নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যেতে পারি না।। না আপনি, না আমি।।
গ্রাম্যভাষায় একটা প্রবাদবাক্যের বহুল প্রচলন আছে। তা হলো “গরীবের বউ সবার ভাবী”। এটার প্রচলন কবে থেকে তা জানি না, কিন্তু এর অর্থ না বুঝার বয়স পেরিয়ে যাই নি। আমাদের সামাজিক অর্থে এর প্রয়োজনীয়তা বা নীহিত অর্থ এখনও বিরাজমান বহল তবিয়তে। যে কোন লোক এর প্রয়োজনীয়াতাকে অস্বীকার করতে পরবেন না। এর প্রবাদ বাক্যের মূল অর্থ হলো গরীবের বউ যতই ক্ষমতাবান হোন না কেন, তিনি তার প্রতিবেশীদের কাছে ততই অবহেলিত থেকে যান।। যা প্রকারান্তরে তার সন্তান এবং স্ত্রীকেও স্পর্ষ করে। পরবর্তিতে সমাজ পরিবর্তিত অবস্থানে গেলেও কেউ তা গোনায় ধরে না।। সবাই তাকে আগে মূল্যেই বিচার করে।।
আমরা কেউ এর ব্যাতিক্রম নই। এমনকি নিজ ঘনিষ্ঠ আত্মীয়-স্বজনদের কাছেও না। যাদের খুশী হওয়ার কথা।। অথচ বেশীরভাগ ক্ষে্ত্রেই দেখা যায়, এর প্রতিক্রিয়া হয় ঘনিষ্ঠ আম্তীয়-স্বজন তথা প্রিয়জনজনদের মাঝেই?? কেন এটা? তারা কি চায় না যে, তাদের প্রিয় একজন সমাজে প্রতিষ্ঠিত হোক, নিজ গুনে??
আসলে তারা এটা চায় না। এদের স্বতসিদ্ধ নিয়মই হচ্ছে, আমার আশ্রয়ে,করুনায় আছো থাকোও চিরদিন।। এর যেন ব্যাতিক্রম না হয়। হলেও কুরুক্ষেত্র, নিদেনপক্ষে তোমাকে বয়কট। আসলে নিজের ব্যর্থতা ঢাকার ছল। আমার বেলায় যা হচ্ছে!! আমি অবাক,বিস্মিত! এরকমতো হবার কথা না? আজ শেষ বয়সে এসে অনেক শিখছি, যা আগে জানতাম না বা খেয়াল করি নি।।
আসলেও তাই আমরা প্রতিষ্ঠিতরা কোন দিনও চাই নাই যে, যারা অনুগ্রহপুষ্ট, তারা আমাদের হাতের হস্তান্তর হোক।। আমর ভাষায় এটা মানুষের স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া!!
আসলে পাঠকরা ঠিকই বুঝতে পারছেন আমি কি বলতে চাচ্ছি।। আমার মনে হচ্ছে বেশীরভাগ পরিবারেই এই ঘটনা।। এমনকি কেউ স্বীকার করু আর না , এর ব্যতিক্রম নেই।।
যে বরাবর ব্যার্থ হয়ে শেষ মুহুর্তে সফল হচ্ছে তার মূল্য এই সভ্যতায় খুবই কম।।
ধীক!! এই সভ্যতাকে।। আর আমাদের মানষিকতাকে!!
কিন্তু আমরা যতই এর বিরুদ্ধে কথা বলি না কেন, এই বৃত্তের বাইরে আমরা কেউই যেতে পারি নি।। আর যাওয়ার ইচ্ছেও নেই।
কারন কারোরই অজানা নয়।।
১৩ ই জুন, ২০১৪ রাত ১১:২১
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: আসলে তাই। করুনার পাত্র কখনো ভাল করুক বা ভাল অবস্থায় থাকুক এটা কেন যেন চক্ষুশূল হিসাবে দেখা যায়। ধন্যবাদ।।
২| ১৩ ই জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩৬
খাটাস বলেছেন: ঠিক বুঝি না। তবে হ্যাঁ সভ্যতা অসভ্যতাকেই এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে- এটা মানি।
১৩ ই জুন, ২০১৪ রাত ১১:২৫
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: প্রয়োজন মানসিকতার। আপনি খুশীও হতে পারেন আবার হিংসায়ও জ্বলতে পারেন। তবে দ্বিতীয়টার প্রকোপ বেশী দেখছি ভাই।।
৩| ১৩ ই জুন, ২০১৪ রাত ৯:২৮
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: কিন্তু আমরা যতই এর বিরুদ্ধে কথা বলি না কেন, এই বৃত্তের বাইরে আমরা কেউই যেতে পারি নি।। আর যাওয়ার ইচ্ছেও নেই
১৩ ই জুন, ২০১৪ রাত ১১:৩০
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: না বোন, আমি আমার লেখায় সমাজ পরিবর্তনের কথা আশা করছি না। মানুষের মত জটিল মনের পরিবর্তন কি এতো সহজে করা যাবে??
জুলিয়ান ভাই এর মন্তব্যটা দেখতে পারেন।আসল কথা সদিচ্ছা।।ধন্যবাদ।
৪| ১৩ ই জুন, ২০১৪ রাত ১১:৪১
খাটাস বলেছেন: হাহাহা আমার মানসিকতা নির্ধারণের জন্য ধন্যবাদ। আপনার লেখা বুঝতে পারি নি ভাষা কঠিন হউয়ায় । আশা করব আর ও ঠাণ্ডা মাথার ও সুচিন্তিত কমেন্ট করবেন রিপ্লাইয়ের ক্ষেত্রে। এক্ষেত্রে ব্যক্তিগত হতাশা ও ক্ষোভ কে প্রাধান্য দেওয়া অনুচিত আপু। ভাল থাকুন।
১৪ ই জুন, ২০১৪ রাত ১২:২৩
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: স্যরি ভাই। আমি আপনার না,আপনার বক্তব্যের দ্বিতীয়টির কথা বোঝাতে চেয়েছি।মানে সভ্যতা অসভ্যতাকেই এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে- এটা মানি।
ভুল বুঝাবুঝির জন্য সত্যিই আমি দুঃখিত। দোষটা আমারই গুছিয়ে লিখতে পারি নি বলে,এই বিপত্তি।
আর আমি ভাই।। ধন্যবাদ।
৫| ১৪ ই জুন, ২০১৪ রাত ১২:৪০
খাটাস বলেছেন: হ্যাপি ভাই। এবার বুঝতে পারছি ক্ষমা প্রার্থী আমি। আমি নিজে ও বুঝতে পারি নি । ক্ষমা করবেন। ভুল বোঝা বুঝির অবসান হয়ে গেছে- এটাই বড় কথা। আপনাকে ধন্যবাদ।
৬| ২৫ শে জুন, ২০১৪ বিকাল ৩:৩০
আজীব ০০৭ বলেছেন: +++
২৫ শে জুন, ২০১৪ রাত ৯:৩১
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: ধন্যবাদ পছন্দের জন্য। ভাল থাকবেন।
©somewhere in net ltd.
১| ১৩ ই জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০০
জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: আমরা অন্যকে করুণা করতে চাই, এবং যাকে করুণা করি চাই তার যেন এ অবস্থা থেকে উত্তোরণ না ঘটে। বাস্তবতা এটাই।