নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রবাসে থাকি ।।কাজকর্মের অবসরে আসি দেশের পত্র-পত্রিকা এবং প্রিয় ব্লগে। প্রিয় বললাম একারনে যে, এটাই একমাত্র মাধ্যম যাতে সরকারী পক্ষ এবং বিপক্ষের সবধরনের যুক্তির সম্মিলন পাওয়া যায়। যা পত্রিকায় পাওয়া যায় না। এক এক পত্রিকা এক একপক্ষকে অন্ধভাবে সমর্থন করে খবর পরিবেশন করে। কোনটা পড়লে মনে হয় আরেকটু এগোলেই আমরা প্রথম বিশ্বে পরিনত হবো আবার কোনটায় দেখা যায় দেশবিক্রয় সহ গুমখুনে কোন মতে ভা্গ্যগুনে বেচে আছি।
আর এখনতো দেশে দেশপ্রেমের সুনামী বয়ে যাচ্ছে। মাঝথেকে এই সুনামীতে যে সাধারন মানুষের ত্রাহী অবস্হা তার দিকে কারো খেয়াল নেই।
এপ্রসঙ্গে মনে পড়ে গেল ৭১এর কথা। এলাকার মক্তিযোদ্ধা ভাইয়েরা ক্যাম্প করে রাজাকারদের শাস্তি দেওয়ার পাশাপাশি আইন-শৃংখলাও রক্ষা করছেন। কিন্তু সংক্ষাল্পতার কারনে যারা মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয় নাই বা আমাদের মত কিশোর ছিল, নিজেদের বন্ধুদের হাতেও অস্ত্র তুলে দিয়ে আইন-শৃংখলার কাজটি সারতো।একট গালভরা নামও ছিলো এদের ১৬তম ডিভিশন।আমি নিজেও এর সদস্য ছিলাম।পরে বুঝতে পেরেছিলাম প্রত্যক্ষযুদ্ধে অংশ না নিয়েও এই ডিভিশনের অনেকে মুক্তযোদ্ধার খেতাব বাগিয়ে নিয়েছে। (যদিও অনেকে এর অপব্যবহার করতে দ্বিধাবোধ করে নাই। ডাকাতি,ছিনতাই,লুটতরাজ এমন কিছু ছিল না যা তারা করতো না)।
আজ আমরা আবার একঅর্থে সেই সময়ে ফিরে গেছি। শাহবাগে না গেলে রাজাকার বা বিএনপি সমর্থক, গেলে অত্যাচারী,অগনতান্ত্রিক সরকারের সমর্থক।।মাঝখানে নিরপেক্ষ বলে কোন কথা নেই। এ যেন শাঁখের করাত,যেতেও কাটে আসতেও কাটে।
সবচেয়ে দুঃখ লাগে যখন দেখি আমাদের সন্মানিত ব্যাক্তরা প্রায় সবাই হালুয়া-রুটির ভাগ নিতে যেয়ে কেমন করে অন্ধ দলপ্রীতিতে ব্যাস্ত।এমনসব ভাষা ব্যবহৃতও হতে দেখা যায় যা আমরা ব্লগাররাও প্রকাশ করতে দ্বিধা করি।সবাই প্রতিযোগীয় মত্ত কে কার চেয়ে বেশী দেশপ্রেমিক। কিন্তু এদিকে সাড়ে তিনহাত কাপড় দিয়ে পাগরী বাধতে যেয়ে পাছা উদোম হচ্ছে সেদিকে কি কারো খেয়াল আছে? না দেশপ্রেমের মহুয়া খেয়ে আজ আমরা মত্ত ভালুকের মত আচরন করছি। আমার একটা প্রস্তাব আছে সরকারের কাছে। সেদিনের মত এদেরও ১৬তম ডিভিশনের দেশপ্রেমিক খেতাব দেওয়া হোক।। আর না দিলে
সবশেষে একটি কথা বলেই শেষ করছি, কবে সে ছেলে হবে,কথায় না বড় হয়ে কাজে বড় হবে।
০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:১৬
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: আমি বুঝাতে চেয়েছি ১৬তম ডিভিশন আসলেই সেই সময়ে হাসির খোরাক জোগাতো।। আপনার বয়স যদি এ পরিমান হয়ে থাকে তাহলে আমার কথার তাৎপর্য বুঝতে পারতেন।। আমি কখনো জেড ফোর্স বা মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে প্রমান করতে চাই নি। যা আমি ছিলামও না।সুতরাং........। কেন এমন আক্রমন ও বাকা কথা। তবুও ধন্যবাদ আমাকে দেখার জন্য।
২| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:২৩
উদাস কিশোর বলেছেন: । কিন্তু এদিকে সাড়ে তিনহাত কাপড় দিয়ে পাগরী বাধতে যেয়ে পাছা উদোম হচ্ছে সেদিকে কি কারো খেয়াল আছে?
.
.
চমত্কার বলেছেন ভাই ।
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:৫০
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: ধন্যবাদ।। আসলেই বাস্তব এটা।
৩| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১:৫৬
পাঠক১৯৭১ বলেছেন: আমি আক্রমণ করতে চাইনী: কিন্তু একটা পয়েন্ট হলো, আমার দেখা মতে, চট্রগ্রাম ও নোয়াখালীর অনেক মানুষ যুদ্ধের ট্রেনিং না পেয়ে, এবং যোদ্ধাদের খাতায় নাম না তুলেও ভেতরে আসলে যুদ্ধ করেছেন; তাঁরাও বিরাট অবদান রেখেছেন; আবার 'জেড' সামনা সামনি যু্ধ করে অবদান রেখেীলেন: সবার মিলিত প্রচেস্টার ফল ছিল ১৬ই ডিসেম্বর।
১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:৪৭
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: আমার হিসাবে ৭১ সাড়ে সাত কোটি মানুষই(কিছু রাজাকার,আল বদর আর আল সামস ছাড়া) কিন্তু এক হিসাবে মুক্তযোদ্ধা। যে কোন যুদ্ধের সংজ্ঞা অনুযায়ী সম্মুখযুদ্ধে অংশগ্রহনকারী এবং তাদের যেকোন সহযোগীতাকারী,তা যেভাবেই হোক না কেন সবাই মিলিতভাবে যোদ্ধা।দেশ স্বাধীন করা তাদের মিলিত ফসল।
আমি বোঝাতে চেয়েছিলাম তাদের, যারা আজ টকশো,মিটং-মিছিলে,খবরে,যেখানেই যান না কেন দেখবেন স্বপক্ষ-আর বিপক্ষ নিয়ে কি গরম গরম কথা বলেন তাদের কথা।। যেখানে সাধারন মানুষের কোন উল্লেখ নেই। একটু ভাল করে দেখলেই আমার বক্তব্য সহজ হয়ে যাবে। না ভাই আমি আপনাকে ভুল বুঝি নি। ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৮:১৬
পাঠক১৯৭১ বলেছেন: পেছনের দিনগুলো নিয়ে অনেক কিছুই বলেছেন; কেহ ১৬তম ডিভিশনে ছিলেন, কেহ 'জেড-ফোর্সে' ছিলেন, সবাই মিলে দেশ কিন্তু স্বাধীন করে ছেড়েছেন।
তাঁরাই দেশ চালাতে পারতেন।