নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি একটা নির্দিষ্ট গন্ডীর মাঝেইথাকতে চাই।।

সচেতনহ্যাপী

সচেতনহ্যাপী › বিস্তারিত পোস্টঃ

তথাকথিত গনতন্ত্র এবং সাধারন মানুষের রক্ত,আসলে আমরাই বোকা।।

০৮ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১:৫০

কেহই অস্বীকার করতে পারবে না যে মিসরীয় প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসী ক্ষমতায় এসেছিলো সে দেশের প্রথম free and fare নির্বাচনে ৫১%ভোটে জিতেই।।বাকী দলগুলি ৪৯% ভাগাভাগি।।(কোন ট্যাংকের নলের চড়ে নয়)।।সে দেশের সংবিধান মোতাবেক সেই legitimate প্রেসিডেন্ট।।কিন্তু এর বিপক্ষে যারা তারা বিশ্বাস করে রাজপথের সংবিধানে।।মুখে তাদের গনতন্ত্র,সংবিধান কিন্তু অন্তরে রাজপথব,তথা অশান্তি,মৃত্যুর মাঝেক্ষমতা দখল (আমাদের দেশের মতই)।।ফলাফল আরো রক্ত, আরো নীরিহ লোকের প্রানহানী।।তিউনিশিয়াতে ইন্নাহদা পার্টিও এই সমস্যায় জর্জরিত।।একই দৃশ্য দেখতে হচ্ছে আলজিরিয়া,লিবিয়াতেও।।প্রথমোক্ত দেশটিতে তো এই নিয়ে রীতিমত গৃহযুদ্ধ চলছে।।

পশ্চিমা দেশগুলির ভূমিকা এখানে রহস্যজনক।।দৃশ্যে মনে হচ্ছে যেন যেন তেন প্রকারেই হোক "তথাকথিত নেতা" আল বারাদেই কেই ক্ষমতায় আনা তাদের লক্ষ্য।।না হলে আমর মুসা।। আমেরিকার এ ব্যাপারে নিশ্চুপ থাকাটাও লক্ষ্যনীয়!!

এখন একটা বিরাট প্রশ্ন, যদি পপুলার প্রোটেষ্টের জনসমাগম দেখেই সেনাবাহিনী যদি সে দেশের নির্বাচিত সরকারের পতন ঘটাতে পারে তাহলে যদি পরবর্তিতে ক্ষমতা হারানো দলটি যদি আরো বড় সমাবেশের আয়োজন করে( করতেই পারে।।বলাবাহুল্য এটা অতীতের চেয়ে ছোট হবে না।।কারন তারা সংখ্যাগরিষ্টের ভোটে জিতই তো ক্ষমতায় এসেছিলো।।)তখন আজকের বিরোধী বা সেনাবাহিনী কি তাদের কাছে ক্ষমতা ফিরিয়ে দেবে??????????????

কাকতালীয়ভাবে লক্ষ্যনীয় বর্তমান বিশ্বে অশান্তি রক্তপাতের দদেশগুলির প্রায় ৯৯% ভাগ দেশই হচ্ছে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ট দেশ বা সরকার প্রধান।।(এই বক্তব্যের জন্য কেউ আবার দয়া করে "অন্যকিছু" খুজতে যেয়ে আমাকে আবার বিশেষ শ্রেনীর ট্যাগ মেরে দেবেন না যেন।।)এর ব্যাখ্যা কিন্তু খুজতে হবে আমাদেরই।।

আমরা শান্তির ধর্মের অনুসারী কিন্তু বাস্তবে তা পালনে প্রচন্ড অনীহা।।সেখানে ক্ষমতা,পদ এবং অর্থই মুখ্য।।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১:৫২

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: আমাদের দেশ এবং আমরাও কিন্তু এর বাহিরে নই।।

২| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৩:২০

পাঠক১৯৭১ বলেছেন: মোরসী যে সমস্যার সৃস্টি করেছে, তা আপনি বুঝতে পেরেছেন বলে আমার মনে হচ্ছে না।

আপনি বলছেন যে, মোরসী সংবিধানে বিশ্বাস করে, কোন সংবিধান? মোরসী যখন ক্ষমতায় যায়, হোসনী মোবারকের সংবিধান বিলুপ্ত করা ছিল; তা'হলে কোন সংবিধানে মোরসী বিশ্বাস করতো।

শান্তির ধর্ম শান্তি দেয়ার কথা মৃত্যুর পর।

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:২৭

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: আমি কিন্তু বোঝাতে চেয়েছি মিসরের প্রথম ফ্রি এ্যান্ড ফেয়ার নির্বাচনের কথা। আর যে কোন দেশে সরকার বদল হলে সিস্টেমেও বদল হয় এটাই স্বাভাবিক। মুরসী খুব তাড়াতাড়িই এই বদল চাইতে যেয়ে মুবারক আমলের দীর্ঘদিনের সুবিধাভোগীদের রোসানলে পড়ে। বিশেষ করে বিচার বিভাগকে সাইজ করতে যেয়ে।
তবে হয়তো আমার বোঝার ভুলও হতে পারে। ধন্যবাদ আপনাকে।

৩| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ ভোর ৪:২৮

পাঠক১৯৭১ বলেছেন: মোরসী ক্ষমতায় এসে নতুন সংবিধান রচনা করান, যেটাতে 'শরীয়া' আইনের কথা বলা হয়; তখন মোরসী নিজেই সমস্যায় পরিণত হয়।


সংবিধান রচনার সময় সে ডিক্রি দেয় যে, মিশর প্রেসিডেন্টের ইচ্ছায় চলবে সংবিধান গৃহিত হওয়ার পুর্ব অবধি; সেটাই ছিল মোরসীর জন্য কবর।

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:২৯

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: মিসরের কবেকার সংবিধানে ছিল বা আছে যে পেসিডেন্টের অনিচ্ছায় কিছু হতে পারবে। সেই জামাল আবদুল নাসের,আনোয়ার সাদাত, হোসনী মোবারক থেকে মুরসী??
প্রতিটি সরকারই তার পছন্দমতো সংবিধান পরিবর্তন করেছে। সেখানে মুরসী তো মার্কামারা দলের রাষ্ট্রপতি,সুতরাং.......।
আর তাকে ক্ষমতাচ্যুত করেছে তৎকালীন জেনারেল সিসি(বর্তমানে ফিল্ড মার্শাল)। যে কি না নিজেই রাষ্ট্রপতি পদের প্রার্থী এবং হবার সম্ভাবনাও ৯০%।। ইতিহাসের পুনরাবির্তী।। সেনাবাহিনীর বাইরে থেকে কারো ক্ষমতায় যাবার সুযোগ নেই।
আর শেষ প্রশ্নের উত্তরে বলছি ক্ষমতায় এসে সংবিধান পরিবর্তন সাধারনতঃ সব দেশেই হয়ে থাকে। আমাদের দেশও কিন্তু এর বাহিরে নয়। ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.