নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বর্তমান বিশ্বে ডায়াবেটিস একটি অতি পরিচিত নাম এবং রোগ। নীরব ঘাতক এই রোগটি বর্তমানে বিশ্বব্যাপী পরিচিতি এবং আলোড়ন সৃষ্টি করলেও এটা সর্বপ্রথম নির্নীত হয় প্রাচীন মিসরে। দলিল প্রমানে যা পাওয়া যায় তাতে এই রোগটিকে উল্লেখ করা হয়েছে "too great emptying of urine"।(এটা ১৫০০ বিসিতে লেখা দলিলে প্রমান পাওয়া যায়।) বা এককথায় আমরা যাকে অভিহিত করতে পারি "বহুমূত্র" যা বাংলা নামের পরিচিতি। যা বারবার মূত্রের কারনেই হতে পারে।
প্রাচীন ভারতে এই রোগটি "মধুমেহ" নামে পরিচিত। যে এই রোগীর মুত্রে পিপড়ার আগমন। "Appollonius of Memphis" ছিলেন প্রথম যিনি প্রথম এই রোগটিকে ডায়াবেটিস নামে অভিহিত করেন। ষোলশত শতাব্দীর শেষদিকে Thomas Willis একে প্রথম "Mellitus" বা মধুযুক্ত করেন। তবে সারাবিশ্বে "diabetes mellitus" নামেই অভিহিত হতে থাকে।
তারপর বিশ্বে বিভিন্ন দেশের গবেষনায় এটার উৎপত্তির কারনও বেড়িয়ে আসে। সাধারনতঃ রক্তে অস্বাভাবিক শর্করা বা চিনির মাত্রা বেশী হওয়ার সাথে সাথে শরীরে ইনস্যুলিনের মাত্রা কমে যাওয়া অথবা শরীরে ইনস্যুলিনের অস্বাভাবিকতা। এখন প্রশ্ন আসতে পারে পৃথিবীর কতজন মানুষ এই রোগে আক্রান্ত? ২০১১ সালে ডাটা বলছে যা আমেরিকার ন্যাশনাল ডায়াবেটিস ফ্যাক্ট সীট(জানুয়ারি ২৬,২০১১তে প্রকাশিত) অনুযায়ী শুধুমাত্র আমেরিকাতেই এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২৫.৮ মিলিয়ন। যা সর্বমোট জনসংখ্যার ৮.৩%। এবং কুয়েতে যা অস্বাভাবিক মানে ২৫%।(আমি দুঃখিত যে নিজ দেশের পরিসংখ্যানটা বলতে পারছি না) অবস্থায় আমরা কতটুকু সচেতন এই রোগের ব্যাপারে?? আসলেই না। অনেকের রক্তে শর্করর মাত্রা অনেকবেশী থাকা সত্বেও তারা বুঝতে বা কিছুই অনুভব করেন না। দীর্ঘমেয়াদী এই রোগ এবং এর ক্ষতিকর দিকটিও অনেকের অজানা। কারন এর কোন তাৎক্ষনিক প্রতিক্রিয়া হয় না। যা সাধারনতঃ অন্যান্ন রোগের লক্ষনেই দেখা যায়। কিন্তু নীরব প্রানঘাতী এই রোগটির সঠিক চিকিৎসা না হলে পরবর্তী ১০ বছরের মাঝেই এটা পূর্নশক্তি এবং লক্ষন নিয়ে প্রকাশ পায়।২০০৭ সালেই একমাত্র আমেরিকাতে এই রোগে আক্রান্ত রোগীর মৃত্যুর সংখ্যা ২,৩১,৪০৪।
এই রোগে আক্রান্ত রোগীর হার্ট প্রথম শিকার হয়। ২০০৪ সালে ৬৮%ভাগ হৃদরোগে আক্রান্ত রোগীর মৃত্যুর সাথে জড়িত এইরোগ।এই রোগে আক্রান্ত রোগীর ২ থেকে ৪ ভাগ বেশী সম্ভাবনা থাকে হার্ট এবং স্ট্রোকের। এছাড়া এই রোগটি ২০ থেকে ৭৪ বছর বয়সীদের অন্ধত্বের মূল কারন। সাথে কিডনী ফেইলিওয়েরও কারন।
এর প্রতিরোধের প্রয়োজন নিয়মিত ডাক্তার দেখানো সহ ঔষধ গ্রহন।সাথে নিয়মিত ব্যায়ামতো থাকছেই।আার প্রয়োজনে ইনস্যুলিন গ্রহনতো থাকছেই। অনিয়ম হলে চলবে না
বিঃদ্রঃ আমি কিন্তু আর্টসের ছাত্র,এই লেখাটা পত্রিকা থেকে সংকলিত।
২৫ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১২:০০
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: কেন শুধু শুধু ভয় পাচ্ছেন,যেখানে আমি ১২বছরের রোগী।তবে আমাকে ডাক্তারের পরামর্শ হলো যেকোন ধরনের প্যাকেট বা টিনজাত ড্রিংক্স,ফাষ্টফুড,অতিরিক্ত মিষ্টি(তা চায়ে বা কফিতে চিনি হিসাবেই হোক না কেন) কলা ইত্যাদি যত কম পারা যায় ততই ভাল।
বালাই ষাট!! আল্লাহর রহমতে আরো অনেকদিন, একেবারে (থুত্থুরে) বুড়ো হওয়া পর্যন্ত বেচে-বর্তে থাকুন, এই কামনায়।
©somewhere in net ltd.
১| ২৪ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১:৫৫
এম এস নিলয় বলেছেন: ভয়ে আছি কবে আবার আমার নিজের হয়ে যায়।
আমার গুষ্টির প্রায় সবার আছে।