![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একটা সময় ছিল যখন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে গ্রামের মেঠোপথে বিরাজ করতো উচ্ছ্বাস, আনন্দ। যোগ হতো, এক ভিন্নরকম আমেজ। প্রার্থীরা ভোটারের দুয়ারে গিয়ে ভোট চাইত, আর প্রান্তিক জনপদের মানুষগুলো নিজেদের ভোটকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখত, দেখেশুনে নিজের পছন্দের প্রার্থীকে নিজেদের শাসনের জন্য নিয়োগ করত। গ্রাম্য দোকানগুলোতে নির্বাচন উপলক্ষ্যে চায়ের কাপে উঠত ঝড়।
আজ এ স্মৃতি যেন রূপকথার গল্প। প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীকে ষষ্ঠ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দেখা যায়নি চিরচেনা ইউপি নির্বাচনের সেই দৃশ্যপট। উল্টো আমেজহীন এ নির্বাচনে ঝরেছে প্রাণ। স্বজনহারাদের বেড়েছে আর্তনাদ। একটার পর একটা লাশ পড়ার খবরে দিশেহারা হয়ে পড়েছে জাতি। উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে গ্রাম্য মেঠোপথ। ককটেল আর বোমার আঘাতে ক্ষত-বিক্ষত হয়েছে শত মায়ের বুক। এ নির্বাচনে ভেঙেছে সহিংসতার অতীত সকল রেকর্ড।
স্থানীয় সরকার হচ্ছে, আমাদের গণতন্ত্রের মূলস্তম্ভ। তাই গণতান্ত্রিক উপায়ে স্থানীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবেÑ এমন প্রত্যাশা জনগণের। কিন্তু সরকার দলীয় পরিচয়ে নির্বাচনের নামে রক্তপাত, ব্যালট ছিনতাই, আহত-নিহতের মতো ঘটনায় গণতন্ত্রকে শয্যাশায়ী করেছে, প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে নির্বাচন প্রক্রিয়া।
নির্বাচনে দেখা গেছে, তফসিল ঘোষণার পর থেকে নির্বাচনের পরের দিন পর্যন্ত সহিংসতা চলমান ছিল। দলীয় প্রতীকে ইউপি নির্বাচনে দেশবাসী প্রত্যাশা করেছিল, রাজনীতিতে একটি গুণগত পরিবর্তন আসবে, জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে। কিন্তু নির্বাচন কমিশন (ইসি) ইউপির সুষ্ঠু নির্বাচন করতে ব্যর্থ হয়েছে। ইসির ব্যর্থতাই বলে দেয়, এ নির্বাচনে একটি দলের একক কর্তৃত্ব ছিল। নির্বাচনে সহিংসতা ঘটে। তবে এবারের নির্বাচনে সহিংসতার মাত্রাটি ছিল বেশ ভয়াবহ। এবারের নির্বাচনি সহিংসতার মাত্রাটি দীর্ঘমেয়াদি। নির্বাচনি তফসিল ঘোষণার পর থেকেই এখন পর্যন্ত এ সহিংসতা চলছে। এ সহিংসতার মাধ্যমে যে বিভেদ সৃষ্টি করা হয়েছে, এটি তৃণমূল পর্যায়ের সম্প্রীতি-সৌহার্দ্যটি দারুণভাবে বিনষ্ট করবে বলে আমার ধারণা। এ সহিংসতার আরেকটি বৈশিষ্ট্য হলো সহিংসতার অধিকাংশই ক্ষমতাসীন দলের মধ্যে হয়েছে। তাদেরই রক্ত ঝরছে। তারাই এর ভিকটিম হয়েছেন এবং মাশুল দিচ্ছেন।
এই ইউপি নির্বাচন অতীতের নির্বাচনগুলোতে ঘটে যাওয়া সকল সহিংসতার রেকর্ড অতিক্রম করেছে। বিভিন্ন পত্র-পত্রিকার তথ্যের আলোকে ষষ্ঠ ধাপের ইউপি নির্বাচনে নির্বাচনি সহিংসতায় ১১০ জনের নিহতের ঘটনা ঘটেছে। নির্বাচনি সহিংসতা হতাহতের বিষয়টি মানুষের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। অতীতের নির্বাচনগুলোর মধ্যে ১৯৮৮ সালে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছিল।
এবারের নির্বাচনে সহিংসতার কারণÑ সরকারদলীয় প্রার্থীরা যেকোনো মূল্যে জয়ী হওয়ার আকাক্সক্ষা। সে সঙ্গে আচরণবিধি ভঙ্গ করে পার পাওয়ার কারণে সহিংসতা বৃদ্ধি পেয়েছে। এ নির্বাচনে বিধি ভঙ্গের ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনকে কখনোই কঠোর অবস্থানে দেখা যায়নি। ইউপি নির্বাচনে মনোনয়ন বাণিজ্যও ছড়িয়ে পড়েছে, আগে সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন বাণিজ্য হতো। এখন স্থানীয় সরকার নির্বাচনেও তা ছড়িয়ে পড়ছে।
যে হারে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার ঘটনা ঘটছে তা নিঃসন্দেহে উদ্বেগজনক। ছয় দফার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ, বিতর্কিত ও বিকৃত হয়েছে। নির্বাচন অস্ত্রের ঝনঝনানিতে পরিণত হয়েছে। প্রকাশ্যে অস্ত্র প্রদর্শন করা হয়েছে। প্রত্যেকটি প্রাণের গুরুত্ব আছে। আবারও প্রাণহানি না হওয়াটাও নির্বাচন সুষ্ঠুতার একক মানদ- নয়। কারণ অস্ত্র দেখলেই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও কর্মী-সমর্থকরা আগেই সরে যান।
কোনো ধাপের নির্বাচনই নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু করতে পারেনি। নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে আয়োজনের ক্ষেত্রে কমিশন পুরোপুরি ব্যর্থ। প্রমাণ হয়ে গেছে, তাদের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। তাই ব্যর্থতার দায় নিয়েই তাদের সরে দাঁড়ানো উচিত। নির্বাচন পরিণত হয়েছে দুঃস্বপ্নে।
একটা সময় ছিল যখন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে গ্রামের মেঠোপথে বিরাজ করতো উচ্ছ্বাস, আনন্দ। যোগ হতো, এক ভিন্নরকম আমেজ। প্রার্থীরা ভোটারের দুয়ারে গিয়ে ভোট চাইত, আর প্রান্তিক জনপদের মানুষগুলো নিজেদের ভোটকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখত, দেখেশুনে নিজের পছন্দের প্রার্থীকে নিজেদের শাসনের জন্য নিয়োগ করত। গ্রাম্য দোকানগুলোতে নির্বাচন উপলক্ষ্যে চায়ের কাপে উঠত ঝড়।
আজ এ স্মৃতি যেন রূপকথার গল্প। প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীকে ষষ্ঠ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দেখা যায়নি চিরচেনা ইউপি নির্বাচনের সেই দৃশ্যপট। উল্টো আমেজহীন এ নির্বাচনে ঝরেছে প্রাণ। স্বজনহারাদের বেড়েছে আর্তনাদ। একটার পর একটা লাশ পড়ার খবরে দিশেহারা হয়ে পড়েছে জাতি। উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে গ্রাম্য মেঠোপথ। ককটেল আর বোমার আঘাতে ক্ষত-বিক্ষত হয়েছে শত মায়ের বুক। এ নির্বাচনে ভেঙেছে সহিংসতার অতীত সকল রেকর্ড।
স্থানীয় সরকার হচ্ছে, আমাদের গণতন্ত্রের মূলস্তম্ভ। তাই গণতান্ত্রিক উপায়ে স্থানীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবেÑ এমন প্রত্যাশা জনগণের। কিন্তু সরকার দলীয় পরিচয়ে নির্বাচনের নামে রক্তপাত, ব্যালট ছিনতাই, আহত-নিহতের মতো ঘটনায় গণতন্ত্রকে শয্যাশায়ী করেছে, প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে নির্বাচন প্রক্রিয়া।
নির্বাচনে দেখা গেছে, তফসিল ঘোষণার পর থেকে নির্বাচনের পরের দিন পর্যন্ত সহিংসতা চলমান ছিল। দলীয় প্রতীকে ইউপি নির্বাচনে দেশবাসী প্রত্যাশা করেছিল, রাজনীতিতে একটি গুণগত পরিবর্তন আসবে, জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে। কিন্তু নির্বাচন কমিশন (ইসি) ইউপির সুষ্ঠু নির্বাচন করতে ব্যর্থ হয়েছে। ইসির ব্যর্থতাই বলে দেয়, এ নির্বাচনে একটি দলের একক কর্তৃত্ব ছিল। নির্বাচনে সহিংসতা ঘটে। তবে এবারের নির্বাচনে সহিংসতার মাত্রাটি ছিল বেশ ভয়াবহ। এবারের নির্বাচনি সহিংসতার মাত্রাটি দীর্ঘমেয়াদি। নির্বাচনি তফসিল ঘোষণার পর থেকেই এখন পর্যন্ত এ সহিংসতা চলছে। এ সহিংসতার মাধ্যমে যে বিভেদ সৃষ্টি করা হয়েছে, এটি তৃণমূল পর্যায়ের সম্প্রীতি-সৌহার্দ্যটি দারুণভাবে বিনষ্ট করবে বলে আমার ধারণা। এ সহিংসতার আরেকটি বৈশিষ্ট্য হলো সহিংসতার অধিকাংশই ক্ষমতাসীন দলের মধ্যে হয়েছে। তাদেরই রক্ত ঝরছে। তারাই এর ভিকটিম হয়েছেন এবং মাশুল দিচ্ছেন।
এই ইউপি নির্বাচন অতীতের নির্বাচনগুলোতে ঘটে যাওয়া সকল সহিংসতার রেকর্ড অতিক্রম করেছে। বিভিন্ন পত্র-পত্রিকার তথ্যের আলোকে ষষ্ঠ ধাপের ইউপি নির্বাচনে নির্বাচনি সহিংসতায় ১১০ জনের নিহতের ঘটনা ঘটেছে। নির্বাচনি সহিংসতা হতাহতের বিষয়টি মানুষের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। অতীতের নির্বাচনগুলোর মধ্যে ১৯৮৮ সালে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছিল।
এবারের নির্বাচনে সহিংসতার কারণÑ সরকারদলীয় প্রার্থীরা যেকোনো মূল্যে জয়ী হওয়ার আকাক্সক্ষা। সে সঙ্গে আচরণবিধি ভঙ্গ করে পার পাওয়ার কারণে সহিংসতা বৃদ্ধি পেয়েছে। এ নির্বাচনে বিধি ভঙ্গের ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনকে কখনোই কঠোর অবস্থানে দেখা যায়নি। ইউপি নির্বাচনে মনোনয়ন বাণিজ্যও ছড়িয়ে পড়েছে, আগে সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন বাণিজ্য হতো। এখন স্থানীয় সরকার নির্বাচনেও তা ছড়িয়ে পড়ছে।
যে হারে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার ঘটনা ঘটছে তা নিঃসন্দেহে উদ্বেগজনক। ছয় দফার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ, বিতর্কিত ও বিকৃত হয়েছে। নির্বাচন অস্ত্রের ঝনঝনানিতে পরিণত হয়েছে। প্রকাশ্যে অস্ত্র প্রদর্শন করা হয়েছে। প্রত্যেকটি প্রাণের গুরুত্ব আছে। আবারও প্রাণহানি না হওয়াটাও নির্বাচন সুষ্ঠুতার একক মানদ- নয়। কারণ অস্ত্র দেখলেই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও কর্মী-সমর্থকরা আগেই সরে যান।
কোনো ধাপের নির্বাচনই নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু করতে পারেনি। নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে আয়োজনের ক্ষেত্রে কমিশন পুরোপুরি ব্যর্থ। প্রমাণ হয়ে গেছে, তাদের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। তাই ব্যর্থতার দায় নিয়েই তাদের সরে দাঁড়ানো উচিত। নির্বাচন পরিণত হয়েছে দুঃস্বপ্নে।
২| ১০ ই জুন, ২০১৬ রাত ১০:০৩
বৈশাখের আমরণ নিদাঘ বলেছেন: এক দলের নির্বাচনেই এত মারামারি? বহুদল হইলে তো কেয়ামত হইতো। থাক, আমার একদলই ভালো।
নির্বাচন কমিশনের অধীনের স্কুল কলেজের পরিষদ নির্বাচনের দ্বায়িত্বও দেয়া হোক। শুনছি, ওইসবের কিছু কিছু জায়গায় নাকি এখনো নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়
৩| ১০ ই জুন, ২০১৬ রাত ১০:৫৫
সোজোন বাদিয়া বলেছেন: আমরা সেই দিনের উন্নয়ন চেয়েছিলাম। এখন সেই দিন যেন রূপকথা হয়ে গেল। কী আর বলব, সবই "চেতনার খেলা" ।
©somewhere in net ltd.
১|
১০ ই জুন, ২০১৬ রাত ৯:৩৫
বিজন রয় বলেছেন: রেকর্ড তো ভাঙার জন্যই।