগি অবস্থান বা ক্রীতদাসীর নিশ্চয়তায় কোন যুক্তিযুক্ত মর্যাদা দান করা হয়েছে? ইসলাম স্বীকৃত প্রথম নারী বা তারও পরে বিবি খাদিজা, আয়েশা, ফাতেমাসহ অন্যান্য নবী ঘনিষ্ঠ রমনীগণের ধারাবাহিকতায় আমার মাও বিশ্বাস করতে শিখেছে যে, পতি সেবার মাঝে স্বর্গলাভের বোনাস পয়েন্ট নিহিত।
সুরা আন্নিসায় নারী অবমাননার আরেকটি আয়াত উল্লেখ করা যেতে পারে। “আর যদি তোমরা এক স্ত্রীর স্থলে অন্য স্ত্রী পরিবর্তন করতে ইচ্ছা কর এবং তাদের একজনকে প্রচুর অর্থও দিয়ে থাক তবুও তা থেকে কিছুই ফেরত গ্রহণ তর না। তোমরা কি তা গ্রহণ করবে মিথ্যা, অপবাদ ও প্রকাশ্য পাপাচারের মাধ্যমে? (সুরা আন্নিসা- আয়াত-২০)”। এখানেও সমস্ত সম্পত্তিতে পুরুষের দাপট ঘোষনা এবং নারী জীবনকে অর্থ দিয়ে বেচা কেনার বৈধতা দেয়া হয়েছে।
শুরুতেই ইসলাম কর্তৃক নারীকে মানসিকভাবে দুর্বল করে রেখেছে। বিবাহের পরও কিভাবে নারীকে অবস্থানগতভাবে পতিত করা যায়, সে বিষয়ে কোরআন এবং হাদীসে পুরুষের পক্ষে চওড়া পথ দেখানো আছে। সে পথে নারী দেহের কোমলতা, উষ্ণতা এবং বিশেষত স্তন, নিতম্ব, যৌনাঙ্গের বিশেষ আয়েসের সুযোগ নিয়ে পুরুষের বীর্যক্ষেপনের সুড়ঙ্গ অথবা তৎসম্পর্কীয় সুখের নিশ্চিন্ত আবাস বানানো হয়েছে। এক্ষেত্রে নারীর ভিন্নপথ অবলম্বলনের সুযোগ না দেয়ার জন্য জন্মলব্ধ বিশ্বাসের দুর্বলতায় তাকে বুঝানো হয়েছে - “তোমাদেরকে পুরুষের তুলনায় অপেক্ষাকৃত কম বুদ্ধি দিয়ে তৈরি করা হয়েছে।” এখানে সূরা আন্নিসার একটি আয়াত উল্লেখ করা যেতে পারে। “পুরুষেরা নারীর উপর কর্তৃত্বশীল, কারণ আল্লাহ তাদের কতককে কতকের উপর শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছেন এবং পুরুষেরা নিজেদের অর্থ ব্যয় করে। সুতরাং পূণ্যবতী নারীরা অনুগত হয় এবং লোকচক্ষুর অন্তরালে তার (নিজ দেহ) হিফাজত করে আল্লাহর হিফাজত অনুসারে। স্ত্রীদের মধ্যে তোমরা যাদের অবাধ্যতার আশংকা কর তাদের সদুপদেশ দাও, তারপর তাদের একাকীনী ত্যাগ কর তাদের শয্যায়, শেষে তাদের প্রহার কর। এত যদি তারা তোমাদের বাধ্য হয়ে যায় তবে তাদের ব্যাপারে অন্য কোন পথ (তালাক) তালাশ করো না। নিশ্চয় আল্লাহ আল্লাহ উচ্চ মর্যাদাশীল, মহান। (সুরা আন্নিসা, আয়াত-৩৪)”। এখানে প্রথমেই পুরুষেরা নিজেদের অর্থ ব্যয় করার যুক্তিতে তাদেরকে শ্রেষ্ঠত্ব দান করার বিষয়টি খুবই হাস্যকর। ধর্মগ্রন্থে পুরুষের সম নারীকে অর্থ উপার্যনের বৈধতা প্রদান না করার বিষয়টিই একধরনের মনস্তাত্বিক মার। এই আয়াতাংশ পড়ার পর ইসলাম বিশ্বাসী একজন নারী সুযোগ থাকা সত্ত্বেও অর্থ উপার্যনে যাবেন না। কারণ অর্থ উপার্জন এবং ব্যয়ে পুরুষের একক অধিকার স্রষ্টা প্রদত্ত। পরের অংশে এসে ধারাবাহিকভাবেই নারীদেহকে একটি সংবেদনশীল স্থানে রূপান্তরিত করে তার হেফাজতের কথা বলা হচ্ছে। এখানের মতো পুরো কোরআনের নারী বিষয়ক আয়াতগুলোতে অর্থ=নারী, ক্রীতদাসী=নারী, নিয়ন্ত্রন=নারী, স্বর্গসুখ=নারী ইত্যাদি রূপে প্রকাশ করা হয়েছে। নারীর পাশে অবস্থানকৃত শব্দসমূহের ঐরূপ অবস্থান অবশ্যই দৃষ্টিকটু। অত:পর সংসার জীবনে নারীর নিয়ন্ত্রন বিষয়ে এসে শাস্তি স্বরূপ সদুপোদেশ পরবর্তী একাকী শয্যাবস্থানে বাধ্য করার কথা বলা হয়েছে। এখানে এসেই যায়গামতো কোপ মারা হয়েছে। “পুরুষ ব্যতিত নারীর বসবাস কষ্টসাধ্য” এবং “শাস্তি স্বরূপ” এমন ভাব প্রকাশ করার জন্যই এই কথাগুলোর সৃষ্টি। কিন্তু এখানে যদি অন্য কোন শাস্তির বিধান রাখা হতো, (যেমন- ঘরের আলো নিভিয়ে রাখা, একসাথে বসে খাদ্যগ্রহণে বিরত থাকা ইদ্যাদি) তবে নারী সেভাবেই অভ্যস্ত হতো এবং ঐধরনের ক্রিয়ালাপে ভয় পেতো। এখানে নারীকে পুরুষ নির্ভরশীলতার আওতায় আনা হয়েছে খুবই নোংরাভাবে। ইসলাম ধর্মে বিশ্বাসী রমনীগণের দীর্ঘ পাঠসূত্রতা এবং ব্যাখ্যাসূত্রে শ্রবন পরবর্তী মান্যতার ধারাবাহিকতায় একাকী শয্যাগমন হেতু যৌনসুখ বঞ্চিত হওয়ার দৃশ্যপটে পুরুষের বীর্যে নারীর জন্ম স্বার্থকতার যে চিত্রনাট্য তৈরি হয়েছে তাতে করে সংসারে আমাদের মা কখনোই বাবার পরিপূরক নয় বরং অনেকগুলো যোগানের মধ্যে একটি যোগান হতে পারে। আয়াতটির শেষ পর্যায়ে এসে পুরুষের পক্ষে অর্থদানের বিনিময়ে বিচ্ছেদের পথ খোলা রাখা হয়েছে। ধর্ম বিধানে এই বিচ্ছেদের পথ খোলা রাখাকে একধরনের স্বাধীনতা বলা হচ্ছে, যদিও তা পুরোপুরিই পুরুষের পক্ষে। একজন নারীকে অর্থ উপার্জনের বৈধতা না দেয়া, (এখানে এসে বর্তমানে কিছু কিছু আলেম অর্থ উপার্জনের বৈধতার কথা বলে থাকেন। যেমন খাদিজার ব্যবসার কথা টানেন। কিন্তু যখন এই আয়াতের প্রয়োজনীয়তার কথা টানা হয় তখন আল্লাহর উপর দায়ভার দিয়ে ক্ষান্ত হন) পুরোপুরি পুরুষের কর্তৃত্বে রেখে, সামগ্রিক সহাবস্থানে পুরুষের রতিসুখ অথবা ভোজন প্রণালীর কারিগর বানিয়ে তারপর আবার অবাধ্যতার সূত্রতায় অর্থ মাধ্যমে ত্যাগী হতে নারীকেই বাধ্য করা হচ্ছে। নির্মমতার উৎকৃষ্ট উদাহরণ আর কি হতে পারে?
যৌনতার বিষয়ে নারীর অবস্থানের বর্ণনায় কিছু হাদিসের দিকে নজর বুলায়-
১// “দীর্ঘ ভ্রমন শেষে ঘরে ফিরলে (পুরুষ) নারী তার যৌনকেশ সেভ করে রাখবে। (সহিহ বুখারী ৭খন্ড, বই নং- ৬২, হাদিস নং-১৭৩)”। এখানে যৌনকেশ সেভ করার বিষয়টি বাধ্যতামূলক, যা সুন্নতে মুয়াক্কাদা। নারী তার যৌনকেশ সেভ করার বিষয়েও স্বাধীনতা রাখে না।
২// সহিহ বুখারী ৭খন্ড, বই নং- ৩৮, ১৭৩ নং হাদিসে জাবির বিন আবদুল্লাহ হতে বর্ণিত- “আমি নবিজীর সাথে অভিযান থেকে ফিরছিলাম, আমার উটটি ছিলো রুগ্ন, ধীরগতি সম্পন্ন এবং সবার পেছনে। আমরা যখন মদিনার নিকটবর্তী তখন আমি তাড়াতাড়ি আমার বাড়ির পথ ধরছিলাম। নবীজী বললেন কোথায় যাচ্ছ? আমি বললাম- একজন বিধবাকে বিয়ে করেছি। শুনে তিনি বললেন- একজন কুমারী বিয়ে করলে না কেন? তাহলে তোমরা একে অপরের সাথে খেলতে পারতে”। এটি নিয়ে আমি ব্যাখ্যায় যেতে ঘৃন্যবোধ করছি। কারণ আমার মা, বোন এবং প্রেয়সীসহ শ্রদ্ধাশীল অনেক মানুষই নারীর অন্তর্ভূক্ত।
৩// পুরুষের যৌন লালসাজনিত পাপ থেকে মুক্তির জন্য নারীর বাধ্যতার বিষয়ে একটি হাদিস উল্লেখ করছি। “নবীজী রাস্তায় একজন রূপসী নারীর সাক্ষাত পেলেন এবং সাথে সাথে স্ত্রী জয়নবের কাছে গেলেন। জয়নব তখন একটি চামড়া ট্যান করছিলেন। সঙ্গম শেষে নবীজী এলেন এবং বললেন- সাক্ষাত শয়তান নারী রূপে আমার সামনে এলো। সুতরাং তোমরা কেউ যদি এরূপ রমনীর সামনে পড়ো তবে সাথে সাথে স্ত্রীর কাছে যাবে এবং বীজ ক্ষেপন করবে। এভাবেই যৌণ মন্ত্রনা থেকে নিভৃতি পাওয়া সম্ভব। (সহীহ মুসলিম বই নং ৮, হাদিস নং ৩২৪০”)। পাঠক, নিশ্চয় সঙ্গম একটি দীর্ঘ বিষয়। মিলনপূর্ব রতিক্রিয়ার বিষয়টি তারই প্রমান। মুহম্মদ যখন জয়নবের কাছে যায় তখন জয়নব মোটেও সঙ্গমের জন্য প্রস্তুত ছিলো না। কারণ সে তখন চামড়া ট্যান করছিলো। অপরদিকে মুহম্মদ তখন বীর্যস্থলনের চরম মূহুর্তে অবস্থান করছিলেন। এমতাবস্থায় খুবই সংক্ষেপে মুহম্মদ তার ক্রিয়া সম্পাদন করে। যেখানে জয়নবের চাহিদার প্রতি সম্মান প্রদর্শনের কোয়র্টার সেকেন্ড সময়ও ছিলো না বললেই চলে।
৪// যৌন তৃপ্তির বিষয়ে পুরুষের স্বেচ্চারিতার স্বীকৃতির নগ্নতা দেখি এবার। “সহীহ মুসলিম ৮ নং বই’র, ৩২৪০ নং হাদিসে উবে ইবনে কাব’র বর্ণনায়- আমি একজন লোক সম্পর্কে নবীজীকে জিজ্ঞেস করি, লোকটি তার স্ত্রীর চরম তৃপ্তির আগেই সঙ্গম শেষ করে উঠে পড়তো। এ বিষয়ে আপনার মত কি? জবাবে নবীজী বললেন, তার স্ত্রীর উচিত যৌনাঙ্গ থেকে নি:সৃত রস ধুয়ে ফেলা এবং অযু করে নামাজ আদায় করা।” ছি: কি বিশ্রী যৌনাচারের চর্চা ইসলামে!!
পুরো কোরআন এবং হাদিসের খন্ডগুলো ভ্রমণ করলে এমন হাজারো নোংরা, নির্মম কথা আমাদের শুনতে হবে। ইসলামের যারা ধর্ম বিশারদ (ইসলাম বিশ্বাসী) তারা কখনোই এগুলো নিয়ে আলোচনা করেন না। বরঙ নিজে নিজে পড়ে স্বীয় স্ত্রীর উপর তার প্রয়োগেই ব্যস্ত থাকেন। নিজ কন্যাদিগকের প্রতিও তারা একই মনোভাব পোষন করে।
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সকাল ১১:২০
সবাক বলেছেন:
আমি পুরো বিষয়টিতে নিজস্ব চিন্তাভাবনার প্রকাশ করতে চাইছি।
এটি পরীক্ষামূলক।
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
২| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সকাল ১১:১৩
ইসমাইল ইমু বলেছেন: ইসলামকে এভাবে কটাক্ষ করবেন না। এই মতবাদ ই বিশ্বে প্রথম নারীকে সবচেয়ে বেশী মর্যাদা দেয়। আরেকটা কথা, ফুল থেকে কেউ মধু আহরণ করে; কেউবা বিষ গ্রহণ করে।
ধন্যবাদ আপনাকে------
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সকাল ১১:২১
সবাক বলেছেন:
হ্যাঁ... আমার লেখাতেও ইসলামী মর্যাদার (!!??) প্রমান আছে এবং থাকবে।
৩| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সকাল ১১:২১
আমি তান্ত্রিক বলেছেন: @ইসমাইল ইমু,
"এই মতবাদ ই বিশ্বে প্রথম নারীকে সবচেয়ে বেশী মর্যাদা দেয়। "
প্রমান করতে পারবেন? কিসের প্রমানে এই কথা বললেন?
কোন রেফারেন্স?
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সকাল ১১:৫৩
সবাক বলেছেন:
ইসমাইল ইমু তো পূর্বপুরুষদের ধার করা কথা বলতে শিখেছে, রেফারেন্সতো বাবা দাদা ইত্যাদি...
৪| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সকাল ১১:২৯
বৃত্তবন্দী বলেছেন: কঠিন লেখা হইছে...
চালাইয়া যান...
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সকাল ১১:৪১
সবাক বলেছেন: হুমম
ভালো থাকেন। আগামী পর্বগুলো পড়বেন আশা করি।
৫| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সকাল ১১:৩১
সত্যের মত বদমাশ বলেছেন: সবাক'দা,
আমি এসেছিলাম।
কিন্তু কোন মন্তব্য করতে ইচ্ছা হলোনা।
আপনি ভালো...?
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সকাল ১১:৪৫
সবাক বলেছেন: হ্যাঁ আমি ভালো আছি..
আপনিও ভালো থাকুন
৬| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সকাল ১১:৪৪
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: ভালো লেখা। খুব দরকার এরকম লেখা। চালিয়ে যান।
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সকাল ১১:৪৭
সবাক বলেছেন: ধন্যবাদ শামীম ভাই....
ভালো থাকুন
৭| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সকাল ১১:৪৮
ভাঙ্গন বলেছেন: বাজারি ধরনের উস্কানিমূলক লেখা।
একপেশে...স্বব্যাখ্যাত...
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সকাল ১১:৫০
সবাক বলেছেন: বাজারি==>> উস্কানি===>> একপেশে===>> স্বব্যাখ্যাত
৮| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সকাল ১১:৪৯
বেতাল বলেছেন: ভালো লেখা। আশা করি, আমাদের মতন সাধারণ মানুষদের অনেক কিছুই জানার রয়েছে। ব্লগার যারা নারী তাদের বিশেষভাবে পড়ার জন্য অনুরোধ করা গেল।
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সকাল ১১:৫২
সবাক বলেছেন: খুবই ভাল মন্তব্য।
ভালো থাকুন//বেতাল থাকুন
৯| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ১২:০১
এস্কিমো বলেছেন: উপসংহার:-
বরঙ নিজে নিজে পড়ে স্বীয় স্ত্রীর উপর তার প্রয়োগেই ব্যস্ত থাকেন। নিজ কন্যাদিগকের প্রতিও তারা একই মনোভাব পোষন করে।
দারুন। ভাল লাগলো। এই ধরনের একটা উপসংহার না দিলে আপনার গবেষনাটাই মাটি হয়ে যেত। আরো লিখুন।
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ১২:১২
সবাক বলেছেন: ধন্যবাদ এক্সিমো...
অনেকদিন পর আপনার আগমন সুখকর হলো।
১০| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ১২:২৬
কলুর বলদ বলেছেন: চলুক..............
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ২:০০
সবাক বলেছেন: চলবে
১১| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ১:২৯
নাজিরুল হক বলেছেন: নারী বাদি বিশ্লেষন মনে হইলো। ভালো চালায়া যান।
আপনার উচিৎ অন্যাণ্য ধর্ম সম্মন্ধে আরো ধারনা নেয়া। একটা কথার জবাব দিন তো। বর্তমান বিশ্বে কোন ধর্মটা সমাজকে বেশী সম্মৃদ্ধ করেছে? নারীর ক্ষেত্রেও কোন ধর্মটা বেশী মর্যাদা দিয়েছে?
লিভ টুগেদার বা তসলিমা নাসরীনের মতবাদে নারীর অধিকারে বিশ্বাসী হইলে আর কিছু কওয়ার নাই।
আরো একটা সাওয়াল রইলো, ইসলাম আবির্ভাবের পূর্বে কোন ধর্মে বা সমাজে নারীকে ইসলামের চেয়েও বেশী মর্যাদা দেয়া হয়েছে? রেফারেন্স সহ উল্লেখ করলে বহুত গেনি হতে পারতাম।
যাই হোক, কোন একটা বিষয়ে ভিন্ন মত পোষন করলে সেটার পক্ষে অর্থাৎ নিজের মত ব্যাক্ত করতে হয় যুক্তির পক্ষে।
স্বপক্ষের মতবাদটা এই রকম হইতে পারে:
আপনার পোস্টের আলোচনার প্রেক্ষিতে নারীর ইজ্জত বিষয়ক নতুন আইডিয়াটা এই রকম হতে পারে।
১/ বিয়ে করার আগে নারী-পুরুষকে একসাথে সহাবস্তান করতে দেয়া উচিৎ যাতে করে ভার্জিনিটি ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক বিষয় সম্মন্ধে ধারনা নেয়া যায়।
২/ কেউ বউকে যৌন তৃপ্তি না দিতে পারলে তাকে স্বাধীনতা দেয়া উচিৎ কোন কৃত্রিম উপায়ে বা অন্য পুরুষের সাথে সঙ্গম করে নিজের তৃপ্তি মেটানো।
৩/ স্বামী স্ত্রী উভয়কেউ দুই মাস আগে থেকে সঙ্গম করার প্রস্তুতি নিতে হইবে। কারন হঠাৎ একজনের উত্বেজনা হইলে আরেকজনের নাও হইতে পারে। টাইম দিয়া দিলে আগেই উভয়ে ই উত্বেজনা ফিল করবে সময় মত।
আরো বহুত আইডিয়া উল্লেখ করা যায় কিন্তু সেই গুলি লেখকের নিজ কলমে দিলে বেশী গ্রহন যোগ্য হইবে।
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৪:২৭
সবাক বলেছেন: ওহ....
আমিতো ভেবেছিলাম পরে এসে আবার কমেন্টটি মুছে দেয়ার অনুরোধ করবেন। তাই জবাব দিতে দেরী হলো।
আপনি বোঝাতে চাচ্ছেন যে অনেকগুলো মন্দের মধ্যে আপনার ইসলাম ধর্মটি মন্দেরই ভালো। অর্থাৎ একটি শাশ্বত জীবনব্যবস্থাও মন্দের উর্দ্ধে নয়। কিন্তু এমনটি কেন?? বিষয়টি কি রহিমের চাইতে তুলনামূলকভাবে করিমের ভালো থাকার মতো?? নইলে অন্য ধর্মের সাথে তুলনা আসবে কেন??
আপনার দেয়া আইডিয়াগুলো ==========>>
১. নারীর ভার্জিনিটি যে পুরুষের প্রথম ভোগের জন্য খুবই সুখকর তা ইসলামই শিক্ষা দেয়। যা আমার পোস্টের একটি হাদিসের দিকে তাকালেই বুঝা যাবে।
২. মূল বিষয়টিকে এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। এখানে অন্যের চাহিদার প্রতি সম্মানের কথা বলা হয়েছে। অক্ষমতার কথা নয়।
৩. আপনার ৩নং আইডয়ায় এসে খুব বালখিল্যতার পরিচয় দিয়েছেন। দু'মাস আগ থেকে যেমন আপনি প্রস্তুতি নিবেন না, ঠিক তেমনি রান্নাঘর থেকে বৌকে টেনে নিয়ে বৌয়ের কাপড় উঁচিয়ে প্যান্টের জিপার খুলেও শুরু করবেন না। তাই নয় কি??
আপনার কাছে আরো আইডিয়া থাকলে ছাড়ুন।
ধন্যবাদ, ভালো থাকুন।
১২| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ২:১৮
ভন্ডপির বলেছেন: মজা পাইলাম। লিখে যান।
মুসলিমদের একটাই কথা : "ইসলামের আগে কোন ধর্ম এইটা করসে?" আরে ভাই ইসলাম ১৪০০ আগের ধর্ম। "আমার দাদার আগে কোন ব্যাটা প্লেনে চড়সে" বইলা চিল্লাইলে কি প্রমান হয়?
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৪:৩৭
সবাক বলেছেন: থ্যাংক্যু
১৩| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ২:২২
নিকো৮১২৩ বলেছেন: আপনার সব লেখার মত এটাও ভাল হয়েছে। তবে নামটা অন্য রকম হলে ভাল হতো। নামটা আক্রমনাত্মক। আক্রমণই উদ্দেশ্য হলেও উপস্থাপনাটা অন্য রকম হতে পারতো। আর আলোচনায় কিছু সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে যেগুলো পড়তে থাকলে হটাৎ মনে হবে জাম্প করে নেয়া সিদ্ধান্ত। বা পূর্ব ধারনার প্রকাশ। অর্থাৎ লেখার মধ্যে সিদ্ধান্তে আসবার ধাপগুলো ভালভাবে আসেনি। আমার মনে হয়েছে। আসলে লেখাটা আরও ভাল হতো বলে মনে হয়েছে। ভাল থাকবেন....আরও লেখবেন...
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৪:৪০
সবাক বলেছেন:
অনেক চিন্তা করার পর এই নাম দিয়েছি।
.... ইদানিং নাম সংকটে ভুগি।
লেখাটি দ্বিতীবার এখনো পড়িনি।
আরো ভালো লেখার চেষ্টা করবো.....
আপনাকে অনেকদিন পর দেখে ভালো লাগলো।
অনেক ভালো থাকুন
১৪| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ২:৪৭
রাজীব বলেছেন: আরো জানতে চাই। আলোচনা প্রয়োজন।
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৪:৪১
সবাক বলেছেন: পরবর্তী পর্ব আগামি রবিবার দেয়া হবে।
১৫| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৩:৩৯
কুচ্ছিত হাঁসের ছানা বলেছেন: উস্কানিমূলক পোস্ট। এ নিয়ে সা.ইনে. বহুত লেখালেখি হইছে। সেগুলি আগে পড়ে আসুন।
আপনার ধর্ম পালন করতে ইচ্ছে না করলে আপনি করবেন না,
যারা পালন করছে তাদের ধর্মানুভূতিতে কেন আঘাত করছেন?
আমি ধর্ম পালন করি, কারণ আমি বিশ্বাস করি। যদি ধর্ম মিথ্যাই হয়ে থাকে, তাতে তো আমার কোন ক্ষতি হচ্ছে না। আর সত্যি হয়ে থাকলে আমি বিশাল লাভ হচ্ছে।
আরেকটা কথা, নাস্তিকতা এখন একটা ফ্যাশন হয়ে দাঁড়িয়েছে। দুই একটা রেফারেন্স মুখস্ত করে, কুরআন হাদীসের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে মুই কি হনু রে ভাব!
আজাইরা।
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৪:৪৪
সবাক বলেছেন:
কুচ্ছিত হাঁসের ছানা বলেছেন===>>
আপনার ধর্ম পালন করতে ইচ্ছে না করলে আপনি করবেন না,
যারা পালন করছে তাদের ধর্মানুভূতিতে কেন আঘাত করছেন?
=================
কিন্তু আপনিও যে আমার অনুভূতিতে আঘাত হানলেন!!!!!
কুচ্ছিত হাঁসের ছানা বলেছেন===>>
আরেকটা কথা, নাস্তিকতা এখন একটা ফ্যাশন হয়ে দাঁড়িয়েছে। দুই একটা রেফারেন্স মুখস্ত করে, কুরআন হাদীসের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে মুই কি হনু রে ভাব!
আমার ফ্যাশনে আপনার সমস্যা কি?? গায়ের চামড়া এত হালকা কেন?? একটু বললেই আগুন লাগে???
ইসলাম কৈছে হেয় হৈলো শান্তির ধর্ম......... মুসলমানরা তোমরা শান্ত থাকো।
১৬| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৪:৫৪
সত্যান্বেষী বলেছেন: আমার দু:খ যে এই গুরুত্বপূর্ণ পোস্টটি আজকে মাত্র পড়লাম।
ইসলামের নানা বিভৎসতার এটি একটি দিক মাত্র। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়:
নারীকে আপাদমস্তক আব্রুতে ঢাকার ধর্ম প্রদর্শিত যৌক্তিকতা হলো পুরুষের কামভাব জাগ্রত না হওয়া। এখানে নারীকে আব্রুর খাচায় পুরেই ক্ষান্ত হয়নি ইসলাম। একবার ভাবুন পুরুষকে কি দৃষ্টিতে দেখা হলো?
পুরুষ মানে একটা যৌনসর্বস্ব জানোয়ার বিশেষ যে এমনটি নারীর একটি কেশাগ্র দেখলেও উত্থিত হয়ে পড়ে, তৎক্ষণাৎ ঝাপিয়ে পড়তে মন চায়। কোথায় প্রেম, কোথায় ভালবাসা। কেবল নারী দেখলেই সে কার্তিকের কুকুর হয়ে উঠে, মুখ দিয়ে অবিরল ঝরতে থাকে যৌনলালা। পুরুষের প্রতি ইসলামের এই দৃষ্টিভঙ্গিটি নিয়ে ভাবতে গেলে একজন পুরুষ হিসাবে আমি প্রচন্ড অপমানিত বোধ করি।
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:৩৭
সবাক বলেছেন: ধন্যবাদ সত্যান্বেষী...
আপনার বক্তব্য খুব ভালো লাগলো।
ভবিষ্যতে আরো বিস্তারিত আলোচনা হবে।
ভালো থাকুন।
১৭| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৪:৫৯
সত্যান্বেষী বলেছেন: দু:খিত পোস্টটির তারিখ দেখে বুঝলাম পোস্টটি আজই প্রকাশ পেয়েছে।
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ১:০৮
সবাক বলেছেন: ওকে
১৮| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ৮:২৪
নাজনীন খলিল বলেছেন: কুচ্ছিত হাঁসের ছানা বলেছেন: উস্কানিমূলক পোস্ট। এ নিয়ে সা.ইনে. বহুত লেখালেখি হইছে। সেগুলি আগে পড়ে আসুন।
আপনার ধর্ম পালন করতে ইচ্ছে না করলে আপনি করবেন না,
যারা পালন করছে তাদের ধর্মানুভূতিতে কেন আঘাত করছেন?
আমি ধর্ম পালন করি, কারণ আমি বিশ্বাস করি। যদি ধর্ম মিথ্যাই হয়ে থাকে, তাতে তো আমার কোন ক্ষতি হচ্ছে না। আর সত্যি হয়ে থাকলে আমি বিশাল লাভ হচ্ছে।
আরেকটা কথা, নাস্তিকতা এখন একটা ফ্যাশন হয়ে দাঁড়িয়েছে। দুই একটা রেফারেন্স মুখস্ত করে, কুরআন হাদীসের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে মুই কি হনু রে ভাব!
আজাইরা
@কুচ্ছিত হাঁসের ছানা
সত্য কথা নাস্তিকতা এখ্ন একটি ফ্যাশন--তাই আপনার কাছে সবাকের তুলে ধরা এই কুর আন- হাদীসের কথাগুলোর শুদ্ধ ব্যাখ্যাটা জানতে চাই।
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ১:১২
সবাক বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপু.........
খুউব ভালো থাকো।
১৯| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ৮:৪০
মেঘ বলেছেন: ভাইডি তসলিমা নাসরিন কে আমরা দেশ ছাড়া করছি। নিজে এ জীবনে বহুবার "তসলিমা" বলে গালি খেয়েছি।
ধর্ম মানুষরে শোষণের হাতিয়ার আর আবালদের গোয়ালে রাখার কারবার। ভাত খাই যেমন তেমন ধর্ম পালন করি। ভাত না খাইলে খারাপ লাগে, নামায না পড়লে খারাপ লাগে। আমার কথা খুব সহজ - সব ধর্মগ্রন্থ ব্যাডাইনরা লিখছে নিজেদের সুবিধার জন্য, নারীদের প্রজনন ক্ষমতাকে তাদের ব্যাপক ভয়। আল্লাহ যদি কোরআন পাঠাইয়াও খাকে আমরা ব্যাটারা তারে সুবিধামতো ব্যাখ্যা করছি।
কারও ক্ষতি করি না, যতটুকু পারি উপকার করি, সত পথে উপার্জন করে খাই, সম্পর্কের ক্ষেত্রেও বিশ্বস্ত, বয়স হইছে বিয়ে করছি, বিরাট বিপদে না পড়লে মিথ্যা বলি না - এইটা আমার ধর্ম। আমার চাইতে বড় ধার্মিক আর কেউ নাই বইলা আমার বিশ্বাস
আপনার লিখা ভালো হইছে যদিও গুরু (তসলিমা) এগুলা বইলা ব্যাপক বিপদে পড়ছে।
ব্যাডাইনরা নিজেদের স্বার্থে একজন নারী নবীও রাখে নাই। বৌদ্ধ ধর্মে নারীরা শ্রমণ হইতে পারে না। ক্রিশ্চান ধর্মে পাদ্রী নাই। হিন্দু ধর্মের কথা তো আর বলার কিছু নাই। কোটি কোটি দেবী কিন্তু নারীর সনাতন ধর্ম অনুযায়ী আদতে কোথাও কোন অধিকারই নেই।
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ১:১৩
সবাক বলেছেন: হ... আফনেই ঠিক
২০| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৩:৪২
নাজিরুল হক বলেছেন: আমি যে আইডিয়া গুলো দিয়েছি সেটা আপনার আলুচনার প্রেক্ষিতে দিলাম। এই আইডিয়া গুলো আপনার ই উল্লেখ করার দরকার আছিল।
যাই হোক। আপনি কিন্তু আমার সওয়ালের জওয়াব দেন নাই।
আমি আপনার সাথে বিতর্কে যাচ্ছি না। কারন যে কারো বিশ্বাসকে কে খন্ডন করতে অনেক বাক বিতন্ডা করতে হয়।
জন্ম থেকে আমি ইসলামে বিশ্বাসী। সুতরাং আমার বিশ্বাস নিয়ে আপনি কথা বললে আমি তো চেতবই। কিন্ত এই খানে আমি আপনার ভুল ধরা গুলো সাপোর্ট করেছি।
কথা হলো আপনি কোরআন বা হাদীসের প্রেক্ষিতে ইসলামে নারীর মর্যাদা নিয়ে আলোচনা করেছেন। ঠিকাছে এবার আপনি নিজের আইডিটা দিন যাতে নারীরা আরো বেশী মর্যাদা পায়। আপনার দেয়া আইডিয়াটা জেনেই তো আমি কমপেয়্যার করতে পারবো কোনটা ভালো বা ইসলাম এই ক্ষেত্রে সত্যিই ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ১২:৫২
সবাক বলেছেন:
আসলে আমি জানি আমার লেখায় কোন কোন উপাদান থাকাটা জরুরী। আমি আপনার আল্লাহ বা নবী নই যে আমি ধর্মগ্রন্থ প্রণয়ন করবো। কিন্তু অবশ্যই লেখায় এক ধরনের আইডিয়া থাকবে। সবেতো একটি পর্বের একাংশ প্রকাশিত হলো। সামনে অপেক্ষা করুন। আপনি প্রথম কমেন্টে অন্য ধর্মের সাথে ইসলামের কমপেয়ার করতে চেয়েছেন, এবার এসে আমার আইডিয়ার সাথে আপনার ধর্মের কমপেয়ার করতে চাচ্ছেন। আসলে, আপনার ইসলাম কেন অন্য কিছুর সাথে কমপেয়ার করার মতো অবস্থানে থাকে?????? তাকে নিয়ে তর্ক করা যায় কেন????? আপনার ধর্মে স্বচ্ছতা নেই কেন??????
২১| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:১৯
ফাতাহ্ বলেছেন: ইসলামতো খারাপ তাই না ?
আচ্ছা আগে নিজের নাম ইসলাম থেকে কাটেন।
পারলে বাপের নাম শুদ্ধা , তারপর আলোচনা করি....
১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ১২:১০
সবাক বলেছেন:
আপনি কিভাবে জানেন আপনার ইসলামে আমার নাম আছে???
সবাক কি ইসলামী নাম????
চামড়া এতো পাতলা ক্যান??
ফাউল
২২| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ৯:৫৫
ভালো-মানুষ বলেছেন: গুড জব।
যে াবালগুলি কয় নাস্তিকতা একন ফ্যাশন সেগুলি আসলেই াবাল।
১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ১২:১১
সবাক বলেছেন: গুড টক
২৩| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:৫৭
ভালো-মানুষ বলেছেন:
@নাজিরুল
আগে কও - ইসলামের বিরুদ্ধে যায় কিন্তুক নারীর রাইট দেয় এরম আইডিয়া মাইনা নিবা?
১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ১০:৪৪
সবাক বলেছেন: কেমতে কি???
২৪| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ৮:১০
এস্কিমো বলেছেন: ভালো-মানুষ বলেছেন: গুড জব।
যে াবালগুলি কয় নাস্তিকতা একন ফ্যাশন সেগুলি আসলেই াবাল।
১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ১২:১১
লেখক বলেছেন: গুড টক
১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ১০:৪৪
সবাক বলেছেন: আইচ্ছা.....
২৫| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ১০:৫৬
আরিফুর রহমান বলেছেন: কারো কারো এ পোস্টের বিষয়গুলি শুনতে খারাপ লাগলেও এতে এক বিন্দু মিথ্যা নেই।
কবে নতুন প্রজন্ম মুক্ত মন নিয়ে এই সহস্রাব্দ প্রাচীন গোঁড়ামির শেকল ভাঙতে পারবে!!
১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ১১:৩৬
সবাক বলেছেন: ধন্যবাদ আরিফুর.....
২৬| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ১১:৩৮
আরিফুর রহমান বলেছেন: টাইটেল বদল হয়েছে নাকি?
ভয় পেয়ে?
১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ১১:৪০
সবাক বলেছেন: না... কেমন সস্তা সস্তা লাগে......
হয়তো আবারো বদল হবে
একটা টাইটেল দিনতো ভালো দেখে.....
২৭| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ১২:৩৫
এস্কিমো বলেছেন: টাইটেল বদলানোয় একটু বিভ্রান্ত হলাম।
পরের পর্ব কই।
দশটা পর্ব লেখলে আপনার জন্যে একটা বিশেষ গিফট পাঠাবো।
এই ধরনের পর্ব ৭টা পর্যন্ত দেখেছি। আপনার জন্যে চ্যালেঞ্জ ১০টা।
অপেক্ষায় থাকলাম।
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ১২:৪০
সবাক বলেছেন:
১০পর্ব নাকি ১২ পর্ব লিখবো.... এই সংক্রান্ত ভাবনায় ছিলাম।
তবে আপনার গিঢট পেতে খুব দেরী হবে। কারণ আমাকে প্রচুর পড়তে হচ্ছে।
তবে ভাই কোরআন পাঠাইয়েন না..... ওটাতে এখন বিষম ক্লান্তি।
২৮| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ১২:৪৬
সবাক বলেছেন: আবারো শিরোণাম বদলালাম
২৯| ০৩ রা মার্চ, ২০০৯ বিকাল ৪:১৩
টিটো রহমান বলেছেন: দেরীতে পড়লাম...
দুর্দান্ত
মজা হল আমরা তধাকথিত মুসলমানরা প্রশ্ন তুলতেই ভয় পাই। আরে ব্যাটা আগে তো মানুষ তারপরই না ধর্ম!
এরা বলবে মানুষ আশরাফুল মাকলুকাত(সেরা জীব) অথচ আচরণ করবে দাসের মত।
আগে ধর্ম জানো তারপর পালন কর
বুঝি না ভাই....বিবেককে লুপ্ত করতেই বোধকরি আমরা ভালবাসি
৩০| ১৩ ই জুলাই, ২০০৯ দুপুর ২:৪৫
ইন্ঞ্জিনিয়ার বলেছেন: ভাল লিখেছেন। চালিয়ে যান। ২য় পর্ব কই?
৩১| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ ভোর ৬:০২
কালিদাস কবিয়াল বলেছেন: ''সভ্যতার বিকাশ বা তারও আগে যখন মানুষ অসভ্য ছিলো, তখনো দৈহিক গঠনে পুরুষ ছিলো অধিক সামর্থবান। আর মানুষের দৈহিক গঠন তার মনস্তাত্বিক বলয় সৃষ্টি করে। সে বলয় থেকে অপেক্ষাকৃত কম শক্তিশালী মানসিকভাবে দুর্বল থাকে।''
সবাক, এ বিষয়ে তোমার সাথে দ্বিমত পোষন করছি; আমি যদ্দুর জানি, সভ্যতার আদিতে পরিবার বা গোষ্ঠিগুলো ছিল মাতৃতান্ত্রিক। আর শরীর বিজ্ঞান মতে দৈহিকগঠনের দিক থেকে নারী-পুরুষ উভয়ই সমান সামর্থবান। দৈহিকগঠন যদি মনস্তাত্বিক দুর্লবলতার কারণ হয়, তবে শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী ডেমোক্রেসির গুরু- জন আব্রাহাম লিংকন সম্পর্কে কী বলবে? এ বিষয়ে হূমায়ূন আজাদ স্যারের 'নারী', ও রাহুল সাংকৃত্যায়নের 'ভোলগা থেকে গঙ্গা' পড়ে দেখতে পার। তাছাড়া বাংলাদেশের কিছু নৃ-তাত্ত্বিক গোষ্ঠি, যেমন- গারো সম্প্রদায়; যারা এখনো আদিম সমাজের কিছু ঐতিহ্য ধারণ করে, তাদের দিকে তাকালেই বুঝতে পারবে আদিম সমাজ ছিল মাতৃতান্ত্রিক।
তোমার কথাই ঠিক- প্রকৃতপক্ষে ইসলামের দৃষ্টিতে: নারী=শয়তান, নারী=গৃহপরিচায়িকা, নারী=শোষিত, নারী=অবলা, নারী= একতাল মাংসপিন্ড; নারী=যোনী, নারী=পুরুষের সেবাদাস, নারী=পরগাছা, নারী=অর্ধেক মানুষ। আর পুরুষ=প্রভু, পুরুষ=গৃহস্বামী, পুরুষ=শাষক, পুরুষ=শক্তিমান, পুরুষ=মন ও শরীল, পুরুষ=শিশ্ন ও বীর্জ, পুরুষ=প্রভু, পুরুষ=মানুষ। ইসলামে কখনোই নারী-পুরুষের সম-অধিকার স্বীকার করেনি এবং এ গোড়া ধার্মিক প্রতিষ্ঠান ভবিষ্যতেও তা স্বীকার করবে বলে মনে হয়না। আসলে ইসলাম নারীকে মানুষের স্বীকৃতিটুকুও দেয়নি।
একজন লেখককে লেখক হয়ে ওঠার জন্য যে নিগূঢ় দার্শনিক ও গভীর পর্যবেক্ষন সমৃদ্ধ চোখ থাকা দরকার, তা তোমার মাঝে স্পষ্ট দৃশ্যমান। তুমি এগিয়ে যাও আলোকবর্ষ দূরে, তোমার পথচলা দীর্ঘ হোক...
শুভকামনা।
৩২| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ দুপুর ১২:৫৭
র হাসান বলেছেন: প্লাস!
Free Bangladesh travel information
৩৩| ২৯ শে জুন, ২০১১ সকাল ১০:৫৮
ছাইরাছ হেলাল বলেছেন:
পরের পর্বগুলোর লিংক দিলে একটু ভাল হয় ।
২৯ শে জুন, ২০১১ দুপুর ১:২৫
সবাক বলেছেন: এ পর্বের পরের পর্ব সম্ভবত কর্তৃপক্ষ মুছে দিয়েছিলো। পরে আর এ বিষয়ে লেখা হয়নি। এখন আর লেখার ইচ্ছা নেই। ধর্ম নিয়ে আর কোন রকমের আগ্রহ এখন জন্মায় না। বিরক্ত লাগে।
৩৪| ২৯ শে জুন, ২০১১ দুপুর ২:০০
নীল বেদনা বলেছেন:
লেখক বলেছেন:
১০পর্ব নাকি ১২ পর্ব লিখবো.... এই সংক্রান্ত ভাবনায় ছিলাম।
তবে আপনার গিঢট পেতে খুব দেরী হবে। কারণ আমাকে প্রচুর পড়তে হচ্ছে।
... ধন্যবাদ এটা একটা ভাল কাজ হচ্ছে (রেফ: শরৎ চন্দ্র), চালিয়ে যাওয়ার উৎসাহ দিলাম।
নাজনীন খলিল বলেছেন:
@কুচ্ছিত হাঁসের ছানা
সত্য কথা নাস্তিকতা এখ্ন একটি ফ্যাশন--তাই আপনার কাছে সবাকের তুলে ধরা এই কুর আন- হাদীসের কথাগুলোর শুদ্ধ ব্যাখ্যাটা জানতে চাই।
..... কুচ্ছিত হাঁসের ছানা বলেছেন যে তার অনুভূতি আঘাতপ্রাপ্ত। এই সময়ে একজন মানুষকে যুক্তিপূর্ণ তাত্বিক আলোচনায় আহবান করা কিন্তু পিঠে ছোরা মারার পর একজন মানুষকে দ্বন্দ্ব যুদ্ধে আহবান করার মত। ইটস্ আনফেয়ার!
ভাই সবাক, ইসলামের সমালোচনা কিন্তু ইসলামের জন্মলগ্ন থেকেই শুরু হয়েছে। সে হিসেবে এই প্রক্রিয়ারও বয়স প্রায় ১৪০০ বছর। সুতরাং আপনি যা করছেন তা নতুন কিছু নয়। ভাষা বদলেছে কিন্তু ভাব একই রয়ে গেছে।
আপনার মতবাদের পূর্বসুরীরা রাসুলুল্লাহ (সা: ) কে শারিরীক আঘাতও করেছেছিল, সেই তুলনায় আপনিতো দিলেন মাত্র একটা পোষ্ট যাও কি না আবার একদেশদর্শী - এ আর এমন কি। আপনি আপনার পূর্বসূরী কুরাইশ বর্বরদের তুলনায় (যারা মেয়ে শিশুদের জ্যন্ত কবর দিত, মদ, মিথ্যা, অবিচার, ব্যাভিচার আর উদ্দাম উশৃঙ্খলতায় পৃথিবীকে নরক গুলজার বানিয়ে ছিল) তেমন কিছুই করেন নি।
আর আমি আমার পূর্বসুরী মোহাম্মদ (সা: ) এর অনুসরনে বলতে চাই আল্লাহ আপনাকে/ আপনাদেরকে হেদায়েত দান করুক, আমিন।
২৯ শে জুন, ২০১১ দুপুর ২:০৯
সবাক বলেছেন: আমি বুঝি না মক্তবে পড়া পোলাপান এসব পোস্টে কমেন্ট করার সাহস পায় কিভাবে!
আশ্চর্য!!
৩৫| ২৯ শে জুন, ২০১১ দুপুর ২:১৬
দু-পেয়ে গাধ বলেছেন: প্রতিদিন আপনার খাবারে ঔষধযুক্ত মাছি পড়ুক। -আমিন-
২৯ শে জুন, ২০১১ দুপুর ২:৪৬
সবাক বলেছেন: দোয়া কর্লেন, নাকি বদদোয়া দিলেন?!
৩৬| ২৯ শে জুন, ২০১১ দুপুর ২:৫৫
নীল বেদনা বলেছেন:
১৫ নং কমেন্টের জবাবে কুচ্ছিত হাঁসের ছানাকে লেখক বলেছেন:
আমার ফ্যাশনে আপনার সমস্যা কি?? গায়ের চামড়া এত হালকা কেন?? একটু বললেই আগুন লাগে???
অন্যকে আঙ্গুল তোলেন কিন্তু নিজের দিকে ফেরানো আরো চারটার খবর কি রাখেন? আপনার প্রশ্ন আপনাকেই করলাম।
৩৪ নং কমেন্ট যে জায়গা বরাবর লাগছে তার প্রমান হলো আপনার এই াবাল মার্কা রিএ্যাকশান।
২৯ শে জুন, ২০১১ বিকাল ৩:০৯
সবাক বলেছেন: আপনি খুব ভালো বুঝেছেন। যায়গা মানে, একেবারে ভেতরে লাগছে, এবার খ্যামা দেন। আমার লেখায় কমেন্ট করার জন্য মক্তবের পোলাপান এলাও না। সামুতে মক্তবের পোলাপান শনাক্ত করার কোন টুল নাই বলে আপনাদের জন্য সিকিউরিটি গার্ডও রাখা যায় না। এ হইলো সমস্যা।
ইসলামের সবচেয়ে বড় কৃতিত্ব হলো ১৪০০ বছর ধরে গর্দভশ্রেনীর লোকজনকে একই প্লাটফর্মে এনে তাদেরকে চিহ্নিত করার প্রক্রিয়াটি সহজ করে দিয়েছে। কুরাইশরা মেয়ে শিশু জ্যন্ত পুঁতে ফেলতো, তাই খাদিজার মতো মহিলা ব্যবসা করতে পারতো। খাদিজার জন্ম মুহম্মদের জন্মের পর, তাই না?! নারীর অভাবে কুরাইশদের পুরুষরা বেবাক গে আছিলো, মুহম্মদের বাবা আবদুল্লাহও নিশ্চয় গে আছিলো, ঠিক কোন পুরুষের সাথে আবদুল্লাহর পিরিতীর ফলে মুহম্মদের জন্ম হয়েছে- এ টা আমার জানা নেই। আপনার জানা আছে বলেও মনে হয় না।
যারা আপনার মতো গৎবাঁধা পুথি পড়তে পছন্দ করে, আমি তাদেরকে মক্তবের পোলাপান বলি। এটা আমার অভ্যাস। এখানে রাগ করার কিছু নাই।
একটু সামলে...
৩৭| ২৯ শে জুন, ২০১১ বিকাল ৩:৪৫
নীল বেদনা বলেছেন:
আপনার মন্তব্যের প্রথম প্যারার পর আর আলোচনা চালানোর মত রুচী আমার নাই। আমার দিক থেকে আলোচনা এখানেই শেষ।
একটু সামলে...
বেসামাল মাতালের কাছে নিজেকে ছাড়া অন্যদের বেসামালই মনে হয়। তাই আমাকে সামলের পরামর্শ দিলেন। যদিও কারো কারো এটা পরামর্শের বদলে প্রচ্ছন্ন হূমকী বলে মনে হতে পারে। অবশ্য আমি এটাকে নিছক কুপরামর্শই মনে করছি কারন আপনি এমন কোন চেের াল না যে থ্রেট করবেন।
আমি আমার সীমা সম্পর্কে ভালভাবেই অবগত আর আমি সীমালঙ্ঘনও করি না। আমি নিজেকে যথেষ্ঠ সামলেই চলি। আপনে পারলে নিজের কথা নিজেরে জন্য প্রযোজ্য করে নিয়েন।
সবাকের সাথে নীলবেদনার যাবতীয় শত্রুতা, বন্ধুতা বা আরো যা যা কিছু আছে তা এখানেই শেষ করলাম।
ভাল থাকবেন।
২৯ শে জুন, ২০১১ বিকাল ৩:৫৪
সবাক বলেছেন: আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ, আমাকে মাফ করে দেয়ার জন্য।
৩৮| ২৯ শে জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:১৯
দু-পেয়ে গাধ বলেছেন: এখানে তো দেখি গরু-ছাগলের হাট বসে গেছে।
৩৯| ২৯ শে জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:২৪
দু-পেয়ে গাধ বলেছেন: এখানে তো দেখি গরু-ছাগলের হাট বসে গেছে।
দোয়া করলাম। নবী বলেছেনঃ-
মাছি যদি কোনো পাত্রে পড়ে তবে সেটি ভাল করে ডুবিয়ে দেবে। কারণ মাছির এক ডানায় রোগ থাকলে অন্য ড়ানায় থাকে রোগের প্রতিষেধক।
তাই ঔষধযুক্ত মাছি পড়াটা দোয়া।
'আপনার খাবারে ঔষধহীন মাছি পড়ুক' এইটা বদ দোয়া।
এটা নিয়ে জোর আলোচনা হয়েছে এখানে।
Click This Link
©somewhere in net ltd.
১|
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সকাল ১১:১১
দুরের পাখি বলেছেন: গবেষণার স্টাইল ভালো । তবে অনেক ক্ষেত্রেই সাবজেকটিভ অনুস্বিদ্ধান্ত টানার অভিযোগ আসবে বলে মনে হচ্ছে ।