![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১ম খন্ড:
চারদিকে তখন শুধু বৃষ্টির ঝুম শব্দ। শহর যেন খুব শান্ত মনে কান পেতে বৃষ্টির শব্দ শুনছে। আর বৃষ্টিও তার সুর ক্রমেই বাড়িয়ে তুলছে।
আমি তাকিয়ে আছি আকাশ পানে,ভাবছি বৃষ্টির ফোঁটা পড়ে যাওয়াতে আকাশ কি একা হয়ে যাচ্ছে?
তবে আমার কাছ থেকে তুমি খসে পড়লে আমি কিন্তু খুব একা হয়ে যাবো।
আচ্ছা তুমি এখন পর্যন্ত কোথায়? আমি সেই কখন থেকে তোমার অপেক্ষায় আছি। তুমিতো বলেছিলে আমার সাথে বৃষ্টিতে ভিজবে। তাকিয়ে দেখো,আমার শহর আজ বৃষ্টি নিয়ে হাজির। বৃষ্টি তার শীতল ফোঁটায় আমাদের দুজনকে আজ নজর বন্দি করবে। তোমার পথ চেয়ে ফাকা রাস্তার মাঝখানে আমি দাঁড়িয়ে। আজ আমি সাথে করে তোমার প্রিয় কদম ফুল এনেছি। সাদা আর হলুদে রাঙা এ ফুল। কদম ফুলের হলুদ রংয়ের সাথে মিল রেখে পান্জাবীও পরেছি। তুমি কাছে এসে কি বলবে,"আমি কদমের হলুদ চাইনা আমিতো সামনে দাঁড়ানো হলদে পাগলটাকে চাই" আমি তখন বলবো এই পাগলটাতো সবসময় পাগলির জন্যই আছে। পাগলটার সকল পাগলামো তো এই পাগলীটাকে নিয়েই।
তখন কি তুমি বলে উঠবে, আমাকে বললে? নাকি আমার হাত ধরে বলবে তুমি আসলেই একটা পাগল!
হঠাৎ সামনে তাকিয়ে দেখি কালো মেঘের আস্তরণ কেমন রঙিন হচ্ছে, কেউ একজন আমার দিকে ছুটে আসছে। সবযেন ভেঙ্গেচুড়ে আসছে। যখন মুখের আদল স্পষ্ট হলো তখন দেখি এতো আমার চিরচেনা মায়াবী সেই মুখ,সেই চোখ। তার চোখ জোড়া আসতে আসতে করে আমাকে আঁকরে ধরতে আসছে। কতোদিন হয়ে গেছে তার ঐ মায়াভরা চোখে চোখ রে সমুদ্রস্নান করিনি। তোমার চোখের মায়ায় অনেক ডুবেছি,এইবার না হয় আমাকে সাঁতার পারতে দিও।
তুমি চুপটি করে দাঁড়ালে আমার ঠিক সামনে। তোমার দিকে তাকিয়ে অবাক হয়ে ভাবছি,আচ্ছা চাঁদটা নীল হলো কি করে! আরে আমার চাঁদটা যে আজ নীল রংয়ে তার পুরো সীমানা আঁকিয়েছে। আর এখন আমার চারপাশটা সে নীল আভাতে ভরিয়ে দিচ্ছে।
নীল শাড়িতে সত্যিই খুব মানিয়েছে তোমায়।
প্রিয় মানুষটা আজ নিজেকে প্রিয় রংয়ে সাজিয়েছে। আমি শুধু চেয়ে আছি একপলকে...
২য় খন্ড:
কদম ফুল হাতে নিয়ে সেই তখন থেকেই আমি দাঁড়িয়ে, তুমি হঠাৎ বলে উঠলে কি হলো কিছু বলবে,নাকি হা করে তাকিয়েই থাকবে? আমি তখন লক্ষ্য করলাম সত্যিই আমি অবাক চোখে হা করেই তার দিকে তাকিয়ে। একটু নড়েচড়ে বললাম কি গো এতো দেরি করলে যে,আমিতো সেই তখন থেকেই... আমিকে থামিয়ে দিয়ে বললে,"তোমার জন্য খুঁজে খুঁজে এই নীল শাড়িটা পড়তে যেয়েই তো দেরি হয়ে গেল, আর এইটুকু সময়ই ধৈর্য থাকেনা আপনার তাহলে কিভাবে চলবেন এতোকাল"
-হইছে হইছে আমার ধৈর্যের পরিক্ষা এতো নিতে হবে না।
তোমার জন্য এইকদম ফুলগুলো এনেছি, হাতে নিয়ে আমাকে আর কদম ফুলকে ধন্য করেন। কদম ফুলগুলো আকুতি করে তোমাকে বলছে,"আমাদের ছুঁয়ে ধন্য করো হে মায়াবী মেয়ে।"
ফুল গুলো হাতে নিয়েই তুমি বললে,"দেখো কদমগুলো কি সুন্দর বৃষ্টিতে নিজেকে রাঙাচ্ছে"। আমি বললাম বৃষ্টি আর কদমের সাথে অনেক ভাব তাই কদমগুলো বৃষ্টির ফোটা তার প্রতি পরাগে লাগিয়ে নিজেকে উজ্জীবিত করছে। মনে হচ্ছে পরাগে লাগা প্রতি ফোঁটা একেকটা আসমানের তারা, এইবুঝি তোমার জন্য আকাশ থেকে খসে পরলো। আর সেই তারাগুলো আমার আকাশের মায়াবী চাঁদটাকে ঘিরে আলো ছড়াচ্ছে। যদিও কদম ফুলের তেমন কোনো সৌরভ থাকেনা,কিন্তু তোমার হাতের স্পর্শ পাবার পর কদমগুলো যে তোমার সৌরভে সুরভিত হয়ে যাচ্ছে। কদম ফুলগুলোর মনে হয় আজ চিৎকার করে বলতে ইচ্ছে করছে, এসে দেখো সবাই, আমারো সৌরভ আছে,আছে সুমিষ্টঘ্রাণ।
আচ্ছা তুমি কি শুধু কদম ফুলগুলোকেই ছুঁয়ে ধন্য করবে? আমার হাতটা কি একটু ধরা যায়?
তুমি তখন মজা করে বললে,"ধরলে আবার একটু ধরবো কেন? যা কাছে নিবো তা নিজের করে সবটুকুই নিবো" বলার সাথে সাথেই আমার হাত টা আলতো করে তুলে নিলে তোমার হাতে। আমার মনটা তখন বলে উঠলো "ছেড়ো না,ছেড়োনা এ হাত। হাতটা ছেড়ে দিলে নিঃশেষ হয়ে পরে যাবে অতলে। খুজে পাবে না কেউ সামান্য চিন্হ্য,উঠে দাঁড়াবে না নিঃস্তেজ মনটি।পরে থাকবে অথর দেহ,ভংঙ্গুর এক হৃদয়।"
©somewhere in net ltd.
১|
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:৩৪
সনেট কবি বলেছেন: কিছুটা পড়লাম।