নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সোলায়মান ডালিম

সংবাদকর্মী

সোলায়মান ডালিম › বিস্তারিত পোস্টঃ

কোথাও কেউ নিরাপদ নয়!

১৭ ই জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৯


সোলায়মান ডালিম>>
৪৮ ঘন্টার মধ্যে খুন হলেন তিনজন, যার শুরুটা হয়েছিল চট্টগ্রামে পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতুকে হত্যার মধ্য দিয়ে। মাঝে খুন হয়েছেন নাটোরে খ্রিস্টান মুদি দোকানদার। শেষে ঝিনাইদহের পুরোহিত হত্যার ঘটনা। দেশে গুপ্তহত্যার ঘটনা বাড়লেও অপরাধীদের শনাক্তকরণ ও গ্রেফতারে সাফল্য নেই। অল্প সময়ের ব্যবধানে ঊর্ধ্বতন একজন পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রীসহ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের দুই সদস্যের হত্যাকা- জনমনে ভীতির সঞ্চার করলেও উল্লেখযোগ্য কোনো অপরাধী ধরা পড়েনি।
এ থেকে বোঝা যায়, অপরাধীরা আগের তুলনায় আরও বেশি সাবধানী, সুসংগঠিত। সাধারণ মানুষের জানমালের নিরাপত্তা দান রাষ্ট্রের দায়িত্ব। এই নিরাপত্তা বিধানের কাজে প্রথম সারিতেই ভূমিকা পালন করে পুলিশ। পুলিশের বিরুদ্ধে অনেক ধরনের অভিযোগও শোনা যায় এবং সেগুলোর সব একেবারে ভিত্তিহীনও নয়। এরপরও এই বাহিনীর কোনো কোনো সদস্য যে তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব আন্তরিকতা, নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করেন তার প্রমাণ পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার।
জনমনে আতঙ্ক দিন দিন বাড়ছে। পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রীর খুনিদের চেহারা সিসি ক্যামেরায় অস্পষ্টভাবে হলেও ধরা পড়েছে। সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের ডাটাবেস তৈরি করা থাকলে তাদের শনাক্ত করার কাজটি কঠিন হতো না। তথ্যপ্রযুক্তির এই যুগে অপরাধীরা নিত্যনতুন কৌশল ব্যবহার করে থাকে। তাই অপরাধ কার্যকরভাবে দমন করতে চাইলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকেও আধুনিক ও দক্ষ হতে হবে।
দায়িত্ব পালনে উদাসীনতা, অপরাধ সংঘটনে সহযোগিতা করা, অপরাধীদের পক্ষ নেওয়াসহ নানা অভিযোগ রয়েছে পুলিশের বিরুদ্ধে। পুলিশের এই দুর্বলতারও সুযোগ নিচ্ছে অপরাধীরা। সমস্যাটি অনেক পুরনো হলেও সমাধান মিলছে না। কেউ খুন হলে কয়েক দিন হইচই হবে, তদন্ত কার্যক্রম কয়েক দিন চলে থেমে যাবে, এমন অবস্থা চলতে থাকলে সমাজ সামনে এগোনোর বদলে পিছিয়ে পড়তে পারে।
হত্যাকান্ডের স্বজন হারানো পরিবারের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা, প্রতিটি নাগরিকের নিরাপত্তা বিধান করা রাষ্ট্রের অন্যতম দায়িত্ব। প্রয়োজনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাব্যবস্থা ঢেলে সাজাতে হবে।একের পর এক মানুষ খুন হবে, খুনিরা ধরা পড়বে না এ বড় ভয়ংকর।
সাধারণভাবে এসব হত্যাকান্ডের সঙ্গে ধর্মীয় জঙ্গিগোষ্ঠীগুলো জড়িত রয়েছে বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে। এ ধরনের ঘটনাগুলো ঘটার পর অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আন্তর্জাতিক জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসের কাছ থেকে ‘দায় স্বীকারের’ ঘটনা ঘটে।
নাটোরে খ্রিস্টান মুদি দোকানদার ও ঝিনাইদহের পুরোহিত হত্যার ঘটনাতেও তাই হয়েছে। পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল আক্তারের জঙ্গিবিরোধি তৎপরতার কারণেই তার স্ত্রী হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছেন বলে পুলিশের ধারণা। অন্যদিকে বাংলাদেশে আইএসের অস্তিত্ব নেই বলে সরকার দাবি করে আসছে।
খুনিচক্রের এই বেপরোয়াভাব দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীবাহিনীও সামগ্রিকভাবে সরকারের ব্যর্থতাকেই তুলে ধরছে। এসব হত্যাকা- যেমন থামানো যাচ্ছে না, তেমনি হত্যাকান্ডের পরও খুনিদের চিহ্নিত ও বিচারের মুখোমুখি করা যাচ্ছে না। চাই এ নিয়ে সকল বিভ্রান্তি দূর হোক।

লেখক- গণমাধ্যম কর্মী

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.