নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জানি না।

চেষ্টা করছি কিছু করার।

বর্ষণ মাহি

বর্ষণ মাহি › বিস্তারিত পোস্টঃ

তোর জন্য

২৪ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:০৬

“এই কথাটা আমার সারাজীবন মনে থাকবে। কথাটা হলঃ



আমি ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে থাকতে ২য় সাময়িক পরীক্ষার পর আমি ইসহাক স্যারের কাছে পড়তে জেতাম। আমি অনেক দেরিতে ভর্তি হয়েছিলাম বলে,স্যার আমাকে একজনের কাছ থেকে অংক তুলে নিতে বলেছিলেন। আমি প্রত্যেক্তা মেয়ের কাছে খাতা চাইলাম,কিন্তু কেউই দিল না। স্যারকে বল্লাম-‘স্যার,কেউ আমাকে নোট খাতা দেয় নি।‘ স্যার এবার ছেলেদের কাছে চাইলেন। চন্দন খাতা দিল। তখন থেকে আমি ওকে বন্ধু হিসেবে খুব পছন্দ করি।ও খুব ভাল ছেলে।

৭ম শ্রেণীতে আমাদের বিজ্ঞান ক্লাস নেন মিজান স্যার। স্যার খুবই dangerous . একদিন চন্দন আর সাব্বিরের মধ্যে গণ্ডগোল বাধল স্যার এর ক্লাস এ। সাব্বির স্যারের কাছে নালিশ করল। স্যার খুবই রেগে গেলেন। লাঠি আনতে পাঠালেন। আমরা খুব ভয় পেয়ে গেছিলাম। বুঝতে পারছিলাম আজ চন্দনের কপালে দুঃখ আছে। সবাই মিলে দোয়া করছিলাম। কিন্তু দোয়ায় কোনো কাজ হল না। স্যার ওকে লাঠি দিয়ে খুব জোরে মারলেন। সারা ক্লাসে পিন পতন নিরবতা। ও কাদছিল না। কিন্তু সারা চোখ-মুখ লাল হয়ে ছিল। আমরা সবাই মিলে স্যারকে খুব অভিশাপ দিচ্ছিলাম। ঘন্টা পরল এমন সময়ে। স্যার ক্লাস থেকে বের হয়ে যাচ্ছিলেন। হঠাৎ স্যার থেমে গিয়ে ওকে ডাক দিলেন, তারপর মাথায় হাত দিয়ে আদর করে দিলেন। এতক্ষণ যার চোখে এক ফোটা পানি ছিল না, সে ঝরঝর করে কেঁদে ফেলল। তখন থেকে আমরা কেউ স্যারকে দেখতে পারি না।

কিন্তু অবাক ব্যাপার। পর দিন থেকেই ও স্যারের সাথে খুব ফ্রী হয়ে গেল।”



এই কথা গুলো আমার ২০০৭ সালের ডাইরী থেকে নেওয়া।

জানি না ঠিক কেন,কেন এমন তা হল। সবাই ঠিক আগের মতোই আছে। এখনও মিজান স্যার ক্লাসে পড়ায়। হয়ত মারধরো করে। তুই জানিস? তোকে আমরা(মেয়েরা) ক্লাস ৬ এ “হা করা বান্দর” বলে ডাকতাম। তাই জন্যে কি তুই রাগ করেছিস? জানিস, সামনে আমাদের এইচ এস সি পরীক্ষা। কি যে খাটুনি যাচ্ছে!! তুই তো পালিয়ে বেশ মজায় আছিস না?? আমাদের হেড স্যার এর কথা মনে আছে তোর? আমরা সবাই কত ভয় পেতাম লোকটাকে! জানিস, তোকে না আমরা ভীষন মিস করি রে। তুই তো আর আমাদের একটুও মিস করিস না। করলে কি আর এভাবে চলে যেতে পারতি? জানিস আংকেল আন্টিও তোকে খুব মিস করে। তোর উপর আমরা ভীষন রাগ করেছি।

আজ ২০১৩ সালের ১৭ই মার্চ। ঠিক ২০১২ সালের এই দিনটায় তুই আমাদের দুঃখের সাগরে ভাসিয়ে অনেক দূরে চলে গেলি। মৃত্যু সবাইকে একদিন স্পর্শ করবে। কিন্তু তাই বলে ...... তোর কষ্টগুলো তো তুই আমাদেরকেও বলতে পারতি। আমরা কি তোর কেউ না! আমাদের কেন তুই এত কষ্টদিলি? আংকেল আন্টির কত কষ্ট জানিস তুই? নিজের কষ্টের কথাই ভাবলি শুধু। খুব স্বার্থপর তুই, খুব। এত বড় একটা সীদ্ধান্ত তুই একা নিয়ে নিলি। আমরা কেউ তোর সাথে কথা বলব না । কেউ না। তুই খুব খারাপ







আরো একটি বছর পার হয়ে গেল, তুই আমাদের মাঝে নেই । সবাই আছি আমরা শুধু তুই নেই । তোর দেয়া কিছু স্মৃতি রয়ে গেছে সবার মনে ।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে মে, ২০১৩ রাত ১২:০৪

খেয়া ঘাট বলেছেন: আমি বারবার কেন শুধু দুঃখের পোস্টে এসে হাজির হই।
প্রথমে পড়েতো ভালোই লাগছিলো। শেষে এসে মনটা খুব খারাপ হয়ে গেলো।

২| ১৯ শে মে, ২০১৩ সকাল ১০:২৩

বর্ষণ মাহি বলেছেন: bedona jiboner shathe amn vabe jorito, j tak alada kora jay na.
amar bondhu til nia koto shukher sriti silo, aj shei sriti gulo mone porle chokh e probol borshoner shutropat hoy

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.