নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সোলায়মান ডালিম

সংবাদকর্মী

সোলায়মান ডালিম › বিস্তারিত পোস্টঃ

আদৌ কি তদন্ত হবে শেষ হবে ?

১০ ই জুন, ২০১৬ রাত ৯:৪২

সোলায়মান ডালিম>>
৪৮ ঘণ্টার মধ্যে খুন হলেন তিনজন, যার শুরুটা হয়েছিল চট্টামে পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতুকে হত্যার মধ্য দিয়ে। মাঝে খুন হয়েছেন নাটোরে খ্রিষ্টান মুদি দোকানদার। শেষে ঝিনাইদহের পুরোহিত হত্যার ঘটনা। দেশে চোরাগোপ্তা হামলা চালিয়ে হত্যার ঘটনা বাড়লেও অপরাধীদের শনাক্তকরণ ও গ্রেপ্তারে সাফল্য নেই। অল্প সময়ের ব্যবধানে ঊর্ধ্বতন একজন পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রীসহ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের দুই সদস্যের হত্যাকাণ্ড জনমনে ভীতির সঞ্চার করলেও কোনো অপরাধী ধরা পড়েনি। এ থেকে স্পষ্ট—অপরাধীরা আগের তুলনায় আরো বেশি সাবধানী, সুসংগঠিত। এর মধ্য দিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দুর্বলতাও প্রকটভাবে প্রকাশ পাচ্ছে।
সাধারণ মানুষের জানমালের নিরাপত্তা দান রাষ্ট্রের দায়িত্ব। এই নিরাপত্তা বিধানের কাজে প্রথম সারিতেই ভূমিকা পালন করে পুলিশ। পুলিশের বিরুদ্ধে অনেক ধরনের অভিযোগও শোনা যায় এবং সেগুলো একেবারে ভিত্তিহীনও নয়। এর পরও এই বাহিনীর কোনো কোনো সদস্য যে তাঁদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব আন্তরিকতা এবং নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করেছেন তার প্রমাণ পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার। দুঃখজনক হচ্ছে, এই কর্মকর্তারই স্ত্রী নৃশংসভাবে খুন হওয়ার পর অপরাধীদের গ্রেপ্তার বা শনাক্তকরণে সামান্যতম সাফল্যও আসছে না। বরং এ ক্ষেত্রে পুলিশের তরফে তদন্ত পরিচালনায় অহেতুক কালক্ষেপণ চলছে বলে গতকাল কালের কণ্ঠ’র প্রতিবেদনে সবিস্তার উঠে এসেছে। খুনটি হয়েছে প্রকাশ্যে। হত্যাকাণ্ড চালিয়ে মোটরসাইকেলে করে খুনিদের সটকে পড়ার দৃশ্য ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরায়ও ধরা পড়েছে। খুনিরা ধরা পড়ছে না। তাদের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি উদ্ধার হওয়ার পর দেখা গেছে, বাহনটি চুরি করা ও এর নাম্বার প্লেটটি ভুয়া। অপরাধীরা এভাবে জাল নম্বর নিয়ে কিভাবে সদর্পে রাজপথে ঘুরে বেড়ায়? ট্রাফিক পুলিশ কোথায় থাকে? মিতু হত্যাকাণ্ডের তদন্তে বিশৃঙ্খলা নিয়ে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন কর্মকর্তারাই এখন হতাশ। সহকর্মীর পরিবারের ওপর এত বড় আঘাতের ঘটনায় তাঁদের মধ্যেও এক ধরনের আতঙ্ক কাজ করছে। তবে হুমকি যতই থাকুক, পেশাদারত্বের সঙ্গে আপস চলবে না।
একের পর এক স্পর্শকাতর হত্যাকাণ্ড দেশের ভাবমূর্তিও বহির্বিশ্বে ক্ষুণ্ন করছে। ঝিনাইদহে পুরোহিত হত্যার ঘটনাস্থল দেখতে গেছে ভারতীয় হাইকমিশনের একটি প্রতিনিধিদল। বাংলাদেশে এ-জাতীয় অপরাধ বেড়ে যাওয়ায় ইউরোপীয় পার্লামেন্টে উদ্বেগ ব্যক্ত করা হয়েছে। দেশেও জনমনে আতঙ্ক দিন দিন বাড়ছে। পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রীর খুনিদের চেহারা সিসি ক্যামেরায় অস্পষ্টভাবে হলেও ধরা পড়েছে। সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের ডাটাবেইস তৈরি করা থাকলে তাদের শনাক্ত করার কাজটি কঠিন হতো না। তথ্যপ্রযুক্তির এই যুগে অপরাধীরা নিত্যনতুন কৌশল ব্যবহার করে থাকে। তাই অপরাধ কার্যকরভাবে দমন করতে চাইলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকেও আধুনিক ও দক্ষ হতে হবে। দায়িত্ব পালনে উদাসীনতা, অপরাধ সংঘটনে সহযোগিতা করা, অপরাধীদের পক্ষ নেওয়াসহ নানা অভিযোগ রয়েছে পুলিশের বিরুদ্ধে। পুলিশের এই দুর্বলতারও সুযোগ নিচ্ছে অপরাধীরা। সমস্যাটি অনেক পুরনো হলেও সমাধান মিলছে না। কেউ খুন হলে কয়েক দিন হইচই হবে, তদন্ত কার্যক্রম কয়েক দিন চলে থেমে যাবে—এমন অবস্থা চলতে থাকলে সমাজ সামনে এগোনোর বদলে পশ্চাদ্গামী হয়ে পড়তে পারে। হত্যাকাণ্ডে স্বজন হারানো পরিবারের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা, প্রতিটি নাগরিকের নিরাপত্তা বিধান করা রাষ্ট্রের অন্যতম দায়িত্ব। এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্বটি সুচারুরূপে পালন করতে হবে। প্রয়োজনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাব্যবস্থা ঢেলে সাজাতে হবে। একের পর এক মানুষ খুন হবে, খুনিরা ধরা পড়বে না—এ প্রবণতা ভয়ংকর।
একই ধরনের এই হত্যাকাণ্ডগুলোর শিকার হচ্ছেন মূলত ধর্মীয় সংখ্যালঘু, ভিন্নমতাবলম্বী, বিদেশি নাগরিক বা ভিন্ন জীবনধারায় বিশ্বাসী লোকজন। মাঝে ব্যতিক্রম হিসেবে খুন হলেন পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রী। চট্টগ্রামে পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রী খুনের সঙ্গে একই চক্র জড়িত থাকলে ধরে নিতে হবে যে এই হত্যাকারী চক্র তাদের নিশানার আওতা বাড়িয়েছে। সাধারণভাবে এসব হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে ধর্মীয় জঙ্গিগোষ্ঠীগুলো জড়িত রয়েছে বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে।
এ ধরনের ঘটনাগুলো ঘটার পর অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আন্তর্জাতিক জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসের কাছ থেকে ‘দায় স্বীকারের’ ঘটনা ঘটে। নাটোরে খ্রিষ্টান মুদি দোকানদার ও ঝিনাইদহের পুরোহিত হত্যার ঘটনাতেও তাই হয়েছে। আবার পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রী হত্যার ঘটনায় কেউ দায় স্বীকার করেনি। পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল আক্তারের জঙ্গিবিরোধী তৎপরতার কারণেই তাঁর স্ত্রী হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন বলে পুলিশের ধারণা। অন্যদিকে বাংলাদেশে আইএসের অস্তিত্ব নেই বলে সরকার দাবি করে আসছে। প্রশ্ন হচ্ছে এসব ঘটনা তবে কারা ঘটাচ্ছে? একাধিক গোষ্ঠী জড়িত কি না বা এসব ঘটনা ঘটিয়ে তারা কীভাবে ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকতে পারছে, সেগুলো বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
খুনি চক্রের এই বেপরোয়াভাব দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সামগ্রিকভাবে সরকারের ব্যর্থতাকেই তুলে ধরছে। এসব হত্যাকাণ্ড যেমন থামানো যাচ্ছে না, তেমনি হত্যাকাণ্ডের পরও খুনিদের চিহ্নিত ও বিচারের মুখোমুখি করা যাচ্ছে না। আমরা চাই এ নিয়ে সব বিভ্রান্তি দূর হোক, খুনি চক্র চিহ্নিত ও বিচারের মুখোমুখি হোক।
৪৮ ঘণ্টার মধ্যে খুন হলেন তিনজন, যার শুরুটা হয়েছিল চট্টামে পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতুকে হত্যার মধ্য দিয়ে। মাঝে খুন হয়েছেন নাটোরে খ্রিষ্টান মুদি দোকানদার। শেষে ঝিনাইদহের পুরোহিত হত্যার ঘটনা। দেশে চোরাগোপ্তা হামলা চালিয়ে হত্যার ঘটনা বাড়লেও অপরাধীদের শনাক্তকরণ ও গ্রেপ্তারে সাফল্য নেই। অল্প সময়ের ব্যবধানে ঊর্ধ্বতন একজন পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রীসহ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের দুই সদস্যের হত্যাকাণ্ড জনমনে ভীতির সঞ্চার করলেও কোনো অপরাধী ধরা পড়েনি। এ থেকে স্পষ্ট—অপরাধীরা আগের তুলনায় আরো বেশি সাবধানী, সুসংগঠিত। এর মধ্য দিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দুর্বলতাও প্রকটভাবে প্রকাশ পাচ্ছে।
সাধারণ মানুষের জানমালের নিরাপত্তা দান রাষ্ট্রের দায়িত্ব। এই নিরাপত্তা বিধানের কাজে প্রথম সারিতেই ভূমিকা পালন করে পুলিশ। পুলিশের বিরুদ্ধে অনেক ধরনের অভিযোগও শোনা যায় এবং সেগুলো একেবারে ভিত্তিহীনও নয়। এর পরও এই বাহিনীর কোনো কোনো সদস্য যে তাঁদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব আন্তরিকতা এবং নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করেছেন তার প্রমাণ পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার। দুঃখজনক হচ্ছে, এই কর্মকর্তারই স্ত্রী নৃশংসভাবে খুন হওয়ার পর অপরাধীদের গ্রেপ্তার বা শনাক্তকরণে সামান্যতম সাফল্যও আসছে না। বরং এ ক্ষেত্রে পুলিশের তরফে তদন্ত পরিচালনায় অহেতুক কালক্ষেপণ চলছে বলে গতকাল কালের কণ্ঠ’র প্রতিবেদনে সবিস্তার উঠে এসেছে। খুনটি হয়েছে প্রকাশ্যে। হত্যাকাণ্ড চালিয়ে মোটরসাইকেলে করে খুনিদের সটকে পড়ার দৃশ্য ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরায়ও ধরা পড়েছে। খুনিরা ধরা পড়ছে না। তাদের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি উদ্ধার হওয়ার পর দেখা গেছে, বাহনটি চুরি করা ও এর নাম্বার প্লেটটি ভুয়া। অপরাধীরা এভাবে জাল নম্বর নিয়ে কিভাবে সদর্পে রাজপথে ঘুরে বেড়ায়? ট্রাফিক পুলিশ কোথায় থাকে? মিতু হত্যাকাণ্ডের তদন্তে বিশৃঙ্খলা নিয়ে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন কর্মকর্তারাই এখন হতাশ। সহকর্মীর পরিবারের ওপর এত বড় আঘাতের ঘটনায় তাঁদের মধ্যেও এক ধরনের আতঙ্ক কাজ করছে। তবে হুমকি যতই থাকুক, পেশাদারত্বের সঙ্গে আপস চলবে না।
একের পর এক স্পর্শকাতর হত্যাকাণ্ড দেশের ভাবমূর্তিও বহির্বিশ্বে ক্ষুণ্ন করছে। ঝিনাইদহে পুরোহিত হত্যার ঘটনাস্থল দেখতে গেছে ভারতীয় হাইকমিশনের একটি প্রতিনিধিদল। বাংলাদেশে এ-জাতীয় অপরাধ বেড়ে যাওয়ায় ইউরোপীয় পার্লামেন্টে উদ্বেগ ব্যক্ত করা হয়েছে। দেশেও জনমনে আতঙ্ক দিন দিন বাড়ছে। পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রীর খুনিদের চেহারা সিসি ক্যামেরায় অস্পষ্টভাবে হলেও ধরা পড়েছে। সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের ডাটাবেইস তৈরি করা থাকলে তাদের শনাক্ত করার কাজটি কঠিন হতো না। তথ্যপ্রযুক্তির এই যুগে অপরাধীরা নিত্যনতুন কৌশল ব্যবহার করে থাকে। তাই অপরাধ কার্যকরভাবে দমন করতে চাইলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকেও আধুনিক ও দক্ষ হতে হবে। দায়িত্ব পালনে উদাসীনতা, অপরাধ সংঘটনে সহযোগিতা করা, অপরাধীদের পক্ষ নেওয়াসহ নানা অভিযোগ রয়েছে পুলিশের বিরুদ্ধে। পুলিশের এই দুর্বলতারও সুযোগ নিচ্ছে অপরাধীরা। সমস্যাটি অনেক পুরনো হলেও সমাধান মিলছে না। কেউ খুন হলে কয়েক দিন হইচই হবে, তদন্ত কার্যক্রম কয়েক দিন চলে থেমে যাবে—এমন অবস্থা চলতে থাকলে সমাজ সামনে এগোনোর বদলে পশ্চাদ্গামী হয়ে পড়তে পারে। হত্যাকাণ্ডে স্বজন হারানো পরিবারের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা, প্রতিটি নাগরিকের নিরাপত্তা বিধান করা রাষ্ট্রের অন্যতম দায়িত্ব। এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্বটি সুচারুরূপে পালন করতে হবে। প্রয়োজনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাব্যবস্থা ঢেলে সাজাতে হবে। একের পর এক মানুষ খুন হবে, খুনিরা ধরা পড়বে না—এ প্রবণতা ভয়ংকর।
একই ধরনের এই হত্যাকাণ্ডগুলোর শিকার হচ্ছেন মূলত ধর্মীয় সংখ্যালঘু, ভিন্নমতাবলম্বী, বিদেশি নাগরিক বা ভিন্ন জীবনধারায় বিশ্বাসী লোকজন। মাঝে ব্যতিক্রম হিসেবে খুন হলেন পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রী। চট্টগ্রামে পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রী খুনের সঙ্গে একই চক্র জড়িত থাকলে ধরে নিতে হবে যে এই হত্যাকারী চক্র তাদের নিশানার আওতা বাড়িয়েছে। সাধারণভাবে এসব হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে ধর্মীয় জঙ্গিগোষ্ঠীগুলো জড়িত রয়েছে বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে।
এ ধরনের ঘটনাগুলো ঘটার পর অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আন্তর্জাতিক জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসের কাছ থেকে ‘দায় স্বীকারের’ ঘটনা ঘটে। নাটোরে খ্রিষ্টান মুদি দোকানদার ও ঝিনাইদহের পুরোহিত হত্যার ঘটনাতেও তাই হয়েছে। আবার পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রী হত্যার ঘটনায় কেউ দায় স্বীকার করেনি। পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল আক্তারের জঙ্গিবিরোধী তৎপরতার কারণেই তাঁর স্ত্রী হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন বলে পুলিশের ধারণা। অন্যদিকে বাংলাদেশে আইএসের অস্তিত্ব নেই বলে সরকার দাবি করে আসছে। প্রশ্ন হচ্ছে এসব ঘটনা তবে কারা ঘটাচ্ছে? একাধিক গোষ্ঠী জড়িত কি না বা এসব ঘটনা ঘটিয়ে তারা কীভাবে ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকতে পারছে, সেগুলো বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
খুনি চক্রের এই বেপরোয়াভাব দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সামগ্রিকভাবে সরকারের ব্যর্থতাকেই তুলে ধরছে। এসব হত্যাকাণ্ড যেমন থামানো যাচ্ছে না, তেমনি হত্যাকাণ্ডের পরও খুনিদের চিহ্নিত ও বিচারের মুখোমুখি করা যাচ্ছে না। আমরা চাই এ নিয়ে সব বিভ্রান্তি দূর হোক, খুনি চক্র চিহ্নিত ও বিচারের মুখোমুখি হোক।
৪৮ ঘণ্টার মধ্যে খুন হলেন তিনজন, যার শুরুটা হয়েছিল চট্টামে পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতুকে হত্যার মধ্য দিয়ে। মাঝে খুন হয়েছেন নাটোরে খ্রিষ্টান মুদি দোকানদার। শেষে ঝিনাইদহের পুরোহিত হত্যার ঘটনা। দেশে চোরাগোপ্তা হামলা চালিয়ে হত্যার ঘটনা বাড়লেও অপরাধীদের শনাক্তকরণ ও গ্রেপ্তারে সাফল্য নেই। অল্প সময়ের ব্যবধানে ঊর্ধ্বতন একজন পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রীসহ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের দুই সদস্যের হত্যাকাণ্ড জনমনে ভীতির সঞ্চার করলেও কোনো অপরাধী ধরা পড়েনি। এ থেকে স্পষ্ট—অপরাধীরা আগের তুলনায় আরো বেশি সাবধানী, সুসংগঠিত। এর মধ্য দিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দুর্বলতাও প্রকটভাবে প্রকাশ পাচ্ছে।
সাধারণ মানুষের জানমালের নিরাপত্তা দান রাষ্ট্রের দায়িত্ব। এই নিরাপত্তা বিধানের কাজে প্রথম সারিতেই ভূমিকা পালন করে পুলিশ। পুলিশের বিরুদ্ধে অনেক ধরনের অভিযোগও শোনা যায় এবং সেগুলো একেবারে ভিত্তিহীনও নয়। এর পরও এই বাহিনীর কোনো কোনো সদস্য যে তাঁদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব আন্তরিকতা এবং নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করেছেন তার প্রমাণ পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার। দুঃখজনক হচ্ছে, এই কর্মকর্তারই স্ত্রী নৃশংসভাবে খুন হওয়ার পর অপরাধীদের গ্রেপ্তার বা শনাক্তকরণে সামান্যতম সাফল্যও আসছে না। বরং এ ক্ষেত্রে পুলিশের তরফে তদন্ত পরিচালনায় অহেতুক কালক্ষেপণ চলছে বলে গতকাল কালের কণ্ঠ’র প্রতিবেদনে সবিস্তার উঠে এসেছে। খুনটি হয়েছে প্রকাশ্যে। হত্যাকাণ্ড চালিয়ে মোটরসাইকেলে করে খুনিদের সটকে পড়ার দৃশ্য ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরায়ও ধরা পড়েছে। খুনিরা ধরা পড়ছে না। তাদের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি উদ্ধার হওয়ার পর দেখা গেছে, বাহনটি চুরি করা ও এর নাম্বার প্লেটটি ভুয়া। অপরাধীরা এভাবে জাল নম্বর নিয়ে কিভাবে সদর্পে রাজপথে ঘুরে বেড়ায়? ট্রাফিক পুলিশ কোথায় থাকে? মিতু হত্যাকাণ্ডের তদন্তে বিশৃঙ্খলা নিয়ে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন কর্মকর্তারাই এখন হতাশ। সহকর্মীর পরিবারের ওপর এত বড় আঘাতের ঘটনায় তাঁদের মধ্যেও এক ধরনের আতঙ্ক কাজ করছে। তবে হুমকি যতই থাকুক, পেশাদারত্বের সঙ্গে আপস চলবে না।
একের পর এক স্পর্শকাতর হত্যাকাণ্ড দেশের ভাবমূর্তিও বহির্বিশ্বে ক্ষুণ্ন করছে। ঝিনাইদহে পুরোহিত হত্যার ঘটনাস্থল দেখতে গেছে ভারতীয় হাইকমিশনের একটি প্রতিনিধিদল। বাংলাদেশে এ-জাতীয় অপরাধ বেড়ে যাওয়ায় ইউরোপীয় পার্লামেন্টে উদ্বেগ ব্যক্ত করা হয়েছে। দেশেও জনমনে আতঙ্ক দিন দিন বাড়ছে। পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রীর খুনিদের চেহারা সিসি ক্যামেরায় অস্পষ্টভাবে হলেও ধরা পড়েছে। সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের ডাটাবেইস তৈরি করা থাকলে তাদের শনাক্ত করার কাজটি কঠিন হতো না। তথ্যপ্রযুক্তির এই যুগে অপরাধীরা নিত্যনতুন কৌশল ব্যবহার করে থাকে। তাই অপরাধ কার্যকরভাবে দমন করতে চাইলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকেও আধুনিক ও দক্ষ হতে হবে। দায়িত্ব পালনে উদাসীনতা, অপরাধ সংঘটনে সহযোগিতা করা, অপরাধীদের পক্ষ নেওয়াসহ নানা অভিযোগ রয়েছে পুলিশের বিরুদ্ধে। পুলিশের এই দুর্বলতারও সুযোগ নিচ্ছে অপরাধীরা। সমস্যাটি অনেক পুরনো হলেও সমাধান মিলছে না। কেউ খুন হলে কয়েক দিন হইচই হবে, তদন্ত কার্যক্রম কয়েক দিন চলে থেমে যাবে—এমন অবস্থা চলতে থাকলে সমাজ সামনে এগোনোর বদলে পশ্চাদ্গামী হয়ে পড়তে পারে। হত্যাকাণ্ডে স্বজন হারানো পরিবারের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা, প্রতিটি নাগরিকের নিরাপত্তা বিধান করা রাষ্ট্রের অন্যতম দায়িত্ব। এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্বটি সুচারুরূপে পালন করতে হবে। প্রয়োজনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাব্যবস্থা ঢেলে সাজাতে হবে। একের পর এক মানুষ খুন হবে, খুনিরা ধরা পড়বে না—এ প্রবণতা ভয়ংকর।
একই ধরনের এই হত্যাকাণ্ডগুলোর শিকার হচ্ছেন মূলত ধর্মীয় সংখ্যালঘু, ভিন্নমতাবলম্বী, বিদেশি নাগরিক বা ভিন্ন জীবনধারায় বিশ্বাসী লোকজন। মাঝে ব্যতিক্রম হিসেবে খুন হলেন পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রী। চট্টগ্রামে পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রী খুনের সঙ্গে একই চক্র জড়িত থাকলে ধরে নিতে হবে যে এই হত্যাকারী চক্র তাদের নিশানার আওতা বাড়িয়েছে। সাধারণভাবে এসব হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে ধর্মীয় জঙ্গিগোষ্ঠীগুলো জড়িত রয়েছে বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে।
এ ধরনের ঘটনাগুলো ঘটার পর অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আন্তর্জাতিক জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসের কাছ থেকে ‘দায় স্বীকারের’ ঘটনা ঘটে। নাটোরে খ্রিষ্টান মুদি দোকানদার ও ঝিনাইদহের পুরোহিত হত্যার ঘটনাতেও তাই হয়েছে। আবার পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রী হত্যার ঘটনায় কেউ দায় স্বীকার করেনি। পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল আক্তারের জঙ্গিবিরোধী তৎপরতার কারণেই তাঁর স্ত্রী হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন বলে পুলিশের ধারণা। অন্যদিকে বাংলাদেশে আইএসের অস্তিত্ব নেই বলে সরকার দাবি করে আসছে। প্রশ্ন হচ্ছে এসব ঘটনা তবে কারা ঘটাচ্ছে? একাধিক গোষ্ঠী জড়িত কি না বা এসব ঘটনা ঘটিয়ে তারা কীভাবে ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকতে পারছে, সেগুলো বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
খুনি চক্রের এই বেপরোয়াভাব দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সামগ্রিকভাবে সরকারের ব্যর্থতাকেই তুলে ধরছে। এসব হত্যাকাণ্ড যেমন থামানো যাচ্ছে না, তেমনি হত্যাকাণ্ডের পরও খুনিদের চিহ্নিত ও বিচারের মুখোমুখি করা যাচ্ছে না। আমরা চাই এ নিয়ে সব বিভ্রান্তি দূর হোক, খুনি চক্র চিহ্নিত ও বিচারের মুখোমুখি হোক।
৪৮ ঘণ্টার মধ্যে খুন হলেন তিনজন, যার শুরুটা হয়েছিল চট্টামে পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতুকে হত্যার মধ্য দিয়ে। মাঝে খুন হয়েছেন নাটোরে খ্রিষ্টান মুদি দোকানদার। শেষে ঝিনাইদহের পুরোহিত হত্যার ঘটনা। দেশে চোরাগোপ্তা হামলা চালিয়ে হত্যার ঘটনা বাড়লেও অপরাধীদের শনাক্তকরণ ও গ্রেপ্তারে সাফল্য নেই। অল্প সময়ের ব্যবধানে ঊর্ধ্বতন একজন পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রীসহ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের দুই সদস্যের হত্যাকাণ্ড জনমনে ভীতির সঞ্চার করলেও কোনো অপরাধী ধরা পড়েনি। এ থেকে স্পষ্ট—অপরাধীরা আগের তুলনায় আরো বেশি সাবধানী, সুসংগঠিত। এর মধ্য দিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দুর্বলতাও প্রকটভাবে প্রকাশ পাচ্ছে।
সাধারণ মানুষের জানমালের নিরাপত্তা দান রাষ্ট্রের দায়িত্ব। এই নিরাপত্তা বিধানের কাজে প্রথম সারিতেই ভূমিকা পালন করে পুলিশ। পুলিশের বিরুদ্ধে অনেক ধরনের অভিযোগও শোনা যায় এবং সেগুলো একেবারে ভিত্তিহীনও নয়। এর পরও এই বাহিনীর কোনো কোনো সদস্য যে তাঁদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব আন্তরিকতা এবং নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করেছেন তার প্রমাণ পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার। দুঃখজনক হচ্ছে, এই কর্মকর্তারই স্ত্রী নৃশংসভাবে খুন হওয়ার পর অপরাধীদের গ্রেপ্তার বা শনাক্তকরণে সামান্যতম সাফল্যও আসছে না। বরং এ ক্ষেত্রে পুলিশের তরফে তদন্ত পরিচালনায় অহেতুক কালক্ষেপণ চলছে বলে গতকাল কালের কণ্ঠ’র প্রতিবেদনে সবিস্তার উঠে এসেছে। খুনটি হয়েছে প্রকাশ্যে। হত্যাকাণ্ড চালিয়ে মোটরসাইকেলে করে খুনিদের সটকে পড়ার দৃশ্য ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরায়ও ধরা পড়েছে। খুনিরা ধরা পড়ছে না। তাদের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি উদ্ধার হওয়ার পর দেখা গেছে, বাহনটি চুরি করা ও এর নাম্বার প্লেটটি ভুয়া। অপরাধীরা এভাবে জাল নম্বর নিয়ে কিভাবে সদর্পে রাজপথে ঘুরে বেড়ায়? ট্রাফিক পুলিশ কোথায় থাকে? মিতু হত্যাকাণ্ডের তদন্তে বিশৃঙ্খলা নিয়ে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন কর্মকর্তারাই এখন হতাশ। সহকর্মীর পরিবারের ওপর এত বড় আঘাতের ঘটনায় তাঁদের মধ্যেও এক ধরনের আতঙ্ক কাজ করছে। তবে হুমকি যতই থাকুক, পেশাদারত্বের সঙ্গে আপস চলবে না।
একের পর এক স্পর্শকাতর হত্যাকাণ্ড দেশের ভাবমূর্তিও বহির্বিশ্বে ক্ষুণ্ন করছে। ঝিনাইদহে পুরোহিত হত্যার ঘটনাস্থল দেখতে গেছে ভারতীয় হাইকমিশনের একটি প্রতিনিধিদল। বাংলাদেশে এ-জাতীয় অপরাধ বেড়ে যাওয়ায় ইউরোপীয় পার্লামেন্টে উদ্বেগ ব্যক্ত করা হয়েছে। দেশেও জনমনে আতঙ্ক দিন দিন বাড়ছে। পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রীর খুনিদের চেহারা সিসি ক্যামেরায় অস্পষ্টভাবে হলেও ধরা পড়েছে। সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের ডাটাবেইস তৈরি করা থাকলে তাদের শনাক্ত করার কাজটি কঠিন হতো না। তথ্যপ্রযুক্তির এই যুগে অপরাধীরা নিত্যনতুন কৌশল ব্যবহার করে থাকে। তাই অপরাধ কার্যকরভাবে দমন করতে চাইলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকেও আধুনিক ও দক্ষ হতে হবে। দায়িত্ব পালনে উদাসীনতা, অপরাধ সংঘটনে সহযোগিতা করা, অপরাধীদের পক্ষ নেওয়াসহ নানা অভিযোগ রয়েছে পুলিশের বিরুদ্ধে। পুলিশের এই দুর্বলতারও সুযোগ নিচ্ছে অপরাধীরা। সমস্যাটি অনেক পুরনো হলেও সমাধান মিলছে না। কেউ খুন হলে কয়েক দিন হইচই হবে, তদন্ত কার্যক্রম কয়েক দিন চলে থেমে যাবে—এমন অবস্থা চলতে থাকলে সমাজ সামনে এগোনোর বদলে পশ্চাদ্গামী হয়ে পড়তে পারে। হত্যাকাণ্ডে স্বজন হারানো পরিবারের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা, প্রতিটি নাগরিকের নিরাপত্তা বিধান করা রাষ্ট্রের অন্যতম দায়িত্ব। এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্বটি সুচারুরূপে পালন করতে হবে। প্রয়োজনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাব্যবস্থা ঢেলে সাজাতে হবে। একের পর এক মানুষ খুন হবে, খুনিরা ধরা পড়বে না—এ প্রবণতা ভয়ংকর।
একই ধরনের এই হত্যাকাণ্ডগুলোর শিকার হচ্ছেন মূলত ধর্মীয় সংখ্যালঘু, ভিন্নমতাবলম্বী, বিদেশি নাগরিক বা ভিন্ন জীবনধারায় বিশ্বাসী লোকজন। মাঝে ব্যতিক্রম হিসেবে খুন হলেন পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রী। চট্টগ্রামে পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রী খুনের সঙ্গে একই চক্র জড়িত থাকলে ধরে নিতে হবে যে এই হত্যাকারী চক্র তাদের নিশানার আওতা বাড়িয়েছে। সাধারণভাবে এসব হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে ধর্মীয় জঙ্গিগোষ্ঠীগুলো জড়িত রয়েছে বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে।
এ ধরনের ঘটনাগুলো ঘটার পর অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আন্তর্জাতিক জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসের কাছ থেকে ‘দায় স্বীকারের’ ঘটনা ঘটে। নাটোরে খ্রিষ্টান মুদি দোকানদার ও ঝিনাইদহের পুরোহিত হত্যার ঘটনাতেও তাই হয়েছে। আবার পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রী হত্যার ঘটনায় কেউ দায় স্বীকার করেনি। পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল আক্তারের জঙ্গিবিরোধী তৎপরতার কারণেই তাঁর স্ত্রী হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন বলে পুলিশের ধারণা। অন্যদিকে বাংলাদেশে আইএসের অস্তিত্ব নেই বলে সরকার দাবি করে আসছে। প্রশ্ন হচ্ছে এসব ঘটনা তবে কারা ঘটাচ্ছে? একাধিক গোষ্ঠী জড়িত কি না বা এসব ঘটনা ঘটিয়ে তারা কীভাবে ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকতে পারছে, সেগুলো বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
খুনি চক্রের এই বেপরোয়াভাব দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সামগ্রিকভাবে সরকারের ব্যর্থতাকেই তুলে ধরছে। এসব হত্যাকাণ্ড যেমন থামানো যাচ্ছে না, তেমনি হত্যাকাণ্ডের পরও খুনিদের চিহ্নিত ও বিচারের মুখোমুখি করা যাচ্ছে না। আমরা চাই এ নিয়ে সব বিভ্রান্তি দূর হোক, খুনি চক্র চিহ্নিত ও বিচারের মুখোমুখি হোক।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই জুন, ২০১৬ রাত ৯:৪৫

বিজন রয় বলেছেন: দেশে কোন তদন্ত কি কোন দিন শেষ হয়েছে?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.