নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রথম উত্তরই হবে না। অন্ততঃ স্বাধীনচেতাদেরদের কাছে। কেন নএই না তা আমার ক্ষুদ্রজ্ঞানে একটু বিশ্লেষন করছি আমারই মত করে। গনতন্ত্র এমনই একটি গালভরা বুলি,যাতে সাধারন মানুষের খাদ্য,বস্ত্র,বাসস্থান,চিকিৎসা,শিক্ষা তথা মৌলিক সমস্যাগুলির সমাধানের পথ পরিস্কার ভাবে বলা আছে। একবার ঘুরে আসি এইসব ব্যাপারগুলি থেকে।
• খাদ্যের ব্যাপারে আজ কিছু না বলাই ভাল। ভাতে-মমাছে বাঙ্গালী আজ ডাল-ভাতটুকুওvঠিকমত পাচ্ছে না কারন সুফলা বাংলাদেশেই আজ চালের মুল্য সাধারনের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। মোটা-কাকড় মেশানো চালও ৪০টাকার নীচে নেই। ছোটবেলায় আব্বা বলতো রুটি গরীবের খাওয়া আর আজ আটার দাম কত? যুক্তির খাতিরে যদিও ধরে নেই উৎপাদনের চেয়ে জনসংখ্যার হার অনেকবেশী তবুও কি তা রেশনের মাধ্যমে সুষ্ঠ বন্টন করে অন্ততঃ মধ্যবিত্ত আর নিমনবিত্তদের বচানো যেতো না। তাতে চালের মুল্যটাও তো স্থির থাকতো। চালের সাথে সাথে তেল,চিনি,ডালটাও তো একই ভাবে দেওয়া যেতে পারে। যেখানে কুয়েতের মত ধনী দেশেও এই ব্যাবস্থায় মুল্যের উর্ধগতিকে রোধ করা হচ্ছে।
• বস্ত্রের ব্যাপারটা, যেখানে আমরা উৎপাদনে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎতম দেশ সেখানে আমরাই ঠিকমত কাপড় কিনতে পারছি না। কারন সেই চড়ামুল্য।
• বাসস্থানের কথা না বলাই ভাল। যেখানে সরকারী খাস জমি,খেলারমাঠ,ছাত্রাবাস এমনকি খাল-বিল,নদী ভরাট হয়ে খাসতালুকে পরিনত হয় গড়ে উঠছে বিনোদন পার্ক,বহুতল বিশিষ্ঠ ইমারত সেখানে আমাদের নেই মাথাগোজার ঠাই। বেতনের অর্ধেক দিয়ে হলে থাকতে হচ্ছে ভাড়ায়,বাড়ীআলার শতেক যন্ত্রনা সহ্য করে। এমনকি সরকারী চাকুরী করেও বরাদ্ধকৃত বাসা চলে যায় ক্ষমতা আর প্রভাবশালীদের কব্জায়। সরকার কি এব্যাপারে সমাধানে কোন পদক্ষেপ নিয়েছে। আসলে কাঁজীর গরু কেতাবে আছে গোয়ালে নেই।
চিকিৎসা আর শিক্ষার অবস্থা সবচেয়ে করুন। সরকারী স্কুল,কলেজ আর ভার্সিটিগুলোর দিকে তাকালে সবাই এর বাস্তবতা বুঝতে পারবেন। সরকারী হাসপাতাল গুলিতে অব্যাবস্থা,কর্মচারীর অপ্রতুলতা,জীবনরক্ষাকারী যন্ত্রপাতি কোনটা অচল,কোনটা মেরামতের অপেক্ষায় ধুকছে। চিকিৎসকরা কোন ভাবে দায়িত্ব পালন করে ভিজিটিং কার্ড ধরিয়ে দেন প্রাইভেট ক্লিনিকগুলির,যেখানে তিনি প্রাইভেট প্রাকটিস করেন। বাচে থাকার তাগিদে সেখানে গেলেও একগাদা টেষ্টের নাম করে নিজ পছন্দনীয় ল্যাবরেটরীর নাম বলে দেন। কমিশন পান যেখান থেকে। রোগী তাতে বাচলেও হয়ে পড়ে অর্ধমৃত,সব খুইয়ে। তারপরও ডাক্তারি পেশা মহান,অহরহ মানুষের সেবায় রত। ক্ষেত্রবিশেষে সরকারের চেয়েও বেশী!! আর বর্তমানের শিক্ষাই সবচেয়ে উন্নত!! অকেশনাল রাজনীতিবিদ শিক্ষকরা তাদের ছাত্রদের নিয়ে মিটিং-মিছিলে ব্যাস্ত। অনুসারীরা পাস। সেসনজট নিয়ে প্রশ্ন তোলার অবকাশ নেই। শিক্ষকরা ক্লাসে যান হাজিরা দিতে। আসল কাজতো কোচিং সেন্টারে। তাও যদি ঠিকমত হতো।। ঘুস দিয়ে প্রশ্নপত্র বের করে আবার সেই প্রশ্ন ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে বিক্রী করে জিপিয়েতে এগিয়ে গিয়ে বুক ভরে শ্বাস নিয়ে ভাবেন আমি কি হনু রে!
আর স্বাধীনতা।সত্যি কথা বলতে শুধু পতাকা আর জাতিয় সংগীত ছাড়া আর কিছু পেয়েছি বলতো আমার মনে হচ্ছে না। নাগরিক অধিকারগুলি এক এক করে চুরি হয়ে যাচ্ছে। পরে থাকছি শুধু স্বাধীনতার চেতনা নিয়ে। যাও আছে বুকের একেবারে গভীরে।মাঝে-মধ্যে স্লোগানে মিছিলে। সংবাদপত্রগুলোতো পুরোপুরি ব্যবসায়ীক পন্যে পরিনত নয়তো ব্যস্ত দলীয় অন্ধ অনুভূতি তথা চামচামীতে। একমাত্র মাধ্যম ব্লগ,টুইটার,আর ফেসবুক। চেষ্টা করা হচ্ছে এগুলোর কন্ঠ চেপে ধরার। আইন হচ্ছে। এরপরও কি সাহস করে সত্যি বা মনের কথাটি খুলে বলতে পারবেন। সাংবাদিকজগত তথা পত্রকাগুলির নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গীর বিরুদ্ধে যখন এইসব স্যোশাল মাধ্যমগুলো এগিয়ে আসছে জন-সচেতনতা বৃদ্ধির পথে তখন চেষ্টা হচ্ছে সেইপথ রুদ্ধ করার। হামলা-মামলা,জেল-জরিমানাসহ প্রতিটি অসত্রই ব্যবহৃত হবে বা হচ্ছে এই মুক্ত আর স্বাধীনচেতা মুখগুলিকে বন্ধ করার জন্য। অথচ বাক-স্বাধীনতা গনতন্ত্রের মূল এবং প্রধান শর্ত।।
এখন পাঠকদের উপরই ছেড়ে দিলাম বিচারের ভার।
বিঃদঃবন্ধু বড় জ্বালা,কোন অন্যায়ের কথা মুখ ফুটে বলতে পারি না।। আজ বেগুনচোরের বিচার সাজা দু'টোই হয় কিন্তু পুকুরচোর নরমল হাওয়া খেয়ে বেড়ায়।।
১০ ই মে, ২০১৪ রাত ১১:২৪
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: আমার সমাধান অন্ধ দলীয় সমর্থন। এটা বন্ধ হোক দেখবেন সব ঠিক হয়ে যাবে।।
২| ১০ ই মে, ২০১৪ ভোর ৬:১৬
পংবাড়ী বলেছেন: "গনতন্ত্র এমনই একটি গালভরা বুলি,যাতে সাধারন মানুষের খাদ্য,বস্ত্র,বাসস্থান,চিকিৎসা,শিক্ষা তথা মৌলিক সমস্যাগুলির সমাধানের পথ পরিস্কার ভাবে বলা আছে। একবার ঘুরে আসি এইসব ব্যাপারগুলি থেকে। "
গণতন্ত্র জানা ও প্র্যাকটিস করা মানুষ থেকে গণতন্ত্র বুঝতে হবে। বুঝা যাচ্ছে যে, আপনি নিজেই গণতন্ত্র বুঝেন না, আবার শিখছেন খালেদা বেগম, পিন্টো, হাজারী, মায়া, খোকা বা রিক্সা ড্রাইবার থেকে।
১০ ই মে, ২০১৪ রাত ১১:২৮
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: আসলে তাই ভাই। লেখাপড়ার দৌড়তো বেশী নয় তাই "যার তার" কাছ থেকে শিক্ষা নিয়েই আমাকে চলতে হচ্ছে।
আমার ভুল হয়ে থাকলে শুধরিয়ে দিচ্ছেন না কেন? শেখার তো শেষ নেই। ধন্যবাদ।
৩| ১০ ই মে, ২০১৪ সকাল ৮:২৫
রাবার বলেছেন: বাক-স্বাধীনতা গনতন্ত্রের মূল এবং প্রধান শর্ত
১০ ই মে, ২০১৪ রাত ১১:২৯
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: তাই না কি??
৪| ১০ ই মে, ২০১৪ দুপুর ১:২৮
ভুয়া প্রেমিক বলেছেন: ্জাফর ইকবালদের মত বুকে হাত দেওয়া বন্ধ করেন। জাফর ইকবাল এদেশের কোমলমতি বালক-বালিকাদের মাথা ওয়াশ করার কাজে নিয়োজিত, যাতে তারা ইসলাম ও এর অনুসারীদের বিরুদ্ধে ঘৃণা নিয়ে বেড়ে ওঠে
১০ ই মে, ২০১৪ রাত ১১:৩৪
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: কি ভাবে আমার লেখায় জাফর ইকবালের প্রসঙ্গ এলো, তা কিন্তু বুঝলাম না ভাই।।
ব্লগে যারা আছে তারা কেহই কোমলমতি শিশু নয়,ক্ষেত্রবিশেষে আমার চেয়ে অনেক বুদ্ধিমান ও স্বাধীনচেতা। সুতরাং মাথাওয়াশের ব্যাপারটা বাহুল্য। ধন্যবাদ।।
৫| ১০ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৩:২২
ক্ষুদ্র খাদেম বলেছেন: সবার আগে একটা প্রশ্ন করি। আপনি অধিকার আদায়ে ভালো রকমের ব্যস্ত দেখা যাচ্ছে, কি পেলেন কি পেলেন না সেই বিবরণ দিয়ে জাচ্ছেন, পড়তে পড়তে আমারও মনে হচ্ছিল, এই দেশ আমাকে কি দিয়েছে? আমি কি পেয়েছি সরকারের কাছ থেকে?? ইত্যাদি ইত্যা্দি... ব্লা ব্লা ব্লা!!
কিন্তু, যদি জানতে চাই, আপনি নিজের অবস্থান থেকে নিজে দেশের জন্যে কি কর্তব্য পালন করেছেন, বা আসলে সোজা কথায় দেশ আর দেশের মানুষ আপনার কাছ থেকে কি পেয়েছে কখনও হিসেব করে দেখেছেন??
১০ ই মে, ২০১৪ রাত ১১:৩৯
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: না ভাই আমার দেওয়ার মত শুধুই আছে প্রানটা। সাধারন মাুষের আর কি থাকতে পারে।। সেটুকুও বর্তমানে দেওয়ার সাহস নেই। আর কি করতে পারি।।
৬| ১১ ই মে, ২০১৪ সকাল ৭:২৬
পংবাড়ী বলেছেন: আপনার পড়ালেখা কিসে আমি জানি না; টবে, আপনার লেখায় প্রমাণিত হচ্ছে যে, আপনি গণতন্ত্রের জীবিত উদাহরণ ইজরায়েল, বৃটিশ বা আমেরিকার মতো দেশের সরকার ও পার্লামেন্টকে বুঝতে পারেন না। ব্লগের কমেন্টে শিখার মত কোন কিছু নেই।
১১ ই মে, ২০১৪ রাত ১১:৪৭
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: না উদাহরন,তরন কিছুই না। নিজের ক্ষুদ্রজ্ঞানে যা কুলায় তাই লিখি। অতদুর যাবো কি ভাবে??
তবে ব্লগীয় ধ্যান-ধারনার শেখার জন্য আমি কিন্তু মন্তব্যসহ পুরো লেখাটাই পড়ি। তবে আপনার কথামত ভুলপথেও চলতে পারি।
পরামর্শের জন্য ধন্যবাদ।।
৭| ১২ ই মে, ২০১৪ ভোর ৬:৩১
পংবাড়ী বলেছেন: দুর থেকে বাংলাদেশকে কি আরো সঠিভাবে বুঝা যেতো না? আরেকটু মাথা ঘামান
১২ ই মে, ২০১৪ রাত ১১:৪৫
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: কিভাবে?পত্রিকা বা টিভি খবরে?? যা আমাদের প্রবাসীদের একমাত্র মাধ্যম। কোন পত্রিকা পড়লে মনে হয় দেশ রসাতলে আবার কোনটা পড়লে মনে হয় উন্নতির চুড়া প্রায় ছুলাম বলে। এখন বলুন দেশকে কোন হিসাবে বিচার করবো? আপনারা যারা দেশে আছেন তারা কিন্তু বাস্তবতার সাক্ষী কিন্তু তেমন প্রতিবাদ কোথায়?
যা আছে তার কম বেশী কিন্তু এই ব্লগেই। আর কমেন্টের যুক্তিতর্কে বেড়িয়ে আসে অনেক সত্য।
একটু ভেবে দেখবে আমার কথাটা। যার বাহিরে আমিও নই। ভাল লাগলে এটা-সেটা লিখি তবে ব্লগের মানসম্মত হয় কি না তার খেয়াল করি না। ফুটিয়ে তুলি নিজর ভাবনা। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।। ভাল থাকবেন।
©somewhere in net ltd.
১| ১০ ই মে, ২০১৪ ভোর ৬:০৫
পংবাড়ী বলেছেন: "এখন পাঠকদের উপরই ছেড়ে দিলাম বিচারের ভার। "
বিচারের রায় হলো, আপনি যেসব সমস্যার কথা বলছেন, এগুলো জানা সমস্যা; এ গুলোর সমাধান সম্ভব; সমাধানও অনেক রকম হবে। আপনি কোন সমাধান জানেন কিনা?