![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাংলাদেশে সুহৃদয়বান(শিক্ষিত) লোকের সংখ্যা দিন দিন কমিয়া আসিতেছে এবং তারাই আবার তাদেরই পরিচিত আশেপাশের সকলকে(শিক্ষিত) হীন এবং বৈপরীত্যযুক্ত মানুষিকতায় সমাজযাপনে উৎসাহী করিয়া তুলিতেছে । টিকটিকির লেজুরের মত গজানো সার্টিফিকেট বিক্রয়কারী কিছু নামি দামী প্রাইভেট ভার্সিটির Extra পাখনা সম্বলিত মাষ্টারেরা(প্রফেসরতো নাই, এমন কি তারা শিক্ষকও না)। বিভিন্ন দলের নিকট হইতে পয়সা লইয়া বিভিন্ন দলের পক্ষে কৌশলে নিরপেক্ষ গীত গাঁইতে থাকে । ইতিহাস বিকৃতে তাদের অবস্থান এক নম্বরে । সমাজের অন্যান্য সকল পেশার(শিক্ষিত) চাঁপা ব্যাবসায়ীদের বিবেচনায় তাদেরকে পাবলিক/প্রাইভেট কেটাগরিতে যুক্ত না করিয়া আন্তর্জাতিক ইতিহাস বিকৃতকারীর সমপর্য্যায়ে সন্মানীত করা দেশ ও জাতীর জন্য ফরজে আইন হইয়া দাড়াইয়াছে । তা'রা আভ্যন্তরীন শিক্ষা ব্যাবস্থায় বিচরন করিতে থাকিলে দেশে শিক্ষা ব্যাবস্থায় ধ্বস নামার সম্ভাবনাকে কোন ভাবে উড়াইয়া দেওয়া যাইতে পারে না । পূর্বেও আমাদের দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকগন টেলিভিশনের মুক্ত আলোচনায় অংশগ্রহন করিতেন কিন্তু এদের মত হতাশাগ্রস্ত মরিয়া হইয়া এমন পক্ষপাতমূলক কিংবা আশাহত ভুমিকায় কখনোই অবতির্ন হতেন না । উনারা শিক্ষকতার শতভাগ দ্বায়ীত্ব পালন করিয়াই টকশোতে উনাদের মত প্রকাশ করিতেন । বর্তমান যুগের প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের মাষ্টারগন সব কামকাজ বাদ দিয়া বিভিন্ন দলের নিকট হইতে পয়সা খাইয়া টকশোতে আলোচনায় পূর্ণদ্দ্যমে মশগুল । সাথে একটা বোনাসেরও কল্পনা মাথায় থাকে যে, ম্যাডাম যদি আবার প্রধানমন্ত্রী হইতে পারে তবে আমাকে ওমুক ভার্সিটির ভিসি বানাবে তা'তে কোন ভুল নাই । বিভিন্ন লোভে আমাদের দেশের শিক্ষকগন শিক্ষকতা বাদ দিয়া অভিনব কায়দার পরোক্ষ রাজনীতিতে গাঁ ভাসাইয়া দেয় তবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রশাসনিক কাঠামো সক্রীয় রাখতে মনোনিবেশ করায় তা'হাদের অরুচি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির উপর বিরুপ প্রভাব পড়বে তাতে ক্ষতিগ্রস্ত হবে আমাদের দেশের উচ্চ শিক্ষা ব্যাবস্থা । এই অবস্থা হইতে আমাদের প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় সমূহের মাষ্টারগনকে বিমুখ করিতে হইবে । রাজনৈতিক দলগুলির পক্ষে কথা বলার জন্য নিজস্ব ইতিহাস সৃষ্টিকারী অনেক লোক আছে । বিশ্ববিদ্যালয়ের মাষ্টাগনদিগকে কেন সক্রীয় ভুমিকা রাখিতে হইবে । ইতি মধ্যেই যা'রা টকশোতে আসক্ত হইয়া গিয়াছে তা'দেরকে নিরাময় কেন্দ্রে ভর্তি করিয়াও আসক্তি মুক্ত করা সম্ভব না । হয় তাদেরকে আন্তর্জাতিক ইতিহাস বিকৃতকারী হিসাবে সন্মানিত করিয়া বিদেশে বাংলাদেশের বিভিন্ন দূতাবাসে চাকুরীতে পাঠাইয়া দেশে ফেরার বন্দোবস্ত চীরতরে স্থগিত করা হউক অন্যথায় তাদেরকে শৈল্য চিকিৎসার মাধ্যমে কন্ঠনালীগুলিকে ইতিহাসের আলোচনায় নিরোধ করা হউক । তাদের টকশোর আলোচনা শুধুমাত্র বর্তমান প্রেক্ষাপটেই সীমাবদ্ধ রাখা হউক অথবা এমন ভাবে দৈহিক গঠনতন্ত্র প্রবর্তন করা হউক যাতে করে তাদের পছন্দের দলকে আনন্দিত করিতে নিজের রচনাকৃত বিকৃত ইতিহাস প্রকাশ কালে যা'তে তারা মিথ্যাবাদী, অবিবেচক ও অমানুষের রুপ ধারণ করিতে না পারে ।
©somewhere in net ltd.