![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিজের সম্পর্কে লিখার মতো এখন কিছু নেই। যখন কিছু থাকবে তখন অবশ্যই লিখবো।
অনেক দিন ধরে লিখালিখি হচ্ছে না। লিখার জন্য সাবজেক্ট পাচ্ছিনা তা কিন্তু নয়। বরং সাবজেক্ট এতো বেশি পাচ্ছি যে লিখতেই ইচ্ছে করছেনা। মাঝে মাঝে সাবজেক্টের অভাবে লিখা হয়না আবার মাঝে মাঝে সাবজেক্ট বেশি পেলেও লিখা হয়না। ব্যাপারটা আসলেই বড়ই অদ্ভুত।
যাইহোক কিছু লিখবো বলে বসেছি ল্যাপটপ নিয়ে। হ্যাঁ ল্যাপটপ... সময়ের সাথে সাথে লিখার মাধ্যমও পরিবর্তন হয়। একটা সময় আমাদের গুরুরা খাতা কলম নিয়ে লিখতে বসতো। আর বর্তমানে আমাদের যুগের ছেলে মেয়েরা কম্পিউটার নিয়ে বসে। ডিজিটাল বাংলাদেশ, তাই অবাক হবারও কিছু নেই। অবশ্য একটা দিক বিবেচনা করলে অবাক না হয়েও উপায় নেই। আর তা হল খাতা কলমের লিখালিখি আরা কম্পিউটারের টাইপিং করা লিখালিখির পার্থক্য।
আজকাল যারা কম্পিউটারকেই লেখালিখির মাধ্যম হিসবে ধরে নেয় তাদের শুরুটা হয় ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে। একটা সময় ফেসবুকের স্ট্যাটাস লেখকরা নিজেকে উপন্যাস লেখার যোগ্য মনে করে। শুরু করে দেয় উপন্যাস লিখা। আর সেই উপন্যাসগুলো পাঠক যখন পরে তখন পাঠকের কাছে উপন্যাস মনে না হয়ে মনে হয় একগুচ্ছ ফেসবুকের স্ট্যাটাস সংকলন। বিরক্তির অপর নাম উপন্যাসের মোড়কে নতুন ধরনের এই সংকলন।
আমি কাউকে নিরাশ করছিনা অথবা বিদ্রূপও করছিনা। যে ফেসবুকে স্ট্যাটাস লিখে পপুলার সে কিন্তু একদিনে হয়নি। আস্তে আস্তে তার লিখা স্ট্যাটাস মানুষজন প্রশংসা করতে শুরু করেছে। একজন একজন করে হাজার জন তার ফলোআর হয়েছে। তবে উপন্যাসের ক্ষেত্রে কেন এতো তারাহুরা। সময় দিন, বেশি বেশি উপন্যাস পড়ুন তখন নিজেই বুঝতে পারবেন উপন্যাসের লিখার ধরনের সাথে ফেসবুকের স্ট্যাটাসের পার্থক্য। মনে রাখা ভালো, উপন্যাস থেকে দুই একটা লাইন নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়া যায় কিন্তু ফেসবুকের স্ট্যাটাস দিয়ে উপন্যাস লিখা যায়না।
©somewhere in net ltd.