নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যদি সাধারন সংজ্ঞায় যাই,তাহলে অর্থ হলো যে সন্ত্রাস বিভিন্ন দেশের মানুষের জান-মালের ক্ষতিসহ আতংকের সৃষ্টি করে। বিগত দশক বা তার কিছু আগে থেকে এই বাক্যটা বহুলভাবে আলোচিত এবং প্রচারিত হয়ে আসছে পৃথিবীর তাবৎ মিডিয়া তথা প্রচার মাধ্যমগুলিতে। এককথায় আফগানীস্তানকে এর সূতিকাগার বলা যেতে পারে। ৮০র দশকে তৎকালীন আফগান প্রেসিডেন্টের আমন্ত্রনে বিরোধী তথা বিদ্রোহীদের দমন করতে রুশবাহিনী রঙ্গমঞ্চে আবির্ভুত হয়। টনক নড়ে পশ্চিমা বিশ্বের। সাথে থাকে ভৌগলিক এবং রাজনৈতিক কারনে পাকিস্তানসহ মধ্যপ্রাচ্যের ধনী মুসলিম দেশগুলির। পশ্চিমাদের ইশারা ও মদদে জেহাদের ডাক দিয়ে বসে তারা।(বলাই বাহুল্য খোদ রাশিয়াতে যে মুসলিম প্রধান অঞ্চলগুলিতে স্বাধীনতাযুদ্ধ এবং মুসলিম নিধন চলছে সে ব্যাপারে কিন্তু আজো কোন উচ্চবাচ্য নেই)। ইসলাম গেল বলে হৈ হৈ রবে মেতে উঠলো পৃথিবীর মুসলিম দেশগুলি। অর্থ,অস্ত্র থেকে যোদ্ধাদেরও জোগান দিতে শুরু করলো তারা। একটা প্রক্সীযুদ্ধে। আর মিডিয়াগুলি ফুলিয়ে ফাপিয়ে তা আকাশে তুলে ফেলে।
প্রায় ৮বছর যুদ্ধ করে সেই দেশকে স্বাধীন করে যেসব যোদ্ধারা “গাজী” হয়ে দেশে ফিরে পরিবর্তিত সমাজ ব্যাবস্থায় আর ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে হিরোর বদলে জিরো অর্থাৎ আল-কায়েদাসহ বিভিন্ন জঙ্গীবাদী দলগুলির নামে চিন্হিত হয়ে গেছে। সেই প্রক্সীযুদ্ধে বীরত্বের পরিচয় দিলেও নিজ নিজ দেশে তারা হয়ে গেল অবাষ্ণিত,অবহেলিত। কারন তাদের ব্যবহার করা হয়েছিলো একটা নির্দিষ্ট স্বার্থ হাসিলের জন্য। ফলাফল প্রয়োজন ফুরালে যা হবার,তাই হলো। আজ এমনও দেখা যাচ্ছে যে,কোন কোন দেশ বিরোধীদলকে আর তাদের আন্দোলনকে দমন করতে এই আখ্যা দিচ্ছে। আর এটা বেশী ঘটছে মুসলিম দেশগুলিতেই। মিসর,সিরিয়া,লিবিয়া,আলজেরিয়া,তিউনেশিয়া,ইয়েমেনের মতো দেশগুলি যখন “আরব বসন্তের” আন্দোলনে স্বৈরশাসকদের ক্ষমতাচ্যুত করার পরে যখন অগ্রগতির চুড়ায় পৌছে যাবার কথা,তখন সেখানে কি ঘটছে?? মিসরে চোরাগোপ্তা হামলা চলছে সেনা ও পুলিশের বিরুদ্ধে। আর সেনাসমর্থক ও বিতারিত প্রেসিডেন্টের সমর্থকদের সংঘাত আর নিহতের ঘটনা নিত্যদিনের। লিবিয়ায় গাড়িতে বোমার বিস্ফোরনে গতকালও একজন বিমানবাহিনীর কর্মকর্তা নিহত,আহত তার সাথে থাকা স্ত্রী-সন্তান। এক এক এলাকা এক এক গোত্র বা দলের শাসনে চলছে। কেন্দ্রে একটা “গনতান্ত্রিক সরকার” আছে বটে। তবে তার এতো শক্তি যে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীও অপহৃত হলে আপোষ আলোচনার মাধ্যমে তাকে মুক্ত করতে হয়!! সিরিয়ায় ৪বছর মেয়াদী যুদ্ধে কোন পক্ষেরই স্থায়ী জয় নেই। এরই মাঝে মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশ আইন করেছে যে,যেসব নাগরিক সিরিয়ার যুদ্ধে যোগ দেবে তাদেরকে অপরাধী হিসাবে চিন্হিত করে বিচার করা হবে। অথচ যুদ্ধের প্রথমদিকে এরাই যুদ্ধে যোগ দেওয়া থেকে রাজনৈতিক,অর্থনৈতিক,সামরিক সব সমর্থনই দিয়ে আসছে। আবার বিদ্রোহীদের মাঝে হচ্ছে নিজেদেরই সংঘাত। অর্থাৎ নিজেরা নিজেরা লড়াই করে মরো আবার সরকারী বাহিনীর সাথেও লড়াই করে মরো। নিস্তার নেই তোমার! মরতে তোমাকে হবেই!! ইয়েমেনেরও একই অবস্থা। দেশভাগ হয়ে কয়েক গোত্র বা দলের ক্ষমতার বলয়ে পরিনত হয়েছে। এসব দেশগুলিতে চলছে নিজেদের মাঝেই আক্রমন,পাল্টা আক্রমন। মাঝে মাঝে চোরাগোপ্তা হামলা। রক্ত ঝড়াচ্ছে,পঙ্গু-খুন হচ্ছে নিজেরাই নিজেদের হাতে। আর পাকিস্তানের কথাতো সবার জানা। অযথা লেখাটা বড় হবে বলে বিরত থাকলাম।আফ্রিকার দেশগুলির ব্যাপারেও একই কথা। পাঠকরা একঘেয়েমীতে ভুগতে পারেন। তাই……..। আলজেরিয়া আর তিউনেশিয়ায় চলছে নিজের সরকারের সাথেই আন্দোলন। সম্প্রতি যোগ হয়েছে তুরস্কও।
কি কোথায় এবং কেন এতোসব অশান্তি আর অকারন রক্তক্ষয়?? যারা এসব ব্যাপার নিয়ে একটু চিন্তা-ভাবনা করেন আর পত্র-পত্রিকার পাঠ করেন,তারাই আশা করি বুঝতে পারছেন। গভীর ভাবে লক্ষ্য করলেই দেখা যাবে পশ্চিমাদেশগুলি এসব দেশের লোকজনদের তাদেরই অনেকদিনের মিত্রদের তথা সরকার প্রধানদের বিরুদ্ধে ক্ষেপিয়ে তুলে,তাদের পতন ঘটানোর জন্য ব্যাপক প্রচার-প্রোপাগান্ডা,অর্থ এমনকি বিভিন্নসুত্রে অস্ত্রেরও জোগান দিয়ে যাচ্ছে। তারপর তারা যখন রক্তের হোলী খেলে স্বৈরশাসকদের তাড়িয়ে তথাকথিত গনতন্ত্র এনে বিজয়ীর শ্বাস ফেলে তখনই তাদের নামের সাথে একটা “ট্যাগ” যুক্ত করে দেওয়া হয়। সন্ত্রাসবাদী নামের। তাও তার নিজের দেশেই!! সেলুকাস!!বিষেশত আফ্রিকা আর মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলিতেই বেশী ঘটছে।
সবই ঘটছে অর্থ,বানিজ্য,আর ক্ষমতার বলয় বৃদ্ধিসহ নিজেদের স্বার্থরক্ষার কারনে। বাধা দেবার কেউ নেই। একক পরাশক্তি হলে যা হয়। তবে লক্ষ্যনীয় অনেকক্ষেত্রেই চীন,রাশিয়া তাদের মতাদর্শগত বিভেদ ভুলে মিলিত হতে যাচ্ছে। বিশেষ করে ইরান ও সিরিয়ার ক্ষেত্রে রাশিয়ার অনমনীয় মনোভাব আর ক্রিমিয়াকে বিচ্ছিন্ন করা ন্যাটোসহ মিত্রদের চপেটাঘাতের মতই মনে হতে পারে।
বিঃদ্রঃ সামুতে বসে লিখতে গেলে অটো লগআউট হয়ে পুরো পরিশ্রমই ভেস্তে যায়। তাই ওয়ার্ডে বা নোটে লিখে লগইন করে কপি-পেষ্ট করি। আশা করছি এটা অন্যায় না। আর পাঠকদের ধৈর্য্য ধরে এতোবড় লেখাটা পড়ার জন্য আগাম ধন্যবাদ।।
১০ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:৪৪
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: এক কথায় প্রকাশ। ধন্যবাদ।
২| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১:৪৩
বাংলার নেতা বলেছেন: আপনাকেউ থ্যাংকস
১১ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১:৪৬
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: খালি ধন্যবাদেতো হবে না।। বাংলার নেতা যখন, তখন উপদেশও কাম্য।।
©somewhere in net ltd.
১| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:১৭
বাংলার নেতা বলেছেন: জোর যার মুল্লুক তার